ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বহু শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা নিতে না পেরে নিজেদের সার্টিফিকেট সমুদ্রে ভাসিয়ে দিয়েছে। ইসরায়েলের পাশাপাশি মিশর গাজার রাফাহ ক্রসিং বন্ধ করে দেয়ায় তারা বহির্বিশ্বের সঙ্গে কোনো রকম যোগাযোগ করতে পারে না: ফলে তারা কোনো রকম উচ্চশিক্ষা নিতে পারছে না। অবরুদ্ধ এ অবস্থার প্রতিবাদে তারা তাদের মাধ্যমিক ও ডিপ্লোমা পর্যায়ের সার্টিফিকেট সমুদ্রে ভাসিয়ে দিলো।
সার্টিফিকেট ভাসিয়ে দেয়া এক ছাত্র বলে, “আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের মানবতাবোধের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছি।” আরেক ছাত্রী বলেন,'আমি বিদেশি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছি কিন্তু অবরোদের কারণে গাজা থেকে বের হতে পারছি না এবং আমার পক্ষে লেখাপাড়াও অব্যাহত রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে।'
এ অবস্থায় গাজার শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক সমাজ বিশেষ করে আরব লীগ ও ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা বা ওআইসিকে তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের আহ্বান জানিয়েছে। গাজা যুদ্ধের পর রাফাহ এবং অন্য ক্রসিং প্রয়েন্টগুলো খুলে দেয়ার কথা থাকলেও আজ পর্যন্ত ইসরায়েল ও মিশর তা করেনি। এ কারণে অন্তত ২৫,০০০ রোগী ও শিক্ষার্থী গাজা থেকে বিদেশে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। রাফাহ ক্রসিং বন্ধ রাখায় অনেক আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক বলছেন, মিশর সরকার ইসরায়েলের হয়ে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে কাজ করছে।
রেডিও তেহরান/এসআই/৯