স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির অনন্য নাম কমিউনিটি ক্লিনিক। কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যসেবার সুফল ভোগ করছে গ্রামীণ জনপদের মানুষ। দিনে দিনে সম্প্রসারিত হচ্ছে কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম। স্বাস্থ্যসেবাবঞ্চিত গ্রামীণ জনপদের মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ১৯৯৬ সালে সরকার জনকল্যাণমূলক এ প্রকল্পটি চালু করে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ২০০১ সালে জনপ্রিয় এ স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্পটি বন্ধ করে দিলেও পরবর্তীকালে ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক প্রচষ্টায় আবারও চালু হয় কমিউনিটি ক্লিনিক। প্রতিটি ক্লিনিকে চিকিত্সাসেবা প্রদানের জন্য নিয়োজিত রয়েছেন একজন হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার। একজন হেলথ প্রোভাইডার সপ্তাহে ছয় দিন, একজন স্বাস্থ্য সহকারী ও একজন পরিবারকল্যাণ সহকারী সপ্তাহে তিন দিন করে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেন। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোয় প্রতিদিন প্রচুর রোগী চিকিৎসার জন্য আসেন। কোনো কোনো ক্লিনিকে দিনে গড় রোগীর সংখ্যা ৬০ থেকে ৮০ জন। ক্লিনিকগুলো থেকে স্বাস্থ্যসেবায় জনগণের মধ্যে রয়েছে ব্যাপক আগ্রহ।
সেবা গ্রহণকারীদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর কল্যাণে চিকিৎসাসংক্রান্ত অনেক দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পাচ্ছেন তারা। গ্রামের মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় কমিউনিটি ক্লিনিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ক্লিনিকগুলোর সেবা বাড়াতে সরকার আরও পদক্ষেপ নেবে, এমনটিই কাম্য।
—অমিত বণিক
উন্নয়ন কর্মী,কটিয়াদী, কিশোরগঞ্জ