গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, গতকাল গাজা সিটিতে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। হামলায় আহত হয়েছেন পাঁচজন। এ হামলায় আরও ৩০ জনেরও বেশি মানুষ একটি বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গাজা সিটি থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
বেসামরিক প্রতিরক্ষা মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল এএফপিকে বলেন, ‘আমাদের দল ইসরায়েলি হামলার পর চারজন শহীদ এবং পাঁচজন আহতকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।’
ইসরায়েল ভোরে গাজা শহরের সাবরাপাড়ায় একটি বেসামরিক বাড়িতে হামলা চালায়।
তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
ইসরায়েল এক মাসেরও বেশি সময় আগে গাজা উপত্যকাজুড়ে হামাসের বিরুদ্ধে পুনরায় আক্রমণ শুরু করেছিল।
বেসামরিক প্রতিরক্ষা মুখপাত্র বাসাল বলেন, ভূখণ্ডের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত গাজা সিটিতে ইসরায়েলিদের লক্ষ্যবস্তুতে থাকা বাড়িটির ধ্বংসস্তূপের নিচে ‘৩০ জনেরও বেশি’ মানুষ নিখোঁজ বলে ধারণা করা হচ্ছে এবং ‘প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে আমাদের কর্মীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না’।
হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের শুক্রবার প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ১৮ মার্চ থেকে নতুন করে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ২ হাজার ৬২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজা যুদ্ধে মোট মৃতের সংখ্যা ৫১ হাজার ৪৩৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
ইসরায়েলি সরকারি পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে এএফপির হিসাব অনুসারে জানা গেছে, গত ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ১ হাজার ২১৮ জন নিহত হয়, যাদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক।
হামাস ২৫১ জনকে অপহরণ করেছে, যাদের মধ্যে ৫৮ জন এখনো গাজায় আটক রয়েছে। এই অপহৃতদের মধ্যে ৩৪ জন নিহত হয়েছে বলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে।
ইসরায়েল বলছে, নতুন করে সামরিক অভিযানের লক্ষ্য হলো হামাসকে অবশিষ্ট বন্দিদের মুক্ত করতে বাধ্য করা।