শিরোনাম
১৫ জুন, ২০১৯ ১৮:১৩
নতুন উপাচার্যের আলোচনায় ৩ জন

অভিভাবকহীন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়; সেশন জটের আশঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

অভিভাবকহীন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়; সেশন জটের আশঙ্কা

অভিভাবক শূন্য হয়ে পড়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। গত ২৭ মে সদ্য বিদায়ী উপাচার্যের ৪ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর গত প্রায় ৩ সপ্তাহ ধরে উপাচার্য শূন্য বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। এ কারনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম গতি হারিয়েছে। আটকে গেছে বিভিন্ন অনুষদের পরীক্ষা এবং ফলাফল। এতে সেশন জট আর প্রকট হওয়ার আশংকা করেছেন সংশ্লিস্টরা।

প্রধান ব্যক্তি (উপাচার্য) শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যেও গাছাড়া  ভাব লক্ষ্য করা গেছে। স্থবির হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক এবং আর্থিক কর্মকান্ড। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরীক্ষাগারের ব্যবহারিক উপকরন না কিনতে পাড়ায় এবং উন্নয়ন খাতের বরাদ্দ খরচ করতে না পাড়ায় ফেরত যাচ্ছে বিদায়ী অর্থ বছরের অর্থ। এমনকি শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাও আটকে যাওয়ার আশংকা করছেন সংশ্লিস্টরা। 

এদিকে, নতুন উপাচার্য হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ শিক্ষকসহ ৩ জনের নাম জোড়ালোভাবে উচ্চারিত হচ্ছে। তারা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান, ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. একিউএম মাহাবুব এবং ডুয়েট এর গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু নাঈম শেখ। 

গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের এক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রন না জানানোর প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের বাঁচ্চা’ বলে কটাক্ষ করার অভিযোগ ওঠে সদ্য সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. এসএম ইমামুল হকের বিরুদ্ধে। উপাচার্যের ওই মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে পরদিন ২৭ মার্চ থেকে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের মুখে তৎকালীন উপাচার্য তার একক ক্ষমতা বলে ২৮ মার্চ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস এবং আবাসিক হল বন্ধ ঘোষনা করেন। এতে শিক্ষার্থীরা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ছাত্রাবাস ত্যাগ না করে উপাচার্যের অপসারনের এক দফা দাবীতে আন্দোলন শুরু করেন। 

উপাচার্যের অপসারন দাবীতে টানা এক মাসেরও বেশী সময় ধরে ক্লাশ-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এবং কর্মকর্তা- কর্মচারীরাও উপাচার্য অপসারন দাবীর আন্দোলনে যুক্ত হলে পুরোপুরি অচল হয়ে পড়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। 

২৯ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ৪৬ দিনের (১১ এপ্রিল থেকে ২৬ মে) ছুটি অনুমোদন দেন। এই সময়ের জন্য উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হয় ট্রেজারার অধ্যাপক ড. একেএম মাহবুব হাসানকে। গত ২৬ মে উপাচার্যের ৪৬ দিনের ছুটির মেয়াদ শেষ হয়। ২৭ মে ঢাকার লিয়াজো অফিসে শেষ কার্যদিবস অতিবাহিত করেন উপাচার্য ইমামুল হক। মূলত এরপর থেকেই অভিভাবক শূন্য বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। 


বিডি-প্রতিদিন/ তাফসীর আব্দুল্লাহ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর