শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

বরিশালে বিএনপির পদপ্রাপ্ত ও বঞ্চিতদের সংঘর্ষ, আহত ৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশাল নগরীতে বাকেরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির নতুন কমিটিতে পদপ্রাপ্ত ও বঞ্চিতদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে। গতকাল বেলা ১২টার দিকে নগরীর সদর রোডের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত আটজন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় বাকেরগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক আবুল হোসেন খানের অনুসারীদের দায়ী করেছেন হামলায় আহতরা। তবে জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক উল্টো বিদ্রোহীদের উস্কে দেওয়ার জন্য মহানগর বিএনপি এবং জেলা যুবদলের কয়েক নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

তৃণমূল বিএনপি পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে কেন্দ্রের নির্দেশে বরিশাল জেলার বিভিন্ন উপজেলা বিএনপি’র কমিটি হালনাগাদ করা হচ্ছে। এই ধারাবাহিকতায় গত ১৫ নভেম্বর হারুন অর রশিদ সিকদারকে আহ্বায়ক ও মিজানুর রহমান চুন্নু সিকদারকে সদস্য সচিব করে বাকেরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র ৪১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি গঠনে ৬০ লাখ টাকা লেনদেনের (অডিওক্লিপ আছে) অভিযোগ উঠলে গত ৬ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রের নির্দেশে বাকেরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। ৯ ফেব্রুয়ারি জেলা সদরের দলীয় কার্যালয়ে ভোটাভুটির মাধ্যমে হারুন অর রশিদ জোমাদ্দারকে আহ্বায়ক ও নাসির উদ্দিন হাওলাদারকে সদস্য সচিব করে বাকেরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।

এই কমিটিতে পদ বঞ্চিত ও সদ্য সাবেক কমিটির নেতারা গতকাল সকাল সাড়ে ১১টায় নগরীর সদর রোডে বিএনপি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে জেলা আহ্বায়কের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে তারা বেরিয়ে যাওয়ার সময় সেখানে উপস্থিত বাকেরগঞ্জ উপজেলা নতুন কমিটির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মুখোমুখি হয়। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি এবং সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের ৮ জন নেতা-কর্মী আহত হয়। হামলার ঘটনায় বাকেরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও জেলা কমিটির বর্তমান আহ্বায়ক আবুল হোসেন খানকে দায়ী করেছেন পদ বঞ্চিতরা। তারা নতুন কমিটি বাতিলের দাবি জানান। অন্যথায় বাকেরগঞ্জের সব ইউনিয়নে এই আন্দোলন ছড়িয়ে দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন উপজেলা বিএনপি’র সদ্য বিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ সিকদার। হামলায় সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করে দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক আবুল হোসেন খান। এদিকে সংঘর্ষের সময় সেখানে কোনো পুলিশ ছিল না। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই পালিয়ে যায় দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীরা। কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বাকেরগঞ্জ বিএনপি’র পদবঞ্চিত ও পদপ্রাপ্তদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন ওসি।

সর্বশেষ খবর