ক্রোম বাউজার বিক্রির জন্য চাপ বাড়ছে গুগলের ওপর। এ নিয়ে ডিসি (ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়া) ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে আবেদন জানিয়েছে আমেরিকার ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস। অনলাইন সার্চ ইঞ্জিনের ব্যবসায় একচেটিয়া আধিপত্য রয়েছে গুগলের। এই একচেটিয়া ব্যবসাকে বেআইনি দাবি করে অনলাইন সার্চের ব্যবসায় সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা তৈরির পক্ষে জেরা করা হয়েছে। এ জন্যই আদালতে আবেদন করে পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছে ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস।
বিষয়টি কোন দিকে যাবে তা নিয়ে কৌতুহল তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে। কিন্তু গুগল যদি তার ক্রোম ব্রাউজার বিক্রি করতে বাধ্য হয়, তাহলে এর দাম কত উঠতে পারে? তা জানতেও আগ্রহী অনেকেই।
গুগল ক্রোম ব্রাউজারের রমরমা গোটা বিশ্বেই। অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেমের পাশাপাশি অন্য ডিভাইসেও ক্রোমের ব্যবহার বেশি। প্রতি মাসে এই সার্চ ইঞ্জিনের অ্যাক্টিভ ইউজার ৩০০ কোটির বেশি। এই বিপুল সংখ্যক গ্রাহকের জেরে বিজ্ঞাপন থেকে বিপুল আয় হয় গুগলের। কারণ অনলাইন সার্চ মার্কেটের ৯০ শতাংশ গুগলের দখলে।
কিন্তু গুগল যদি ক্রোম বিক্রিতে বাধ্য হয়, সে ক্ষেত্রে এর দাম কত উঠতে পারে, তা জানিয়েছে ব্লুমবার্গ নিউজ। গুগল ক্রোমের দাম উঠতে পারে দুই হাজার কোটি মার্কিন ডলার!
এই বিপুল দাম দিয়ে গুগল ক্রোম কেনার ক্ষমতা খুব কম সংস্থারই রয়েছে। এ বিষয়ে এক বিশ্লেষক ব্লুমবার্গকে জানিয়েছে, অ্যামাজনের মতো টেক জায়ান্ট ক্রোম কিনতে সক্ষম। আবার ক্রোম কেনার দৌড়ে ওপেনএআই অংশগ্রহণ করতে পারে বলে দাবি ওই বিশ্লেষকের। নিজেদের পরিধি বৃদ্ধিতে সার্চ ইঞ্জিন কিনতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলো।
গুগল ক্রোমের রেভিনিউ নিয়ে আলাদা করে তথ্য দেয় না গুগল। গুগলের সামগ্রিক রিপোর্টে এই সংক্রান্ত তথ্য মেলে। তবে স্ট্রিম এবং বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ক্রোমের আয় যে বিপুল, তা ইউজার সংক্রান্ত তথ্য থেকেই বোঝা যায়।
বিডি প্রতিদিন/ইই