চাঁদপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃতদেহ ছিনিয়ে নিতে সরকারি জেনারেল হাসপাতালে তাণ্ডব চালিয়েছে কিশোর গ্যাং। তাদের হামলায় হাসপাতালের পাঁচজন কর্মচারী আহত হয়েছেন। গতকাল দুপুরে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। পরে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। হাসপাতাল সূত্র জানায়, দুপুরে শহরের পূর্ব শ্রীরামদি এলাকার শামীম (১৬) ও মিনহাজ (১৫) নামের দুই কিশোর বৃষ্টির সময় খেলার মাঠে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। নিহতরা নুরিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। লাশ দুটি হাসপাতালে রেখে নিয়মানুযায়ী পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ আসার আগেই লাশ দুটি ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনরা ছিনিয়ে নিতে হাসপাতালের স্টাফদের চাপ দেয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা পুলিশের নির্দেশনা ছাড়া লাশ না দিলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে একদল কিশোর জরুরি বিভাগে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে পাঁচজন কর্মচারীকে আহত করে। এর মধ্যে সিহাব নামে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সুশান্ত বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যুর ক্ষেত্রে কিছু আইনি বিষয় থাকে। যে কারণে লাশ হাসপাতালের জিম্মায় রাখা হয়েছিল। নিহতের স্বজনসহ এলাকার কিছু কিশোর হাসপাতাল থেকে লাশ ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা চালায়। বাধা দিলে কিশোররা হাসপাতালের পাঁচ কর্মচারীকে পিটিয়ে আহত করে। চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুর রশিদ বলেন, হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পাঁচ কর্মচারীকে আহত করার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই কিশোর গ্যাং সদস্য আরিফুল্লাহকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।