আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রথম কোনও টি-টোয়েন্টি সিরিজে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া। এর আগে টি-টোয়েন্টিতে চারবার অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছে টাইগাররা। তবে সবগুলো ম্যাচই ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের।
সেই হিসেবে এটিই হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের প্রথম দ্বিপাক্ষিক কোনও টি-টোয়েন্টি সিরিজ। আজ শুরু হওয়া পাঁচ ম্যাচের এই সিরিজ শেষ হবে ৯ আগস্ট। সিরিজের সবগুলো ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। সবগুলো ম্যাচই শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়।
এই সিরিজ আয়োজনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)-কে অদ্ভুত কিছু শর্ত দিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। এর মধ্যে রয়েছে- ছক্কার মারার পর যতবার বল গ্যালারিতে যাবে ততবার ‘নতুন’ বল দিয়ে শুরু হবে খেলা। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার এমন শর্তও মেনে নিয়েছে বিসিবি।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের এক কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, গ্যালারিতে বল গেলে নতুন বল ব্যবহার করা হবে। তবে একবারে নতুন নয়; ম্যাচের অবস্থা অনুযায়ী আগের বল দেওয়া হবে। অর্থাৎ ১০ ওভারের সময় কোনো বল হারালে ওই অবস্থার বল দেওয়া হবে। এ জন্য বলও সংগ্রহ করা হয়েছে। কোভিডের কারণে হ্যান্ডশেক থাকছে না এই সিরিজে।
করোনা পরবর্তীকালে ক্রিকেট মাঠে গড়ালে আইসিসি বেশ কয়েকটি গাইডলাইন দিয়ে দেয়। তার মধ্যে বল নিয়েও ছিল নির্দেশনা। গ্যালারি উন্মুক্ত হলে এবং ক্রিকেটারদের নাগালে থাকলে সেই বল দিয়েই খেলা চালু রাখার নিয়ম আছে। কিন্তু মিরপুর শের-ই-বাংলায় সেই সুযোগটি নেই। গ্যালারি বেষ্টনি দেয়া। বল একবার গ্যালারিতে গেলে সেই বল কোনওভাবেই খেলোয়াড়দের ফেরত আনার সুযোগ নেই।
এজন্য নতুন বল ব্যবহার করতে হবে। তবে এর আগে মিরপুরে জৈব সুরক্ষা বলয়ে যতগুলো খেলা হয়েছে বল গ্যালারিতে গেলে নতুন বল ব্যবহার করা হয়নি। বল স্যানিটাইজ করে আবার ব্যবহার করেছেন খেলোয়াড়রা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল এতে আপত্তি করেনি।
গ্যালারি থেকে নির্দিষ্ট ব্যক্তি বল ছুঁড়ে দিয়েছে এবং মাঠের ভেতরে থাকা গ্রাউন্ডসম্যানরাও বল ফেরত পাঠিয়েছে। তারা প্রত্যেকেই গ্লাভস পরা থাকতেন। এবারের গ্রাউন্ডম্যানদের বিসিবি কোয়ারেন্টাইনে রেখে জৈব সুরক্ষা বলয়ে ঢুকিয়েছে। মাঠ ও উইকেট সংস্কারের জন্য তারা পিপিই পরে মাঠে প্রবেশ করবেন। তবে খেলার কাজে ব্যবহৃত কোনও সামগ্রী তারা ছুঁয়েও দেখতে পারবেন না।
বিডি প্রতিদিন/কালাম