স্পা-তে যাওয়ার সময় না পেলে মন খারাপ নয়, বাড়িতেই করে নিন রূপচর্চা। পেশাদারদের মতো না হলেও আপনার সামান্য চেষ্টা আর সঠিক পণ্য ব্যবহারে ত্বকের হারানো উজ্জ্বলতা আর মসৃণতা ফিরিয়ে আনবে। রূপচর্চা বিশেষজ্ঞ এডিটা জারোসের মতে, ‘নিয়মিত পরিচর্যাই মূল চাবিকাঠি।’ তিনি সপ্তাহে অন্তত একবার ফেশিয়াল করার পরামর্শ দেন।
ধাপ ১ : ত্বক পরিষ্কার করুন
প্রথম ধাপটি হলো ত্বককে একটি ‘পরিষ্কার ক্যানভাস’ হিসেবে তৈরি করা। ফেশিয়ালিস্ট জোয়ানা ভার্গাস এই কাজটি করার জন্য ডাবল ক্লিনজিংয়ের পরামর্শ দেন। প্রথমে একটি তেল-ভিত্তিক ক্লিনজার বা বাম ব্যবহার করুন। এটি মেকআপ, ধুলোবালি এবং মরা চামড়া তুলে দেয়। এরপর হালকা গরম, ভেজা কাপড় দিয়ে সব মুছে ফেলুন। ভালো করে ধোয়ার পর ফোম বা ক্রিম-ভিত্তিক ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। ফোম ক্লিনজার তৈলাক্ত ত্বক এবং ক্রিম-ভিত্তিক ক্লিনজার সংবেদনশীল ত্বকের জন্য ভালো।
ধাপ ২ : এক্সফোলিয়েশন
ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো এক্সফোলিয়েশন। এই ধাপে ত্বকের মরা কোষ দূর হয় এবং অতিরিক্ত তেল সরে যায়। এক্সফোলিয়েশন দুই ধরনের হতে পারে । ফিজিক্যাল (স্ক্রাব) এবং কেমিক্যাল (অ্যাসিড)। ডার্মাটোলজিস্ট গ্যারি গোল্ডফ্যাডেন জানান, যাদের তৈলাক্ত ত্বক, তাদের জন্য স্ক্রাব বেশি উপযোগী। শুষ্ক বা সংবেদনশীল ত্বকে ছোট দানাদার স্ক্রাব বা কেমিক্যাল ফর্মুলা ব্যবহার করা উচিত। বিশেষজ্ঞ সোফি প্যাভিট বলেন, ‘ত্বকের সুরক্ষা স্তর যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য এই ধাপে একটির বেশি পণ্য ব্যবহার করা উচিত নয়।’
ধাপ ৩ : মাস্ক ব্যবহার করুন
এই ধাপটি শুধুই আরামের জন্য। আপনার ত্বকের সমস্যা অনুযায়ী মাস্ক বেছে নিন।
► শুষ্ক ত্বক : আধা কাপ টক দইয়ের সঙ্গে অর্ধেক অ্যাভোকাডো এবং এক-চতুর্থাংশ মধু মিশিয়ে ব্যবহারে ত্বক আর্দ্র হবে।
► সংবেদনশীল ত্বক : কাঁচা, গুঁড়ো করা ওটমিল এবং ফ্ল্যাক্সসিড সমান পরিমাণে মিশিয়ে পানি দিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন।
ধাপ ৪ : স্টিমিং
মাস্ক লাগানোর সময় হালকা গরম ভাপ নিলে ভালো ফল পাবেন। এটি ত্বকের বাইরের স্তরকে নরম করে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। আপনার যদি স্টিমার না থাকে, তবে একটি বড় বাটিতে গরম পানি নিয়ে তাতে মুখ রেখে মাথা একটি তোয়ালে দিয়ে ঢেকে দিন। কমলালেবুর টুকরা দিলে ত্বক আরও নরম হবে। তবে ত্বকে খুব বেশি লালচে ভাব এলে এই ধাপটি বাদ দেওয়া উচিত।
ধাপ ৫ : ম্যাসাজে আর্দ্রতা ধরে রাখুন
মাস্ক ধুয়ে ফেলার পর এমন একটি পণ্য ব্যবহার করুন যা ত্বককে আরাম দেয়। ডার্মাটোলজিস্ট ড. মোনা গোহারা গ্লিসারিন, নিয়াসিনামাইড বা সিরামাইডযুক্ত ক্রিম ব্যবহারের পরামর্শ দেন। পণ্যগুলো ত্বকে মিশে যাওয়ার আগেই ম্যাসাজ শুরু করুন। এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে এবং লিম্ফ্যাটিক ড্রেনেজে সাহায্য করে। আঙুল, জেড রোলার বা গুয়া শা টুল ব্যবহার করে চিন থেকে বাইরের দিকে আলতোভাবে ম্যাসাজ করুন।
লেখা : উম্মে হানি