বর্তমানে করোনায় লকডাউন পরিস্থিতিতে মানুষের মধ্যে খাবার নিশ্চিত করতে না পারলে সবাই রাস্তায় নেমে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
তিনি বলেন, বাঘ যেমন বনে খাবার না পেলে লোকালয়ে চলে আসে, ঠিক তেমনি মানুষের ঘরে খাবার না থাকলে তারা রাস্তায় এসে পরবে। এ জন্য লকডাউন চলাকালে দরিদ্র শ্রেণির খাবার নিশ্চিত করতে হবে। এ মূহুর্তে তাদের মৌলিক অধিকার আদায় করতে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি বেসরকারিভাবে দানশীলদেরও এগিয়ে আসতে হবে।
সোমবার বিকালে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, গণস্বাস্থ্যের উদ্যোগে আমরা ১০ হাজার মানুষকে খাবার বিতরণ করেছি। আমরা আরো অন্তত ১০ হাজার মানুষকে খাবার দিতে চাই। প্রত্যেক দরিদ্রের বাড়িতে মাসে একটি রেশন পৌঁছে দিতে চাই। এ জন্য সরকারসহ বিত্তবান শ্রেণির কাছে সহযোগিতা কামনা করছি। আমরা হতদরিদ্র শ্রেণির বাসা বাড়িতে গিয়ে খাবার পৌঁছে দিচ্ছি।
সরকারকে কিট হস্তান্তর প্রসঙ্গে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমরা আশা করছি, আগামী সোম-মঙ্গলবারের মধ্যে সরকারকে কিট হস্তান্তর করবো। এ জন্য দ্রæতগতিতে কাজ চলছে। বৈদ্যুতিক ও যান্ত্রিক যে ত্রুটিগুলো ছিল, তা অনেকটাই কেটে গেছে। আমরা সরকারকে অনেক বেশি পরিমাণ কিট দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সরকার অনুমোদন দিলে আপাতত এক লাখ কিট উপহার দিতে চাই।
তিনি বলেন, চীনের পর ইংল্যান্ড থেকেও কিট উৎপাদনে কাঁচামাল চলে এসেছে। এখন আমরা রক্তের সেম্পল নিয়ে প্রাথমিকভাবে কিট উৎপাদন করছি। সরকার সহযোগিতা করলে আমরা প্রায় দুই কোটি কিটও উপহার দিতে পারবো। এ জন্য চাই সরকারের কাছে কিছু আর্থিক সহযোগিতা। প্রয়োজনে আমার ধানমন্ডির বাড়িটি লিজ দিয়ে হলেও ব্যাংক ঋণ চাই। আমার ইচ্ছা, প্রতিটি গ্রামে গ্রামে ওয়ার্ড বা ইউনিয়ন পর্যায়ে কিট পৌঁছে দিতে। সামান্য একদিনের প্রশিক্ষণ নিয়েই সবাই এটা পরীক্ষা করতে পারবে। যত পরীক্ষা হবে ততই আমাদের জন্য মঙ্গল হবে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন