লালমনিরহাটের বহুল আলোচিত জলিল হত্যার জট খুলেছে। তাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন পরকীয়া প্রেমিক রব্বানী ও প্রেমিকা মৃত আবদুর জলিলের স্ত্রী মমিনা বেগম। জলিল হত্যার আসল রহস্য উদঘাটন ও পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহরের সাপটানা কবরস্থানে দাফন হওয়ার ১১ দিন পর গতকাল জলিলের মরদেহ উত্তোলন করে পুলিশ। ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার রাতে তাদের আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা হত্যার ঘটনা স্বীকার করে। গত ২২ জুলাই রাতে লালমনিরহাট পৌসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝাপাড়া এলাকার কাঁচামাল ব্যবসায়ী আবদুল জলিলকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। পরদিন সকালে জলিলের স্ত্রী মমিনা বেগম প্রতিবেশীদের বলেন, তার স্বামী স্ট্রোক করে মারা গেছেন। পরে মমিনা বেগমের বাবার বাড়ির লোকজন পুলিশকে না জানিয়ে তড়িঘড়ি করে জানাজা শেষে লাশ দাফন করেন। ২৪ জুলাই বিকালে মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করে বাড়িতে মিলাদ মাহফিলও করা হয়। ওই মিলাদ মাহফিলে মরহুমের স্ত্রী ও মরহুমের বড় ভাই আবদুর রশিদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। জলিলের স্ত্রীর কথাবার্তায় সন্দেহ হলে মরহুমের বড় ভাই আবদুর রশিদ ২৫ জুলাই লালমনিরহাট পুলিশ সুপার ও সদর থানা পুলিশ বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ আমলে নিয়ে লালমনিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) মারুফা জামান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যান এবং কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসেন। রাতে সেখানে মমিনা ও রব্বানী জলিলকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন। তাদের দুজনের মধ্যে পরকীয়া সম্পর্ক থাকার কারণেই ওই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে তারা জানান।