চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের রোধ কল্পে সরকার ঘোষিত লকডাউন বাস্তবায়নে ২১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নগরজুড়ে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করেছেন।মঙ্গলবার দিনব্যাপী জেলা প্রশাসনের ১৮ জন, বিআরটিএর দুইজন ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মহানগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে দোকানপাট ও শপিংমল খোলা, অপ্রয়োজনে রাস্তায় ঘুরাফেরা করা, ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতীত রাস্তায় গাড়ি বের করাসহ নানা অপরাধে ২১৬ মামলায় ৮৬ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে সেনাবাহিনী, র্যাব, আনসার, বিজিবি ও পুলিশ সদস্যগণ সহযোগিতা করেন।
জানা যায়, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা জান্নাত চকবাজার-বাকলিয়া ও কর্ণফুলী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৩৩টি মামলায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। আকবরশাহ, বায়েজিদ, হালিশহর ও পাহাড়তলি এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী ও মো. মাসুদ রানা ২২টি মামলায় ১২ হাজার ৪০০ টাকা, খুলশী, চাঁন্দগাও ও পাঁচলাইশ এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা আফরোজ ও আব্দুল্লাহ আল মামুন ৩১টি মামলায় ৮ হাজার ৪৫০ টাকা, চকবাজার, বাকলিয়া ও কর্ণফুলী এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইনামুল হাছান ও আশরাফুল হাসান ১৭টি মামলায় ১৬ হাজার টাকা,
চান্দগাঁও, পাচলাইশ ও খুলশী এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খিন ওয়ানু ও সোনিয়া হক ১১টি মামলায় ৬ হাজার ৫০ টাকা, বন্দর, পতেঙ্গা ও ইপিজেড এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্লাবন কুমার বিশ্বাস ৯টি মামলায় ৯ হাজার ৫০০ টাকা, নতুন ব্রিজ ও মইজ্জারটেক এলাকায় বিআরটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শান্তনু কুমার দাস ও শাহারিয়ার মুক্তার ১৬টি মামলায় ৪ হাজার ১০০ টাকা, বাকলিয়া, চকবাজার, চান্দগাও, পাচলাইশ, হালিশহর, পাহাড়তলি, লালখান বাজার এলাকায় চসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী ২১টি মামলায় ৪ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ বিস্তার রোধে জনস্বার্থে অভিযান অব্যাহত থাকবে। লকডাইন চলাকালে কয়েকদিন একটু কষ্ট করলে আমরাই এর সুফল ভোগ করতে পারব।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার