ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, শারীরিক প্রতিবন্ধীত্ব কোন প্রতিবন্ধকতা নয়। মনের প্রতিবন্ধকতাই আমাদের সবচেয়ে বড় বাধা। তাই নিজের ভেতরকার সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সবাইকে এই বাধা অতিক্রম করতে হবে।
শনিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিরাজুল ইসলাম মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাবির যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং আন্তর্জাতিক অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এর আগে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা এবং কেক কেটে বিভাগটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।
আলোচনা সভায় অংশ নেন ঢাবি সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম, টেলিভিশন এন্ড ফিল্ম স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন আহমেদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক এস আই মল্লিক, যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের চেয়ারপার্সন হাকিম আরিফ ও প্রভাষক শারমিন আহমেদ প্রমুখ।
উপাচার্য বলেন, প্রতিটি মানুষের মাঝে অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এই সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগানোর সুযোগ করে দেওয়াই অন্যদের দায়িত্ব। হাত, পা বা চোখ না থাকার কারণে যাদেরকে প্রতিবন্ধী বলা হচ্ছে তারা আসলে প্রতিবন্ধী না। সুযোগ করে দিলে তারাও অনেক কিছু করতে পারে। প্রতিবন্ধীত্ব যে আসলে কোন প্রতিবন্ধকতা নয় তার বড় প্রমাণ স্টিফেন হকিংস। নানা সমস্যাকে জয় করেছেন তিনি। তার কাছ থেকে আমাদের অনুপ্রেরণা নিতে হবে।
তিনি বলেন, মনের প্রতিবন্ধত্বের কারণে আমরা সমাজে নানা অন্যায় দেখছি। আমরা একজন সুস্থ মাকে তার সন্তানকে হত্যা করতে দেখছি। এটিই সমাজের জন্য বড় বাধা। আমদের সবাইকে এই বাধা অতিক্রম করতে হবে।
এসময় মানুষের মাঝে বিদ্যমান শারীরিক ও মানসিক বৈকল্য দূর করতে ঢাবির যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অগ্রণী ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
বিডি-প্রতিদিন/০২ এপ্রিল, ২০১৬/মাহবুব