তামিম ইকবালের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির পরও চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের কাছে হেরে গেল টাইগাররা। ৩০৬ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৮ উইকেটে, ১৬ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড দল।
লন্ডনের ওভালে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩০৫ রানের বড় সংগ্রহ বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে জো রুটের সেঞ্চুরি, অ্যালেক্স হেলসের সেঞ্চুরি এবং অধিনায় মরগ্যানের দুর্দান্ত হাফ সেঞ্চুরিতে ১৬ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা।
ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ১৩৩ রানের ইনিংস খেলে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন জো রুট। ১২৯ বলে ইনিংসটি ১১টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে সাজানো ছিল। অন্যদিকে হেলস ৮৬ বলে ১১টি চার ও ২টি ছক্কায় ৯৫ এবং মরগ্যান করেন ৬১ বলে ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় করেন ৭৫ রান।
বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট নেন মাশরাফি ও সাব্বির রহমান।
৩০৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা সাবধানী ছিল ইংল্যান্ডের। তবে তৃতীয় ওভারেই উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। মাশরাফির করা তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে স্কুপ করতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে মোস্তাফিজের দুর্দান্ত ক্যাচের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন জেসন রয়।
এরপরই অবশ্য দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ায় ইংল্যান্ড। বাংলাদেশের দারুণ শুরুর পরের গল্পটুকু হেলস ও রুটের। দ্বিতীয় উইকেটে এই দুজন ১৫৩ বলে ১৫৯ রানের অনবদ্য জুটি গড়ে স্বাগতিকদের ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এনে দেন। এরপর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি ইংল্যান্ডকে।
দলীয় ১৬৫ রানের মাথায় হেলসকে বদলি খেলোয়াড় সানজামুল ইসলামের ক্যাচ আউটের শিকার বানিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান সাব্বির রহমান। তবে রুট ও মরগ্যানের দারুণ ব্যাটিংয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড।
এর আগে টস জিতে তামিম-সৌম্য এবং তামিম-ইমরুলের জুটি বাংলাদেশকে দারুণ শুরুর ভিত এনে দেয়। এরপর মুশফিককে নিয়ে তামিমের ১৫০ ছাড়ানো জুটিতে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩০৫ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ গড়ে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে এই প্রথম ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩০০ রান করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় রানের ইনিংস। এর আগে ২০০৬ সালের আসরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৬৫ রান করেছিল টাইগাররা।