শিরোনাম
প্রকাশ: ১১:১৬, রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৫

সর্বনাশা ভুলের ফাঁদে পা ফেললেন খালেদা জিয়া

কাজী সিরাজ
অনলাইন ভার্সন
সর্বনাশা ভুলের ফাঁদে পা ফেললেন খালেদা জিয়া

পৌরসভা নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে সরকারি দল আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ যে অভিযোগ করেছেন অনেকে তা নিয়ে হাসি-তামাশা করছেন। কেউ কেউ একে চলতি বছরের অন্যতম সেরা কৌতুক বলে অভিহিত করেছেন। জনাব হানিফের মূল কথা হলো, নির্বাচন কমিশন সরকারি দলের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ করছে।  তার ভাষায় ‘ইসি আওয়ামী লীগের প্রতি নির্দয়।’ গত ২৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাত্ শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘ইসি বিএনপির প্রতি সদয়, আওয়ামী লীগের প্রতি নির্দয় আচরণ করছে। বিএনপিকে বাড়তি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। আমরা নিরপেক্ষ আচরণ চাই। সেই দাবি জানাতে কমিশনে এসেছিলাম।’ ১০টি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার ব্যাপারেও ঘোর আপত্তি জানিয়েছে সরকারি দল। এ অভিযোগকে কৌতুক বলে অভিহিত করা হচ্ছে এবং এই কারণে যে, বিভিন্ন পৌরসভা অঞ্চল থেকে যেসব খবর পাওয়া যাচ্ছে তাতে ঘটনা সম্পূর্ণ বিপরীত বলেই প্রতিভাত হয়। বিএনপি নির্বিঘ্ন ভোটের গ্যারান্টি চেয়ে বিভিন্ন স্থানে তাদের দলীয় প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছে। ২৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দলের নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে দলের অন্যতম যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সরকারের আদরের দুলালের ভূমিকা পালন করছে। যার কারণে নির্বাচনী এলাকাগুলোতে রক্তঝরা সন্ত্রাস-সংঘাতের ক্রমবর্ধমান বিস্তার রোধ করতে পারছে না। বেপরোয়াভাবে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে এমপি-মন্ত্রীদের দৌরাত্ম্যে ভোট ডাকাতি আরও বেশি যশ-বৃদ্ধি হবে বলে জনমনে আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচন কমিশন কথা দিয়ে চিঁড়া ভেজাতে চাচ্ছে, কিন্তু চিঁড়া ভিজছে না। ওসি-ডিসিরা নির্বাচনী এলাকাগুলোতে নির্দেশনা মানছেন না। স্থানীয় প্রশাসন সরকারের স্নেহমাখা সন্ত্রাসীদের তাণ্ডব নিয়ন্ত্রণ করতে সাহস পাচ্ছে না। ধানের শীষের প্রার্থীর প্রচারের মাইক ভেঙে দেওয়া হচ্ছে, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে, পথসভার স্থানে চালানো হচ্ছে ককটেল বিস্ফোরণ ও হামলা।’ বিএনপিসহ অন্য প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনের একচোখা নীতির বিরুদ্ধে বলে আসছে শুরু থেকে। সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন, ফেমাসহ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা এবং নির্বাচন পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠানও পৌরসভা নির্বাচন নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে কিনা প্রশ্ন তুলে রেখেছে। তারা স্পষ্ট করেই বলেছে, সরকারি দলের প্রভাবশালীরা, বিশেষ করে কোনো কোনো মন্ত্রী-এমপি আচরণবিধি ভঙ্গ করে সরকারদলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালালেও নির্বাচন কমিশন কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না। নানা অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন ২৩ জন মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাতে ভাটার টান শুরু হয়েছে। ২৪ ডিসেম্বর দুজন সংসদ সদস্যকে সতর্ক করে দিয়েই দায় সেরেছে কমিশন। অনেকে বলছেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে মাহবুব-উল আলম হানিফের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সাক্ষাতের পরই কমিশনের মতিগতি পাল্টে যায়। তারা নমনীয় হয়ে যায় সরকারি দলের আচরণবিধি ভঙ্গকারীদের প্রতি।

পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর্যায় থেকেই। অন্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা না করে তড়িঘড়ি একতরফা সিদ্ধান্ত গ্রহণ ছাড়াও দুটি বিষয় নির্বাচনে নিরপেক্ষতা বজায় থাকবে কিনা তা নিয়ে ভয় ও আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য যথেষ্ট। এর মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব সার্বিকভাবে নির্বাচন কমিশনের হাতে না থাকা। একটা সময় ছিল যখন নির্বাচন কমিশনের লোকজন ছিল সীমিত। এখন সে সংকট নেই। যথেষ্ট লোকবল থাকা সত্ত্বেও ২৩৪ পৌরসভার মধ্যে ১৭৫টি পৌরসভার নির্বাচনের সার্বিক দায়িত্ব পালন করবে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। প্রশ্ন ওঠা সঙ্গত যে, নির্বাচন কমিশনকে এড়িয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা কেন এতে খবরদারি করবেন? এর উত্তর প্রশাসনের দলীয়করণের সুবিধাটা ষোলআনা তুলে নেওয়ার জন্যই এ ব্যবস্থা। অভিজ্ঞতা বলে, আমাদের দেশে যখন যে দল সরকার পরিচালনা করছে সে দলই নিজেদের মনের মতো করে স্থানীয় প্রশাসন সাজিয়েছে। এমপি সাহেবরা নিজেদের পছন্দ মতো ওসি-টিএনও নিয়ে যান নিজেদের থানায়, ডিসি-এসপি বেছে নেন মন্ত্রী মহোদয়রা। এখন তো এমনো শোনা যায় যে, কেন্দ্র থেকেও দলানুগত কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় জেলা-থানায় পাঠানো হয় দলকে সার্ভিস দেওয়ার জন্য। এ ধরনের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সাধু ও নিরপেক্ষ ভূমিকা কতটুকু প্রত্যাশা করা যায়? দ্বিতীয় বিষয়টি আরও সেনসেটিভ। এবার নির্বাচন হচ্ছে দলীয় প্রতীকে। সাংগঠনিক অবস্থা সুশৃঙ্খল ও মজবুত হলে পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়ন নির্ধারণ হওয়া উচিত ছিল জেলা পর্যায়ে। কোথাও কোনো বিরোধ দেখা দিলে ক্ষেত্রবিশেষে কেন্দ্র রেফারির ভূমিকা পালন করতে পারত। যেহেতু এটি সরকার অদল-বদলের জাতীয় নির্বাচন নয়, সেহেতু এ ব্যাপারে কেন্দ্রের ঝাঁপিয়ে পড়ার কোনো প্রয়োজন ছিল না। কেন্দ্র যদি হস্তক্ষেপ করেও, প্রার্থীর প্রত্যয়নপত্রে স্বাক্ষর করাসহ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে এ সংক্রান্ত সব বিষয়ের কাগজপত্রে স্বাক্ষর করবেন দলের কোন পর্যায়ের নেতা? ভাবুন তো সত্তরের নির্বাচনের কথা। পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ এবং পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকপ্রাপ্ত মনোনীত প্রার্থীদের যে পরিচিতি চিঠি নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছিল তা কি বঙ্গবন্ধুর স্বাক্ষরে? না। চিঠি গিয়েছিল দফতর সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লার স্বাক্ষরে। দল ছিল সংহত, সুনিয়ন্ত্রিত। জনসমর্থন ছিল ‘দিগন্তপ্লাবিত’। তাই এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধুর নাম ‘ব্যবহারের’ কৌশল প্রয়োগ করতে হয়নি। এরপরও দেশে যত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, এমন কাজ করার প্রয়োজন কেউ-ই অনুভব করেনি। পৌরসভার নির্বাচন তৃণমূলের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্তর। এখানে দলের মনোনীত প্রার্থীদের প্রত্যয়নপত্রে দলীয় প্রধানের স্বাক্ষরটা এত প্রয়োজনীয় হয়ে গেল কেন? কেউ কেউ বলেন, দলীয় প্রধান যদি সরকারের প্রধানমন্ত্রী না হতেন, তাহলে বিষয়টি ভিন্নভাবে ভাবা হতো। এখন অবস্থাটা দাঁড়িয়েছে বিএনপিসহ অন্যান্য দলের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মধ্যে ভোটযুদ্ধ হবে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থীর। কঠোরভাবে বিষয়টির সমালোচনা হচ্ছে এই কারণে যে, সরকারি দলের প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিতকরণে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের একটি বিব্রতকর অবস্থানে ঠেলে দেওয়ার জন্য পরামর্শকরা হয়তো প্রধানমন্ত্রীকে এমন পরামর্শ দিয়েছেন। এতে প্রধানমন্ত্রীর জন্যই একটা চরম বিব্রতকর অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থী নিয়ে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা (যারা নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট) কী করবেন এখন? সরকার দলীয় প্রার্থীকে এখন ভাবা হচ্ছে সরকারি প্রার্থী হিসেবে। সরকারি প্রার্থী পরাজিত হলে সরকারি কর্মকর্তারা তাদের ভবিষ্যত্ নিয়ে শঙ্কিত হতেই পারেন। ফলে তাদের তো দ্বিতীয় চিন্তার সুযোগ কম। এমতাবস্থায় এ অভিযোগ জোরালো হতেই পারে যে, প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে সরকারদলীয় প্রার্থীদের জয় নিশ্চিত করার জন্যই পৌর মেয়র প্রার্থীদের প্রত্যয়নপত্রে প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২৩৪ পৌরসভার মধ্যে ১৭৫টিতে (প্রায় ৭৫%) প্রশাসনিক কর্মকর্তার ওপর নির্বাচনী দায়িত্ব অর্পণ এবং দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়নপত্রে প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যয়ন— একটির সঙ্গে অপরটি নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত। যে কেউ ভাবতেই পারেন যে, এটি একটি সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা। এই নির্বাচনে বিএনপির অবস্থান বেশ তাত্পর্যপূর্ণ। ভোটের দিন কী হতে পারে নির্বাচনী প্রচারকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা দলটির জন্য সুখকর নয়। অবিরাম তারা তা বলে চলেছেন। তারপরও তারা বলছেন ভোট গণনা শেষ হওয়া পর্যন্ত তারা নির্বাচনে থাকবেন। এটি অবশ্যই একটি পজিটিভ সিদ্ধান্ত। আরেকটি তত্পর্যপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, ওই নির্বাচনে তাদের শক্তিশালী জোটমিত্র জামায়াতে ইসলামী তাদের সঙ্গে নেই। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় অনেকে ধারণা করেছিলেন যে, জামায়াত-বিএনপির সঙ্গে মিশে গিয়ে ধানের শীষ প্রতীকেই নির্বাচন করবে। কিন্তু তা হয়নি, জামায়াতে ইসলামী বিএনপির বাইরে থেকে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির ৩৫টি সম্ভাবনাময় আসনে তারা মেয়র পদে লড়ছেন। এর বাইরেও তাদের প্রার্থী আছে। কোনো প্রকার আসন সমঝোতায় তারা আসেননি। বিএনপির তরফ থেকেও তাদের খুব একটা গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। সম্প্রতি ২০ দলীয় জোটের যে গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে সে সভায় জামায়াতে ইসলামী অনুপস্থিত ছিল। প্রচার আছে যে, জামায়াতের সঙ্গে তলে তলে সরকারের একটা গোপন সমঝোতা হয়েছে এবং সেই সমঝোতার ভিত্তিতে জামায়াত স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করছে। তারা নির্বাচনে থাকলে বিএনপি প্রার্থীর ভোট কমবে— হিসাবটা এমন। কোনো কোনো পৌরসভায় যেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর চেয়ে বিএনপি প্রার্থীর অবস্থা খুব ভালো সেখানে জামায়াতের প্রার্থীকে জেতানোর চেষ্টাও থাকতে পারে। অনেক পৌরসভায় ২-১টি কাউন্সিলর পদে সমর্থন নিয়ে মেয়র পদে সরকারদলীয় প্রার্থীকে জামায়াত সমর্থন করছে বলেও খবর পাওয়া যাচ্ছে। তৃতীয় ধাপ থেকে উপজেলা নির্বাচনে এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম তিন সিটি নির্বাচনে জামায়াতের এমন রহস্যময় ভূমিকা লক্ষ্য করা গেছে। সিটি নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলেও জামায়াত তা করেনি। তারা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে ছিল এবং কয়েকটি কমিশনার পদে জয়ও পেয়েছে। পাঠক, লক্ষ্য করে থাকবেন যে, পৌর নির্বাচনের প্রচারাভিযান শুরুর পর বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোথাও কোথাও সংঘাতের খবর পাওয়া গেলেও জামায়াতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের তেমন কোনো ঘটনা ঘটার খবর এখন পর্যন্ত তেমন চোখে পড়েনি।

সরকারি দল বিএনপিকে জামায়াতের সঙ্গে ‘ব্র্যান্ডেড’ করে বিএনপিকে পাকিস্তানপন্থি একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে চিত্রিত করে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চেয়েছে এবং অনেকটা পেরেছেও। সম্প্রতি জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েন এবং সর্বশেষ পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের দূরত্ব এবং জামায়াত-আওয়ামী লীগ সম্পর্কের গোপন নৈকট্যের ধারণা বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী নেতা-কর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীদের মধ্যে একটা স্বস্তির ভাব সৃষ্টি করেছিল। অনেকেরই ধারণা হয়েছিল যে, বিএনপির ঘাড় থেকে জামায়াতী ‘ভূত’ বুঝি নামল। কিন্তু কোনো এক অশুভ শক্তি বিএনপিকে বোধহয় স্থির হয়ে সম্ভাবনার সড়কে উঠতেই দিতে চাচ্ছে না। সবাই জানেন যে, বিএনপি এখন একটা দুঃসময় অতিক্রম করছে। হটকারী রাজনৈতিক পন্থা অনুসরণ করে, বিশেষ করে চলতি বছর জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচির আবরণে যেসব দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে, বিএনপি তার দায় এড়াতে পারেনি। সরকারও সাফল্যের সঙ্গে সব পেট্রলবোমা হামলা, মৃত্যু, অগ্নিসংযোগ, জাতীয় সম্পদের বিপুল ক্ষতি সব কিছুর জন্য বিএনপি-জামায়াতই দায়ী— তা জনসাধারণের শান্তিপ্রিয় অংশকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছে। মামলা-মোকদ্দমায় জর্জরিত দল এবং সহযোগী দলের প্রায় সব নেতা-কর্মী। অনেক সমর্থক-শুভানুধ্যায়ীও মাশুল গুনছেন দলের ভুল রাজনীতির। রাজনীতিবিদদের কোনো দলে যদি কোনো মূল্য না থাকে, পদ-পদবি দিয়ে যদি তাদের ‘স্টাফ অফিসারের’ মতো বিবেচনা করে অনুগত হেনছম্যানরূপী (Henchman) কর্মচারী দিয়ে পরিচালিত হয়, সেই দল রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভুল করবেই। বিএনপি কর্মচারীনির্ভর হওয়ায় চরম মাশুল দিচ্ছে। পৌর নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং শেষ পর্যন্ত (গণনা পর্যন্ত) নির্বাচনে থাকার সিদ্ধান্ত বিএনপির সঠিক গণতান্ত্রিক পথে ফিরে আসা বলে বিবেচনা করা হচ্ছিল। সংগঠনটির মধ্যে একটা প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে তৃণমূল পর্যায়ে। অবশ্য বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গেলে বোঝার উপায় নেই যে দলটি দেশের ২২৪টি (১০টি বাতিল হয়েছে) পৌর এলাকার বিশাল কর্মযজ্ঞে মেতে আছে। ঢাকায় দলের এই করুণ দশার পেছনের কারণ গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের নেতিবাচক কার্যকলাপ। তারপরও সারা দেশে দল-সমর্থকদের মধ্যে একটা আশাজাগানিয়া ভাব জেগেছিল। ভাবা হচ্ছিল, এবার হয়তো ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ নেবে দলটি। সরকার বাহ্যিক কিছু সুযোগ তো দিয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ কয়েকজন নেতা জামিনে মুক্ত হয়েছেন, যারা এতদিন ‘গর্তে’ ছিলেন তারা নির্বাচনী প্রচারে নামতে সাহস পাচ্ছেন, তৃণমূলের যেসব নেতা কর্মীকে যৌথবাহিনী এতদিন দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছিল তা গত এক মাস অনেকটাই শিথিল; তারা এখন বাড়িঘরে ফিরতে পারছে, ঘুমাতে পারছে। চাঙ্গা হয়ে উঠেছে মাঠ-সংগঠন। হঠাত্ই আবার ‘উল্টা গীত’। পার্টি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অনভিপ্রেত এক মন্তব্য দলটিকে আবারও এক কঠিন রাজনৈতিক বিতর্কে জড়িয়ে দিল। মুক্তিযোদ্ধা দলের এক সমাবেশে তিনি মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে মীমাংসিত একটি বিষয়কে অগ্রাহ্য করে বিতর্ক সৃষ্টি করলেন। অন্য সবারই কথা বাদ দিলাম, তিনি এ প্রশ্নে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমানকেও চ্যালেঞ্জ করলেন। ‘একটি জাতির জন্ম’ শিরোনামে ১৯৭৪ সালে প্রেসিডেন্ট জিয়া একটি লেখা লিখেছিলেন। ছাপা হয়েছিল সাপ্তাহিক বিচিত্রায়। পরে বহু পত্র-পত্রিকা-সংকলনে লেখাটি ছাপা হয়েছে। তাতে তিনি বঙ্গবন্ধুকে বঙ্গবন্ধু বলেই সম্বোধন করেছেন এবং স্পষ্টভাবে ৩০ লাখ শহীদ এবং আড়াই লাখ সম্ভ্রম লুণ্ঠিত মা-বোনের কথা উল্লেখ করেছিলেন। বেগম জিয়ার এই বক্তব্যকে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার এবং তাদের দোসরদের নৃশংসতাকে হালকা করে দেখার প্রবণতা হিসেবে কেউ কেউ বর্ণনা করতেই পারেন। এমন একটা সময় কেউ তাকে উসকে দিয়ে এই অনাকাঙ্ক্ষিত বক্তব্যটি বলিয়ে নিল, যখন পাকিস্তানিরা বলছে একাত্তরে বাংলাদেশে কোনো গণহত্যা হয়নি; যে কথা জামায়াতে ইসলামীর প্রবীণ প্রজন্মও বলে যাচ্ছে। এ বক্তব্যকে কেউ অবশ্য জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির শিথিল সম্পর্কটা আবার উষ্ণ করার নীতিগত সিদ্ধান্তের প্রতিফলন বলে মনে করছেন। এই মহল বিএনপির এ অবস্থানকে আত্মঘাতী বলে মনে করেন। বিএনপিতে অনেক মুক্তিযোদ্ধা আছেন। তারা বিষয়টি সহজভাবে নেবেন বলে মনে হয় না। পদ-পদবি, দলে মূল্যায়ন ইত্যাদি প্রশ্নে নানা কারণে অনেকে কম্প্রোমাইজ করে চলেছেন, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের মীমাংসিত ও আবেগাশ্রিত বিষয়ে সবাই মুখ বুঝে নাও থাকতে পারেন।

অনেক সমর্থকের মধ্যেও বিরূপ প্রতিক্রিয়ার আওয়াজ পাওয়া যায়। এটা দলের জন্য খুবই ক্ষতিকারক হবে। বেগম খালেদা জিয়া ভুল স্বীকার করে এ ব্যাপারে একটা ব্যাখ্যা দিলে ভালো করবেন। যে কথায় পাকিস্তান এবং পাকিস্তানপন্থিরা খুশি হয়, সেই কথা বলে কোনো দলের কী লাভ?  বাংলাদেশেরই বা কী লাভ? বেগম খালেদা জিয়াকে কেউ যদি এমন পরামর্শ দিয়ে থাকেন যে, এ ধরনের বক্তব্য পৌরসভা নির্বাচনে ভোটারদের ওপর অনুকূল প্রভাব বিস্তার করবে সে পরামর্শ শুধু ভুলই নয়, সর্বনাশা। সেই সর্বনাশা ভুলের ফাঁদে কেন পা রাখলেন বেগম খালেদা জিয়া?

     লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট।

ই-মেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
চেনা যায় সহজেই
চেনা যায় সহজেই
সর্বশেষ খবর
ঢাবির বাসে হামলার ঘটনায় ৫ জন গ্রেফতার
ঢাবির বাসে হামলার ঘটনায় ৫ জন গ্রেফতার

এই মাত্র | জাতীয়

নরসিংদী কারাগারে সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু
নরসিংদী কারাগারে সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু

৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ইটভাটার কালো ধোয়ায় কৃষকের স্বপ্ন পুড়ে ছাঁই
ইটভাটার কালো ধোয়ায় কৃষকের স্বপ্ন পুড়ে ছাঁই

১৪ মিনিট আগে | নগর জীবন

লক্ষ্মীপুরে দখল-দূষণে বিপন্ন খাল ও নদী উদ্ধারে অভিযান
লক্ষ্মীপুরে দখল-দূষণে বিপন্ন খাল ও নদী উদ্ধারে অভিযান

১৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

অভাবগ্রস্ত শিখা দাশের পাশে দাঁড়াল বসুন্ধরা শুভসংঘ
অভাবগ্রস্ত শিখা দাশের পাশে দাঁড়াল বসুন্ধরা শুভসংঘ

২৬ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

‘শ্রমিক-মালিকের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে শ্রম আইন সংশোধন করা হচ্ছে’
‘শ্রমিক-মালিকের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে শ্রম আইন সংশোধন করা হচ্ছে’

৩৬ মিনিট আগে | জাতীয়

৫০ বছরের মধ্যে কঠিন সময়ে মার্কিন শেয়ারবাজার
৫০ বছরের মধ্যে কঠিন সময়ে মার্কিন শেয়ারবাজার

৪৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজবাড়ীতে যুবকের মরদেহ উদ্ধার
রাজবাড়ীতে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

৫৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আতিকুল-মামুনসহ ৫ জন নতুন মামলায় গ্রেপ্তার
আতিকুল-মামুনসহ ৫ জন নতুন মামলায় গ্রেপ্তার

৫৭ মিনিট আগে | জাতীয়

মারীখালি নদীতে ভাসছিল অজ্ঞাত নারীর মরদেহ
মারীখালি নদীতে ভাসছিল অজ্ঞাত নারীর মরদেহ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নাটোরে পিকআপের চাপায় বৃদ্ধ নিহত
নাটোরে পিকআপের চাপায় বৃদ্ধ নিহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বরগুনায় স্বাস্থ্য জনবল বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
বরগুনায় স্বাস্থ্য জনবল বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টুঙ্গিপাড়ায় তিন দিনব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলা উদ্বোধন
টুঙ্গিপাড়ায় তিন দিনব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলা উদ্বোধন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুমারখালীতে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
কুমারখালীতে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নখের সাজে নকশা
নখের সাজে নকশা

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক হলেন আনসার উদ্দিন খান পাঠান
তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক হলেন আনসার উদ্দিন খান পাঠান

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভ্যাঙ্কুভারে বাঙালির মিলনমেলা, সংগীতে মাতোয়ারা প্রবাসীরা
ভ্যাঙ্কুভারে বাঙালির মিলনমেলা, সংগীতে মাতোয়ারা প্রবাসীরা

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

যে কোনও আগ্রাসনের জবাব দিতে প্রস্তুত ইসলামাবাদ
যে কোনও আগ্রাসনের জবাব দিতে প্রস্তুত ইসলামাবাদ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমাতে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে : বাণিজ্য উপদেষ্টা
অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমাতে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে : বাণিজ্য উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

মাদকাসক্ত ছেলেকে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ বাবার
মাদকাসক্ত ছেলেকে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ বাবার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিসিবি নির্বাচনে লড়ার ঘোষণা দিলেন ফারুক আহমেদ
বিসিবি নির্বাচনে লড়ার ঘোষণা দিলেন ফারুক আহমেদ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

২০২৪-এর বন্যা স্বাভাবিক ছিল না: প্রধান উপদেষ্টা
২০২৪-এর বন্যা স্বাভাবিক ছিল না: প্রধান উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আদানি চুক্তিতে ৪০ কোটি ডলারের ‘শুল্ক ফাঁকির’ অনুসন্ধানে দুদক
আদানি চুক্তিতে ৪০ কোটি ডলারের ‘শুল্ক ফাঁকির’ অনুসন্ধানে দুদক

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজের সূচি প্রকাশ
বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজের সূচি প্রকাশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা
উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেরপুর সীমান্তে লোকালয়ে হাতি, বাড়ছে মানুষ ও বন্যপ্রাণির দ্বন্দ্ব
শেরপুর সীমান্তে লোকালয়ে হাতি, বাড়ছে মানুষ ও বন্যপ্রাণির দ্বন্দ্ব

২ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

পাকিস্তানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ
পাকিস্তানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা
আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপির ৩১ দফা প্রচারে ঝিনাইদহে লিফলেট বিতরণ
বিএনপির ৩১ দফা প্রচারে ঝিনাইদহে লিফলেট বিতরণ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজশাহীতে রেললাইনের পাশে পড়েছিল শ্রমিকের মরদেহ
রাজশাহীতে রেললাইনের পাশে পড়েছিল শ্রমিকের মরদেহ

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সর্বাধিক পঠিত
কাশ্মীর ইস্যু: প্রতিশোধ নিতে সামরিক হামলার ‘সবুজ সংকেত’ দিলেন মোদি
কাশ্মীর ইস্যু: প্রতিশোধ নিতে সামরিক হামলার ‘সবুজ সংকেত’ দিলেন মোদি

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ
অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

অপকর্ম বন্ধ করুন, না হলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা হবে: মির্জা ফখরুল
অপকর্ম বন্ধ করুন, না হলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা হবে: মির্জা ফখরুল

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি, আবারও আমেরিকা থেকে এলএনজি আমদানি বন্ধ করল চীন
ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি, আবারও আমেরিকা থেকে এলএনজি আমদানি বন্ধ করল চীন

২৩ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

পাকিস্তানে অস্ত্র পাঠানো নিয়ে ভারতের দাবি অস্বীকার করল তুরস্ক
পাকিস্তানে অস্ত্র পাঠানো নিয়ে ভারতের দাবি অস্বীকার করল তুরস্ক

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট
এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?
‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ঢাকার প্রধান সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে পারবে না’
‘ঢাকার প্রধান সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে পারবে না’

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’
‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে গুজরাটে আটকদের অধিকাংশই ভারতীয় মুসলিম
‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে গুজরাটে আটকদের অধিকাংশই ভারতীয় মুসলিম

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খোঁজ নেই টাঙ্গাইলের সেই নাজিরের, চিন্তায়-অস্থিরতায় দিন কাটছে পরিবারের
খোঁজ নেই টাঙ্গাইলের সেই নাজিরের, চিন্তায়-অস্থিরতায় দিন কাটছে পরিবারের

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা
সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?
চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা
উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার
আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে পাঠ্যবই থেকে বাদ মোগল-সুলতানি ইতিহাস
ভারতে পাঠ্যবই থেকে বাদ মোগল-সুলতানি ইতিহাস

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চিয়া বীজ নিয়ে মার্কিন চিকিৎসকের সতর্কতা
চিয়া বীজ নিয়ে মার্কিন চিকিৎসকের সতর্কতা

২০ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

মোদির বাসভবনে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক
মোদির বাসভবনে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশ এখন আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল নয়: অর্থ উপদেষ্টা
বাংলাদেশ এখন আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল নয়: অর্থ উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

‘বেগম খালেদা জিয়াকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ফেরাতে কাজ করছে সরকার’
‘বেগম খালেদা জিয়াকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ফেরাতে কাজ করছে সরকার’

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব
‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ
শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস
ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’
‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই
ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প
পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল
বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার
গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’
‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রিন্ট সর্বাধিক
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো
বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত
আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত

প্রথম পৃষ্ঠা

আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি
আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি

প্রথম পৃষ্ঠা

পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড
পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড

নগর জীবন

বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না
বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু
মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু

পেছনের পৃষ্ঠা

চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে
চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে

পেছনের পৃষ্ঠা

পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান
পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান

প্রথম পৃষ্ঠা

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ
অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ

পেছনের পৃষ্ঠা

সাবিলা নূরের লুকোচুরি...
সাবিলা নূরের লুকোচুরি...

শোবিজ

বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না
বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না

পেছনের পৃষ্ঠা

অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা
অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক
গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক

দেশগ্রাম

ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই
ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই

পেছনের পৃষ্ঠা

শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা
শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা

শোবিজ

আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি
আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কে কারিনা
বিতর্কে কারিনা

শোবিজ

মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা
মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা

মাঠে ময়দানে

শ্রমিকেরাও মানুষ
শ্রমিকেরাও মানুষ

সম্পাদকীয়

শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা
শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা

সম্পাদকীয়

গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প
গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প

পেছনের পৃষ্ঠা

১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার
১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার

মাঠে ময়দানে

নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে
নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে

শোবিজ

নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা
নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা

মাঠে ময়দানে

কী চায় নতুন দলগুলো
কী চায় নতুন দলগুলো

প্রথম পৃষ্ঠা

চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ
চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে
মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

চম্পা কেন দূরে
চম্পা কেন দূরে

শোবিজ