শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

এম আবদুর রহিম : সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য

মোজাম্মেল বিশ্বাস
প্রিন্ট ভার্সন
এম আবদুর রহিম : সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য

বাংলাদেশের স্বাধীনতা পূর্ব ও পরবর্তী সময়ে জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে এম আবদুর রহিম (১৯২৭-২০১৬) ছিলেন বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত রাজনৈতিক সহচর। এ সময় তিনি সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির ৩৪ জন সদস্যের অন্যতম হিসেবে সংবিধান প্রণয়নে অবদান রাখেন। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাকালীন সংবিধান প্রণয়ন কমিটির কার্যক্রমের দায়িত্ব পালনে তিনি প্রান্তিক দিনাজপুর অঞ্চলের গণমানুষের অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ ও সম্প্রীতির বাঙালি জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক অভিব্যক্তির মতামত প্রকাশের প্রতিনিধিত্ব করেন। মূলত ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের পর বাংলাদেশ কার্যত একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত হয়। মুজিবনগরস্থ স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার ২২ ডিসেম্বর ঢাকায় আগমন করে দেশের প্রকৃত শাসনভার গ্রহণ করে। মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন (১০ জানুয়ারি ১৯৭২) পর্যন্ত বাংলাদেশের শাসন স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুসারে পরিচালিত হয়েছিল। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পরদিন (১১ জানুয়ারি ১৯৭২) রাষ্ট্রপতি হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমান ‘বাংলাদেশ অস্থায়ী সংবিধান আদেশ’ জারি করেন। এ আদেশের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকার পদ্ধতির পরিবর্তন সাধন করা হয়। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে রাষ্ট্রপতির হাতে পূর্ণ কর্তৃত্ব ন্যস্ত করা হয়েছিল। ১১ জানুয়ারি ১৯৭২ ঘোষিত ‘অস্থায়ী সংবিধান আদেশে’ বাংলাদেশে সংসদীয় শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়। ১২ জানুয়ারি শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী উপাধি সর্বস্ব রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত হন। একই দিনে শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।

বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের লক্ষ্যে সরকার ১৯৭২ সালের ২৩ মার্চ ‘গণপরিষদ আদেশ’ জারি করে। এ আদেশের মাধ্যমে ১৯৭০ সালে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে নির্বাচিত জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ সদস্যগণকে নিয়ে গণপরিষদ গঠন করা হয়। গণপরিষদের একমাত্র দায়িত্ব ছিল বাংলাদেশের জন্য একটি সংবিধান প্রণয়ন করা। এ আদেশ জারির পরপরই সংবিধান প্রণয়ন প্রক্রিয়া শুরু হয়। রাষ্ট্রপতি ১০ এপ্রিল ১৯৭২ গণপরিষদের অধিবেশন উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ৪১৪ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সংবিধানের খসড়া প্রণয়নের লক্ষ্যে ১১ এপ্রিল একটি কমিটি গঠন করা হয়। ৩৪ সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন ড. কামাল হোসেন। এ সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত সহযোগী ও দিনাজপুরের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট এম আবদুর রহিম। কমিটিকে পরবর্তী ১০ জুনের (১৯৭২) মধ্যে গণপরিষদে সংবিধানের খসড়া উপস্থাপন করতে বলা হয়। সে অনুযায়ী কমিটি অত্যন্ত দ্রুত সংবিধানের খসড়া প্রণয়নের কাজ শুরু করে। ১৭ এপ্রিল কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের কাছ থেকে সংবিধানের রূপকল্প বিষয়ে প্রস্তাব আহ্বান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কমিটির ঘোষিত শেষ তারিখের (৮ মে ১৯৭২) মধ্যে কমিটি ৯৮টি সুপারিশমালা লাভ করে। পূর্ব নির্ধারিত ১০ জুনের মধ্যে কমিটি সংবিধানের খসড়া প্রণয়ন করতে সক্ষম হয়।

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানটিকে ত্রুটিমুক্ত করার উদ্দেশ্যে কমিটি একজন ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করে। ১৯৭২ সালের ১১ অক্টোবরের মধ্যে কমিটি সংবিধানের খসড়া চূড়ান্তভাবে প্রণয়ন করে। সংবিধানের খসড়া চূড়ান্ত করার আগে ৯ অক্টোবর তা আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে উপস্থাপিত ও আলোচিত হয়েছিল। এভাবে প্রণীত চূড়ান্ত খসড়াটি কমিটির সভাপতি এবং দেশের আইনমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন সংবিধানের বিলের আকারে গণপরিষদের অধিবেশনে উপস্থাপন করেন। ১৮ অক্টোবর থেকে গণপরিষদে সংবিধান বিল সম্পর্কে সাধারণ আলোচনা হয় এবং ৩০ অক্টোবর তা সমাপ্ত হয়। ৩১ অক্টোবর থেকে গণপরিষদে খসড়া সংবিধানের ধারাওয়ারি আলোচনা শুরু হয়। ৩ নভেম্বর পর্যন্ত সেই আলোচনা চলে। এ আলোচনা সভায় সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য হিসেবে এম আবদুর রহিম সংসদে উপস্থিত সদস্যদের এক প্রশ্নের জবাবে সংবিধানের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ধর্মনিরপেক্ষতা ও অসাম্প্রদায়িক বিষয়ের পক্ষে তাঁর যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করেন। এভাবে আলোচনাকালে সদস্যগণ কর্তৃক আনীত কতিপয় যৌক্তিক সংশোধনী প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে সংবিধান বিলটি পাস হয়।

বঙ্গবন্ধু তাঁর রাষ্ট্রচিন্তার আলোকেই ১৯৭২ সালে প্রণীত বাংলাদেশের সংবিধানে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র এবং গণতন্ত্রের পাশাপাশি ধর্মনিরপেক্ষতাকে রাষ্ট্রের অন্যতম মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। রাষ্ট্রের এসব মূলনীতিকে কেউ কেউ মুজিববাদও বলে থাকেন। বঙ্গবন্ধুর এ ধর্মনিরপেক্ষতা জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করার মহৎ উদ্দেশ্যেই সংবিধানে যাবতীয় সাম্প্রদায়িকতা, কোনো একটি বিশেষ ধর্মের জন্য রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মকে ব্যবহার এবং ধর্মের ভিত্তিতে বিভক্তি করার অপচেষ্টাকে বিলুপ্ত করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ভাষণদানকালে বলেছিলেন : বাংলাদেশে মুসলমান মুসলমানদের ধর্ম পালন করবে। হিন্দু তার ধর্ম পালন করবে। খ্রিস্টান তার ধর্ম পালন করবে। বৌদ্ধও তার নিজের ধর্ম পালন করবে। এ মাটিতে ধর্মহীনতা নাই, ধর্মনিরপেক্ষতা আছে। এর একটা মানে আছে। এখানে ধর্মের নামে ব্যবসা করা চলবে না। ধর্মের নামে মানুষকে লুট করে খাওয়া চলবে না। ধর্মের নামে রাজনীতি করে রাজাকার-আলবদর পয়দা করা বাংলার বুকে আর চলবে না। সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না। বঙ্গবন্ধু প্রায়ই বিভিন্ন বক্তৃতা-বিবৃতিতে এবং নানান আলাপচারিতায় দেশে-বিদেশে এভাবেই তাঁর ধর্মনিরপেক্ষতার ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন।

মূলত বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ ছিল একটি অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক সংগঠন। ব্যক্তিগতভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরোধী। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মকে ব্যবহার করা তিনি বরাবরই ঘৃণা করতেন। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির অবসান ঘটানোর জন্য তিনি তাই রাষ্ট্রীয় মূলনীতিতে ‘ধর্মনিরপেক্ষ নীতি’ সংযোজন করেন। ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে ধর্ম ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর নানা সমালোচনা ও বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে গণপরিষদসহ বিভিন্ন ভাষণে বঙ্গবন্ধু এ বিষয়ে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি ও ব্যাখ্যা তুলে ধরেছেন। ৪ নভেম্বর ১৯৭২ গণপরিষদে সংবিধান-বিলের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন : ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। বাংলার সাড়ে ৭ কোটি মানুষের ধর্ম-কর্ম করার অধিকার থাকবে। আমরা আইন করে ধর্মকে বন্ধ করতে চাই না এবং করবও না।...মুসলমানরা তাদের ধর্ম পালন করবে- তাদের বাধা দেওয়ার ক্ষমতা এ রাষ্ট্রে কারও নাই। হিন্দুরা তাদের ধর্ম পালন করবে- কারও বাধা দেওয়ার ক্ষমতা নাই। বৌদ্ধরা তাদের ধর্ম পালন করবে- তাদের কেউ বাধাদান করতে পারবে না। খ্রিস্টানরা তাদের ধর্ম পালন করবে- কেউ বাধা দিতে পারবে না। আমাদের শুধু আপত্তি হলো এই যে, ধর্মকে কেউ রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে না।

এম আবদুর রহিমসহ সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্যরা ১৯৭২ সালে খসড়া সংবিধান প্রণয়নের প্রেক্ষাপটে সংবিধানের মূল ধারায় ধর্মনিরপেক্ষতাকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। এ বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সহযোদ্ধা এম আবদুর রহিম। তিনি নিজেই ধর্মপ্রাণ পরিবারের অনুগামী ও ধর্মকর্মের নিয়ম-বিধান নিয়মিত অনুসরণ করলেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ন্যায় রাজনৈতিক ব্যক্তিক চরিত্রের প্রকাশে মানবতাবাদী এম আবদুর রহিম কোনো দিন ধর্মান্ধতায় আচ্ছন্ন ছিলেন না। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক বাঙালি জাতীয়তাবাদের রাজনৈতিক অনুসরণকারী ব্যক্তিত্ব। এ প্রসঙ্গে বলা যায়, একদিন আবুল মনসুর আহমদের সঙ্গে আলাপচারিতায় এ কে ফজলুল হক সম্পর্কে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় বলেছিলেন, ‘ফজলুল হক মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত খাঁটি বাঙালি। সেই সঙ্গে ফজলুল হক মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত খাঁটি মুসলমান। খাঁটি বাঙালিত্বের সাথে খাঁটি মুসলমানত্বের এমন অপূর্ব সমন্বয় আমি আর দেখি নাই। ফজলুল হক আমার ছাত্র বলে বলছি না, সত্য বলেই বলছি। খাঁটি বাঙালিত্ব ও খাঁটি মুসলমানত্বের সমন্বয়ই ভবিষ্যৎ বাঙালির জাতীয়তা’। এই বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা যেমন ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তেমনি তাঁরই রাজনৈতিক আদর্শের উত্তরসূরি অসাম্প্রদায়িক চেতনার অগ্রদূত খাঁটি মুসলমান ও খাঁটি বাঙালি ছিলেন এম আবদুর রহিম। 

আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে (১৯৭২-৭৫) উল্লেখযোগ্য সাফল্য ছিল বাংলাদেশের জন্য একটি সংবিধান প্রণয়ন করা। মাত্র এক বছরের মধ্যে একটি সংবিধান প্রণয়নের জন্য আওয়ামী লীগকে প্রশংসা করতেই হয়। সংবিধানটি ছিল একটি সুলিখিত দলিল। এ সংবিধানে জনগণের তৎকালীন আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন সন্নিবেশিত হয়েছিল। মুক্তি সংগ্রামের সময় আওয়ামী লীগ জাতির সামনে যেসব প্রতিশ্রুতি রেখেছিল এ সংবিধানে সেগুলোর অধিকাংশের বাস্তবায়ন ঘটানোর চেষ্টা হয়েছে। ১৯৭২ সালের এ গণমুখী খসড়া সংবিধান প্রণয়নে দিনাজপুরের জননেতা এম আবদুর রহিম ছিলেন অন্যতম প্রণেতা। যুক্তরাষ্ট্রের যারা প্রথম খসড়া সংবিধান রচনা করেছিলেন তাদের ‘ফাদার ফিগার’ বলা হয়। বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে যাঁরা খসড়া সংবিধান রচনা করেছিলেন দীর্ঘ দিবস-রজনী অতিবাহিত করে তাঁদের রাষ্ট্র কোনো সম্মানে ভূষিত করেছে বলে আমাদের জানা নেই। ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর বাংলাদেশের খসড়া সংবিধান রচনা সমাপ্ত হয়। ওই দিনটি হতে পারত রাষ্ট্রীয়ভাবে সংবিধান দিবস। একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রে, রাষ্ট্র পরিচালনায় সংবিধানের মৌলনীতি, নির্দেশনা ও তাৎপর্য হয়তো আমরা এখনো উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হচ্ছি।

জাতীয় সংসদে সংবিধান কমিটি কর্তৃক খসড়া সংবিধানবিষয়ক আলোচনায় সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতার প্রশ্নে সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য এম আবদুর রহিম তাঁর যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করেন। এ প্রসঙ্গে তৎকালীন সংসদ সদস্য ও সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ তাঁর শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনে এম আবদুর রহিম সম্পর্কে বলেন :

খসড়া সংবিধান রচনায় রাষ্ট্রীয় মূলনীতি, বিশেষ করে ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে খন্দকার মোশতাক কূট প্রশ্ন তুলে বলেছিলেন, ‘মুসলিম দেশে ধর্মনিরপেক্ষতা রাষ্ট্রীয় আদর্শ হতে পারে না।’ সে সময় ইসলাম ধর্মের মৌল দিকগুলো অবলীলায় ব্যাখ্যা করে অ্যাডভোকেট এম আবদুর রহিম বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছিলেন এবং কোরআন-হাদিসের আলোকে প্রমাণ করেছিলেন, ধর্মনিরপেক্ষতা ইসলামবিরোধী নয়, কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে তো নয়ই।

বিষয়টি সুদূরপ্রসারী ও তাৎপর্যপূর্ণ। এখনো চলমান। ধর্মনিরপেক্ষতা তুলে দেওয়ার ফলে আজ রাষ্ট্রের সর্বাঙ্গে জঙ্গিবাদের রক্তাক্ত থাবার উৎস খুঁজে নিতে হবে এখানেই। জাতির পিতাকে হত্যা করার পর সামরিক ফরমান বলে সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান সংবিধানের মৌলিক পরিবর্তন করেন। এর বিরুদ্ধে লক্ষ্য করেছি, সে সময় আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতা মাথা ঘামিয়েছেন বলে মনে হয়নি। শ্রদ্ধেয় রহিম ভাই কীভাবে ১৯৭২ সালে রক্তেঅর্জিত সংবিধানকে লন্ডভন্ড করা হয়েছে সে বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ আলাপ করেন। কিন্তু বেশকিছু বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনার সময় দেখতে পেলেন, সংবিধানের এ পরিবর্তনের ফলে জাতির যে অপূরণীয় ধ্বংসাত্মক ক্ষতি হবে, জাতি যে পুনরায় পাকিস্তানি ভাবধারায় চলে যাবে- এ সম্পর্কে তারা নির্মোহ ও অনাগ্রহী। তখন বাধ্য হয়ে অ্যাডভোকেট এম আবদুর রহিম জাতির পিতার আদর্শ ও দর্শনে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজেই সামরিক ফরমান দ্বারা সংবিধানের কোন কোন অনুচ্ছেদ পরিবর্তন বা সংশোধন হয়েছে তার উদ্ধৃতি দিয়ে পাল্টা ব্যাখ্যা করে বলেন, সামরিক ফরমানে সংবিধান সংশোধন করার অধিকার জনগণ কাউকে দেয়নি।

এম আবদুর রহিম সংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদে ধর্মনিরপেক্ষতা, ৩৮ অনুচ্ছেদে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করা যাবে না-সহ দালাল আইন বাতিল এবং দালালদের ক্ষমা করে প্রকারান্তরে তাদের রাজনীতি করার যে অধিকার দেওয়া হয়েছিল তার বিরুদ্ধে প্রায় হাজার কপি পুস্তিকা ছাপিয়ে সংসদ সদস্য, নেতৃবৃন্দের হাতে পৌঁছে দেন। পরে ১৯৯১ সালে পার্লামেন্টে যখন সুযোগ পেয়েছেন সামরিক ফরমানে সংশোধিত এসব অশুভ অনুচ্ছেদ সম্পর্কে সোচ্চার ছিলেন। একজন মানুষ কড়া সামরিক শাসনের মধ্যেও দেশ-জাতির স্বার্থে জাতির পিতার মহান স্বপ্ন ও আকাক্সক্ষাকে ধারণ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের মৌল চেতনায় যাপিত জীবনকে সমৃদ্ধ করেছেন। স্বকালে হয়তো আমরা গুরুত্ব দিতে পারিনি; কিন্তু আগতকালের ইতিহাস তাঁর সাহস, আদর্শ, দেশপ্রেম ও নিষ্ঠার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাবে তা আমি নিশ্চিত।

আজ তাঁর সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।

তথ্যসূত্র : বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বঙ্গবন্ধু : সংবিধান আইন আদালত ও অন্যান্য, মাওলা ব্রাদার্স, ঢাকা, মার্চ ২০২১, পূর্বোক্ত, পৃ. ১১০

আতফুল হাই শিবলী : মো. মাহবুবর রহমান, বাংলাদেশের সাংবিধানিক ইতিহাস : ১৭৭৩-১৯৭২, সুবর্ণ প্রকাশন, ঢাকা, জুন ২০১৯, পৃ. ১৫৮

আতফুল হাই শিবলী : মো. মাহবুবর রহমান, পূর্বোক্ত, পৃ. ১৫৯

আসাদুজ্জামান সম্রাট (সম্পা.), পার্লামেন্ট জার্নাল, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ, ঢাকা, অক্টোবর ২০১৬, পৃ. ৪৫

আতফুল হাই শিবলী : মো. মাহবুবর রহমান, পূর্বোক্ত, পৃ. ১৬০

মাওলানা এম এ রহমান, বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেম, বিভাস প্রকাশন, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১৭, পৃ. ১২৩

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, পূর্বোক্ত, পৃ. ৬০

আবুল মনসুর আহমদ, আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর, খোশরোজ কিতাব মহল, ঢাকা, জানুয়ারি ২০১৬, পৃ. ১৩৫

গোলাম সারওয়ার, (সম্পা.), দৈনিক সমকাল, ঢাকা, অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ, শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রবন্ধ শিরোনাম : আসব যাব চিরদিনের সেই আমি, প্রকাশ : ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

গোলাম সারওয়ার, (সম্পা.), পূর্বোক্ত, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬।

 

লেখক : অধ্যক্ষ, দিনাজপুর সরকারি সিটি কলেজ, দিনাজপুর

এই বিভাগের আরও খবর
পরিচালনা পর্ষদ
পরিচালনা পর্ষদ
সেনাপ্রধানের আশ্বাস
সেনাপ্রধানের আশ্বাস
হে যুবক খোদাকে চেন কি?
হে যুবক খোদাকে চেন কি?
দেশের বিজ্ঞাপনজগৎ : প্রজন্ম থেকে শিখছে প্রজন্ম
দেশের বিজ্ঞাপনজগৎ : প্রজন্ম থেকে শিখছে প্রজন্ম
রাহুল সাংকৃত্যায়নের দৃষ্টিতে মুহাম্মদ (সা.)
রাহুল সাংকৃত্যায়নের দৃষ্টিতে মুহাম্মদ (সা.)
অশান্ত বিশ্ববিদ্যালয়
অশান্ত বিশ্ববিদ্যালয়
ফেব্রুয়ারিতেই ভোট
ফেব্রুয়ারিতেই ভোট
মহানবী (সা.)কে অনুসরণে রয়েছে সর্বোত্তম কল্যাণ
মহানবী (সা.)কে অনুসরণে রয়েছে সর্বোত্তম কল্যাণ
কালোহাতগুলোও সাদা হোক
কালোহাতগুলোও সাদা হোক
বিএসসি ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের পাল্টাপাল্টি দাবি
বিএসসি ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের পাল্টাপাল্টি দাবি
হাত অবশ করার প্রার্থনা
হাত অবশ করার প্রার্থনা
বিএনপি : রাজনীতির হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা
বিএনপি : রাজনীতির হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা
সর্বশেষ খবর
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন মানে একটা ধোঁকাবাজি : বুলু
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন মানে একটা ধোঁকাবাজি : বুলু

১৯ মিনিট আগে | রাজনীতি

দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে মিলল ঝুলন্ত লাশ
দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে মিলল ঝুলন্ত লাশ

২৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আগুনে বসতঘর পুড়ে যাওয়া পাঁচ পরিবারের মাঝে পিপি রাজ্জাকের ত্রাণ সহায়তা
আগুনে বসতঘর পুড়ে যাওয়া পাঁচ পরিবারের মাঝে পিপি রাজ্জাকের ত্রাণ সহায়তা

৫৬ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভূমিকম্প কবলিত আফগানিস্তানে সাহায্য পাঠাচ্ছে ইইউ
ভূমিকম্প কবলিত আফগানিস্তানে সাহায্য পাঠাচ্ছে ইইউ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনের জন্য ১০ লাখের বেশি কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেবে ইসি
নির্বাচনের জন্য ১০ লাখের বেশি কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেবে ইসি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কলাপাড়ায় ৬০ লাখ টাকার অবৈধ জাল জব্দ
কলাপাড়ায় ৬০ লাখ টাকার অবৈধ জাল জব্দ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারায়ণগঞ্জে ঢাবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জেলা বিএনপির আহ্বায়কের মতবিনিময়
নারায়ণগঞ্জে ঢাবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জেলা বিএনপির আহ্বায়কের মতবিনিময়

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাগেরহাটে বিএনপির মাছের পোনা অবমুক্ত
বাগেরহাটে বিএনপির মাছের পোনা অবমুক্ত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম’র নতুন কমিটি ঘোষণা
‘উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম’র নতুন কমিটি ঘোষণা

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা চায় ইসি কর্মকর্তারা
ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা চায় ইসি কর্মকর্তারা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাটোরে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ যুবকের লাশ উদ্ধার
নাটোরে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ যুবকের লাশ উদ্ধার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারী নিপীড়নের প্রতিবাদে জবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ
নারী নিপীড়নের প্রতিবাদে জবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সুবিধাবাদী মুক্তিযোদ্ধারা কেন চুপ ছিল, প্রশ্ন টুকুর
সুবিধাবাদী মুক্তিযোদ্ধারা কেন চুপ ছিল, প্রশ্ন টুকুর

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পাহাড়ে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু
পাহাড়ে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

'ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে উৎসবমুখর পরিবেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে'
'ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে উৎসবমুখর পরিবেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে'

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাগেরহাটে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ১৪ মন পোনা মাছ অবমুক্ত
বাগেরহাটে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ১৪ মন পোনা মাছ অবমুক্ত

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলে চারটি হামলা চালিয়েছে হুথি
ইসরায়েলে চারটি হামলা চালিয়েছে হুথি

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১,৫১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এক লাখ ৯৫ হাজার টন সার কিনবে সরকার
১,৫১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এক লাখ ৯৫ হাজার টন সার কিনবে সরকার

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

টাঙ্গাইলে বাসের ধাক্কায় পথচারীর মৃত্যু
টাঙ্গাইলে বাসের ধাক্কায় পথচারীর মৃত্যু

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাকৃবিতে হামলার প্রতিবাদে পবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
বাকৃবিতে হামলার প্রতিবাদে পবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সুরমা নদীতে নৌকাডুবি, মাঝি নিখোঁজ
সুরমা নদীতে নৌকাডুবি, মাঝি নিখোঁজ

৩ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মাছের পোনা অবমুক্ত
বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মাছের পোনা অবমুক্ত

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে তাজা গুলি ও কার্তুজসহ গ্রেফতার ২
চট্টগ্রামে তাজা গুলি ও কার্তুজসহ গ্রেফতার ২

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আপিল বিভাগের অবকাশকালীন বিচারপতি মনোনয়ন
আপিল বিভাগের অবকাশকালীন বিচারপতি মনোনয়ন

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র রুখে দেবে জনগণ’
‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র রুখে দেবে জনগণ’

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যুক্তরাজ্য থেকে আসবে আরও এক কার্গো এলএনজি
যুক্তরাজ্য থেকে আসবে আরও এক কার্গো এলএনজি

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

মঠবাড়িয়ায় বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
মঠবাড়িয়ায় বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পাবনায় সংঘর্ষে আরও একজনের মৃত্যু
পাবনায় সংঘর্ষে আরও একজনের মৃত্যু

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রধান শিক্ষককে অপহরণ করে নির্যাতনের অভিযোগ
প্রধান শিক্ষককে অপহরণ করে নির্যাতনের অভিযোগ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অর্থায়নের অভাবে আটকে আছে রুফটপ সোলার বাস্তবায়ন কর্মসূচি
অর্থায়নের অভাবে আটকে আছে রুফটপ সোলার বাস্তবায়ন কর্মসূচি

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সর্বাধিক পঠিত
সিআইডি হেফাজতেও উচ্ছৃঙ্খল তৌহিদ আফ্রিদি, তদন্তে গুরুত্ব পাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার তথ্য
সিআইডি হেফাজতেও উচ্ছৃঙ্খল তৌহিদ আফ্রিদি, তদন্তে গুরুত্ব পাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার তথ্য

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চীনে বৈঠকের পর ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন পুতিন
চীনে বৈঠকের পর ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন পুতিন

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুদানে ভয়াবহ ভূমিধসে পুরো গ্রাম নিশ্চিহ্ন, সহস্রাধিক মানুষের প্রাণহানি
সুদানে ভয়াবহ ভূমিধসে পুরো গ্রাম নিশ্চিহ্ন, সহস্রাধিক মানুষের প্রাণহানি

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চায় পরিবার
২০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চায় পরিবার

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

গ্রিনল্যান্ড বিক্রির জন্য নয়, ট্রাম্পকে কড়া হুঁশিয়ারি ফ্রান্সের
গ্রিনল্যান্ড বিক্রির জন্য নয়, ট্রাম্পকে কড়া হুঁশিয়ারি ফ্রান্সের

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অবসরের ৬ মাসের মধ্যে ভাতা দেওয়ার নির্দেশ
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অবসরের ৬ মাসের মধ্যে ভাতা দেওয়ার নির্দেশ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফরকে কুপিয়ে জখম
জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফরকে কুপিয়ে জখম

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১৪ বছর পর ফের তেল রপ্তানি শুরু করল সিরিয়া
১৪ বছর পর ফের তেল রপ্তানি শুরু করল সিরিয়া

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ অসাংবিধানিক, বিচার বিভাগের জন্য গঠন করতে হবে আলাদা সচিবালয়
সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ অসাংবিধানিক, বিচার বিভাগের জন্য গঠন করতে হবে আলাদা সচিবালয়

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১০ বছরের জন্য গাজার নিয়ন্ত্রণ চায় ট্রাম্প, বানাবেন পর্যটন কেন্দ্র
১০ বছরের জন্য গাজার নিয়ন্ত্রণ চায় ট্রাম্প, বানাবেন পর্যটন কেন্দ্র

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে বেলজিয়াম, ইসরায়েলের উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে বেলজিয়াম, ইসরায়েলের উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাবি শিবির সভাপতির বিরুদ্ধে রিটকারী ছাত্রীকে 'কুরুচিপূর্ণ' মন্তব্য, তদন্ত কমিটি গঠন
ঢাবি শিবির সভাপতির বিরুদ্ধে রিটকারী ছাত্রীকে 'কুরুচিপূর্ণ' মন্তব্য, তদন্ত কমিটি গঠন

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বিশেষ ট্রেনে করে সীমান্ত পেরিয়ে চীন গেলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম
বিশেষ ট্রেনে করে সীমান্ত পেরিয়ে চীন গেলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলা থেকে অব্যাহতি পাচ্ছেন ৩৫ ব্যক্তি
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলা থেকে অব্যাহতি পাচ্ছেন ৩৫ ব্যক্তি

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের বিরুদ্ধে এসসিও সদস্যপদ স্থগিতের অভিযোগ আজারবাইজানের
ভারতের বিরুদ্ধে এসসিও সদস্যপদ স্থগিতের অভিযোগ আজারবাইজানের

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নুরকে দেখতে হাসপাতালে মির্জা ফখরুল
নুরকে দেখতে হাসপাতালে মির্জা ফখরুল

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাজধানীর আদাবরে পুলিশের ওপর কিশোর গ্যাংয়ের হামলা
রাজধানীর আদাবরে পুলিশের ওপর কিশোর গ্যাংয়ের হামলা

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জেনারেল শাকিলের সঙ্গে হাসিনার কনভারসেশন শুনলে গা হিম হয়ে আসে: ফারুকী
জেনারেল শাকিলের সঙ্গে হাসিনার কনভারসেশন শুনলে গা হিম হয়ে আসে: ফারুকী

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিলামে তোলপাড়: পাঁচ লাখ দিরহামে বিক্রি এক উট
নিলামে তোলপাড়: পাঁচ লাখ দিরহামে বিক্রি এক উট

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিকেলে ৭ দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা
বিকেলে ৭ দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২ সেপ্টেম্বর)

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাশিয়ার তেল আমদানি, ৩৯ মাসে ভারতের লাভ ১২৬০ কোটি ডলার
রাশিয়ার তেল আমদানি, ৩৯ মাসে ভারতের লাভ ১২৬০ কোটি ডলার

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সরকারের নির্ধারিত দাম ২২ টাকা, বিক্রি হচ্ছে ১৪ টাকা কেজি
সরকারের নির্ধারিত দাম ২২ টাকা, বিক্রি হচ্ছে ১৪ টাকা কেজি

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যে অভিযোগ তুলে অভিনয় ছাড়ার ঘোষণা দিলেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী
যে অভিযোগ তুলে অভিনয় ছাড়ার ঘোষণা দিলেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী

১১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

জাগপা সভাপতিকে দেখতে হাসপাতালে মির্জা ফখরুল
জাগপা সভাপতিকে দেখতে হাসপাতালে মির্জা ফখরুল

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদনে নতুন রেকর্ড
রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদনে নতুন রেকর্ড

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আধুনিক যুগে মুসলিম নারীর কর্মসংস্থান
আধুনিক যুগে মুসলিম নারীর কর্মসংস্থান

১৭ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

সিলেটে নিলামে উঠছে ভাঙা সাদাপাথর
সিলেটে নিলামে উঠছে ভাঙা সাদাপাথর

৯ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

রাজধানীতে পরকীয়া সন্দেহে স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রী নিহত
রাজধানীতে পরকীয়া সন্দেহে স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রী নিহত

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তারিক সিদ্দিকের মেয়ে বুশরার আয়কর নথি জব্দ
তারিক সিদ্দিকের মেয়ে বুশরার আয়কর নথি জব্দ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

হাসিনা-কামালের নির্দেশে গণহত্যা
হাসিনা-কামালের নির্দেশে গণহত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির প্রার্থী তিন, একক নিয়ে সরব জামায়াত
বিএনপির প্রার্থী তিন, একক নিয়ে সরব জামায়াত

নগর জীবন

আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে এনসিপি
আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে এনসিপি

পেছনের পৃষ্ঠা

ক্রাইসিস হলে শুধু আমাদের ডাকেন
ক্রাইসিস হলে শুধু আমাদের ডাকেন

প্রথম পৃষ্ঠা

পুরো গ্রাম নিশ্চিহ্ন বাঁচল শুধু একজন
পুরো গ্রাম নিশ্চিহ্ন বাঁচল শুধু একজন

প্রথম পৃষ্ঠা

দ্রুত বিচারে বাড়বে ট্রাইব্যুনাল
দ্রুত বিচারে বাড়বে ট্রাইব্যুনাল

প্রথম পৃষ্ঠা

হবিগঞ্জে চার গ্রামবাসীর সংঘর্ষে যুবক নিহত
হবিগঞ্জে চার গ্রামবাসীর সংঘর্ষে যুবক নিহত

পেছনের পৃষ্ঠা

সুরমায় নৌকাডুবিতে মাঝি নিখোঁজ
সুরমায় নৌকাডুবিতে মাঝি নিখোঁজ

নগর জীবন

ডাকসু নিয়ে শঙ্কা উত্তেজনা
ডাকসু নিয়ে শঙ্কা উত্তেজনা

প্রথম পৃষ্ঠা

ছাত্রদলের বিক্ষোভ
ছাত্রদলের বিক্ষোভ

প্রথম পৃষ্ঠা

আদাবরে পুলিশকে কুপিয়ে জখম
আদাবরে পুলিশকে কুপিয়ে জখম

প্রথম পৃষ্ঠা

হে যুবক খোদাকে চেন কি?
হে যুবক খোদাকে চেন কি?

সম্পাদকীয়

বাড়ির আঙিনায় মাটির নিচে মর্টার সেল
বাড়ির আঙিনায় মাটির নিচে মর্টার সেল

দেশগ্রাম

বিশ্বে ১০০ কোটির বেশি মানুষ মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত
বিশ্বে ১০০ কোটির বেশি মানুষ মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত

প্রথম পৃষ্ঠা

বিয়ে করতে এসে কারাগারে
বিয়ে করতে এসে কারাগারে

দেশগ্রাম

পানিতে ডুবে দুই শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু
পানিতে ডুবে দুই শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু

দেশগ্রাম

ডাকাতিকালে কুপিয়ে হত্যা, পাঁচজনের যাবজ্জীবন
ডাকাতিকালে কুপিয়ে হত্যা, পাঁচজনের যাবজ্জীবন

দেশগ্রাম

বাণিজ্যসংক্রান্ত ৪০ লাখ মামলা অমীমাংসিত
বাণিজ্যসংক্রান্ত ৪০ লাখ মামলা অমীমাংসিত

প্রথম পৃষ্ঠা

সেনাপ্রধানের আশ্বাস
সেনাপ্রধানের আশ্বাস

সম্পাদকীয়

চারটি সোনার বারসহ আটক ১
চারটি সোনার বারসহ আটক ১

দেশগ্রাম

সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-মা-মেয়ে নিহত
সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-মা-মেয়ে নিহত

দেশগ্রাম

গণ অভ্যুত্থানের ৩৪ মামলার চার্জশিট
গণ অভ্যুত্থানের ৩৪ মামলার চার্জশিট

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুত করছে ইসি
ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুত করছে ইসি

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্রে অদৃশ্য শক্তি
নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্রে অদৃশ্য শক্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

তদন্তে দুই কমিটি শাস্তি দাবি শিক্ষক নেটওয়ার্কের
তদন্তে দুই কমিটি শাস্তি দাবি শিক্ষক নেটওয়ার্কের

প্রথম পৃষ্ঠা

ত্রিভুজ প্রেমের বলি চিকিৎসক আমিরুল
ত্রিভুজ প্রেমের বলি চিকিৎসক আমিরুল

পেছনের পৃষ্ঠা

সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের লাশ ফেরত দিল বিএসএফ
সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের লাশ ফেরত দিল বিএসএফ

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেটে নিলামে উঠছে ভাঙা সাদাপাথর
সিলেটে নিলামে উঠছে ভাঙা সাদাপাথর

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্যাতনের শিকার সেই কিশোর চুরি মামলায় আটক
নির্যাতনের শিকার সেই কিশোর চুরি মামলায় আটক

দেশগ্রাম