শিরোনাম
প্রকাশ: ১১:১৪, রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৫

স্বাধীনতা-পরবর্তী রাজনীতি

বিভুরঞ্জন সরকার
অনলাইন ভার্সন
স্বাধীনতা-পরবর্তী রাজনীতি

একাত্তরে দেশের মানুষের মধ্যে যে ঐক্য এবং সাহস দেখা গিয়েছিল তা আগে বা পরে আর কখনো দেখা যায়নি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামেই ‘সাড়ে সাত কোটি’ বাঙালি তখন ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, লড়াই করেছিল, জীবনবাজি রেখেছিল। সত্যি তখন ছিল ‘এক নেতা, এক দেশ’। তখন অন্য রাজনৈতিক দলগুলো মানুষকে তেমন প্রভাবিত করতে পারেনি।  বঙ্গবন্ধুর জীবন সংগ্রামই তাকে অন্য সবার থেকে আলাদা করেছে। সত্তরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর তুলনায় ত্যাগী ও যোগ্য প্রার্থীদেরও মানুষ ভোট দেয়নি সম্ভবত একটি রাজনৈতিক বিবেচনা থেকেই যে, শেখ মুজিবকে ভোট না দিলে বাঙালি তার অধিকার পাবে না। মানুষের এই আস্থা একদিনে তৈরি হয়নি। এখন এই যে, কার ডাকে মানুষ মুক্তিযুদ্ধে গেল বা কে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক— এ নিয়ে যে বিতর্ক হয়, এটা একেবারেই অর্থহীন। একাত্তরে এ কথা কেউ বলেনি, এ প্রশ্ন কেউ তোলেনি। বঙ্গবন্ধুর সেই কালজয়ী আহ্বান ‘আমি যদি হুকুম দেওয়ার নাও পারি, তোমাদের যার যা আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করবা’— এটাই ছিল তখন সবার কাছে বড় দিকনির্দেশনা। সে জন্য মানুষ দ্বিধাহীন চিত্তে তখন শেখ মুজিবকেই তাদের নেতা মেনে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। তখন বরং যারা মুজিবের বিরোধিতা করেছে সাধারণ মানুষ তাদের অপছন্দ করেছে।

মানুষের মধ্যে একাত্তরে যে শক্তি ও সাহস দেখা গেছে তার কোনো তুলনা হয় না। তখন দেখেছি কি দুঃসাহস নিয়ে মানুষ পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছে। অত্যাচার-নির্যাতন কোনো কিছুকেই তারা পরোয়া করেনি। আমার এক বন্ধুকে পাকিস্তানিরা ধরে নিয়ে গিয়ে অমানুষিক নির্যাতন-অত্যাচার করেছে। সে মুক্তিযোদ্ধা ছিল না। ভারতেও যায়নি। নিজ এলাকাতেই ছিল, তবে মুক্তিযোদ্ধাদের সে সহায়তা করত। পাকিস্তানি আর্মি এ কারণে তাকে ধরে নিয়ে যায়। অকথ্য নির্যাতন করেও তার মুখ থেকে মুক্তিবাহিনীর অবস্থান সম্পর্কে কোনো তথ্য বের করতে পারেনি। এ রকম আরও অনেকের কথা ইতিহাসে ঠাঁই পায়নি, পাবে না, তারা হয়তো মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেও কোনো দিন স্বীকৃতি পাবে না। সাধারণ মানুষের আত্মত্যাগ এবং ভূমিকা ইতিহাসে সঠিকভাবে স্থান পেলে আজকের প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে পারত। দেশের বিভিন্ন স্থানে এমন অনেকেই অবরুদ্ধ অবস্থায় থেকেই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করেছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দেওয়া, খাবার দেওয়া থেকে শুরু করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ তারা করেছেন। কেউ কেউ পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরাও পড়েছেন। সাধারণ মানুষের মনে এমন দৃঢ়তা কীভাবে সৃষ্টি হয়েছিল, মৃত্যুভয়কে উপেক্ষা করার এমন সাহস মানুষ কোথা থেকে পেয়েছিল সে বিষয়টি কী আমরা কখনো ভেবে দেখেছি?

সাধারণ মানুষের বীরত্বগাথাকে সামনে না এনে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধটাকে কেউ কেউ সামরিক শক্তির জয়-পরাজয় বলে উল্লেখ করে থাকেন। প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযুদ্ধ তো শুধু সেনাবাহিনী বা ইপিআরের কিছু সংখ্যক সদস্যের সঙ্গে পাকিস্তান বাহিনীর যুদ্ধ ছিল না। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ছিল প্রকৃতপক্ষে সাধারণ মানুষের যুদ্ধ, জনযুদ্ধ। সাধারণ মানুষের সমর্থন এবং সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া এই যুদ্ধে এত সহজে জয়লাভ সম্ভব ছিল না। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধটাকে সামরিক যুদ্ধ হিসেবে দেখার ফলে সাধারণ মানুষের আত্মত্যাগ, তাদের ভূমিকা, সক্রিয় অংশগ্রহণ সব আড়াল হয়ে যাওয়ার ফলটা ভালো হয়নি। মানুষ দেখল যে, তার ভূমিকাটা ছিনতাই হয়ে গেছে। মানুষ যে আত্মত্যাগ করেছে, যে ভূমিকা রেখেছে তা ইতিহাসে স্থান পাচ্ছে না। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে পরবর্তী সময়ে মানুষের উত্সাহে ভাটা পড়ার এটা কি একটি বড় কারণ যে, মানুষ মনে করেছে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় সে নানাভাবে নিগৃহীত ও নির্যাতিত হয়েছে, ভিটেমাটি ছাড়া হয়েছে, নিকটজনকে হারিয়েছে, লুটপাটের কারণে সম্পদ হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে— এর কোনো মূল্যায়ন হচ্ছে না। এই মানুষের কথা সেভাবে কেউ বলছে না। শুধু অস্ত্র হাতে নিয়ে যারা যুদ্ধ করেছেন, তারা প্রশংসিত হচ্ছেন।

আমরা সবাই জানি যে, মুক্তিযুদ্ধে আমাদের শত্রু-মিত্র ছিল। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রেই। অথচ যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে আমরা শত্রু-মিত্রকে আলাদাভাবে বিচার করার চেষ্টা করিনি। শত্রুর বিরুদ্ধে এবং মিত্রের পক্ষে আমাদের যেভাবে অবস্থান নেওয়া প্রয়োজন, সেটা আমরা নেইনি। ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ। মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান অসামান্য। সে সময় ভারত আমাদের পাশে না দাঁড়ালে কত বড় বিপর্যয়ের মুখেই না আমাদের পড়তে হতো এটা অনেকেই বুঝতে পারেনি। প্রায় এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে, খাদ্য দিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে, অস্ত্র দিয়েছে। ভারতীয় সৈন্যরাও অনেকে জীবন দিয়েছেন। যদি বলা হয়, তারা তাদের স্বার্থেই সব করেছে তাহলে বিষয়টির অতিসরলীকরণ করা হয়। এ ধরনের কথা পাকিস্তানিরা বলে থাকে। পাকিস্তান মনে করে, ভারতের উসকানিতেই বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতার পথে এগিয়েছে। কিন্তু প্রকৃত সত্য তা বলে না। বাংলাদেশের মানুষই নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নিয়েছে এবং একপর্যায়ে স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।

পাকিস্তানি শাসনামলে বাঙালিদের দাবিয়ে রাখার জন্য ভারতবিরোধিতা ছিল শাসকগোষ্ঠীর একটি বড় হাতিয়ার। ভারতের প্রতি এদেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে নানা ঐতিহাসিক কারণেই কিছুটা দ্বিধা-সংশয় ছিল। বিশেষ করে ‘দ্বিজাতিতত্ত্ব’ যাদের আচ্ছন্ন করে রেখেছিল। সে অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের ওপর অতিনির্ভরতা স্বভাবতই কেউ কেউ ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারেনি। স্বাধীনতা লাভের পর বাংলাদেশের মাটিতে পাকিস্তানি ধারার রাজনীতির স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। বরং বাংলাদেশের রাজনীতিতেও ভারতবিরোধিতা নতুন মাত্রা লাভ করে। এটা পঁচাত্তর-পরবর্তী সময়ে হয়েছে তা নয়। আওয়ামী লীগের সঙ্গে মতভিন্নতার কারণে যারা জাসদ তৈরি করেছিলেন তারাও ভারতবিরোধী উগ্র বক্তব্য নিয়েই রাজনীতিতে যাত্রা শুরু করেছিলেন। অন্যদিকে প্রবীণ নেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীও ‘যা কিছু হারায় গিন্নি বলেন কেষ্টা বেটাই চোর’-এর মতো বাংলাদেশে যা কিছু খারাপ তার জন্য ভারতকে দায়ী করে প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর যারা ক্ষমতাসীন হয়েছেন, বিশেষত জিয়াউর রহমান ভারতবিরোধিতার ধারাই এগিয়ে নিয়েছেন।

একাত্তর সালে আওয়ামী লীগ এবং বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব সম্পর্কে মানুষের মনে কোনো সন্দেহ ছিল না। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা নিয়ে কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। ওই সময় এ কথা কেউই বলেনি যে, শেখ মুজিব গ্রেফতার বরণ করলেন কেন? জাতিকে অসহায় অবস্থায় রেখে তিনি আত্মসমর্পণ করেছেন, এমন ধৃষ্টতাপূর্ণ মন্তব্য করার দুঃসাহস কেউ তখন দেখায়নি। এসব প্রশ্ন স্বাধীনতার পর, বিশেষ করে বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে হত্যা করার পর, উদ্দেশ্যমূলকভাবে ছড়ানো হয়েছে। একাত্তরে আমাদের শত্রুপক্ষ জানত যে তারা পরাজিত হবে। তাই তারা একটা টার্গেট ঠিক করে নিয়েছিল। একটা সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছিল। পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে তারা পরিকল্পিতভাবে তখন থেকেই অগ্রসর হয়েছে। অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তির কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছিল না। পরাজিত শক্তি যে আবার মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে সেটা সম্ভবত একেবারেই বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। যারা মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের কাছেও এটা স্পষ্ট ছিল না যে, দেশটা স্বাধীন হলে কী হবে বা কী করতে হবে। তারাও সম্ভবত উপলব্ধি করতে পারেননি যে, তাদের ওপর কী গুরুদায়িত্ব অর্পিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধটা যে শুধু শাসক বদলের ব্যাপার ছিল না, ছিল নীতি ও আদর্শের মৌলিক পরিবর্তনের পথযাত্রা, এটাও নতুন শাসক দলের বিবেচনায় ছিল না। একটা জাতি নিরস্ত্র থাকা এবং সেই জাতির সশস্ত্র হওয়া এবং যুদ্ধ শেষে অস্ত্র ফিরিয়ে দেওয়া— এসবের মধ্যে যে তফাত্ সেটাও আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব উপলব্ধি করতে পারেননি বা বুঝতে পারেননি। মূলত নেতৃত্বের দূরদর্শিতার অভাবে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।

বামদের একটা অংশ এবং মুসলিম লীগ ও জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে বিরোধিতা করেছে। আবার যারা পক্ষে ছিল তাদেরও স্বাধীনতার পর এক রাখা যায়নি। এর নানা কারণও ছিল। অংশগ্রহণকারী সবার লক্ষ্য, স্বার্থ ও উদ্দেশ্য এক ছিল না। চাওয়ার-পাওয়ার হিসাবও ছিল ভিন্ন। তবে রাজনৈতিক নেতৃত্ব দূরদর্শী হলে এক্ষেত্রে একটি সমন্বয় ঘটানো অসম্ভব হতো না। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে এক রাখা এবং সংহত করার কোনো রাজনৈতিক উদ্যোগ ছিল না। উল্টো আওয়ামী লীগ বিভক্ত হয়ে জাসদ তৈরি হলো। অন্যদিকে যারা মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষ বিরোধিতা করেছে, তাদের কোনো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়নি। দালালদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছে। যারা খুন, নারী ধর্ষণ, লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগের মতো মারাত্মক অপরাধ সংঘটিত করেছিল তাদের সাধারণ ক্ষমার বাইরে রাখা হলেও কারও বিচার করা হয়নি। যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত ১৯৫ জন পাকিস্তানি সৈন্যকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছিল। ধরে নেওয়া হয়েছিল যে, যুদ্ধ করে আমরা জয়ী হয়েছি। আমাদের আর কোনো বিপদ নেই। কিন্তু একটা যুদ্ধের পর অর্জিত বিজয়কে সংহত করার কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তখন মানুষের মনের মধ্যে যে পরিবর্তন ঘটেছিল, তাকে স্থায়ী রূপ দেওয়ার মতো কোনো পরিকল্পনাই তখন করা হয়নি।

আমরা প্রায়ই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বা অসাম্প্রদায়িক চেতনার কথা যদি বলি। অথচ এগুলো যে রাতারাতি অর্জন করা সম্ভব নয়— সে সম্পর্কে আমরা কতটুকু সচেতন? পাকিস্তানি রাষ্ট্র কাঠামোর মধ্যে আমরা চব্বিশ বছর সাম্প্রদায়িক আবহ ও প্রচারণার মধ্যে ছিলাম। সেই সাম্প্রদায়িক অবস্থা থেকে মানুষ মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে রাতারাতি অসাম্প্রদায়িক হয়ে গেছে— এমনটা ভাবা ঠিক হয়নি। তখন একটি পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। এ সম্ভাবনাকে স্থায়ী ভিত্তি দেওয়ার জন্য কোনো ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। পাকিস্তানি বাহিনী হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে বাঙালিদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। কিন্তু হত্যাযজ্ঞ, লুটপাট ও ধর্ষণের শিকার হয়েছে হিন্দুরাই বেশি। ভারতে আশ্রিত এক কোটি শরণার্থীর মধ্যে নব্বই লাখই ছিল হিন্দু। দ্বিজাতিতত্ত্বকে বাতিল করে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয়, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সর্বাত্মক সমর্থন ও সহযোগিতা ইত্যাদি কারণে শরণার্থী শিবির থেকে প্রত্যাগত হিন্দুদের কেউ কেউ হয়তো আচার-আচরণে এমন ভাব দেখিয়েছিলেন যেটা দেশের ভিতরে অবস্থানকারী মুসলমানদের আহত করেছে। ওই সময় হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে যে মানসিক দূরত্ব তৈরি হচ্ছিল সেটা রাজনৈতিক নেতৃত্বের গোচরে আসেনি। স্বাধীনতা লাভের পর বাংলাদেশের সংবিধানের মূল ভিত্তি হিসেবে গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, ধর্ম নিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র গ্রহণ করেই আমরা ধরে নিয়েছিলাম যে, পাকিস্তানি ধ্যান-ধারণা ও আদর্শ থেকে আমরা মুক্ত হয়েছি। এ বিষয়গুলো মানুষ আত্মস্থ করছে কিনা, প্রাত্যহিক জীবনাচরণে মানুষ ধর্মনিরপেক্ষতার চর্চা করছে কিনা সেটা আমরা তলিয়ে দেখিনি। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের সরকার এবং আওয়ামী লীগও সংবিধানের মূলনীতিগুলো ব্যবহারিক ক্ষেত্রে চর্চার তেমন উদ্যোগ নেয়নি। দলের নেতা-কর্মীরা সংবিধানের মূলনীতিগুলো মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য দৃঢ় কোনো পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি বাহাত্তর সালের শুরু থেকেই গ্রাম-গঞ্জে-শহরে মসজিদ-মাদ্রাসায় সংগঠিত হয়ে বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা শুরু করে দিয়েছিল। তাদের এ সংগঠিত প্রচারণার খবরও হয়তো মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ী শক্তির জানা ছিল না। মানুষের মধ্যে অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশের জন্য স্বাধীনতার পর যেসব উদ্যোগ গ্রহণের দরকার ছিল, বিশেষত সাংস্কৃতিক এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন আনা দরকার ছিল তার কোনোটাই তখন করা হয়নি। একদিকে ধর্মীয় শিক্ষার পৃষ্ঠপোষকতা করা হবে, অন্যদিকে বলা হবে আমরা অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকশিত করব— সেটা হয় না। নানা ক্ষেত্রেই অসঙ্গতিপূর্ণ আচরণ করা হয়েছে। এ অসঙ্গতিগুলোর পরিণতি হলো আজকের বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধের পর ধর্মনিরপেক্ষতাকে রাষ্ট্রীয় আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করা হলেও পঁচাত্তর-পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মের ব্যবহার প্রবল হতে থাকে। ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করার মধ্য দিয়ে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে যে, এখন আর কোনো রাজনৈতিক দলই ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে জোরালো অবস্থান নিতে চায় না। বিশেষ করে নির্বাচনের আগে ভোট পাওয়ার জন্য ধর্মকে যথেচ্ছ ব্যবহার করতে দ্বিধা করে না কেউই। ধর্ম ও রাজনীতির পৃথক অবস্থান এখন অনেকটাই যেন একাডেমিক আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ক্ষেত্রে শুধু আওয়ামী লীগকে দোষারোপ করে লাভ নেই। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব শক্তিরই এ ব্যাপারে ব্যর্থতা রয়েছে। শুধু আওয়ামী লীগের অনুদারতার সমালোচনা করে আত্মসুখ লাভের চেষ্টা কেউ কেউ করতে পারেন, তাতে পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হবে না।  যুদ্ধোত্তর দেশে এবং পঁচাত্তরের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বাম প্রগতিশীল শক্তির নিজ নিজ ভূমিকারও পুনর্মূল্যায়ন হওয়া প্রয়োজন। আত্মজিজ্ঞাসা ও আত্মসমালোচনার পরিবর্তে দোষারোপের পথে হেঁটে একাত্তরের চেতনার পুনর্জাগরণ ঘটানো সম্ভব হবে না।

     লেখক : সাংবাদিক।

এই বিভাগের আরও খবর
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
ব্যবসা-বিনিয়োগে কেন গতি ফেরানো জরুরি?
ব্যবসা-বিনিয়োগে কেন গতি ফেরানো জরুরি?
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
সর্বশেষ খবর
সাংবাদিকদের সর্বদা সত্যের পক্ষে কথা বলতে হবে: ডা. জাহিদ
সাংবাদিকদের সর্বদা সত্যের পক্ষে কথা বলতে হবে: ডা. জাহিদ

এই মাত্র | রাজনীতি

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু

৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বোচাগঞ্জের ওসিকে অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন
বোচাগঞ্জের ওসিকে অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন

৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চিন্ময়কে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ
চিন্ময়কে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

৯ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১
মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১

১২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

উপদেষ্টার নির্দেশে বনবিভাগের অভিযান, উদ্ধার হলো সেই বানরছানা
উপদেষ্টার নির্দেশে বনবিভাগের অভিযান, উদ্ধার হলো সেই বানরছানা

১৫ মিনিট আগে | জাতীয়

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা

১৫ মিনিট আগে | জাতীয়

শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ
শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ

১৭ মিনিট আগে | জাতীয়

নওগাঁয় আমের দাম কম, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন কৃষকরা
নওগাঁয় আমের দাম কম, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন কৃষকরা

২৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’
‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’

৩৩ মিনিট আগে | রাজনীতি

ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান
ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান

৩৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বরিশালে দুর্ঘটনায় মুদি দোকানির মৃত্যু
বরিশালে দুর্ঘটনায় মুদি দোকানির মৃত্যু

৩৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সরকার ৫ দেশে নতুন মিশন খুলছে
সরকার ৫ দেশে নতুন মিশন খুলছে

৩৯ মিনিট আগে | জাতীয়

পোশাক শিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ : বিজিএমইএ সভাপতি
পোশাক শিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ : বিজিএমইএ সভাপতি

৪২ মিনিট আগে | অর্থনীতি

বগুড়ায় পিস্তল ও গুলিসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
বগুড়ায় পিস্তল ও গুলিসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

৪৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার

৫২ মিনিট আগে | জাতীয়

কলাপাড়ায় শিয়াল শিকারের অপরাধে জরিমানা
কলাপাড়ায় শিয়াল শিকারের অপরাধে জরিমানা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গণপিটুনিতে যুবকের মৃত্যু
গণপিটুনিতে যুবকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির সমন্বয় কমিটি ঘোষণা
বগুড়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির সমন্বয় কমিটি ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশিদের বিদেশে নিয়োগ সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি গঠন
বাংলাদেশিদের বিদেশে নিয়োগ সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি গঠন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড
ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুকুরে ডুবে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
পুকুরে ডুবে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সে খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন শুরু
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সে খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন শুরু

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এমপিওভুক্ত এক লাখ পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
এমপিওভুক্ত এক লাখ পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জামালপুরে কৃষক হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার দাবি
জামালপুরে কৃষক হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার দাবি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় গোল্ডকাপের উদ্বোধন
অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় গোল্ডকাপের উদ্বোধন

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা
চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে কিশোরের ডান পা বিচ্ছিন্ন
ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে কিশোরের ডান পা বিচ্ছিন্ন

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মোটরসাইকেল থেকে পড়ে নারীর মৃত্যু
মোটরসাইকেল থেকে পড়ে নারীর মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রথমবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় স্থানে দক্ষিণ আফ্রিকা
প্রথমবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় স্থানে দক্ষিণ আফ্রিকা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ভয়াবহতা দেখে যা বললেন নেতানিয়াহু
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ভয়াবহতা দেখে যা বললেন নেতানিয়াহু

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?
সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর
ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে যা বলেছে তুরস্ক, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইরাক
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে যা বলেছে তুরস্ক, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইরাক

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু
‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ভয়ে নেতানিয়াহুর ছেলের বিয়ে স্থগিত
ইরানের ভয়ে নেতানিয়াহুর ছেলের বিয়ে স্থগিত

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক

১২ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান
নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা
সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে যুক্ত হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রও, ট্রাম্পের ইঙ্গিত
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে যুক্ত হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রও, ট্রাম্পের ইঙ্গিত

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন
ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত
ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের বন্দরনগরী হাইফায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইসরায়েলের বন্দরনগরী হাইফায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু, ইসরায়েলে ফের সতর্কতা সাইরেন
ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু, ইসরায়েলে ফের সতর্কতা সাইরেন

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’
‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার
তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৮ ঘণ্টায় ভূপাতিত ৪৪টি ইসরায়েলি ড্রোন ও কোয়াডকপ্টার
৪৮ ঘণ্টায় ভূপাতিত ৪৪টি ইসরায়েলি ড্রোন ও কোয়াডকপ্টার

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা
ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা
নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বৃষ্টি ও তাপপ্রবাহ নিয়ে নতুন বার্তা
বৃষ্টি ও তাপপ্রবাহ নিয়ে নতুন বার্তা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা
দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা
ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল শিগগিরই চুক্তিতে আসছে— দাবি ট্রাম্পের
ইরান-ইসরায়েল শিগগিরই চুক্তিতে আসছে— দাবি ট্রাম্পের

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত
ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলি হামলায় ইরানে দুই দিনে নিহত ১২৮
ইসরায়েলি হামলায় ইরানে দুই দিনে নিহত ১২৮

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধোঁয়ায় ঢাকা তেল আবিব, ইসরায়েলে আরও ৫ নিহত
ধোঁয়ায় ঢাকা তেল আবিব, ইসরায়েলে আরও ৫ নিহত

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
তারেক ফিরছেন দেড় মাসের মধ্যে
তারেক ফিরছেন দেড় মাসের মধ্যে

প্রথম পৃষ্ঠা

ইসরায়েলে ধ্বংসস্তূপ
ইসরায়েলে ধ্বংসস্তূপ

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশে নতুন বিপর্যয়ের শঙ্কা
দেশে নতুন বিপর্যয়ের শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

আমের ‘ঢলন’ প্রথায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষি
আমের ‘ঢলন’ প্রথায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষি

নগর জীবন

হামজাদের দেখে ভারতীয় দলেও প্রবাসী ফুটবলার
হামজাদের দেখে ভারতীয় দলেও প্রবাসী ফুটবলার

মাঠে ময়দানে

কুশাসক-সুশাসক নির্ণয়ের দাঁড়িপাল্লা
কুশাসক-সুশাসক নির্ণয়ের দাঁড়িপাল্লা

সম্পাদকীয়

নাটক-সিনেমায় অনবদ্য তাসনিয়া ফারিণ
নাটক-সিনেমায় অনবদ্য তাসনিয়া ফারিণ

শোবিজ

সাত বছরে হলো কয়েকটি পিলার
সাত বছরে হলো কয়েকটি পিলার

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মাথায় হাত আলুচাষিদের
মাথায় হাত আলুচাষিদের

নগর জীবন

করোনা ঠেকাতে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার
করোনা ঠেকাতে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার

পেছনের পৃষ্ঠা

এক ঘরে দুই পীর থাকতে পারে না
এক ঘরে দুই পীর থাকতে পারে না

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রোটিয়া ক্রিকেটের মহানায়ক টেম্বা বাভুমা
প্রোটিয়া ক্রিকেটের মহানায়ক টেম্বা বাভুমা

মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ
যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ

পেছনের পৃষ্ঠা

পাঁচ ইসলামি ব্যাংক একীভূত হচ্ছে, চাকরি হারাবে না কেউ
পাঁচ ইসলামি ব্যাংক একীভূত হচ্ছে, চাকরি হারাবে না কেউ

প্রথম পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগ ভোটকে হাস্যরসে পরিণত করে
আওয়ামী লীগ ভোটকে হাস্যরসে পরিণত করে

প্রথম পৃষ্ঠা

এটিএম বুথে কিশোরী ধর্ষণ, পলাতক নিরাপত্তাকর্মী
এটিএম বুথে কিশোরী ধর্ষণ, পলাতক নিরাপত্তাকর্মী

পেছনের পৃষ্ঠা

অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন রোধে নতুন কৌশল
অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন রোধে নতুন কৌশল

পেছনের পৃষ্ঠা

এবার ব্যাংক থেকে ফেরার পথে ১০ লাখ টাকা ছিনতাই
এবার ব্যাংক থেকে ফেরার পথে ১০ লাখ টাকা ছিনতাই

প্রথম পৃষ্ঠা

সড়কে তবুও মেয়াদোত্তীর্ণ বাস
সড়কে তবুও মেয়াদোত্তীর্ণ বাস

পেছনের পৃষ্ঠা

ইতিহাস গড়লেন রুকসানা
ইতিহাস গড়লেন রুকসানা

মাঠে ময়দানে

হদিস মেলেনি কোটি টাকার, কেউ হয়নি গ্রেপ্তার
হদিস মেলেনি কোটি টাকার, কেউ হয়নি গ্রেপ্তার

প্রথম পৃষ্ঠা

গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু মারা গেছেন
গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু মারা গেছেন

নগর জীবন

শাহিনের বক্তব্যে তোলপাড় বাফুফে
শাহিনের বক্তব্যে তোলপাড় বাফুফে

মাঠে ময়দানে

বিএনপির কমিটি গঠন না হওয়ায় ক্ষোভ
বিএনপির কমিটি গঠন না হওয়ায় ক্ষোভ

প্রথম পৃষ্ঠা

আলোচনার পর ভোটের তারিখ সরকারের দিকে তাকিয়ে ইসি
আলোচনার পর ভোটের তারিখ সরকারের দিকে তাকিয়ে ইসি

প্রথম পৃষ্ঠা

আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ইশরাকের
আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ইশরাকের

প্রথম পৃষ্ঠা

সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নয়
সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

জাতীয় বাজেট ও কৃষি খাত
জাতীয় বাজেট ও কৃষি খাত

সম্পাদকীয়

সরকারি পরিত্যক্ত ভবনে চামড়ার আড়ত, দুর্গন্ধে ভোগান্তি
সরকারি পরিত্যক্ত ভবনে চামড়ার আড়ত, দুর্গন্ধে ভোগান্তি

নগর জীবন