শিরোনাম
প্রকাশ: ১১:১৪, রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৫

স্বাধীনতা-পরবর্তী রাজনীতি

বিভুরঞ্জন সরকার
অনলাইন ভার্সন
স্বাধীনতা-পরবর্তী রাজনীতি

একাত্তরে দেশের মানুষের মধ্যে যে ঐক্য এবং সাহস দেখা গিয়েছিল তা আগে বা পরে আর কখনো দেখা যায়নি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামেই ‘সাড়ে সাত কোটি’ বাঙালি তখন ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, লড়াই করেছিল, জীবনবাজি রেখেছিল। সত্যি তখন ছিল ‘এক নেতা, এক দেশ’। তখন অন্য রাজনৈতিক দলগুলো মানুষকে তেমন প্রভাবিত করতে পারেনি।  বঙ্গবন্ধুর জীবন সংগ্রামই তাকে অন্য সবার থেকে আলাদা করেছে। সত্তরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর তুলনায় ত্যাগী ও যোগ্য প্রার্থীদেরও মানুষ ভোট দেয়নি সম্ভবত একটি রাজনৈতিক বিবেচনা থেকেই যে, শেখ মুজিবকে ভোট না দিলে বাঙালি তার অধিকার পাবে না। মানুষের এই আস্থা একদিনে তৈরি হয়নি। এখন এই যে, কার ডাকে মানুষ মুক্তিযুদ্ধে গেল বা কে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক— এ নিয়ে যে বিতর্ক হয়, এটা একেবারেই অর্থহীন। একাত্তরে এ কথা কেউ বলেনি, এ প্রশ্ন কেউ তোলেনি। বঙ্গবন্ধুর সেই কালজয়ী আহ্বান ‘আমি যদি হুকুম দেওয়ার নাও পারি, তোমাদের যার যা আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করবা’— এটাই ছিল তখন সবার কাছে বড় দিকনির্দেশনা। সে জন্য মানুষ দ্বিধাহীন চিত্তে তখন শেখ মুজিবকেই তাদের নেতা মেনে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। তখন বরং যারা মুজিবের বিরোধিতা করেছে সাধারণ মানুষ তাদের অপছন্দ করেছে।

মানুষের মধ্যে একাত্তরে যে শক্তি ও সাহস দেখা গেছে তার কোনো তুলনা হয় না। তখন দেখেছি কি দুঃসাহস নিয়ে মানুষ পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছে। অত্যাচার-নির্যাতন কোনো কিছুকেই তারা পরোয়া করেনি। আমার এক বন্ধুকে পাকিস্তানিরা ধরে নিয়ে গিয়ে অমানুষিক নির্যাতন-অত্যাচার করেছে। সে মুক্তিযোদ্ধা ছিল না। ভারতেও যায়নি। নিজ এলাকাতেই ছিল, তবে মুক্তিযোদ্ধাদের সে সহায়তা করত। পাকিস্তানি আর্মি এ কারণে তাকে ধরে নিয়ে যায়। অকথ্য নির্যাতন করেও তার মুখ থেকে মুক্তিবাহিনীর অবস্থান সম্পর্কে কোনো তথ্য বের করতে পারেনি। এ রকম আরও অনেকের কথা ইতিহাসে ঠাঁই পায়নি, পাবে না, তারা হয়তো মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেও কোনো দিন স্বীকৃতি পাবে না। সাধারণ মানুষের আত্মত্যাগ এবং ভূমিকা ইতিহাসে সঠিকভাবে স্থান পেলে আজকের প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে পারত। দেশের বিভিন্ন স্থানে এমন অনেকেই অবরুদ্ধ অবস্থায় থেকেই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করেছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দেওয়া, খাবার দেওয়া থেকে শুরু করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ তারা করেছেন। কেউ কেউ পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরাও পড়েছেন। সাধারণ মানুষের মনে এমন দৃঢ়তা কীভাবে সৃষ্টি হয়েছিল, মৃত্যুভয়কে উপেক্ষা করার এমন সাহস মানুষ কোথা থেকে পেয়েছিল সে বিষয়টি কী আমরা কখনো ভেবে দেখেছি?

সাধারণ মানুষের বীরত্বগাথাকে সামনে না এনে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধটাকে কেউ কেউ সামরিক শক্তির জয়-পরাজয় বলে উল্লেখ করে থাকেন। প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযুদ্ধ তো শুধু সেনাবাহিনী বা ইপিআরের কিছু সংখ্যক সদস্যের সঙ্গে পাকিস্তান বাহিনীর যুদ্ধ ছিল না। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ছিল প্রকৃতপক্ষে সাধারণ মানুষের যুদ্ধ, জনযুদ্ধ। সাধারণ মানুষের সমর্থন এবং সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া এই যুদ্ধে এত সহজে জয়লাভ সম্ভব ছিল না। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধটাকে সামরিক যুদ্ধ হিসেবে দেখার ফলে সাধারণ মানুষের আত্মত্যাগ, তাদের ভূমিকা, সক্রিয় অংশগ্রহণ সব আড়াল হয়ে যাওয়ার ফলটা ভালো হয়নি। মানুষ দেখল যে, তার ভূমিকাটা ছিনতাই হয়ে গেছে। মানুষ যে আত্মত্যাগ করেছে, যে ভূমিকা রেখেছে তা ইতিহাসে স্থান পাচ্ছে না। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে পরবর্তী সময়ে মানুষের উত্সাহে ভাটা পড়ার এটা কি একটি বড় কারণ যে, মানুষ মনে করেছে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় সে নানাভাবে নিগৃহীত ও নির্যাতিত হয়েছে, ভিটেমাটি ছাড়া হয়েছে, নিকটজনকে হারিয়েছে, লুটপাটের কারণে সম্পদ হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে— এর কোনো মূল্যায়ন হচ্ছে না। এই মানুষের কথা সেভাবে কেউ বলছে না। শুধু অস্ত্র হাতে নিয়ে যারা যুদ্ধ করেছেন, তারা প্রশংসিত হচ্ছেন।

আমরা সবাই জানি যে, মুক্তিযুদ্ধে আমাদের শত্রু-মিত্র ছিল। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রেই। অথচ যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে আমরা শত্রু-মিত্রকে আলাদাভাবে বিচার করার চেষ্টা করিনি। শত্রুর বিরুদ্ধে এবং মিত্রের পক্ষে আমাদের যেভাবে অবস্থান নেওয়া প্রয়োজন, সেটা আমরা নেইনি। ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ। মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান অসামান্য। সে সময় ভারত আমাদের পাশে না দাঁড়ালে কত বড় বিপর্যয়ের মুখেই না আমাদের পড়তে হতো এটা অনেকেই বুঝতে পারেনি। প্রায় এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে, খাদ্য দিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে, অস্ত্র দিয়েছে। ভারতীয় সৈন্যরাও অনেকে জীবন দিয়েছেন। যদি বলা হয়, তারা তাদের স্বার্থেই সব করেছে তাহলে বিষয়টির অতিসরলীকরণ করা হয়। এ ধরনের কথা পাকিস্তানিরা বলে থাকে। পাকিস্তান মনে করে, ভারতের উসকানিতেই বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতার পথে এগিয়েছে। কিন্তু প্রকৃত সত্য তা বলে না। বাংলাদেশের মানুষই নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নিয়েছে এবং একপর্যায়ে স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।

পাকিস্তানি শাসনামলে বাঙালিদের দাবিয়ে রাখার জন্য ভারতবিরোধিতা ছিল শাসকগোষ্ঠীর একটি বড় হাতিয়ার। ভারতের প্রতি এদেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে নানা ঐতিহাসিক কারণেই কিছুটা দ্বিধা-সংশয় ছিল। বিশেষ করে ‘দ্বিজাতিতত্ত্ব’ যাদের আচ্ছন্ন করে রেখেছিল। সে অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের ওপর অতিনির্ভরতা স্বভাবতই কেউ কেউ ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারেনি। স্বাধীনতা লাভের পর বাংলাদেশের মাটিতে পাকিস্তানি ধারার রাজনীতির স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। বরং বাংলাদেশের রাজনীতিতেও ভারতবিরোধিতা নতুন মাত্রা লাভ করে। এটা পঁচাত্তর-পরবর্তী সময়ে হয়েছে তা নয়। আওয়ামী লীগের সঙ্গে মতভিন্নতার কারণে যারা জাসদ তৈরি করেছিলেন তারাও ভারতবিরোধী উগ্র বক্তব্য নিয়েই রাজনীতিতে যাত্রা শুরু করেছিলেন। অন্যদিকে প্রবীণ নেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীও ‘যা কিছু হারায় গিন্নি বলেন কেষ্টা বেটাই চোর’-এর মতো বাংলাদেশে যা কিছু খারাপ তার জন্য ভারতকে দায়ী করে প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর যারা ক্ষমতাসীন হয়েছেন, বিশেষত জিয়াউর রহমান ভারতবিরোধিতার ধারাই এগিয়ে নিয়েছেন।

একাত্তর সালে আওয়ামী লীগ এবং বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব সম্পর্কে মানুষের মনে কোনো সন্দেহ ছিল না। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা নিয়ে কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। ওই সময় এ কথা কেউই বলেনি যে, শেখ মুজিব গ্রেফতার বরণ করলেন কেন? জাতিকে অসহায় অবস্থায় রেখে তিনি আত্মসমর্পণ করেছেন, এমন ধৃষ্টতাপূর্ণ মন্তব্য করার দুঃসাহস কেউ তখন দেখায়নি। এসব প্রশ্ন স্বাধীনতার পর, বিশেষ করে বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে হত্যা করার পর, উদ্দেশ্যমূলকভাবে ছড়ানো হয়েছে। একাত্তরে আমাদের শত্রুপক্ষ জানত যে তারা পরাজিত হবে। তাই তারা একটা টার্গেট ঠিক করে নিয়েছিল। একটা সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছিল। পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে তারা পরিকল্পিতভাবে তখন থেকেই অগ্রসর হয়েছে। অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তির কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছিল না। পরাজিত শক্তি যে আবার মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে সেটা সম্ভবত একেবারেই বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। যারা মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের কাছেও এটা স্পষ্ট ছিল না যে, দেশটা স্বাধীন হলে কী হবে বা কী করতে হবে। তারাও সম্ভবত উপলব্ধি করতে পারেননি যে, তাদের ওপর কী গুরুদায়িত্ব অর্পিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধটা যে শুধু শাসক বদলের ব্যাপার ছিল না, ছিল নীতি ও আদর্শের মৌলিক পরিবর্তনের পথযাত্রা, এটাও নতুন শাসক দলের বিবেচনায় ছিল না। একটা জাতি নিরস্ত্র থাকা এবং সেই জাতির সশস্ত্র হওয়া এবং যুদ্ধ শেষে অস্ত্র ফিরিয়ে দেওয়া— এসবের মধ্যে যে তফাত্ সেটাও আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব উপলব্ধি করতে পারেননি বা বুঝতে পারেননি। মূলত নেতৃত্বের দূরদর্শিতার অভাবে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।

বামদের একটা অংশ এবং মুসলিম লীগ ও জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে বিরোধিতা করেছে। আবার যারা পক্ষে ছিল তাদেরও স্বাধীনতার পর এক রাখা যায়নি। এর নানা কারণও ছিল। অংশগ্রহণকারী সবার লক্ষ্য, স্বার্থ ও উদ্দেশ্য এক ছিল না। চাওয়ার-পাওয়ার হিসাবও ছিল ভিন্ন। তবে রাজনৈতিক নেতৃত্ব দূরদর্শী হলে এক্ষেত্রে একটি সমন্বয় ঘটানো অসম্ভব হতো না। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে এক রাখা এবং সংহত করার কোনো রাজনৈতিক উদ্যোগ ছিল না। উল্টো আওয়ামী লীগ বিভক্ত হয়ে জাসদ তৈরি হলো। অন্যদিকে যারা মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষ বিরোধিতা করেছে, তাদের কোনো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়নি। দালালদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছে। যারা খুন, নারী ধর্ষণ, লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগের মতো মারাত্মক অপরাধ সংঘটিত করেছিল তাদের সাধারণ ক্ষমার বাইরে রাখা হলেও কারও বিচার করা হয়নি। যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত ১৯৫ জন পাকিস্তানি সৈন্যকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছিল। ধরে নেওয়া হয়েছিল যে, যুদ্ধ করে আমরা জয়ী হয়েছি। আমাদের আর কোনো বিপদ নেই। কিন্তু একটা যুদ্ধের পর অর্জিত বিজয়কে সংহত করার কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তখন মানুষের মনের মধ্যে যে পরিবর্তন ঘটেছিল, তাকে স্থায়ী রূপ দেওয়ার মতো কোনো পরিকল্পনাই তখন করা হয়নি।

আমরা প্রায়ই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বা অসাম্প্রদায়িক চেতনার কথা যদি বলি। অথচ এগুলো যে রাতারাতি অর্জন করা সম্ভব নয়— সে সম্পর্কে আমরা কতটুকু সচেতন? পাকিস্তানি রাষ্ট্র কাঠামোর মধ্যে আমরা চব্বিশ বছর সাম্প্রদায়িক আবহ ও প্রচারণার মধ্যে ছিলাম। সেই সাম্প্রদায়িক অবস্থা থেকে মানুষ মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে রাতারাতি অসাম্প্রদায়িক হয়ে গেছে— এমনটা ভাবা ঠিক হয়নি। তখন একটি পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। এ সম্ভাবনাকে স্থায়ী ভিত্তি দেওয়ার জন্য কোনো ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। পাকিস্তানি বাহিনী হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে বাঙালিদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। কিন্তু হত্যাযজ্ঞ, লুটপাট ও ধর্ষণের শিকার হয়েছে হিন্দুরাই বেশি। ভারতে আশ্রিত এক কোটি শরণার্থীর মধ্যে নব্বই লাখই ছিল হিন্দু। দ্বিজাতিতত্ত্বকে বাতিল করে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয়, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সর্বাত্মক সমর্থন ও সহযোগিতা ইত্যাদি কারণে শরণার্থী শিবির থেকে প্রত্যাগত হিন্দুদের কেউ কেউ হয়তো আচার-আচরণে এমন ভাব দেখিয়েছিলেন যেটা দেশের ভিতরে অবস্থানকারী মুসলমানদের আহত করেছে। ওই সময় হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে যে মানসিক দূরত্ব তৈরি হচ্ছিল সেটা রাজনৈতিক নেতৃত্বের গোচরে আসেনি। স্বাধীনতা লাভের পর বাংলাদেশের সংবিধানের মূল ভিত্তি হিসেবে গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, ধর্ম নিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র গ্রহণ করেই আমরা ধরে নিয়েছিলাম যে, পাকিস্তানি ধ্যান-ধারণা ও আদর্শ থেকে আমরা মুক্ত হয়েছি। এ বিষয়গুলো মানুষ আত্মস্থ করছে কিনা, প্রাত্যহিক জীবনাচরণে মানুষ ধর্মনিরপেক্ষতার চর্চা করছে কিনা সেটা আমরা তলিয়ে দেখিনি। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের সরকার এবং আওয়ামী লীগও সংবিধানের মূলনীতিগুলো ব্যবহারিক ক্ষেত্রে চর্চার তেমন উদ্যোগ নেয়নি। দলের নেতা-কর্মীরা সংবিধানের মূলনীতিগুলো মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য দৃঢ় কোনো পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি বাহাত্তর সালের শুরু থেকেই গ্রাম-গঞ্জে-শহরে মসজিদ-মাদ্রাসায় সংগঠিত হয়ে বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা শুরু করে দিয়েছিল। তাদের এ সংগঠিত প্রচারণার খবরও হয়তো মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ী শক্তির জানা ছিল না। মানুষের মধ্যে অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশের জন্য স্বাধীনতার পর যেসব উদ্যোগ গ্রহণের দরকার ছিল, বিশেষত সাংস্কৃতিক এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন আনা দরকার ছিল তার কোনোটাই তখন করা হয়নি। একদিকে ধর্মীয় শিক্ষার পৃষ্ঠপোষকতা করা হবে, অন্যদিকে বলা হবে আমরা অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকশিত করব— সেটা হয় না। নানা ক্ষেত্রেই অসঙ্গতিপূর্ণ আচরণ করা হয়েছে। এ অসঙ্গতিগুলোর পরিণতি হলো আজকের বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধের পর ধর্মনিরপেক্ষতাকে রাষ্ট্রীয় আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করা হলেও পঁচাত্তর-পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মের ব্যবহার প্রবল হতে থাকে। ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করার মধ্য দিয়ে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে যে, এখন আর কোনো রাজনৈতিক দলই ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে জোরালো অবস্থান নিতে চায় না। বিশেষ করে নির্বাচনের আগে ভোট পাওয়ার জন্য ধর্মকে যথেচ্ছ ব্যবহার করতে দ্বিধা করে না কেউই। ধর্ম ও রাজনীতির পৃথক অবস্থান এখন অনেকটাই যেন একাডেমিক আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ক্ষেত্রে শুধু আওয়ামী লীগকে দোষারোপ করে লাভ নেই। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব শক্তিরই এ ব্যাপারে ব্যর্থতা রয়েছে। শুধু আওয়ামী লীগের অনুদারতার সমালোচনা করে আত্মসুখ লাভের চেষ্টা কেউ কেউ করতে পারেন, তাতে পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হবে না।  যুদ্ধোত্তর দেশে এবং পঁচাত্তরের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বাম প্রগতিশীল শক্তির নিজ নিজ ভূমিকারও পুনর্মূল্যায়ন হওয়া প্রয়োজন। আত্মজিজ্ঞাসা ও আত্মসমালোচনার পরিবর্তে দোষারোপের পথে হেঁটে একাত্তরের চেতনার পুনর্জাগরণ ঘটানো সম্ভব হবে না।

     লেখক : সাংবাদিক।

এই বিভাগের আরও খবর
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
চেনা যায় সহজেই
চেনা যায় সহজেই
সর্বশেষ খবর
চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে
চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে

এই মাত্র | জাতীয়

‘পাল্টা শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দর-কষাকষি করব, তাদের চটাব না’
‘পাল্টা শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দর-কষাকষি করব, তাদের চটাব না’

১২ সেকেন্ড আগে | বাণিজ্য

বগুড়ায় হত্যা মামলায় দুজনের ফাঁসি
বগুড়ায় হত্যা মামলায় দুজনের ফাঁসি

৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান
নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান

৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘লিভিং ইন এ হেলদি স্পেস’ প্রতিযোগিতায় প্রথম ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ
‘লিভিং ইন এ হেলদি স্পেস’ প্রতিযোগিতায় প্রথম ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ

৯ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

অভিনেতা সিদ্দিক ৭ দিনের রিমান্ডে
অভিনেতা সিদ্দিক ৭ দিনের রিমান্ডে

১০ মিনিট আগে | জাতীয়

মানিকগঞ্জে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
মানিকগঞ্জে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড

১০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বিমান বাহিনীর অনুশীলন পর্যবেক্ষণ প্রধান উপদেষ্টার
বিমান বাহিনীর অনুশীলন পর্যবেক্ষণ প্রধান উপদেষ্টার

১০ মিনিট আগে | জাতীয়

অভিবাসন সাংবাদিকতার উন্নয়নে ‘মার্সেই সনদ’ সই
অভিবাসন সাংবাদিকতার উন্নয়নে ‘মার্সেই সনদ’ সই

১১ মিনিট আগে | পরবাস

ঢাবির বাসে হামলার ঘটনায় ৫ জন গ্রেফতার
ঢাবির বাসে হামলার ঘটনায় ৫ জন গ্রেফতার

১৭ মিনিট আগে | জাতীয়

নরসিংদী কারাগারে সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু
নরসিংদী কারাগারে সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু

২৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ইটভাটার কালো ধোয়ায় কৃষকের স্বপ্ন পুড়ে ছাঁই
ইটভাটার কালো ধোয়ায় কৃষকের স্বপ্ন পুড়ে ছাঁই

৩২ মিনিট আগে | নগর জীবন

লক্ষ্মীপুরে দখল-দূষণে বিপন্ন খাল ও নদী উদ্ধারে অভিযান
লক্ষ্মীপুরে দখল-দূষণে বিপন্ন খাল ও নদী উদ্ধারে অভিযান

৩৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

অভাবগ্রস্ত শিখা দাশের পাশে দাঁড়াল বসুন্ধরা শুভসংঘ
অভাবগ্রস্ত শিখা দাশের পাশে দাঁড়াল বসুন্ধরা শুভসংঘ

৪৩ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

‘শ্রমিক-মালিকের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে শ্রম আইন সংশোধন করা হচ্ছে’
‘শ্রমিক-মালিকের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে শ্রম আইন সংশোধন করা হচ্ছে’

৫৪ মিনিট আগে | জাতীয়

৫০ বছরের মধ্যে কঠিন সময়ে মার্কিন শেয়ারবাজার
৫০ বছরের মধ্যে কঠিন সময়ে মার্কিন শেয়ারবাজার

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজবাড়ীতে যুবকের মরদেহ উদ্ধার
রাজবাড়ীতে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আতিকুল-মামুনসহ ৫ জন নতুন মামলায় গ্রেপ্তার
আতিকুল-মামুনসহ ৫ জন নতুন মামলায় গ্রেপ্তার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মারীখালি নদীতে ভাসছিল অজ্ঞাত নারীর মরদেহ
মারীখালি নদীতে ভাসছিল অজ্ঞাত নারীর মরদেহ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নাটোরে পিকআপের চাপায় বৃদ্ধ নিহত
নাটোরে পিকআপের চাপায় বৃদ্ধ নিহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বরগুনায় স্বাস্থ্য জনবল বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
বরগুনায় স্বাস্থ্য জনবল বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টুঙ্গিপাড়ায় তিন দিনব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলা উদ্বোধন
টুঙ্গিপাড়ায় তিন দিনব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলা উদ্বোধন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুমারখালীতে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
কুমারখালীতে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নখের সাজে নকশা
নখের সাজে নকশা

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক হলেন আনসার উদ্দিন খান পাঠান
তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক হলেন আনসার উদ্দিন খান পাঠান

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভ্যাঙ্কুভারে বাঙালির মিলনমেলা, সংগীতে মাতোয়ারা প্রবাসীরা
ভ্যাঙ্কুভারে বাঙালির মিলনমেলা, সংগীতে মাতোয়ারা প্রবাসীরা

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

যে কোনও আগ্রাসনের জবাব দিতে প্রস্তুত ইসলামাবাদ
যে কোনও আগ্রাসনের জবাব দিতে প্রস্তুত ইসলামাবাদ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমাতে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে : বাণিজ্য উপদেষ্টা
অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমাতে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে : বাণিজ্য উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

মাদকাসক্ত ছেলেকে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ বাবার
মাদকাসক্ত ছেলেকে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ বাবার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিসিবি নির্বাচনে লড়ার ঘোষণা দিলেন ফারুক আহমেদ
বিসিবি নির্বাচনে লড়ার ঘোষণা দিলেন ফারুক আহমেদ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
কাশ্মীর ইস্যু: প্রতিশোধ নিতে সামরিক হামলার ‘সবুজ সংকেত’ দিলেন মোদি
কাশ্মীর ইস্যু: প্রতিশোধ নিতে সামরিক হামলার ‘সবুজ সংকেত’ দিলেন মোদি

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ
অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

অপকর্ম বন্ধ করুন, না হলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা হবে: মির্জা ফখরুল
অপকর্ম বন্ধ করুন, না হলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা হবে: মির্জা ফখরুল

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি, আবারও আমেরিকা থেকে এলএনজি আমদানি বন্ধ করল চীন
ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি, আবারও আমেরিকা থেকে এলএনজি আমদানি বন্ধ করল চীন

২৩ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

পাকিস্তানে অস্ত্র পাঠানো নিয়ে ভারতের দাবি অস্বীকার করল তুরস্ক
পাকিস্তানে অস্ত্র পাঠানো নিয়ে ভারতের দাবি অস্বীকার করল তুরস্ক

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট
এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?
‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ঢাকার প্রধান সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে পারবে না’
‘ঢাকার প্রধান সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে পারবে না’

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’
‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে গুজরাটে আটকদের অধিকাংশই ভারতীয় মুসলিম
‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে গুজরাটে আটকদের অধিকাংশই ভারতীয় মুসলিম

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খোঁজ নেই টাঙ্গাইলের সেই নাজিরের, চিন্তায়-অস্থিরতায় দিন কাটছে পরিবারের
খোঁজ নেই টাঙ্গাইলের সেই নাজিরের, চিন্তায়-অস্থিরতায় দিন কাটছে পরিবারের

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?
চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা
সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা
উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চিয়া বীজ নিয়ে মার্কিন চিকিৎসকের সতর্কতা
চিয়া বীজ নিয়ে মার্কিন চিকিৎসকের সতর্কতা

২০ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার
আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে পাঠ্যবই থেকে বাদ মোগল-সুলতানি ইতিহাস
ভারতে পাঠ্যবই থেকে বাদ মোগল-সুলতানি ইতিহাস

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মোদির বাসভবনে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক
মোদির বাসভবনে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশ এখন আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল নয়: অর্থ উপদেষ্টা
বাংলাদেশ এখন আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল নয়: অর্থ উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

‘বেগম খালেদা জিয়াকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ফেরাতে কাজ করছে সরকার’
‘বেগম খালেদা জিয়াকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ফেরাতে কাজ করছে সরকার’

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব
‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ
শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস
ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’
‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই
ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প
পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’
‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল
বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার
গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো
বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত
আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত

প্রথম পৃষ্ঠা

আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি
আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি

প্রথম পৃষ্ঠা

পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড
পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড

নগর জীবন

বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না
বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু
মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু

পেছনের পৃষ্ঠা

চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে
চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে

পেছনের পৃষ্ঠা

পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান
পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান

প্রথম পৃষ্ঠা

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ
অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ

পেছনের পৃষ্ঠা

সাবিলা নূরের লুকোচুরি...
সাবিলা নূরের লুকোচুরি...

শোবিজ

বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না
বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না

পেছনের পৃষ্ঠা

অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা
অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক
গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক

দেশগ্রাম

ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই
ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই

পেছনের পৃষ্ঠা

শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা
শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা

শোবিজ

আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি
আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কে কারিনা
বিতর্কে কারিনা

শোবিজ

মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা
মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা

মাঠে ময়দানে

শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা
শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা

সম্পাদকীয়

শ্রমিকেরাও মানুষ
শ্রমিকেরাও মানুষ

সম্পাদকীয়

গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প
গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প

পেছনের পৃষ্ঠা

১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার
১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার

মাঠে ময়দানে

নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে
নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে

শোবিজ

কী চায় নতুন দলগুলো
কী চায় নতুন দলগুলো

প্রথম পৃষ্ঠা

নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা
নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা

মাঠে ময়দানে

মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে
মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

চম্পা কেন দূরে
চম্পা কেন দূরে

শোবিজ

চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ
চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে