‘চন্দন’- যে নাম শুনলেই মনে পড়ে শীতলতা, সুবাস আর রূপচর্চার প্রাচীন এক উপাদান। ঘরোয়া ফেসিয়ালের সঙ্গে অনেকের প্রথম পরিচয়ই হয় এই চন্দনের মাধ্যমে। এর হিলিং ও কুলিং প্রপার্টিজ ত্বকের নানা সমস্যায় দারুণ কার্যকর। ট্যান রিমুভাল, ত্বক ঠান্ডা রাখা, বয়সের ছাপ কমানো- সবকিছুতেই চন্দন এক অনন্য প্রাকৃতিক সমাধান।
চন্দনের উপকারিতা
♦ এটি মুখের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, গভীর থেকে ত্বকের যত্ন নেয়।
♦ এটি ট্যান রিমুভ করে ত্বককে দেয় প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা।
♦ রিঙ্কল ও ফাইন লাইনস কমিয়ে জ ত্বকের বয়স ধরে রাখে।
♦ অ্যাকনে ও পিম্পল দূর করে, ব্রণের দাগ হালকা করে।
♦ ব্ল্যাকহেডস কমায় ও ত্বককে রাখে নরম ও সতেজ।
♦ সংবেদনশীল ত্বকের লালচে ভাব ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
চন্দনের ফেসপ্যাক
চন্দনের নানা ফেসপ্যাক ত্বকের ধরন ও সমস্যার ওপর নির্ভর করে ব্যবহার করা যায়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, রক্তচন্দন বা লাল চন্দন ব্যবহারে ফল ভালো পাওয়া যায়।
♦ শুষ্ক ত্বকের জন্য : লাল চন্দনের গুঁড়ার সঙ্গে নারকেল তেল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটি ত্বকে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
♦ তৈলাক্ত ত্বকের জন্য : চন্দন গুঁড়ার সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে লাগান।
♦ ব্রণ ও দাগের যত্নে : চন্দন গুঁড়া, গোলাপজল, মধু ও এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন।
♦ ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে : ১ চা চামচ চন্দন গুঁড়ার সঙ্গে ২ চা চামচ পাকা পেঁপে মিশিয়ে মুখে ঘষে নিন। এটি স্কিন এক্সফোলিয়েট করে ত্বক উজ্জ্বল করে তোলে।
চন্দনের কার্যকারিতা
♦ চন্দন পাউডার ফ্রি র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করে, দূষণজনিত ত্বকের ক্ষতি কমায়।
♦ এটি অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, ফলে ব্রণ সৃষ্টিকারী জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করে।
♦ অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপার্টিজ ত্বকের জ্বালা ও লালচে ভাব কমায়।
♦ ওপেন পোড় পরিষ্কার করে, ফলে ত্বক নিঃশ্বাস নিতে পারে।
♦ অ্যান্টি-ট্যানিং বৈশিষ্ট্য অতিরিক্ত রোদে পোড়া ত্বককে হালকা করে এবং রং উজ্জ্বল করে তোলে।
♦ নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের ভিতর থেকে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
সহজলভ্য প্রাকৃতিক বিকল্প
আজকাল বাজারে সহজলভ্য স্যান্ডালউড পাউডার পাওয়া যায়, যা দিয়ে প্যাক বানানো যায় সহজেই। পাটায় ঘষার ঝামেলা ছাড়াই আপনি পেতে পারেন একই ফলাফল। চন্দন তাই শুধু একটি উপাদান নয়- এটি এক প্রাকৃতিক স্কিন কেয়ার থেরাপি, যা যুগের পর যুগ ধরে রূপচর্চায় অপরিহার্য হয়ে আছে।
লেখা : উম্মে হানি