সোমবার, ১৪ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষের মামলায় গ্রেফতার ১৩

মাদারীপুর প্রতিনিধি

মাদারীপুরে জেলা আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী মামলায় ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। গতকাল সদর মডেল থানায় মামলটি করে এসআই মো. খসরুজ্জামান। এ ঘটনায় ৯৬ জনকে  আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত রয়েছে ২০০ থেকে ৩০০ আসামি। পরে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে ১৩ জনকে  গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সম্প্রতি মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাবুদ্দিন আহম্মেদ  মোল্লা সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান এমপির বাবা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মৌলভী আছমত আলী খানকে নিয়ে কটূক্তি করেছে এমন অভিযোগ তুলে সাহাবুদ্দিন মোল্লার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছেন শাজাহান খান গ্রুপের লোকজন। এরই অংশ হিসেবে গত শনিবার সকালে সদর উপজেলার কলাবাড়িতে একই স্থানে মানবববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেয় শাজাহান খান গ্রুপ ও সাহাবুদ্দিন মোল্লা গ্রুপ সমর্থক কর্মীরা। পুলিশের ওপর দলীয় নেতা-কর্মীরা আক্রমণ শুরু করলে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এতে তিন পুলিশসহ আহত হয় বেশ কয়েকজন। এ সময় উত্তেজিত নেতা-কর্মীরা বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংকের ঘটকচর শাখা এবং মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব সরদারের মার্কেটসহ বেশ কয়েকটি দোকান ও ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এই ঘটনায় বাহাউদ্দিন নাছিমপন্থি নেতা সোহরাব সরদার বাদী হয়ে ৩২জনকে আসামি করে একটি অভিযোগ করেছে। শাজাহান খান গ্রুপ থেকেও থানায় অভিযোগ দেওয়া হবে বলেও জানা গেছে।

তবে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযোগ করেনি। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে মাদারীপুরে জেলা আওয়ামী লীগ দুটি গ্রুপে বিভক্ত। একটি গ্রুপের  নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আফম বাহাউদ্দিন নাসিম এবং অন্যটির নেতৃত্ব দেন সাবেক  নৌপরিবহন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান। বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাবুদ্দিন আহম্মেদ মোল্লা বাহাউদ্দিন নাসিমের অনসারী। মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. কামরুল ইসলাম মিঞা জানান, পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার ১৩ জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

সর্বশেষ খবর