সুন্দর, ঘন, কালো এবং লম্বা চুল পেতে হলে চুলের পুষ্টির দিকে মনোযোগ দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। রূপ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, চুলের প্রয়োজনীয় পুষ্টি নিশ্চিত করতে সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিন দিন তেল ব্যবহার করা উচিত। হারবাল তেল চুলের জন্য খুবই উপকারী, এক্ষেত্রে নারকেল তেলকে সেরা মনে করা হয়। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান, ভিটামিন, মিনারেলস এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা চুল পড়া কমানোর পাশাপাশি চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে এবং প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া অলিভ অয়েল চুল ও মাথার ত্বকে পুষ্টি জোগাতে সক্ষম।
চুলে কতবার তেল লাগাবেন?
চুলে কতবার তেল ব্যবহার করবেন তা নির্ভর করে চুলের ধরনের ওপর। শুষ্ক চুলে নিয়মিত তেল লাগানো ভালো, সম্ভব না হলে সপ্তাহে কমপক্ষে দুই থেকে তিনবার তেল ব্যবহার করতে হবে। অন্যদিকে তৈলাক্ত চুলে এমনিতেই তেলতেলে ভাব থাকে, তাই প্রতিদিন তেল লাগালে চুল আঠালো দেখায়। সেক্ষেত্রে সপ্তাহে একবার তেল লাগিয়ে ভালো মানের শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিলেই যথেষ্ট। সাধারণ চুলের সমস্যা তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় ঘন ঘন তেল দেওয়ার প্রয়োজন নেই; এই চুলে নারকেল তেল ও অলিভ অয়েল বেশ উপকারী, যা সপ্তাহে অন্তত দুবার ব্যবহার করা যেতে পারে।
চুলে তেল লাগানোর সঠিক পদ্ধতি
প্রথমে নারকেল তেল, অলিভ অয়েল, আমন্ড অয়েল, আমলকী তেল বা ক্যাস্টর অয়েলের মতো পুষ্টিকর তেল বেছে নিতে হবে। ব্যবহারের আগে তা হালকা গরম করে নেওয়া কার্যকর। এই কুসুম গরম তেল আঙুলের মাথা ব্যবহার করে আস্তে আস্তে চুল ও মাথার ত্বকে মালিশ করতে হবে। তেলের কার্যকারিতা বাড়াতে এর সঙ্গে অলিভ অয়েল, আমন্ড অয়েল, আমলকীর তেল বা ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে। ভালো ফল পেতে ঘুমানোর আগে তেল দিয়ে তোয়ালে বা পাতলা কাপড় দিয়ে মাথা মুড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়তে পারেন এবং সকালে উঠে শ্যাম্পু করে নিতে হবে। মাথায় তেল মালিশ করার সময় অতিরিক্ত জোরে ঘষা উচিত নয়, কারণ এতে চুলের আগা নরম হয়ে যেতে পারে; আঙুলের ডগা দিয়ে আস্তে আস্তে ১৫-২০ মিনিট মালিশ করাই যথেষ্ট। এতে চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং চুল প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায়। তেল লাগানোর পর হালকা স্টিম নেওয়া যেতে পারে- গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে নিংড়ে নিয়ে তা চুলে পাঁচ মিনিটের জন্য ভালো করে পেঁচিয়ে রাখতে হবে। এভাবে পরপর চার থেকে পাঁচবার স্টিম নিয়ে সব শেষে শ্যাম্পু করে নিলেই হবে।
লেখা : সাদিয়া সারা