নিজের ক্যারিয়ার নিজেই গড়তে চান তিনি। স্ত্রী প্রিয়াঙ্কার 'কাঁধে' ভর দিয়ে জীবনে উন্নতি করতে চান না কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর জামাতা রবার্ট বঢরা!
নয়াদিল্লিতে একটি সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রবার্ট বলেন, জীবনের উন্নতি, সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য স্ত্রী প্রিয়াঙ্কার নাম বা প্রতিপত্তি কোনটারই প্রয়োজন ছিল না তার। তিনি বলেন, ''জীবনে উন্নতির জন্য আমার কখনোই প্রিয়াঙ্কাকে প্রয়োজন ছিল না, নেইও। আমার যথেষ্ট সম্পত্তি রয়েছে। বরাবরই ছিল। বাবা আমাকে অনেক কিছু দিয়েছেন। সব রকমের সমস্যা সামলানোর শিক্ষাও আমি পেয়েছি।''
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে সংবাদপত্রে আইনি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে রবার্ট জানিয়েছিলেন, তাঁর বাবা রাজেন্দ্র এবং ভাই রিচার্ড তাঁর নাম ব্যবহার করে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন এবং টাকা তুলছেন। ওই ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ নেই। রাজেন্দ্র তখন সোনিয়ার বিরুদ্ধে তাঁর পরিবারে ভাঙন ধরানোর অভিযোগও করেন। পরে ২০০৩ সালে রিচার্ড এবং ২০০৯ সালে রাজেন্দ্রের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। প্রায় ১৫ বছর পরে গত মার্চে বঢরা পরিবারের এক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন সোনিয়া-রাহুল-প্রিয়াঙ্কা।
স্ত্রীর সঙ্গে শাশুড়ি সোনিয়া বা শ্যালক রাহুলের লোকসভা কেন্দ্রে যান গান্ধী পরিবারের জামাতা। ইদানিং ফেসবুক পেজে নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি সম্পর্কে ব্যঙ্গবিদ্রুপ করছেন তিনি। তবে কি সক্রিয় রাজনীতিতে আসছেন রবার্ট? তার জবাব, ''কখনও রাজনীতিতে আসব না, তা বলছি না। দেখা যাক, ভবিষ্যতে কী হয়। যখন জনতা আমাকে চাইবে, যখন তাঁরা মনে করবে আমি পরিবর্তন ঘটাতে পারি, তখন হয়তো রাজনীতি করব। যে পরিবারের সঙ্গে আমি যুক্ত, তারা বংশপরম্পরায় রাজনীতি করছে। আমি তা শ্রদ্ধা করি।''
রবার্টের বিরুদ্ধে একাধিক রাজ্যে জমি দুর্নীতির মামলা চলছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও তা নিয়ে গান্ধী পরিবারকে কটাক্ষ করেন। এ প্রসঙ্গে রবার্টের মন্তব্য, ''আমার সম্পর্কে অনেক কিছুই সংবাদপত্রে পড়েছি। কিন্তু সত্যিটা আমি জানি। আমার জন্ম এদেশে। সুতরাং মামলায় জড়িয়ে হেনস্থা করা হলেও আমি দেশ ছেড়ে পালাব না।''
এই সাক্ষাৎকারে এনডিএ সরকারকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রবার্ট। বলেন, ''কেন্দ্রীয় সরকারকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। কিন্তু মানুষ যখনই ঠিক আর ভুলটা বুঝবে, তখনই তাঁরা এই সরকারের বিরুদ্ধে যাবে।''
বিডি-প্রতিদিন/১৫ এপ্রিল ২০১৬/ এস আহমেদ