সোমবার, ১৩ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

হত্যার চার ঘণ্টার মধ্যেই বন্দুকযুদ্ধে নিহত আসামি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়ায় ভাইকে না পেয়ে বোনকে গুলি করে হত্যাকারী শাহ আলম (৩৮) পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। বোন বুবলি আক্তারকে (২৮) হত্যার ঘণ্টাচারেক পর গতকাল ভোররাতে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বুবলির ভাই রুবেলকে মারতে অস্ত্রসহ রাতে তাদের বাসায় গিয়েছিলেন শাহ আলমসহ কয়েকজন। এ সময় রুবেলকে না পেয়ে শাহ আলম বুবলির বুকে ও পেটে গুলি করেন। তাকে যাতে চিকিৎসার জন্য মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া সম্ভব না হয়- সে জন্য সন্ত্রাসীরা দলবল নিয়ে সড়কে অবস্থান নেয়। পরে একপর্যায়ে বুবলিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে বুবলি আগেই মারা যান। চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মো. শাহ আবদুর রউফ জানান, ভোররাতে শাহ আলমসহ তার সহযোগীদের ধরতে বলিরহাট এলাকায় পুলিশ অভিযানে যায়। টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। উভয়পক্ষের বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে শাহ আলমের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। বন্দুকযুদ্ধে বাকলিয়া থানার ওসি নেজাম উদ্দিনসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হন। 

পুলিশ জানিয়েছে, বুবলি হত্যাকা-ে জড়িত সন্দেহে পুলিশ শাহ আলমের ভাই নুর আলম ও অপর সহযোগী নুর নবীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। বুকলিকে হত্যার ঘটনায় তার বাবা নোয়া মিয়া বাদী হয়ে শাহ আলম, তার ভাই নূর আলম (২৫), নবী হোসেন (৬০), মো. জাবেদ (২৪), মো. মুছা (৪০), আহমদ কবিরসহ (৪২) ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করে বাকলিয়া থানায় রাতেই একটি হত্যা মামলা করেন। আসামিরা সবাই বাকলিয়ার বজ্রঘোনা মদিনা মসজিদ এলাকার বাসিন্দা। কাঠমিস্ত্রি রুবেলের কাছে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদকসেবী শাহ আলম চাঁদা দাবি করেছিলেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। টাকা না পেয়েই এ হত্যাকা- ঘটানো হয়েছে বলে বুবলির পরিবার দাবি করেছে।

সর্বশেষ খবর