ইরানের ওপর আবারও নিষেধাজ্ঞা জারি করল যুক্তরাষ্ট্র। নতুন এই নিষেধাজ্ঞায় দেওয়া হয়েছে দেশটির নির্মাণ খাত এবং সামরিক বা পরমাণু কর্মসূচিতে ব্যবহৃত চারটি উপকরণের ওপর।
বৃহস্পতিবার এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র। খবর ডয়েচে ভেলে, দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট ও রয়টার্সের।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের সেনাবাহিনী ইসলামি বিপ্লবী গার্ডের করপোরেশন আইআরজিএস প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দেশটির নির্মাণ খাত নিয়ন্ত্রণ করে থাকে, এমনটাই বিশ্বাস মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের।
এই বাহিনীকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে ওয়াশিংটন। এই জন্য নির্মাণ খাতে ব্যবহৃত কাঁচা এবং আধা সম্পন্ন ধাতু, গ্রাফাইট, কয়লা এবং বাণিজ্যিক স্বার্থে ব্যবহৃত সফটওয়্যারের ওপরে নিষেধাজ্ঞা আনে ওয়াশিংটন।
অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও কূটনৈতিক আলাপের সুযোগ বন্ধ রেখে ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি এগিয়ে নিচ্ছিল। পরমাণু বোমা তৈরির সুযোগ না দিতে নতুন করে এই নিষেধাজ্ঞা এনে দেশটির ওপর আরও বেশি চাপ সৃষ্টি করল ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত হওয়া পারমাণবিক চুক্তি থেকে গত বছর বের হয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। এর পর থেকে উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এতে ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরও বাড়িয়ে দেয় ট্রাম্প প্রশাসন।
এরপর ইরানও ওই চুক্তি থেকে আংশিক বেরিয়ে আসে। এই চুক্তির মাধ্যমে পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করতে রাজি হয়েছিল দেশটি।
তবে আরও বেশি নিষেধাজ্ঞা এনে এবং পূর্বের নিষেধাজ্ঞাগুলো কঠোর করে একটি বৃহত্তর চুক্তির জন্য ইরানকে রাজি করাতে চাপ সৃষ্টি করতে দেখা গিয়েছে ওয়াশিংটনকে। যাতে তেহরান ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও আঞ্চলিক কার্যক্রম সীমিত করে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম