ত্রাণের অভাবে গাজায় যখন ১৪ হাজার শিশু মৃত্যুর মুখোমুখি, তখন একদিকে ত্রাণ বিতরণ বন্ধ রাখা হয়েছে, অন্যদিকে রাতের বেলা ইসরায়েলি হামলায় আরও ৪৫ জন নারী-শিশু নিহত হয়েছে। সূত্র : টাইমস অব ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় গত মঙ্গলবার রাত থেকে গতকাল সকাল পর্যন্ত আরও ৪৫ জন নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। এর মধ্যে একটি শিশুর বয়স মাত্র এক সপ্তাহ। হামলায় এ পর্যন্ত গাজায় ৫৩ হাজার ৫০০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তাদের সেনারা গাজায় ১১৫টি হামলা চালিয়েছে। এদিকে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে গত সোমবার থেকে গাজায় খুবই সামান্য ত্রাণ প্রবেশ করতে দেয় দখলদাররা, যা কোনোভাবেই পর্যাপ্ত নয়। আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ডক্টর উইথ আদার্স বর্ডার’ জানিয়েছে, ইসরায়েল যে ত্রাণ গাজায় ঢুকতে দিয়েছে সেগুলো পর্যাপ্তের কাছাকাছিও না। উল্টো এর মাধ্যমে প্রতারণা করছে ইসরায়েলিরা। তারা বোঝাতে চাচ্ছে গাজায় তারা ত্রাণসামগ্রী ঢুকতে দিচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে এটি আসলে ঘটছে না। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরায়েলের অবরোধের কারণে ১১ সপ্তাহ ধরে গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ বন্ধ আছে। দুর্ভিক্ষে থাকা গাজার ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংকটে আছে শিশুরা। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা প্রধান টম ফ্লেচার জানান, গাজার পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে, জরুরি সহায়তা না পৌঁছালে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৪ হাজার শিশু মারা যেতে পারে। তিনি জানান, ট্রাকে শিশুদের খাবার ও পুষ্টিকর সামগ্রী থাকলেও তা এখনো ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।