চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় ২০১৩ সালে একটি ট্রমা সেন্টার উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু গত ১৩ বছর এটি অবহেলায় অলস পড়েছিল। নষ্টও হয় নানান চিকিৎসা উপকরণ এবং আসবাব। অবশেষে সেন্টারটি চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকারি উদ্যোগ এবং বেসরকারি চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপতালের কারিগরি ও জনবল সহায়তায় এটি চালু করা হচ্ছে। আগামী আগস্ট থেকে লোহাগাড়া ট্রমা সেন্টার এবং সেপ্টেম্বর থেকে হাটহাজারী ট্রমা সেন্টার চালুর প্রস্তুতি নিয়ে কাজ চলছে। জানা যায়, মহাসড়কে নিয়মিতই দুর্ঘটনা হয়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সরকার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়ায় একটি, চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের হাটহাজারী একটি এবং চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়কের রাউজানে একটি ট্রমা সেন্টার নির্মাণ করে। শারীরিক-মানসিক নির্যাতন এবং সহিংসতায় আহত মানুষের দ্রুত চিকিৎসাসেবার জন্য এগুলো নির্মিত হয়। কিন্তু ভবন নির্মাণ করলেও সেখানে জনবল, বিভিন্ন জরুরি উপকরণ দেওয়া হয়নি। ফলে কেন্দ্রগুলো অযত্ন-অবহেলায় পড়েছিল। এখন সরকারি উদ্যোগ এবং বেসরকারি কারিগরি সহায়তায় লোহাগাড়া ও হাটহাজারীর ট্রমা সেন্টার দুটি চালু করা হচ্ছে। তিন তলাবিশিষ্ট প্রতিটি সেন্টারে আছে ২০টি করে শয্যা। এর মধ্যে ১৮টি সাধারণ ও দুটি বিশেষ কেবিন। চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপতালের উপাধ্যক্ষ ডা. মুসলিম উদ্দিন সবুজ বলেন, ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠা হওয়া ট্রমা সেন্টার চালু না হওয়াটা দুঃখজনক। সরকারের আহ্বানে আমরা সাড়া দিয়ে সরকারি উদ্যোগ, গণপূর্তের ভৌতিক এবং আমাদের কারিগরি সহায়তায় দুটি সেন্টার চালু করা হচ্ছে।
সরকার বড় মেশিনগুলো দেবে। আমরা ট্রলি, অপারেশন থিয়েটার স্থাপন ও এর প্রয়োজনীয় উপকরণ, চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ড বয়, আয়া দেব। প্রাথমিকভাবে তিন শিফটে ২৪ ঘণ্টা বহির্বিভাগ চালু হবে। এরপর প্রস্তুতি নিয়ে অন্তবিভাগ চালু করা হবে।