২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১২:৩৬

যাদবপুরে সেই ঘটনার পর ভাইরাল ছাত্রী, কুৎসা রটানোর অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক

যাদবপুরে সেই ঘটনার পর ভাইরাল ছাত্রী, কুৎসা রটানোর অভিযোগ

ভারতের কেন্দ্রীয় পরিবেশ ও বন প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় গত বৃহস্পতিবার কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে অবরোধের মুখে পড়েন। তার অভিযোগ, এ সময় তার চুল ধরে টানা হয় এবং চড়, ঘুঁষি মেরে জামাও ছিঁড়ে দেওয়া হয়। যাদবপুরে সেদিনের সেই ঘটনার পর রীতিমতো নোংরামি শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে। বৃহস্পতিবারের ঘটনায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করে সোশ্যাল মিডিয়ায় কুৎসা রটানোর কাজে নেমেছে রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চা বাহিনী। শুধুমাত্র কুৎসা বা কুরুচিকর মন্তব্যেই আটকে থাকছে না। রীতিমতো খুনের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে যাদবপুরের শিক্ষার্থীদের। 

হুমকির শিকার হয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর ছাত্রী শিল্পী আফ্রিন। গত শুক্রবার ও শনিবার তার একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়া হয়। আর তারপর থেকেই সেই ছবির নিচে শুরু হয় কুরুচিকর মন্তব্য। বৃহস্পতিবারের ঘটনার দিন একটি ছবি ভাইরাল হয়। তাতে দেখা গেছে, এবিভিপির নবীনবরণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত সঙ্গীত শিল্পী বাবুল সুপ্রিয়কে ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভের হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন এক ছাত্রী।

ভারতীয় গণমাধ্যম আজকালের খবর, সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ওই ছাত্রীকে শিল্পী আফ্রিন নামে চালানোর চেষ্টা করছে বিজেপি, এবিভিপি ও সংঘের অনুগামীরা। শুধু তাই নয়, বাড়ি গিয়ে খুনের হুমকিও দেওয়া হয় শিল্পী আফ্রিন নামে ওই ছাত্রীকে। তাদের মন্তব্যে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের দিকটি আরও বেশি করে চোখে পড়ার মতো। মুসলিম হওয়ার কারণে আরও কুরুচিকর মন্তব্য ছুড়ে দেওয়া হয়েছে ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে।

শিল্পী আফ্রিন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘‌আমার বিরুদ্ধে কুরুচিকর যৌন ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে। যে ছবিটি ভাইরাল করা হয়েছে, সেই ছবিতে আমি নেই। গত ১৯ সেপ্টেম্বরের ঘটনায় এবিভিপির লোকেরা আমাদের ইউনিয়ম ঘর ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। তারই একটি ছবি আমি ফেসবুকে পোস্ট করি। তারপর থেকেই আমায় বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো শুরু হয়। যারা এইসব কুরুচিকর মন্তব্য করছেন, তাদের বেশ কয়েকজনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘেটে দেখেছি, তারা প্রত্যেকেই বিজেপি ও এবিভিপির সমর্থক।

গোটা ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছে শিল্পী আফ্রিনের পরিবার। বাধ্য হয়ে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টও ডিজঅ্যাবল করে দিতে হয়েছে যাদবপুরের ছাত্রীকে। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

যাদবপুরের কাণ্ডের পর বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করেছিলেন, ‘‌বাবুলের চরিত্র আমরা জানি। কিন্তু ওরা (যাদবপুরের ছাত্রীরা)‌ কোনও ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত কি না জানতে চাইছি।’‌ 

আজকালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিজেপির নেতারা যেখানে এই ধরণের কুরুচিকর মন্তব্য করে থাকেন নারীদের উদ্দেশ্যে, সেখানে তাঁর অনুগামীদের মুখের ভাষাও একই হবে, বলাইবাহুল্য। মনে করছেন বিশিষ্টমহল।  

বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর