রবিবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা
ই ন্টা র ভি উ

নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসছি

নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসছি
ঢালিউডের শীর্ষ নায়ক শাকিব খান তার প্রযোজনা সংস্থা থেকে একাধিক চলচ্চিত্র নির্মাণে আসছেন। তার কথায়, ২০১৯ সাল হবে তার জীবনের জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং বছর। চলচ্চিত্র জগৎকে নতুন রূপে ঢেলে সাজাতে চান তিনি। এসব বিষয়ে আজ তার বলা কথা তুলে ধরেছেন- আলাউদ্দীন মাজিদ

 

নতুন বছরের পরিকল্পনা কী?

নতুন বছরটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। শিল্পটিকে সুষমামণ্ডিত করতে যা দরকার সবই করব।

 

কেমন পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছেন?

চলচ্চিত্রের সুদিন ফিরিয়ে আনতে কোয়ালিটি আর কোয়ান্টিটির বিকল্প নেই। ছবির সংখ্যা কমছে, মানও খুব একটা বাড়ছে না। এ অবস্থায় চুপ করে বসে থাকতে পারি না। চলচ্চিত্র নির্মাণ বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছি। অভিনয়ের ক্ষেত্রে গল্প বাছাইয়ে মনোযোগী হয়েছি।

 

উদ্যোগ সম্পর্কে  জানতে চাই।

ইতিমধ্যে ‘বীর’ ও ‘প্রিয়তমা’ শিরোনামের দুটি ছবি নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছি। ‘বীর’ ছবির নির্মাণ প্রক্রিয়া বেশ এগিয়েছে। ৬ জানুয়ারি থেকে ছবির শুটিং শুরু হওয়ার কথা ছিল। ছবির পরিচালক প্রখ্যাত চিত্র নির্মাতা কাজী হায়াৎ আবার অসুস্থ হয়ে পড়ায় আপাতত কাজ স্থগিত রয়েছে। উনি সুস্থ হয়ে ফিরলেই কাজ শুরু হবে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি ছবির নির্মাণ কাজ নতুন করে শুরু করতে যাচ্ছি।

 

নতুন কাজ সম্পর্কে কিছু বলুন।

নতুন কাজের মধ্যে আমার নব-ভাবনা রয়েছে। তা হলো নির্মাণের ক্ষেত্রে সিনিয়র আর বর্তমান সময়ের মেধাবী তরুণ চিত্র নির্মাতাদের নিয়ে কাজ করব। গল্প নির্বাচনের ক্ষেত্রেও বোদ্ধাশ্রেণির রচনা নিয়ে কাজ করতে যাচ্ছি। আশা করছি দীর্ঘদিন পর দর্শক আবার উৎসবমুখর পরিবেশে সপরিবারে এসব ছবি দেখতে সিনেমা হলমুখী হবে। পাশাপাশি ছবিগুলো বিদেশেও বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে বলে আমার বিশ্বাস।

 

সিনিয়র আর নতুন নির্মাতা এবং বোদ্ধাশ্রেণির লেখকের মধ্যে কারা প্রাধান্য পাচ্ছেন?

সিনিয়র নির্মাতাদের মধ্যে প্রথমেই কাজী হায়াৎ ও মালেক আফসারী সাহেবের সঙ্গে কাজ করতে যাচ্ছি। নতুনদের মধ্যে পছন্দের তালিকায় রায়হান রাফিসহ অনেকেই আছেন। রাফিকে দিয়ে একটি ছবি নির্মাণ করতে চাই। বোদ্ধাশ্রেণির লেখকদের মধ্যে আনিসুল হকের রচনা নিয়ে কাজ শুরু করতে যাচ্ছি।

 

অভিনয় শিল্পীর ক্ষেত্রেও কি নতুনত্ব থাকছে?

অভিনয় শিল্পীর ক্ষেত্রে আগেই তো নতুনত্ব উপহার দেওয়া শুরু করেছি। শাকিব-অপু জুটির বাইরে গিয়ে একসময় শাকিব-বুবলী জুটি দর্শক গ্রহণযোগ্যতায় উপবিষ্ট করিয়েছি। এরপর শাকিব-নুসরাত ফারিয়া, শাকিব-রোদেলা জান্নাত জুটি দর্শক মন কাড়তে আসছে। এর আগে অবশ্য শাকিব-জয়া জুটিকেও দর্শক মনেপ্রাণে গ্রহণ করেছে। শিল্পীর ক্ষেত্রে আগামীতে আরও চমক থাকছে।

 

সিনেমা হল সংকট ও টেকনিক্যাল সাপোর্টসহ নানা সমস্যা রয়েই গেছে, এসব প্রতিকূলতা নিয়ে মানসম্মত কাজ করা কতটা সম্ভব বলে মনে করেন?

এক্ষেত্রে বলব, ভালো কন্টেন্ট দিতে পারলে সব প্রতিকূলতা অবশ্যই কেটে যাবে। অন্তরায় উত্তরণের অন্যতম পথ হলো দর্শক। সবশ্রেণির দর্শক যদি ছবি দেখতে সিনেমা হলমুখী হয় তাহলে ছবির সোনালি সময় ফিরে আসতে বাধ্য। ভালো কাজের ক্ষেত্রে কোনো প্রতিকূলতাই কখনো স্থায়ী হয় না।

সর্বশেষ খবর