শিরোনাম
প্রকাশ: ১৭:৩১, শুক্রবার, ২৯ মে, ২০২০

ক্ষণিকের পরিচয়ে মারিয়ার কাছে যে আন্তরিকতা পেয়েছি সারাজীবন মনে থাকবে

মাসুদুল হাসান রনি
অনলাইন ভার্সন
ক্ষণিকের পরিচয়ে মারিয়ার কাছে যে আন্তরিকতা পেয়েছি সারাজীবন মনে থাকবে

রুমানিয়া নামে পূর্ব ইউরোপের একটা দেশ আছে। এই দেশের নামের সাথে ছোটবেলায় পরিচিত হই বিশ্বের সেরা জিমন্যাস্টিকস নাদিয়া এলেনা কোমানেসিকোর নাম শুনে। তার কারণে শৈশবে রুমানিয়ার প্রতি একটা ভাললাগা জন্মেছিল। বাম রাজনীতির সাথে যুক্ত হবার পর আধুনিক রুমানিয়ার জনক নিকোলাস চসেস্কুর সাথে পরিচয়। নব্বই দশকে রুমানিয়ার সমাজতান্ত্রিক সরকারের পতনের পর চসেস্কুর নির্মম মৃত্যু আমাকে ব্যথিত করেছিল। তখন মনে মনে ভেবেছিলাম কোনদিন বুখারেস্ট গেলে চসেস্কুর স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করবো। রুমানিয়া আমি ঠিকই গিয়েছি কিন্তু তার সমাধিস্থলে যেতে পারিনি।

রুমানিয়া যাবার সুযোগ হয়েছিল ২০০৯ সালে। সেই সময় আমি এন্ড্রু গাডেসের আমন্ত্রনে জার্মান এসেছিলাম ইউরোশিয়া ইন্সটিটিউট ভিজিটে। বার্লিনে আমার তিনদিনের নির্ধারিত প্রোগ্রাম শেষ করে রুমানিয়া গিয়েছিলাম। রাজধানী বুখারেস্টের ওল্ডটাউনে ছিলাম তিনরাত চারদিন।

ইইউভুক্ত দেশ না হওয়ায় আমার সেনজেন ভিসার সাথে বার্লিন থেকে রুমানিয়ার ভিসা সংগ্রহ করতে হয়েছিল ৬০ ইউরো দিয়ে। বাংলাদেশে রুমানিয়ার কোন দূতাবাস না থাকায় ভিসা নিতে হয় নয়াদিল্লি থেকে।

জেটএয়ারে বার্লিন থেকে রুমানিয়া যেতে সময় লেগেছিল আড়াইঘণ্টা। বুখারেস্ট এয়ারপোর্টটি শহরের বাহিরে অটোপেনিতে। দুপুর দুইটায় এয়ারপোর্টে নেমে ইয়োলো ট্যাক্সি চেপে সোজা হোটেল "ওল্ড সেন্টারুম বুখারেস্টে।" পূর্ব থেকে বুকিং দেয়ায় খুব সস্তায় মাঝারি মানের এই হোটেলে রুম পেয়েছিলাম মাত্র ৩০ ইউরোতে।

ট্যাক্সিতে বুখারেস্ট ওল্ডটাউন যেতে যেতে চোখে পড়ে ছোট বড় অসংখ্য বিল্ডিং। সাদা ও ধূসর ব্লকের। এসব ভবনের গঠন রুশ স্থাপত্যশৈলীর , যা কমিউনিস্ট শাসনামলকে স্মরণ করিয়ে দেয়। বেশকিছু রুমানিয়ান সিনেমায় এই ধরনের ভবন দেখেছি। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে এগুলির ব্যাপক পরিবর্তন করা হয়েছে। ভবনগুলোতে রং চংয়ে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। চলতি পথে সামান্য দেখায় বুখারেস্টকে আমার খুব সুন্দর পরিপাটি শহর মনে হলো না ।

শহরে ঢোকার মুখে বিশাল গেইট। অনেকটা প্যারিসের আর্ক ডি ট্রায়ামফের অবিকল কপি। রাস্তাঘাট বেশ চওড়া। দু'পাশে অসংখ্য গাছ। সবুজ আর সবুজে মোড়ানো। শহরের মাঝে এই সবুজাভ মন ভরিয়ে দেয়।

হোটেলে ঢুকে লম্বা শাওয়ার নিয়ে সোজা দৌড় রুফটপ রেস্টুরেন্টে। ক্ষুধায় পেট শুধু নয়, মাথা ভারি হয়ে আছে। কিন্ত লাঞ্চ করতে এসে খাবারের তেমন কিছুই পেলাম না। ম্যানেজার জানালো, ওদের এখানে লাঞ্চ শুরু হয় বেলা বারোটায়। দুপুর দুইটায় অলমোস্ট লাঞ্চ শেষ হয়ে যায়। আর আমি লাঞ্চের জন্য এসেছি বেলা সাড়ে তিনটায়।

তারপরও ম্যানেজারকে বলি, কিছু একটা দাও। পেটের আগুন নেভাতে হলে জল ঢালতে হবে।

কিচেন থেকে ঘুরে এসে ম্যানেজার দুঃখি দুঃখি চেহারা নিয়ে জানায়, আমি খুবই দুঃখিত। তোমার জন্য লাঞ্চের কিছুই নেই। একটু সময় দিলে কিছু একটা খাবার দিতে পারি। ব্রেড, বাটার, চিকেন সসেস, সালাদ দেয়া যাবে। কি আর করা, আপাতত ক্ষুধা মেটানো প্রয়োজন। মাথা নেড়ে জানাই, তাই দাও ।

দুপুরে খাবার পর আমার ঘুমানোর বদাভ্যাস। ব্রেড, চিকেন সসেস ও সালাদ খেয়ে রুমে ফিরে বিছানায় গা এলিয়ে দিতে ঘুমিয়ে পড়ি। সেই ঘুম ভাংগলো সন্ধ্যাবেলা।

২.
হোটেল থেকে ভর সন্ধ্যা বেলায় হাঁটতে বের হই। আমার হোটেলটি ওল্ডটাউনে। সেন্ট্রাল বাস ও রেলস্টেশন খুব কাছেই। হাঁটাপথে মিনিট দশ পনেরো লাগে।

বুখারেস্ট শহরের যানবাহন ব্যবস্থা খারাপ না৷ পাবলিক বাস, ট্রাম, রেল আছে ৷ ঝকঝকে প্রাইভেট গাড়ির পাশাপাশি পুরানো আমলের ভক্সওয়াগন গাড়িও চোখে পড়ে। বোঝা যায় নব্বই দশকে চসেস্কুর পতন ও সমাজতন্ত্রের বিদায়ের পর একদল নব্য ধনীর হাতে প্রচুর অর্থ চলে আসে। এরা রাতারাতি পুঁজিপতি বনে যান। সেই সময় তাদের হাতে রুমানিয়ার অর্ধেক সম্পদ চলে যায়। তারাই ঝকঝকে গাড়ি, আধুনিক স্থাপত্যের ফ্ল্যাট, বিশাল ভিলা, বিলাসবহুল বাড়ির মালিক বনে গেছেন। এদের সমর্থনপুষ্ট বর্তমান পুঁজিবাদী সরকার বেকারত্ব দূর করতে ব্যর্থ হয়েছে। প্রশাসনের অন্দরে দুর্নীতি ছেঁয়ে গেছে। সমাজতন্ত্রের উত্থানের ভয়ে এরা চসেস্কুর নাম নিশানা মুছে ফেলেছে। তার সমাধিস্থলে কোন বিদেশীকে প্রবেশ করতে পর্যন্ত দেয় না। ওদের ভয় বেঁচে থাকা চসেস্কুর চেয়ে মৃত চসেস্কু অনেকবেশী শক্তিশালী।

সেপ্টেম্বর মাসে এসেছি বলে ভয়ে ছিলাম আবহাওয়া কি রকম হবে ভেবে। পাতলা উইন্ডব্রেকার জ্যাকেট পড়ে রুম হতে বের হয়েছি। রাতের বেলা খুব একটা গরম নেই ৷ দিনের বেলায় তাপমাত্রা খুব নীচে না নামলেও বিকেলের পর থেকেই বেশ ঠাণ্ডা লাগে।
সারা বছরের গড় তাপমাত্রা ৭ .৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ওল্ডটাউনে হাঁটতে হাঁটতে রুমানিয়ানদের লক্ষ্য করি। পর্যটকদের দেখে হাই বা হ্যালো করা এবং সাধারণ মানুষের আতিথেয়তা, বন্ধুবাৎসলতা আর আন্তরিকতা সহজেই মুগ্ধ করে। তাই এদের জীবন যাত্রা, সংস্কৃতি, খাদ্যাভাস, ঐতিহ্য সম্পর্কে জানার আগ্রহটা বেড়ে যায়। কোন দেশে গেলে আমি সর্বপ্রথম রেস্টুরেন্ট, পাব, বারে ঢুকে এসব জানার জন্য মানুষের সংস্পর্শে আসার চেষ্টা করি। এর ব্যতিক্রম হলো না বুখারেস্টেও।

ওল্ডটাউনের একটা পাবে বসে বিয়ারের বড় গ্লাসে চুমুক দিতে দিতে দেখি আশেপাশের মানুষগুলো হৈ চৈ করে বিয়ার খাচ্ছে। উচ্চস্বরে কথা বলছে। বেজায় স্ফুর্তিবাজ মনে হলো। যা আমি এখানে আসার আগে বার্লিনে পাইনি।

পাবে পরিচয় হয় মারিয়াস্কুর সাথে। ত্রিশ ছুঁই ছুঁই এই নারী বুখারেস্টে এক হাসপাতালে জব করতেন। মাস তিনেক আগে তাঁর চাকুরি চলে যায়। বুখারেস্ট থেকে ৪০ কিলোমিটার দুরের শহর ব্রাসাভায় তাঁর জন্ম ও বেড়ে উঠা। চাকুরির জন্য তাঁর বুখারেস্ট থাকা। বিয়ারের সোনালী পানীয়তে চুমুক দিতে দিতে নানান বিষয়ে গল্প হয়। রাজনীতি, সিনেমা, খেলা এই তিন বিষয়ে আমার মতন তার সমান আগ্রহ। তাই আমাদের আড্ডা দারুন জমে উঠে। জিমন্যাস্ট নাদিয়া কোমেনিচি, কমিউনিস্ট নেতা চসেস্কু থেকে ফুটবলার হ্যাজি কি ছিল না আমাদের আড্ডার বিষয়ে!

রাত সাড়ে এগারোটায় বিদায় নেয়ার সময় মারিয়াকে বলি, যদি তুমি ফ্রি থাকো আগামী দুইদিন আমাকে শহর দেখাতে পারো। আমি অবশ্যই তোমাকে নিরাশ করবো না।
ইটস এ গ্রেট অপরচুনিটি এন্ড ফিল অনারড।
-হোপ ইউ উইল জয়েন উইথ মি ফর ব্রেকফাস্ট। দ্যান উই হ্যাভ টু গো আউট সাইড।
শিওর। আই উইল কাম।
মারিয়াকে আমার হোটেলের এড্রেস, ফোন নাম্বার দিয়ে উঠে পড়ি।
৩.
বিচিত্র সুন্দর দেশ রোমানিয়া হচ্ছে বলকান উপদ্বীপে অবস্থিত। দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের একটি রাষ্ট্র। দেশটির উত্তর-পূর্বে রয়েছে ইউক্রেন ও মোলদোভা, পশ্চিমে হাঙ্গেরি এবং সার্বিয়া, দক্ষিণে বুলগেরিয়া ও দানিউব নদী। রুমানিয়ার পূর্বদিকে রয়েছে কৃষ্ণ সাগর, আর কার্পেথিয়ান পর্বতমালার পূর্ব ও দক্ষিণাংশ রুমানিয়ার মধ্যভাগে অবস্থিত। রাজধানী বুখারেস্ট ইউরোপীয় ইউনিয়নের দশম বৃহত্তম শহর যাতে প্রায় ২ মিলিয়ন বা ২০ লাখ লোকের বসবাস।

মারিয়া সকাল সাড়ে সাতটায় হোটেলে চলে আসে। লবি থেকে ফোন করে আমার ঘুম ভাংগায়।
গুড মর্নিং ফ্রম কান্ট্রি অব ড্রাকুলা।
আমি দুস্টুমি করে বলি, নেভার সিন ড্রাকুলা বিফোর কেইম হেয়ার । ক্যান আই সি দ্যাট নাউ?
মারিয়া হো হো হো করে হাসে। কান পেতে ওর হাসির ঝংকার শুনি। মানুষ যে এতো সুন্দর করে হাসতে পারে, মারিয়াকে না দেখলে বিশ্বাস হতো না !

ব্রেকফাস্ট টেবিলে মারিয়ার কাছে জানতে চাই, কম সময়ের ভেতর কাছাকাছি কোথায় কোথায় যাওয়া যায়।
মারিয়া একটা প্ল্যান দিলো। ওল্ডসিটি ও নিউসিটি আলাদা করে দেখার কিছু নেই। শুরুটা করা যাক পার্লামেন্ট ভবন দিয়ে।
একটু বিরক্তি নিয়ে জিগেস করি, পার্লামেন্ট দেখার কি আছে?
- তুমি দেখি কিছু জানো না। রুমানিয়ার ন্যাশনাল পার্লামেন্ট আয়তনের দিক থেকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পার্লামেন্ট।

মারিয়ার কথায় ঈষৎ লজ্জা পেয়ে বলি, আসলে তোমার দেশ সম্পর্কে আমার খুব জানাশোনা নেই। নাদিয়া থেকে হ্যাজি পর্যন্ত আমার দৌড়।

মারিয়া হাসতে হাসতে তাড়া দেয়। চলো দ্রুত বের হয়ে পড়ি। বেলা করে বের হলে ট্রাফিক জ্যামে পড়তে হবে।

৪.
আমরা প্রথমে চলে আসি রুমানিয়ান পার্লামেন্ট দেখতে। বিশাল আয়তনের পার্লামেন্ট ভবন দেখে আমার ভিমড়ি খাবার অবস্থা। আমেরিকা, কানাডাসহ বিশ্বের অনেক বড় বড় দেশে অনেক সুউচ্চবিল্ডিং ও ভবন দেখেছি। কিন্তু এরকম বিশাল আতনের ভবন দেখেছি কিনা মনে পড়ছে না।

বলা হয়ে থাকে, এ ভবনটি পৃথিবীতে এ যাবতকাল পর্যন্ত নির্মিত সবচেয়ে ভারী নির্মাণ ও সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রশাসনিক ভবন। ১৯৮৪ সালে নির্মান কাজ শুরু হয়েছিলো । ১৯৯৭ সালে ভবনটির পূর্ন নির্মাণ সমাপ্ত হয়।

মারিয়া প্রফেশনাল গাইড না। আগেই বলেছি ওর জব চলে যাওয়া বেকার বলে আমাকে শহর ঘুরিয়ে দেখাতে রাজী হয়েছিল। আমার কৌতুহল মেটাতে সে মাঝেমাঝে নেট ঘেটে বিভিন্ন রিলেভেন্ট তথ্য দিয়ে দেখাটাকে স্বার্থক করে তুলেছিল। মুগ্ধ নয়নে আমি শুধু দেখি না, নিবিষ্ঠ শ্রোতা হয়ে মারিয়ার বর্ণনা শুনি।

-সকালে তোমাকে বলেছিলাম ফ্রম কান্ট্রি অফ দ্যা ড্রাকুলা। এদেশকে কেন ড্রাকুলা বলা হয় জানো?
আমি মাথা নেড়ে অজ্ঞতা প্রকাশ করি। বিশাল ভবনের কিছু অংশে হেঁটে আমি ক্লান্ত। পা ভারি হয়ে গেছে। ভবনের ভেতর একটা টুল দেখে বসে পড়ি। মারিয়াও বসে পড়ে মেঝেতে।
-অনেকের কাছে রুমানিয়া ভাম্পায়ারের দেশ নামেও পরিচিত। এদেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় আইন করে ব্ল্যাক ম্যাজিককে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এসব কারনে ড্রাকুলার দেশ বলা হয়। এটাও জানো, রুমানিয়ানরা জিপসি। তাই অনেকে যাযাবরের দেশ নামেও ডাকে।।

পার্লামেন্ট ভবন দেখা শেষে আমরা চলে যাই পিয়ানা রেভোলুয়েইই দেখতে। বাংলায় অনুবাদ করলে এর অর্থ দাঁড়ায় বিপ্লব স্কয়ার। ১৯৮৯ সালের রুমানিয়ান বিপ্লবের নেতৃত্ব দেয়া হয়েছিল এই চত্বর থেকে। বিপ্লবের সময় যারা মারা গিয়েছিল তাদের স্মরণে স্কয়ারের কেন্দ্রস্থলে একটি লম্বা স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে।
চসেস্কুর প্রতি আমার একধরনের ভালবাসা আছে। তাই এই চত্বর আমার ভাল লাগেনি।

আমরা ঘুরতে ঘুরতে ভীষন ক্লান্ত হয়ে পড়ি। ক্ষুধাও লেগেছে। মারিয়া আমাকে নিয়ে ন্যাশনাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের কাছাকাছি একটা টার্কিশ রেস্টুরেন্টে ঢুকে। প্ল্যান হচ্ছে খাওয়া শেষে মিউজিয়াম দেখা। লাঞ্চের জন্য তরতিলা, কেবাব, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই অর্ডার করি। মারিয়া আলাদা করে 'চরবা দে বুরতা' অর্ডার করে। এটা রুমানিয়ার একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার। রুমানিয়ান ওয়াইনও বিশ্বব্যাপী বেশ পরিচিত ও জনপ্রিয়। তাই খুব আগ্রহ নিয়ে রেডওয়াইন নেই।
গত দুইদিনে লক্ষ্য করেছি, এদেশের খাবারে তুরস্ক, গ্রীস, বুলগেরিয়া, সার্বিয়া, ইউক্রেন, ইতালির খাবারের যথেস্ট প্রভাব আছে।

খাওয়া শেষে কিছু সময়ের জন্য ন্যাশনাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের ঢুকি। গত শতকের শেষের দিকে এই আধুনিক ভবনে মিউজিয়ামটি স্থানান্তরিত হয়েছে। বিশাল আয়তনের ভবনের ভেতর রয়েছে রুমানিয়ার ইতিহাস, সংস্কৃতি ঐতিহ্যের নির্দশন। তাদের ভূখণ্ডে প্যালিওলিথিক থেকে আজ অবধি সমাজের বিবর্তনকে ও তারা নথিভুক্ত করেছে।

এখান থেকে আমরা চলে আসি ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ আর্ট বিল্ডিংয়ে। আমার পরিচিত অনেকেই বলেন, এটা না দেখলে নাকি বুখারেস্ট আসাই বৃথা। তাদের কথাটা মাথা রেখে সকালেই প্ল্যান করেছি, এটা দেখব। সত্যি আমি নিরাশ হইনি। রুমানিয়ার শিল্পীদের চমৎকার কাজগুলো দেখে মুগ্ধ হয়েছি। তৈল রং, এক্রেলিক, ওয়াটার কালার পেইন্টিংগুলোতে উজ্জল সব রঙের ছড়াছড়ি। আর্ট কালচার ভালবাসেন এমন মানুষ বুখারেস্ট এসে এই জাদুঘর যদি না দেখেন, সত্যি তারা অনেক বড় কিছু দেখা হতে বঞ্চিত হবেন।

ঘুরতে ঘুরতে বিকেল পেরিয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেছে। ক্লান্ত দেহে হোটেলে ফিরে আসি। কাল সকালে দেখা হবে প্রতিশ্রুতি দিয়ে মারিয়া বিদায় নেয় লবি থেকে।
৫.
বুখারেস্ট হচ্ছে শিল্প, সাহিত্য এবং বাণিজ্যসহ যাবতীয় প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু। পুরো শহর ঘুরে দেখার জন্য তিনদিন কোন সময়ই না। তবুও মারিয়ার কারনে দর্শনীয় স্থানগুলো দেখা হয়ে যাচ্ছে।

ইউরোপ অন্যান্য দেশগুলো থেকে রুমানিয়া তুলনামূলকভাবে কম স্বচ্ছল অর্থনীতির দেশ। জনসাধারণের জীবন-যাত্রার মানও ইউরোপের অন্যান্য দেশের মানুষের চেয়ে নিম্নমানের। তবে রুমানিয়ার মানুষেরা খুবই পরিশ্রমী। দেশটি খুব দ্রুত উন্নতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

এখানকার নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর মানুষের উদ্দামতা মন ভরিয়ে দেয়। মারিয়ার সাথে গত দুইদিনে ওঠাবসায় টের পাই ওরা কতটা আন্তরিক ও বন্ধুবৎসল।

একটু দেরী করে আমরা বের হয়ে ওল্ডটাউন যাই। সকাল থেকে আবহাওয়া একটু গরম। বারবার পানির পিপাসা লাগে। চলতিপথে একটা গ্রোসারি থেকে দু'টো পানির বোতল কিনি তিন ইউরোতে।

ওল্ডটাউনে প্রচুর পর্যটক ঘুরছে ফিরছে।তাদের মাঝে প্রাচ্যের অনেক পর্যটকও চোখে পড়ে। সবাই খুব আগ্রহ নিয়ে গোথিক প্যার্টানের বিল্ডিংগুলোর অসাধারণ নির্মাণশৈলীর স্থাপত্যকলা দেখছে। এ শহরের গঠন, ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং এর সঙ্গে বিদ্যমান সাহিত্য এবং চিত্রকলার অপরূপ মেলবন্ধনের কারণে বুখারেস্টকে পূর্ব ইউরোপের প্যারিস বললে মোটেও ভুল হবে না।

ঘুরতে ঘুরতে মারিয়ার কাছে জানতে চাই , আচ্ছা তোমার দেশের জনসংখ্যায় আর কোন দেশের প্রভাব রয়েছে।

- গুড কোশ্চেন। আমিও ভাবছিলাম আমাদের জনগোস্টি নিয়ে তোমাকে একটা ধারনা দিব। অরিজিনাল রুমানিয়ানদের সাথে হাঙ্গেরিয়ান, জার্মান, রোমা, ইউক্রেনিয়ানসহ অনেক এথেনিক গোষ্ঠীর মানুষের বসবাস রয়েছে। শহরাঞ্চলে বসবাস করা মানুষেরা সাধারণত পাশ্চাত্য ভাবধারার পোশাক পরিধান করে থাকেন। তবে গ্রামাঞ্চলের দিকে বসবাস করা মানুষেরা নিজেদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিধান করতে বেশি ভালোবাসেন। রুমানিয়াতে মেয়েদের চুল দেখে বলে দেওয়া যায়, সে কি বিবাহিত, নাকি অবিবাহিত। অবিবাহিত মেয়েরা চুল খোলা রাখতে পছন্দ করে এবং সাধারণত চুলে বেণী গেঁথে রাখে। আর বিবাহিত নারীরা মারামা নামক এক ধরণের কাপড় দিয়ে চুল ঢেকে রাখে।

একথা শুনে আমি মারিয়াকে লক্ষ্য করি। ওর চুল খোলা। এক বেনীতে গাঁথা।
- তাহলে তুমি....
মারিয়া আমার কথা কেড়ে নিয়ে বলে, আই এম নট এন আনমেরিড উইমেন। আই হ্যাভ টু কিডস। দে আর লিভিং উইথ মাই মামা ইন ব্রাসাভ। বাট আই ডিভোর্সড এন্ড সিংগেল। লিভিং হেয়ার।

আমি আসলে ওর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আগ্রহ দেখাইনি বলে কিছুই জানতাম না। ওর কথা শুনে বুঝতে অসুবিধা হয় না চুল খোলা রাখার কারন।

ওল্ডটাউন থেকে আমরা চলে আসি পারকুল কিসেলফ। এটা মূলতঃ পার্ক। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত আমেরিকান সৈনিকদের স্মৃতিসৌধ রয়েছে ।২০০৭ সালে নির্মিত হয় সৌধটি। কিসেলফ পার্কের পূর্ব অংশে ছোট স্মৃতিসৌধটির অবস্থান।

পার্ক থেকে বের হয়ে আমরা যাই বুখারেস্ট কনসার্ট হল দেখতে। চমৎকার দৃষ্টিনন্দ ভবন। ভিতর ও বাহিরের খিলানে দারুন সব কারুকাজ করা। সারা বছর এখানে কনসার্ট বা অর্কেস্ট্রা উপভোগ করা যায়। হলের ভেতর দুই সহস্রাধিকের ওপর সিটিং ক্যাপাসিটি। লবি ও বাহিরে অপেক্ষামান আরো তিনসহস্রাধিক সংগীতপ্রেমী কনর্সাট উপভোগ করতে পারেন।

বুখারেস্টে আমার আজ শেষ দিন। কাল সকালে আমাকে চলে যেতে হবে বার্লিন । সেখান হতে দুইদিন পরে ঢাকায় ফিরবো। এই যাত্রায় জার্মান এসে রুমানিয়া ঘুরে যাওয়া আমার জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। মারিয়াকে পেয়ে যাওয়ায় আমার বুখারেস্ট ট্যুর সহজ হয়েছিল।

হোটেলে ফেরার পথে আমরা সেন্ট্রাল বুখারেস্টের একটা স্প্যানিশ রেস্টুরেন্টে ডিনারের জন্য ঢুকে পড়ি। ছিমছাম সুন্দর রেস্টুরেন্টটির দু'পাশের দেয়ালে লাগানো জায়ান্ট স্ক্রীনে ফুটবল খেলা দেখতে প্রচুর কাস্টমার আসে। খাওয়ার পাশাপাশি খেলা উপভোগ করে। ইউরোকাপের সময় এখানে তিলধারনের ঠাঁই থাকে না। আমরা অর্ডার করি বিফস্টেক, স্পেনিশ অলিভ উইথ ম্যাশ পটেটো , সালাদ, ওয়াইন। খাওয়ার সাথে গল্প করতে করতে মারিয়ার সাথে শেষ ডিনারটি দারুন উপভোগ করি। গত তিনদিন আমাকে সময় দেয়ায় তাকে অনারিয়ামের খামটি হাতে দিতে মুহুর্তে মারিয়ার চেহারা লজ্জায় লাল হয়ে যায়।খুব লাজুক কন্ঠে বললো, আমি খুব এনজয় করেছি তোমার সঙ্গ। জব থাকলে তোমাকে হয়তো এভাবে সময় দিতে পারতাম না। কিংবা দিতে পারলেও খামটি নিতাম না। যদি কিছু মনে না করো আমি ডিনারের বিল পে করতে চাই।

তাঁর কথা বলার মধ্যে একটা আর্ট আছে। ওর চোখে মুখে আকুতি আমি যেন বিলটা দিতে নিষেধ না করি। মনে মনে হিসেব কষে বের করি অনারিয়াম হতে ডিনারের বিল দিলে মারিয়ার হাতে অবশিষ্ট কত থাকতে পারে। একদিনের পারিশ্রমিকের কিছু কমবেশী বিল দেয়ার পর ভালই থাকবে।

মারিয়ার আন্তরিকতামাখা অনুরোধ আমি উপেক্ষা করতে পারি না। আমার সম্মতি পেয়ে ওর চোখমুখ আনন্দে উজ্জল হয়ে উঠে। ক্ষণিকের পরিচয়ে মারিয়ার কাছে যে আন্তরিকতা পেয়েছি তা সারাজীবন মনে থাকবে। আবার কখনো বুখারেস্ট যাওয়া হলে মারিয়াকে খুৃঁজে বের করবো এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে বুখারেস্ট ভ্রমণ শেষ করেছিলাম।

ভাল থেকো মারিয়া। আবার হয়তো একদিন দেখা হবে। ভাল থেকে পূর্ব ইউরোপের প্যারিসখ্যাত বুখারেস্ট।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর
মবে ব্যর্থ রাষ্ট্রের আশঙ্কা
মবে ব্যর্থ রাষ্ট্রের আশঙ্কা
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
ব্যবসায়ী বিনিয়োগকারীদের নিয়ে এ কোন তামাশা
ব্যবসায়ী বিনিয়োগকারীদের নিয়ে এ কোন তামাশা
মব ভায়োলেন্স প্রতিরোধে সদিচ্ছার অভাব
মব ভায়োলেন্স প্রতিরোধে সদিচ্ছার অভাব
মিল ছিল আবার গরমিলও ছিল
মিল ছিল আবার গরমিলও ছিল
পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত
পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত
খেলাধুলার মানোন্নয়নে ক্রীড়া সাংবাদিকতার ভূমিকা
খেলাধুলার মানোন্নয়নে ক্রীড়া সাংবাদিকতার ভূমিকা
গণঅভ্যুত্থান : জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
গণঅভ্যুত্থান : জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
বিদেশি পর্যটকদের চাহিদা বুঝতে হবে
বিদেশি পর্যটকদের চাহিদা বুঝতে হবে
শান্তিদূতের জামানায় শান্তি কেন ফেরারি?
শান্তিদূতের জামানায় শান্তি কেন ফেরারি?
ফলের রাজ্য পার্বত্য চট্টগ্রাম
ফলের রাজ্য পার্বত্য চট্টগ্রাম
ট্রাম্পের ভাঁওতাবাজি এখন ঘাটে ঘাটে আটকে যাচ্ছে
ট্রাম্পের ভাঁওতাবাজি এখন ঘাটে ঘাটে আটকে যাচ্ছে
সর্বশেষ খবর
সন্ধ্যার মধ্যে ছয় অঞ্চলে ঝড়ের আভাস
সন্ধ্যার মধ্যে ছয় অঞ্চলে ঝড়ের আভাস

১ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

যুদ্ধের পর প্রথমবার প্রকাশ্যে খামেনি
যুদ্ধের পর প্রথমবার প্রকাশ্যে খামেনি

১১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হোসনি দালান থেকে তাজিয়া মিছিল শুরু, কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা
হোসনি দালান থেকে তাজিয়া মিছিল শুরু, কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা

১২ মিনিট আগে | জাতীয়

স্ত্রীকে হত্যা করে থানায় স্বামীর আত্মসমর্পণ
স্ত্রীকে হত্যা করে থানায় স্বামীর আত্মসমর্পণ

২১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতার দুই কোটি টাকা চাঁদা দাবি
চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতার দুই কোটি টাকা চাঁদা দাবি

২৯ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মব সন্ত্রাস কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়
মব সন্ত্রাস কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়

৩৮ মিনিট আগে | জাতীয়

আগস্ট থেকে তেলের উৎপাদন বাড়াবে ওপেক প্লাস
আগস্ট থেকে তেলের উৎপাদন বাড়াবে ওপেক প্লাস

৪৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ করলেন ইলন মাস্ক, দলের নাম ‘আমেরিকা পার্টি’
রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ করলেন ইলন মাস্ক, দলের নাম ‘আমেরিকা পার্টি’

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৫ বছর পর পাকিস্তানে কার্যক্রম বন্ধ করলো মাইক্রোসফট
২৫ বছর পর পাকিস্তানে কার্যক্রম বন্ধ করলো মাইক্রোসফট

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

বসুন্ধরা শুভসংঘের আয়োজনে কুয়াকাটায় ক্যারিয়ার ও মোটিভেশনাল বিষয়ক সেমিনার
বসুন্ধরা শুভসংঘের আয়োজনে কুয়াকাটায় ক্যারিয়ার ও মোটিভেশনাল বিষয়ক সেমিনার

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

স্ত্রীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব, নিজের মুখপাত্রকে বরখাস্ত করলেন নেতানিয়াহু
স্ত্রীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব, নিজের মুখপাত্রকে বরখাস্ত করলেন নেতানিয়াহু

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শাবিপ্রবিতে বসুন্ধরা শুভসংঘের আয়োজনে মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা
শাবিপ্রবিতে বসুন্ধরা শুভসংঘের আয়োজনে মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

হাতীবান্ধায় হত্যা মামলায় চেয়ারম্যান গ্রেফতার
হাতীবান্ধায় হত্যা মামলায় চেয়ারম্যান গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খিলক্ষেতে কাভার্ডভ্যানচাপায় ২ পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিহত
খিলক্ষেতে কাভার্ডভ্যানচাপায় ২ পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিহত

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে নিহত ৭৪০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি
গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে নিহত ৭৪০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৬ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৬ জুলাই)

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পুরান ঢাকায় সকাল ১০টায় বের হবে তাজিয়া মিছিল
পুরান ঢাকায় সকাল ১০টায় বের হবে তাজিয়া মিছিল

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইয়াবা কারবারি চক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার
ইয়াবা কারবারি চক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকায় বৃষ্টির আভাস
ঢাকায় বৃষ্টির আভাস

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইরানে যেভাবে পালিত হয় আশুরা
ইরানে যেভাবে পালিত হয় আশুরা

৪ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

আশুরার দিনের ফজিলত
আশুরার দিনের ফজিলত

৪ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ফাতেমা (রা.)-এর পাঁচ সন্তান
ফাতেমা (রা.)-এর পাঁচ সন্তান

৪ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

আশুরা সম্পর্কিত ঐতিহাসিক ঘটনাবলি
আশুরা সম্পর্কিত ঐতিহাসিক ঘটনাবলি

৪ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

যে কন্যাকে গোপন কথা বলতেন নবীজি (সা.)
যে কন্যাকে গোপন কথা বলতেন নবীজি (সা.)

৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

৫৪ বছর পর গাভাস্কারের রেকর্ড ছাপিয়ে গেলেন গিল
৫৪ বছর পর গাভাস্কারের রেকর্ড ছাপিয়ে গেলেন গিল

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইসলামে শোক পালনের সীমারেখা
ইসলামে শোক পালনের সীমারেখা

৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

মুক্তির আগেই রেকর্ড গড়লো হৃতিকের ‘ওয়ার ২’
মুক্তির আগেই রেকর্ড গড়লো হৃতিকের ‘ওয়ার ২’

৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

যে কারণে জোতার শেষকৃত্যে উপস্থিত হননি রোনালদো
যে কারণে জোতার শেষকৃত্যে উপস্থিত হননি রোনালদো

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে রিয়াল
শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে রিয়াল

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
ছদ্মবেশ ধারণ করেও বাঁচতে পারেননি ইরানি যে জেনারেল!
ছদ্মবেশ ধারণ করেও বাঁচতে পারেননি ইরানি যে জেনারেল!

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অপারেশন সিঁদুরে তিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত’
‘অপারেশন সিঁদুরে তিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত’

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল
কারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে হারতে দেব না, ঘোষণা চীনের
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে হারতে দেব না, ঘোষণা চীনের

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের ‘হিট লিস্ট’: কাতারসহ বিদেশে থাকা হামাস নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা
ইসরায়েলের ‘হিট লিস্ট’: কাতারসহ বিদেশে থাকা হামাস নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন
সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার লুটপাটের থিমে চারটি নতুন পোস্টার প্রকাশ
হাসিনার লুটপাটের থিমে চারটি নতুন পোস্টার প্রকাশ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইহুদি খলনায়ক ‘শাইলক’ মন্তব্যে বিতর্কে ট্রাম্প, কিন্তু কেন?
ইহুদি খলনায়ক ‘শাইলক’ মন্তব্যে বিতর্কে ট্রাম্প, কিন্তু কেন?

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কুমিল্লায় গণপিটুনিতে ৩ জন নিহতের ঘটনায় ৩৮ জনের নামে মামলা
কুমিল্লায় গণপিটুনিতে ৩ জন নিহতের ঘটনায় ৩৮ জনের নামে মামলা

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৫ আগস্টের পর পালিয়ে থাকা আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বরখাস্ত
৫ আগস্টের পর পালিয়ে থাকা আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বরখাস্ত

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সঞ্চয়পত্রের মুনাফা বাড়ালে কেউ ব্যাংকে টাকা রাখবে না : অর্থ উপদেষ্টা
সঞ্চয়পত্রের মুনাফা বাড়ালে কেউ ব্যাংকে টাকা রাখবে না : অর্থ উপদেষ্টা

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

চিঠিতে সই ট্রাম্পের, ১২ দেশের ওপর আসছে নতুন শুল্ক
চিঠিতে সই ট্রাম্পের, ১২ দেশের ওপর আসছে নতুন শুল্ক

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নতুন স্থানে পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে পারে ইরান: ট্রাম্প
নতুন স্থানে পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে পারে ইরান: ট্রাম্প

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আল আকসা নিয়ে ইসরায়েলকে হামাসের নতুন হুঁশিয়ারি!
আল আকসা নিয়ে ইসরায়েলকে হামাসের নতুন হুঁশিয়ারি!

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এখনও এফ-৩৫ পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী এরদোয়ান
এখনও এফ-৩৫ পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী এরদোয়ান

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় নিজেদের ছোড়া গুলিতে নিহত ৩১ ইসরায়েলি সেনা
গাজায় নিজেদের ছোড়া গুলিতে নিহত ৩১ ইসরায়েলি সেনা

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৭ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করল বাংলাদেশ
৭ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করল বাংলাদেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

স্ত্রীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব, নিজের মুখপাত্রকে বরখাস্ত করলেন নেতানিয়াহু
স্ত্রীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব, নিজের মুখপাত্রকে বরখাস্ত করলেন নেতানিয়াহু

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে যেভাবে পালিত হয় আশুরা
ইরানে যেভাবে পালিত হয় আশুরা

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

বিএনপি নামলে নির্বাচন পেছানোর সাহস কারো নেই : গয়েশ্বর
বিএনপি নামলে নির্বাচন পেছানোর সাহস কারো নেই : গয়েশ্বর

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কার্নিশে ঝুলে থাকা তরুণকে গুলি: সাবেক এডিসি রাশেদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ
কার্নিশে ঝুলে থাকা তরুণকে গুলি: সাবেক এডিসি রাশেদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেটে যাচ্ছেন কাল
মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেটে যাচ্ছেন কাল

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আর অপেক্ষা নয়, এবার ইসরায়েলি আগ্রাসনের তাৎক্ষণিক জবাব দেবে ইরান
আর অপেক্ষা নয়, এবার ইসরায়েলি আগ্রাসনের তাৎক্ষণিক জবাব দেবে ইরান

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিই সৌদি আরবের প্রধান অগ্রাধিকার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল
গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিই সৌদি আরবের প্রধান অগ্রাধিকার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে তারাই পিআর নির্বাচন চায় : সালাহউদ্দিন
যাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে তারাই পিআর নির্বাচন চায় : সালাহউদ্দিন

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অস্ত্র হস্তান্তর করবে না হিজবুল্লাহ
অস্ত্র হস্তান্তর করবে না হিজবুল্লাহ

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রবাসী ভাইয়ের লাশ আনতে গিয়ে প্রাণ গেল দুই ভাইয়ের
প্রবাসী ভাইয়ের লাশ আনতে গিয়ে প্রাণ গেল দুই ভাইয়ের

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে’
‘ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে’

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অবৈধদের লুকিয়ে রাখার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় ১ হাজার নিয়োগকর্তা আটক
অবৈধদের লুকিয়ে রাখার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় ১ হাজার নিয়োগকর্তা আটক

১৮ ঘণ্টা আগে | পরবাস

প্রিন্ট সর্বাধিক
নিয়ন্ত্রণহীন মব ভায়োলেন্স
নিয়ন্ত্রণহীন মব ভায়োলেন্স

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকা সফরে আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা সফরে আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

অপরাজিত বাংলাদেশ
অপরাজিত বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

ছুটির ঘোষণা
ছুটির ঘোষণা

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

লাকসামের এরশাদ শিকদার
লাকসামের এরশাদ শিকদার

প্রথম পৃষ্ঠা

আতঙ্কে এনবিআর কর্মকর্তারা
আতঙ্কে এনবিআর কর্মকর্তারা

নগর জীবন

৩ আগস্ট নতুন বাংলাদেশের শপথ হবে
৩ আগস্ট নতুন বাংলাদেশের শপথ হবে

পেছনের পৃষ্ঠা

নওগাঁয় মালয়েশীয় তরুণী বসলেন বিয়ের পিঁড়িতে
নওগাঁয় মালয়েশীয় তরুণী বসলেন বিয়ের পিঁড়িতে

পেছনের পৃষ্ঠা

ইনকিউবেটরের অজগর যাচ্ছে বনে
ইনকিউবেটরের অজগর যাচ্ছে বনে

নগর জীবন

অর্থে স্বাস্থ্যে চড়া মূল্য দিচ্ছে ক্রেতা
অর্থে স্বাস্থ্যে চড়া মূল্য দিচ্ছে ক্রেতা

পেছনের পৃষ্ঠা

রোমাঞ্চকর চন্দ্রগিরি পাহাড়
রোমাঞ্চকর চন্দ্রগিরি পাহাড়

পেছনের পৃষ্ঠা

বিবস্ত্র করে দেওয়া হতো ইলেকট্রিক শক
বিবস্ত্র করে দেওয়া হতো ইলেকট্রিক শক

প্রথম পৃষ্ঠা

মধুবালা-মীনা কুমারী - বন্ধু থেকে কেন শত্রু
মধুবালা-মীনা কুমারী - বন্ধু থেকে কেন শত্রু

শোবিজ

ভরা মৌসুমেও ধরা পড়ছে না ইলিশ
ভরা মৌসুমেও ধরা পড়ছে না ইলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

যে প্রক্রিয়ায় ক্ষমা করতে পারবেন রাষ্ট্রপতি
যে প্রক্রিয়ায় ক্ষমা করতে পারবেন রাষ্ট্রপতি

প্রথম পৃষ্ঠা

নাটকে ইংরেজি ও উদ্ভট নামের প্রাধান্য
নাটকে ইংরেজি ও উদ্ভট নামের প্রাধান্য

শোবিজ

বিএনপির বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে তীব্র উত্তেজনা
বিএনপির বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে তীব্র উত্তেজনা

পেছনের পৃষ্ঠা

দেখা হবে এশিয়ান কাপে
দেখা হবে এশিয়ান কাপে

মাঠে ময়দানে

ইরানের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা চাই
ইরানের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা চাই

প্রথম পৃষ্ঠা

ডিজে তানিয়া বৃষ্টি
ডিজে তানিয়া বৃষ্টি

শোবিজ

বরদাশত নয় ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ
বরদাশত নয় ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ

প্রথম পৃষ্ঠা

তানভির জাদুতে সিরিজে সমতা
তানভির জাদুতে সিরিজে সমতা

মাঠে ময়দানে

আন্তবিশ্ববিদ্যালয় স্কোয়াশ
আন্তবিশ্ববিদ্যালয় স্কোয়াশ

মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশি গীতিকার-সুরকারের গানে হৈমন্তী শুক্লা
বাংলাদেশি গীতিকার-সুরকারের গানে হৈমন্তী শুক্লা

শোবিজ

আজ পবিত্র আশুরা
আজ পবিত্র আশুরা

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন সংবিধান ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি নাগরিক মঞ্চের
নতুন সংবিধান ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি নাগরিক মঞ্চের

নগর জীবন

যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!

সম্পাদকীয়

১৬৭ স্থানে সমাবেশ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে
১৬৭ স্থানে সমাবেশ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্লাব বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা উৎসব
ক্লাব বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা উৎসব

মাঠে ময়দানে