মিয়ানমারে সামরিক জান্তা প্রণীত ২০০৬ সালের সংবিধানে সংশোধনী আনতে উদ্যোগ গ্রহণের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সুচি। তিনি এমন একটি সংবিধান চান যা দেশটিতে প্রকৃত গণতন্ত্রের পথ উন্মুচন করবে। বৌদ্ধ ধর্মীয় ক্যালেণ্ডারে নববর্ষের সূচনার প্রাক্কালে দেশব্যাপী প্রচারিত এক টেলিভিশন ভাষণে এ প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেন শান্তিতে নোবেলজয়ী সুচি। খবর এপির
ভাষণে ৭০ বছর বয়সী সুচি বলেন, 'আমাদের সংবিধানের সংশোধনী প্রয়োজন। আমি এমন একটি সংবিধানের আহ্বান জানাচ্ছি যা মিয়ানমারে প্রকৃত গণতন্ত্রের জন্ম দেবে।'
উল্লেখ্য, অং সান সুচির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির নেতৃত্বে মিয়ানমারে সম্প্রতি গণতান্ত্রিক সরকারের যাত্রা শুরু হয়েছে। দীর্ঘ পাঁচ দশকের সামরিক শাসনের পর দেশটি এই প্রথম গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু করে। নতুন এ গণতান্ত্রিক সরকারে বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন গণতন্ত্রকামী সুচি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও শিক্ষা এবং জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও পেয়েছেন তিনি। এছাড়া প্রেসিডেন্টের দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীও তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/১৮ এপ্রিল ২০১৬/শরীফ