শিরোনাম
প্রকাশ: ১১:৫৮, সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০

বহুমাত্রিক দার্শনিক শেখ হাসিনা

অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত
অনলাইন ভার্সন
বহুমাত্রিক দার্শনিক শেখ হাসিনা
মহীয়সী মাদার তেরেসা একবার বলেছিলেন, ‘কেবল সেবা নয়, মানুষকে দাও তোমার হৃদয়। হৃদয়হীন সেবা নয়, তারা চায় তোমার অন্তরের স্পর্শ’। এই অনন্য বাণী নিজের জীবন ও কর্মে প্রমাণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের মানুষের ভরসার একমাত্র আশ্রয়স্থল তিনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা হিসেবে মানবতা সম্পর্কে ধারণা পাল্টে দিয়েছেন তিনি। তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি, সৃজনশীলতা, বোধ ও ভাবনায় রয়েছে রুচির ছাপ। তাঁর চিন্তার সূক্ষ্মতা, দূরদর্শিতা নৈঃশব্দের পথ বেয়ে অনন্য মাত্রা অর্জন করেছে। তাঁর রাজনৈতিক কর্মজীবন প্রায় চার দশকেরও বেশি সময়ব্যাপী বিস্তৃত। দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী। বাংলাদেশের ইতিহাসে দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালন করা প্রধানমন্ত্রী। বহু বাধা ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে সাহস ও সংগ্রামে উচ্চশিরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। 
 
দুঃখভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে দেশে ফিরে এলেন বঙ্গবন্ধুর প্রথম সন্তান শেখ হাসিনা। আমাদের প্রিয় বড় আপা, পরিবারের কাছে হাসু আপা। দুর্ভাগ্য আমার, সেদিনের এই জনস্রোতের সাক্ষী আমি হতে পারিনি। যেমনটি হয়েছিলাম বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের তেজোদীপ্ত জনস্রোতের, ১০ জানুয়ারি আনন্দ উদ্বেলিত গণসমাবেশে। ১৭ মে ১৯৮১ আমি উচ্চশিক্ষার জন্য তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের অডেসা শহরে ছিলাম। প্রযুক্তির এত উন্নতি তখন হয়নি বিধায় সোভিয়েত ইউনিয়নে সিএনএন এবং বিবিসি দেখা দুর্লভ ছিল। সামান্যটুকু দেখার সুযোগ হয়েছিল রাশিয়ান টিভিতে একঝলকের মতো। তবে বিবিসিতে শুনেছিলাম। ১৭ মে ১৯৮১, বঙ্গবন্ধুকন্যার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে প্রকৃতিও কেঁদেছিল। জাতির জনকের লাখ লাখ সন্তান, ভরসার শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে আজকের জননেত্রীকে কাছে পেয়ে আনন্দ ও বেদনার অশ্রু ফেলেছিল। সে কান্নাই ছিল আশার আলো। জন্ম যেমন প্রত্যন্ত গ্রাম টুঙ্গিপাড়ায়, ঢাকায় বেড়ে উঠলেও তিনি এখনো একজন গ্রামীণ সাধারণ নারী তথা মায়ের মতো। তিনি এসেছিলেন বলেই আজ জাতির জনকের বাংলাদেশ ধাপে ধাপে ১৯৮১-এর ১৭ মে থেকে এ পর্যন্ত অন্ধকারের অমানিশা দূর করে আলোর পথে এগিয়ে যাচ্ছে। তাঁর হাতেই শুরু হয় সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। এ জন্য তাঁকে, বঙ্গবন্ধুর মতো বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষের কাছে ছুটে যেতে হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য তাঁর গতি ছিল দুর্নিবার। তিনি জনগণকে  বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন দেশ ’৭৫-পরবর্তী ’৯০ পর্যন্ত অবৈধ আইনে পরিচালিত হয়েছিল।
 
জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন বঙ্গবন্ধু ঢালাওভাবে রাজাকার, আলবদর, আলশামসসহ যুদ্ধ অপরাধের হোতাদের ক্ষমা করেননি। বঙ্গবন্ধুর ক্ষমার আওতায় ৩৭ হাজার বন্দী দালালের ২৬ হাজার মুক্তি পায়। যাদের কেউ কেউ মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করার জন্য রাজাকারে নাম লিখিয়েছিলেন অথবা জীবন বাঁচানোর জন্য নাম লিখেছিলেন তারা এমন কোনো নৃশংস কাজ করেননি। তিনি এসেছিলেন বলেই জনগণের কাছে, সংসদের কাছে তিনি তা প্রমাণ করতে পেরেছিলেন।
 
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, চট্টগ্রামের মুসলিম লীগ নেতা নবী চৌধুরীর কথা। তিনি অনেক মুক্তিযোদ্ধাকেও রাজাকারের সনদ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন। ঠিক উল্টোটা ছিলেন ফজলুল কাদের চৌধুরী। আওয়ামী লীগ যে দালালদের সাজা দেওয়ার জন্য কিছুই করেনি যারা বলছেন, তারা কি জানেন না, বঙ্গবন্ধু ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করে যে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন, তা কোন পরিস্থিতিতে করা হয়েছিল এবং কাদের ফেরত আনা হয়েছিল। আনা হয়েছিল লাখ লাখ আটকে পড়া বাংলাদেশিকে। জননেত্রী না এলে যেমন যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার হতো না তেমনি বঙ্গবন্ধুর ত্রিপক্ষীয় চুক্তি না হলে আমাদের লাখ লাখ বাঙালির অবস্থা কি হতো! 
 
প্রধানমন্ত্রী ১৯৮১ সালের পর থেকে একদিনের জন্যও ভুলে যাননি, সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদ : ‘প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ।’ তাই সুপ্রিম অথরিটি জনগণের কাছেই তিনি বারবার গিয়েছেন। রাজনৈতিক খেলার অংশ হিসেবে তিনি জেনেশুনে ও অনেক সময় নির্বাচনে গেছেন লাভ তারই হয়েছে, অর্থাৎ জনগণের দল আওয়ামী লীগ সুসংগঠিত হয়েছে। শুধু আন্দোলনের মাধ্যমে তাঁর নেতৃত্বে জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হননি এবং ক্ষমতা থেকে নামার পথও বাতলে দিয়েছিলেন। আর এভাবেই সামরিক শাসনের যবনিকাপাত ঘটল চিরতরের জন্য। শেখ হাসিনার জন্যই জে. মইনুদ্দিন, ড. ফখরুদ্দীনদের একই পরিণতি হয়েছিল। তিন জোটের রূপরেখা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরা এবং বাস্তবায়নের অঙ্গীকার শুধু হয়েছিল জননেত্রীর জন্য। সংসদীয় গণতন্ত্রের রীতি-নীতিও শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
 
গণআদালতের প্রতি তাঁর পূর্ণ সমর্থন ছিল। তিনি প্রভাবকের ভূমিকা পালন করেছিলেন। গণআদালতের সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন তাঁরা জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে, তাঁর প্রত্যক্ষ সমর্থনে গণআদালত করেছেন। গণআদালত : মোকদ্দমা নম্বর ১/১৯৯২। এখানে তারা আসামি করেছেন গোলাম আযমকে, পিতা : মাওলানা গোলাম কবীর, সাকিন পাকিস্তান। তিনিই বঙ্গবন্ধুকন্যা, যিনি ১৯৮১-তে দেশে ফিরেছেন বলেই যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমসহ সব যুদ্ধাপরাধীর বিচারের ব্যবস্থা করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের ওপর যে কলঙ্কজনক অধ্যায় লেপন করা হয়েছে তা আংশিকভাবে হলেও মুছে ফেলা হয়েছে। যদিও বিশাল মুক্তিযুদ্ধপন্থি লোক জননেত্রীর পেছনে রয়েছে, তারপরও আমি বলব ১৯৭১-এর মতো পুরো বাঙালি জাতিকে (কিছু যুদ্ধাপরাধী এবং পাকিস্তানপ্রেমী বাদে) এক হয়ে কাজ করতে হবে। বুঝতে হবে আওয়ামী লীগ তথা শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলা, বাঙালি ও বাংলাদেশকে ভালোবাসার মতো আর কেউ নেই।
 
১৬ এপ্রিল ১৯৯২ সালেই বিরোধীদলীয় নেত্রী হিসেবে সংসদে এক ঐতিহাসিক ভাষণে ’৭৫-পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণ করে তিনি প্রস্তাব আকারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পেশ করলেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেই সেদিন সংসদে দাঁড়িয়ে তিনি এ সত্য ভাষণ প্রদান করতে পেরেছিলেন। প্রস্তাবটি স্বাধীনতাকামী সর্বস্তরের জনগণের হৃদয় জয় করেছিলেন যা হলো নিম্নরূপ ‘একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধাচরণ, যুদ্ধ ও গণহত্যাসহ মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সাধন, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠার পরও পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধারের নামে বাংলাদেশের বিরোধিতা, নিবন্ধীকৃত বিদেশি নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের উদ্দেশ্যে বেআইনি তৎপরতায় লিপ্ত পাকিস্তানি নাগরিক গোলাম আযমের বিরুদ্ধে ১৯৯২-এর ২৬ মার্চ গণআদালতে জনগণের যে মতামত প্রতিফলিত হয়েছে তাকে প্রতিফলন ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতীয় সংসদ আন্তর্জাতিক ক্রাইম (ট্রাইব্যুনাল) অ্যাক্ট-১৯৭৩ অনুসারে ট্রাইব্যুনাল গঠন করে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহ বিচারের আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। এই লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় গোলাম আযম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে প্রসিকিউশন ও বিচারের ব্যবস্থা করবে। বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ জনগণের মতামত প্রতিফলনকারী গণআদালতের উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অসম্মানজনক মামলা দায়েরের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং ওই মামলা প্রত্যাহারের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।’
 
‘আমি আশা করি, আর কোনো দ্বিধা-দ্বন্দ্বে না থেকে শত শহীদের আত্মার প্রতি সম্মান জানিয়ে, শত লাঞ্ছিত মা-বোনের ইজ্জতের প্রতি সম্মান জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও লক্ষ্যকে প্রতিষ্ঠিত রেখে একটা নরঘাতক গোলাম আযমের বিচারের প্রশ্নে আর কোনো দ্বিমত কেউ রাখবেন না। এই আশা পোষণ করে আপনাকে ধন্যবাদ দিয়ে আমার বক্তব্য শেষ করছি। ধন্যবাদ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’ সেই ১৭ মে ১৯৮১ তিনি একা এসেছিলেন। লাখ লাখ মানুষ তাঁকে স্বাগত জানিয়ে অশ্রুজলে বরণ করে নিয়েছিল। হয়তোবা ক্ষণিকের জন্য হলেও তিনি মা-বাবা, ভাই-বোনকে হারানোর ব্যথা ভুলেছিলেন যা কখনো ভোলার নয়। যা তিনি প্রতিনিয়তই অশ্রুসিক্ত নয়নে স্মরণ করেন। সেদিন তিনি দেশের মাটিতে পা রেখেছিলেন একজন গণতন্ত্রকামী নেত্রী হিসেবেই শুধু নয়, একজন বিপ্লবী কমান্ডার হিসেবে। মানিক মিয়া এভিনিউর সেই জনসমুদ্রে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি ঘোষণা করলেন ‘সব হারিয়ে আমি আজ এসেছি, বাংলার মানুষের মুক্তির সংগ্রামে অংশ নিতে। আমার আজ হারানোর কিছু নেই।’ এ যেন জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণেরই পুনঃঅঙ্গীকার। যোগ্য পিতার সুযোগ্য কন্যা। তিনিই হলেন ইতিহাসের একমাত্র জগৎ নন্দিনী এবং জনমদুঃখিনী রাষ্ট্রনায়ক।
 
জাতির জনকের স্বপ্ন ছিল সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। তাঁর স্বপ্নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলার মানুষ। আর আজকের বিজ্ঞান-প্রযুক্তির এই সময়ে আমাদের সংগ্রাম, মহান মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তবুদ্ধির চর্চা ও বাঙালির চেতনার নির্ভরতার প্রতীক শেখ হাসিনা। আমরা বিশ্বাস করি, তাঁর নেতৃত্বে একুশ শতক হবে বিশ্বের বুকে বাঙালির উত্থানের শতক, জেগে ওঠার শতক। তিনি বিরোধী দলের নেতার দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৮১ সাল থেকে তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। জনগণের বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে শেখ হাসিনা প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ১৯৯৬-২০০১ সালে। ২০০৮ থেকে বর্তমানে চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ ক্ষমতাশালী ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত। বিশ্ব জনমতে, ২০১৮ তে ফোর্বস সাময়িকীর দৃষ্টিতে বিশ্বের ক্ষমতাধর ১০০ নারীর তালিকায় তাঁর অবস্থান ছিল ২৬তম।
 
শেখ হাসিনা দেশের সামষ্টিক উন্নয়নে নিয়ত পরিশ্রম করেছেন। বঙ্গবন্ধুর কর্মপ্রেরণা নৈতিক শক্তিরূপে গেঁথে আছে জননেত্রীর মনে। তিনি কঠোর পরিশ্রমী ও স্বাপ্নিক। তাঁর হাতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হয়েছে। জনকল্যাণে দিনরাত কাজ করছেন। তিনি মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য, অবকাঠামো, কর্মসংস্থান সৃষ্টি নিশ্চিত করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ। তাঁর শাসনামলে দেশের আর্থসামাজিক খাতে অভূতপূর্ব অগ্রগতি হয়েছে। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে তাঁর সরকারের উল্লেখযোগ্য সাফল্যগুলো ছিল ভারতের সঙ্গে ৩০ বছর মেয়াদি গঙ্গা নদীর পানি চুক্তি, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি, যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণ এবং খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ং-সম্পূর্ণতা অর্জন। এ ছাড়া, তিনি কৃষকদের কল্যাণমূলক কর্মসূচি এবং ভূমিহীন, দুস্থ মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচি চালু করেন। ২০০৯-২০১৩ মেয়াদে শেখ হাসিনা সরকারের উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলোর মধ্যে রয়েছে বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ১৩,২৬০ মেগাওয়াটে উন্নীতকরণ, গড়ে ৬ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন, ৫ কোটি মানুষকে মধ্যবিত্তে উন্নীতকরণ, চিকিৎসাসেবার জন্য সারা দেশে প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন প্রভৃতি। ২০১৪ সালের পর বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীতকরণ, ভারতের পার্লামেন্ট কর্তৃক স্থল সীমানা চুক্তির অনুমোদন, মাথাপিছু আয় প্রায় ২০০০ মার্কিন ডলারে উন্নীতকরণ, ৩৬ বিলিয়ন ডলারের ওপর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন শুরু ইত্যাদি। 
 
মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতকরণ ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য শেখ হাসিনা নিবেদিতপ্রাণ। তাঁর দেশপ্রেম ও সুচারু সিদ্ধান্তের জন্য বাংলাদেশের অগ্রগতি বহির্বিশ্বে সুনাম অর্জন করছে। ইতিমধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং আর্থসামাজিক উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখার জন্য বিশ্বের বেশকিছু বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রতিষ্ঠান তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান জানিয়েছে। তিনি অনন্য মানবিতকতার অধিকারী। সাধারণ দরিদ্র মানুষকে সহজে জড়িয়ে নেন তাদের উদারভাবে সাহায্য করেন। শিল্প-সাহিত্য অনুরাগী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের একমাত্র নির্ভরতার প্রতীক। একজন লেখক হিসেবে তাঁর সুনাম রয়েছে। লিখেছেন অনেক বই, সম্পাদনা করেছেন বঙ্গবন্ধুর নিজের ডাইরি এবং পাকিস্তান সরকার কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর ওপর নজরদারি, অত্যাচার এবং গোয়েন্দা রিপোর্টের অনেক প্রামাণ্য দলিল। তাঁর রচিত গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’, ‘ওরা টোকাই কেন?’, ‘বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের জন্ম’, ‘দারিদ্র্য বিমোচন, কিছু ভাবনা’, ‘আমার স্বপ্ন, আমার সংগ্রাম’, ‘আমরা জনগণের কথা বলতে এসেছি’, ‘সামরিকতন্ত্র বনাম গণতন্ত্র’, ‘সবুজ মাঠ পেরিয়ে’ প্রভৃতি। তাই এক কথায় বলতে গেলে তিনি একজন বহুমাত্রিক দার্শনিক। 
রাজনীতি শব্দটার সঙ্গে কিছু তাৎপর্যপূর্ণ শব্দ ঐতিহাসিকভাবে সংযোজিত হয়, যেমন পলিটিক্যাল ফিলোসফার, পলিটিক্যাল এক্টিভিস্ট ইত্যাদি। ইতিমধ্যে তিনি রাজনীতির দার্শনিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, অর্থনৈতিক উন্নয়নে রাজনীতির ভূমিকা এবং রাজনৈতিক আন্দোলনসহ রাজনীতির প্রতিটি কোনায় আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে স্বচ্ছন্দ বিচরণ ও দক্ষতার ছাপ রেখেছেন। শেখ হাসিনার নাক, কান ও গলা রোগের ব্যক্তিগত চিকিৎসক হিসেবে তাঁর কাছ থেকে অনেক শিখেছি। একটি কথা না বললেই নয়, আমরা নাক, কান, গলার চিকিৎসক কারও গলার গভীরে কাঁটা বিঁধলে সাধারণ অবচেতন অর্থাৎ অ্যানেসথেসিয়া প্রয়োগ করে অ্যান্ডোসকোপের সাহায্যে বের করি। তাঁর কাছ থেকে শিখেছি গলার একটি অংশকে কীভাবে উপরে ঠেলে দিয়ে কাঁটা বের করা যায়। আমার পেশাগত জীবনে এটি এক বড় অবদান। তাছাড়াও Nafal douching এর মতো এক বিশেষ চিকিৎসা, আমি রোগীদের ওপর প্রয়োগ করে সেবার মান বৃদ্ধি করতে পেরেছি। 
জননেত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্র, ধর্ম নিরপেক্ষতা, সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি ও অগ্রগতিতে বিশ্বাসী এবং দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন তাঁর জীবনের অন্যতম লক্ষ্য। উপমহাদেশের রাজনীতিতে তিনি অনন্য কণ্ঠস্বর। তাঁর শির উন্নত। একজন অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান হিসেবে, সংসদ নেতা হিসেবে অসীম সাহস ও দৃঢ়তার সঙ্গে দেশের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর সমকক্ষ অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ বিরল। জাতির পিতা, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে বাংলাদেশ শেখ হাসিনার হাতেই সবচেয়ে নিরাপদ। আজ ২৮ সেপ্টেম্বর তাঁর জন্মদিন। তাঁকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাই। সুস্থ কর্মজীবন কামনা করি। জয়তু জাতির জনক হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুকন্যা। বহুমাত্রিক দার্শনিক, মাদার অব হিউমিনিটি শেখ হাসিনার জয় হোক। জয় বাংলা। 
 
লেখক: সাবেক উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
 
বিডি প্রতিদিন/হিমেল
এই বিভাগের আরও খবর
বন্দর নিয়ে সদরে-অন্দরে মতলবি তৎপরতা
বন্দর নিয়ে সদরে-অন্দরে মতলবি তৎপরতা
ব্যবসা-বিনিয়োগে লাল বাতি
ব্যবসা-বিনিয়োগে লাল বাতি
একটি বন্য ছাগলের আত্মকথা
একটি বন্য ছাগলের আত্মকথা
কৃষি সমবায়ের সাফল্যগাথা ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
কৃষি সমবায়ের সাফল্যগাথা ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
বিনিয়োগের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন
বিনিয়োগের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন
হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি চায় জাতি
হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি চায় জাতি
আমাদের বিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের সমস্যা!
আমাদের বিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের সমস্যা!
ধূসর হয়ে পড়েছে যে স্বপ্ন
ধূসর হয়ে পড়েছে যে স্বপ্ন
সিসিফাসের পাথর ও রাজনৈতিক বাস্তবতা
সিসিফাসের পাথর ও রাজনৈতিক বাস্তবতা
ঐকমত্য কমিশনের নিরপেক্ষতা ভীষণভাবে নষ্ট হয়েছে
ঐকমত্য কমিশনের নিরপেক্ষতা ভীষণভাবে নষ্ট হয়েছে
রাজনীতির বিবর্তন! বানর থেকে বিজ্ঞানী
রাজনীতির বিবর্তন! বানর থেকে বিজ্ঞানী
কদাকার বিষোদ্‌গার : ছাড় নেই সেনাবাহিনীরও
কদাকার বিষোদ্‌গার : ছাড় নেই সেনাবাহিনীরও
সর্বশেষ খবর
কেনটাকিতে কার্গো বিমান বিধ্বস্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা
কেনটাকিতে কার্গো বিমান বিধ্বস্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা

৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আর্জেন্টিনাসহ ২২ দেশের ২০২৬ বিশ্বকাপের জার্সি উন্মোচন
আর্জেন্টিনাসহ ২২ দেশের ২০২৬ বিশ্বকাপের জার্সি উন্মোচন

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৬ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৬ নভেম্বর)

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বন্দর নিয়ে সদরে-অন্দরে মতলবি তৎপরতা
বন্দর নিয়ে সদরে-অন্দরে মতলবি তৎপরতা

৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

জনসেবায় ছুটে বেড়ান সেবাব্রতী শরীফুজ্জামান
জনসেবায় ছুটে বেড়ান সেবাব্রতী শরীফুজ্জামান

৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বগুড়ায় বিড়ালকে গলাকেটে হত্যা, থানায় জিডি
বগুড়ায় বিড়ালকে গলাকেটে হত্যা, থানায় জিডি

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অবশেষে সিলেট-৪ আসনেই প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী
অবশেষে সিলেট-৪ আসনেই প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী

৫ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

উগ্রতা ঘৃণিত, কোমলতা রহমতপ্রাপ্ত
উগ্রতা ঘৃণিত, কোমলতা রহমতপ্রাপ্ত

৬ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

রাজধানীতে ট্রাকের ধাক্কায় যুবক নিহত
রাজধানীতে ট্রাকের ধাক্কায় যুবক নিহত

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

লেবাননের দক্ষিণে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১
লেবাননের দক্ষিণে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া, ছেলেকে বাংলাদেশ সীমান্তে রেখে পালালেন বাবা
স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া, ছেলেকে বাংলাদেশ সীমান্তে রেখে পালালেন বাবা

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ না, টার্গেট ছিলেন বাবলা : সিএমপি কমিশনার
বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ না, টার্গেট ছিলেন বাবলা : সিএমপি কমিশনার

৮ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিএনপির গণজোয়ারের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্রই আর টিকবে না : নবীউল্লাহ নবী
বিএনপির গণজোয়ারের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্রই আর টিকবে না : নবীউল্লাহ নবী

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিএসএফের ছোঁড়া গ্রেনেডে সীমান্তে আতঙ্ক, বিজিবির প্রতিবাদ
বিএসএফের ছোঁড়া গ্রেনেডে সীমান্তে আতঙ্ক, বিজিবির প্রতিবাদ

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‌‘চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭৫ শতাংশ অগ্রগতি’
‌‘চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭৫ শতাংশ অগ্রগতি’

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রাম-৫ আসনে বিএনপি প্রার্থী মীর হেলালের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু
চট্টগ্রাম-৫ আসনে বিএনপি প্রার্থী মীর হেলালের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু

৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

রুবাবা দৌলাকে নিয়ে রসিকতা, তোপের মুখে অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদ
রুবাবা দৌলাকে নিয়ে রসিকতা, তোপের মুখে অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদ

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নারীর অধিকার ও গণতন্ত্রে ৩১ দফা গুরুত্বপূর্ণ : সেলিমা রহমান
নারীর অধিকার ও গণতন্ত্রে ৩১ দফা গুরুত্বপূর্ণ : সেলিমা রহমান

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইউরোপীয় সামরিক জোটে অংশীদারের মর্যাদা পেল ইউক্রেন
ইউরোপীয় সামরিক জোটে অংশীদারের মর্যাদা পেল ইউক্রেন

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাগেরহাটে পিঠা উৎসব
বাগেরহাটে পিঠা উৎসব

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে গুলির ঘটনায় জামায়াত আমিরের নিন্দা
চট্টগ্রামে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে গুলির ঘটনায় জামায়াত আমিরের নিন্দা

৯ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বগুড়ায় ব্যবসায়ী খুন, স্ত্রী ও খালাতো ভাই গ্রেফতার
বগুড়ায় ব্যবসায়ী খুন, স্ত্রী ও খালাতো ভাই গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘আমজনতার দল’ শীর্ষ দশে না থাকলে রাজনীতি ছাড়বেন তারেক
‘আমজনতার দল’ শীর্ষ দশে না থাকলে রাজনীতি ছাড়বেন তারেক

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পাকিস্তানে ৬৩৬ বিলিয়ন ডলারের স্বর্ণের মজুত আবিষ্কারের দাবি
পাকিস্তানে ৬৩৬ বিলিয়ন ডলারের স্বর্ণের মজুত আবিষ্কারের দাবি

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের হুমকি ‘অনিবার্য’ : মামদানি
ট্রাম্পের হুমকি ‘অনিবার্য’ : মামদানি

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কবিরহাটে ৬ জন নিহতের ঘটনায় মামলা, ট্রাকচালক গ্রেপ্তার
কবিরহাটে ৬ জন নিহতের ঘটনায় মামলা, ট্রাকচালক গ্রেপ্তার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ, একজন নিহত
বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ, একজন নিহত

৯ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শ্রীমঙ্গলে শিয়ালের কামড়ে আহত ১৬
শ্রীমঙ্গলে শিয়ালের কামড়ে আহত ১৬

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গ্রাহকদের জন্য মানসম্পন্ন সংযোগ ও তরঙ্গের সুষম বণ্টন জরুরি : তৈয়্যব
গ্রাহকদের জন্য মানসম্পন্ন সংযোগ ও তরঙ্গের সুষম বণ্টন জরুরি : তৈয়্যব

১০ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

বেরোবির সহযোগী অধ্যাপক ড. শাকিবুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি
বেরোবির সহযোগী অধ্যাপক ড. শাকিবুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি

১০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
আমরা নির্বাচনে জোট করব না: জামায়াত আমির
আমরা নির্বাচনে জোট করব না: জামায়াত আমির

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মামদানির জয়ে যা বললেন ট্রাম্প
মামদানির জয়ে যা বললেন ট্রাম্প

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশের বাজারে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম কত
দেশের বাজারে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম কত

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী অ্যাটর্নি জেনারেল
পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী অ্যাটর্নি জেনারেল

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিউইয়র্কের মেয়র পদে মামদানির ঐতিহাসিক বিজয়
নিউইয়র্কের মেয়র পদে মামদানির ঐতিহাসিক বিজয়

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে ভোটে লড়বেন জোনায়েদ সাকি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে ভোটে লড়বেন জোনায়েদ সাকি

১৬ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

আনিসুলের বান্ধবী তৌফিকার আয়কর নথি জব্দের আদেশ
আনিসুলের বান্ধবী তৌফিকার আয়কর নথি জব্দের আদেশ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘বিএনপির কাছে ২০ আসন চাওয়ার’ বিভ্রান্তিকর সংবাদে এনসিপির প্রতিবাদ
‘বিএনপির কাছে ২০ আসন চাওয়ার’ বিভ্রান্তিকর সংবাদে এনসিপির প্রতিবাদ

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটির কারণে মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত হয়
পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটির কারণে মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত হয়

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুনবাজার-রামপুরা ব্রিজ-কাকলী পর্যন্ত কাল থেকে যানজটের শঙ্কা
নতুনবাজার-রামপুরা ব্রিজ-কাকলী পর্যন্ত কাল থেকে যানজটের শঙ্কা

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গাজীপুরে জবাইকৃত ঘোড়ার মাংস জব্দ, জীবিত উদ্ধার ৩৭টি
গাজীপুরে জবাইকৃত ঘোড়ার মাংস জব্দ, জীবিত উদ্ধার ৩৭টি

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যে কারণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না মামদানি
যে কারণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না মামদানি

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গণসংযোগকালে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ
গণসংযোগকালে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ

১২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

তারেকের অনশনে রাজনৈতিক দলের নেতাদের সংহতি
তারেকের অনশনে রাজনৈতিক দলের নেতাদের সংহতি

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মোহাম্মদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
মোহাম্মদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পাঁচ ইসলামিক ব্যাংক একীভূত হয়ে গঠিত হচ্ছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’
পাঁচ ইসলামিক ব্যাংক একীভূত হয়ে গঠিত হচ্ছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

পাকিস্তানে ৬৩৬ বিলিয়ন ডলারের স্বর্ণের মজুত আবিষ্কারের দাবি
পাকিস্তানে ৬৩৬ বিলিয়ন ডলারের স্বর্ণের মজুত আবিষ্কারের দাবি

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাকির নায়েককে আপাতত বাংলাদেশে আসার অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত
জাকির নায়েককে আপাতত বাংলাদেশে আসার অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ, একজন নিহত
বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ, একজন নিহত

১০ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

৯৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা গণসংহতি আন্দোলনের
৯৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা গণসংহতি আন্দোলনের

১৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় এক পরিবারের পাঁচজন নিহত
কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় এক পরিবারের পাঁচজন নিহত

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আদর্শিক জায়গা থেকে সমঝোতা বা জোট হতে পারে: নাহিদ ইসলাম
আদর্শিক জায়গা থেকে সমঝোতা বা জোট হতে পারে: নাহিদ ইসলাম

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিএনপি অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর থেকে বেশ এগিয়ে: জিল্লুর রহমান
বিএনপি অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর থেকে বেশ এগিয়ে: জিল্লুর রহমান

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চট্টগ্রামে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে গুলির ঘটনায় জামায়াত আমিরের নিন্দা
চট্টগ্রামে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে গুলির ঘটনায় জামায়াত আমিরের নিন্দা

৯ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

আওয়ামী লীগের কর্মসূচি প্রতিহতে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগের কর্মসূচি প্রতিহতে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রুবাবা দৌলাকে নিয়ে রসিকতা, তোপের মুখে অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদ
রুবাবা দৌলাকে নিয়ে রসিকতা, তোপের মুখে অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদ

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান পাচ্ছে সৌদি আরব?
এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান পাচ্ছে সৌদি আরব?

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চট্টগ্রাম-৫ আসনে বিএনপি প্রার্থী মীর হেলালের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু
চট্টগ্রাম-৫ আসনে বিএনপি প্রার্থী মীর হেলালের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু

৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

একটি বন্য ছাগলের আত্মকথা
একটি বন্য ছাগলের আত্মকথা

২২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

বিজয়ী বক্তব্যে যা বললেন জোহরান মামদানি
বিজয়ী বক্তব্যে যা বললেন জোহরান মামদানি

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
নির্বাচন ৫ অথবা ১২ ফেব্রুয়ারি
নির্বাচন ৫ অথবা ১২ ফেব্রুয়ারি

প্রথম পৃষ্ঠা

সিন্ডিকেটের খপ্পরে পিঁয়াজের বাজার
সিন্ডিকেটের খপ্পরে পিঁয়াজের বাজার

পেছনের পৃষ্ঠা

অনলাইন জুয়ায় নিঃস্ব মানুষ
অনলাইন জুয়ায় নিঃস্ব মানুষ

পেছনের পৃষ্ঠা

গণসংযোগের সময় গুলিতে বিএনপি প্রার্থী আহত, একজন নিহত
গণসংযোগের সময় গুলিতে বিএনপি প্রার্থী আহত, একজন নিহত

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সবার আগে বাংলাদেশ
সবার আগে বাংলাদেশ

সম্পাদকীয়

দরকষাকষিতে ব্যস্ত দলগুলো
দরকষাকষিতে ব্যস্ত দলগুলো

প্রথম পৃষ্ঠা

তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে নয় রায় ছিল অনুমাননির্ভর
তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে নয় রায় ছিল অনুমাননির্ভর

প্রথম পৃষ্ঠা

পদ ছেড়ে লড়বেন অ্যাটর্নি জেনারেল
পদ ছেড়ে লড়বেন অ্যাটর্নি জেনারেল

প্রথম পৃষ্ঠা

মশার কামড়ে ঝরছে প্রাণ
মশার কামড়ে ঝরছে প্রাণ

পেছনের পৃষ্ঠা

সৌদির স্কুলে নিয়োগ পাচ্ছে ১৭ হাজার গানের শিক্ষক
সৌদির স্কুলে নিয়োগ পাচ্ছে ১৭ হাজার গানের শিক্ষক

পেছনের পৃষ্ঠা

বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে?
বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে?

প্রথম পৃষ্ঠা

স্ত্রীর পরকীয়ার বলি ব্যবসায়ী
স্ত্রীর পরকীয়ার বলি ব্যবসায়ী

দেশগ্রাম

নিবন্ধন পেতে ইসির সামনে অনশনে ‘আমজনতা’র তারেক
নিবন্ধন পেতে ইসির সামনে অনশনে ‘আমজনতা’র তারেক

নগর জীবন

ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির ঘোষণা রাশিয়ার
ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির ঘোষণা রাশিয়ার

পূর্ব-পশ্চিম

ভোটার এলাকা পরিবর্তনের শেষ সময় ১০ নভেম্বর
ভোটার এলাকা পরিবর্তনের শেষ সময় ১০ নভেম্বর

প্রথম পৃষ্ঠা

গণসংহতির ৯৩ আসনে প্রার্থী যারা
গণসংহতির ৯৩ আসনে প্রার্থী যারা

পেছনের পৃষ্ঠা

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ জরুরি
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ জরুরি

নগর জীবন

কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবি জানিয়েছে সম্মিলিত খতমে নবুয়ত
কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবি জানিয়েছে সম্মিলিত খতমে নবুয়ত

নগর জীবন

রাজশাহীতে ১০ মাসে ২৮ জন এইচআইভি পজিটিভ
রাজশাহীতে ১০ মাসে ২৮ জন এইচআইভি পজিটিভ

পেছনের পৃষ্ঠা

পুণ্যস্নানের মধ্য দিয়ে দুবলার চরে শেষ হলো রাস উৎসব
পুণ্যস্নানের মধ্য দিয়ে দুবলার চরে শেষ হলো রাস উৎসব

পেছনের পৃষ্ঠা

পদ্মার পানি ন্যায্য বণ্টনের দাবিতে বিএনপির সমাবেশ
পদ্মার পানি ন্যায্য বণ্টনের দাবিতে বিএনপির সমাবেশ

দেশগ্রাম

বিরোধকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকা দুই ভাগে বিভক্ত
বিরোধকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকা দুই ভাগে বিভক্ত

নগর জীবন

জকসু নির্বাচনের তফসিল, ভোট ২২ ডিসেম্বর
জকসু নির্বাচনের তফসিল, ভোট ২২ ডিসেম্বর

পেছনের পৃষ্ঠা

অটোচালকের গলা কাটা লাশ উদ্ধার
অটোচালকের গলা কাটা লাশ উদ্ধার

দেশগ্রাম

সচিবালয়, যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
সচিবালয়, যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

নগর জীবন

সম্প্রসারণ শেষ না হতেই সড়ক বিভাজন
সম্প্রসারণ শেষ না হতেই সড়ক বিভাজন

রকমারি নগর পরিক্রমা

নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে কোনো ধরনের হুমকি নেই
নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে কোনো ধরনের হুমকি নেই

নগর জীবন

ফিলিপাইনে টাইফুনে প্রাণহানি বেড়ে ১০০
ফিলিপাইনে টাইফুনে প্রাণহানি বেড়ে ১০০

পূর্ব-পশ্চিম

বৃক্ষরোপণ ও পোনা অবমুক্তকরণ
বৃক্ষরোপণ ও পোনা অবমুক্তকরণ

দেশগ্রাম