প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ব্যাপক মৃত্যুর হুমকি নিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বব্যাপী। এর প্রকোপে মৃত আর আক্রান্তের মাত্রা দিন দিন ভয়াবহ হয়ে উঠছে। চীনে তাণ্ডব চালিয়ে এখন ইতালি, ইরান ও স্পেনসহ কিছু কিছু দেশ ও অঞ্চলে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। আগামীতে বিশেষ করে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে করোনাভাইরাস এরকম মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে বলে গভীর আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
এর প্রেক্ষিতে দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ ঘোষণা করায় বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনসমাগম রোধে ছুটি ঘোষণা করে সবাইকে ঘরে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। কিন্তু ছুটি পেয়ে সবাই বাড়ির পথে ছুটতে শুরু করেছেন। এতে রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ড আর লঞ্চ টার্মিনালগুলোতে ভিড় বেড়ে যায়। মানুষ 'ঈদের আনন্দে' ১০ দিনের ছুটি উপভোগ করতে বাড়ির পথ ধরে!
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস ঠেকাতে সামাজিক দেখা সাক্ষাত বন্ধ করতে বলছেন বিজ্ঞানীরা। ঘরে বসে থাকাই এই ভাইরাস থেকে বাঁচার একমাত্র উপায়। কারণ এর কোনো প্রতিষেধক নেই। কিন্তু সরকারের ছুটি উপভোগ করতে গ্রামে যাচ্ছে মানুষ।
সোমবার সারাদিন ও আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া প্রতিটি আন্তঃনগর এবং লোকাল ট্রেনে ছিল মানুষের উপচেপড়া ভিড়। সবাই গ্রামে যাচ্ছে। দেখে মনে হয় ঈদ লেগেছে। অথচ, এইসব লাখ লাখ মানুষের মাঝে করোনা আক্রান্ত যারা আছেন, তারা তো ট্রেনের প্রতিটি যাত্রীর মাঝে ভাইরাস ছড়িয়ে দিলেন! সবাই গ্রামে গিয়ে ঘুরেফিরে বেড়াবে। তাদের থেকে প্রথমে পরিবার এবং পরে প্রতিবেশীরা আক্রান্ত হবে করোনায়।
সবাই জেনে গেছে, এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে কী করতে হবে। কিন্তু সিংহভাগ মানুষই তা মানছে না! যদি মানতেন, তাহলে তারা 'ঈদের আনন্দে' উপচেপড়া ভিড় উপেক্ষা করে গণপরিবহনে উঠে বাড়ি যেতেন না। বরং তারা ঘরে বসে করোনা প্রতিরোধে সহায়তা করতেন।
ভিডিও :
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম