ঘাস বিক্রি করেই আসে চাল, ডাল, লবন, মরিচ। ঘাসেই চলে সংসার। আর এজন্য আছে আলাদা হাট। দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার আফতাবগঞ্জ হাটে এভাবে প্রতিদিন ঘাস নিয়ে হাজির হন শতাধিক আদিবাসী নারী।
প্রতিদিন বিকেলে শতাধিক আদিবাসী মাঠ থেকে ঘাস সংগ্রহ করে ছুটে যান এ হাটে। জানালেন, দৈনিক কমপক্ষে ৩০ হাজার টাকার ঘাস কেনা বেঁচা হয় এই হাটে।
নবাবগঞ্জের কুশদহ ইউপির খালিপপুর গ্রামের ছকিনা হেমরম জানান, এ সময় মাঠে কাজ না থাকায় আদিবাসীদের অলস সময় কাটাতে হয়। ফলে সংসার চালানো দায় হয়ে যায়। তাই এ সময় তারা বন জঙ্গল থেকে বিভিন্ন ধরনের আলু, নদী ও খাল বিল থেকে শামুক, ঝিনুক, মাছ, কাঁকড়া খাওয়ার জন্য সংগ্রহ করে থাকেন। পাশাপাশি বাড়তি আয়ের জন্য মাঠ থেকে ঘাঁস সংগ্রহ করে আফতাবগঞ্জ হাটে নিয়ে বিক্রি করেন।
গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের সুমিতা মুরমু জানান, উপজেলার সিংহভাগ আদিবাসী কৃষিকাজে শ্রম বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। মাঠে কাজ না থাকায় সংসারের তাগিদে তারা হাট-বাজারে ঘাঁস বিক্রি করছেন।
ঘাঁস বিক্রি করে প্রতিদিন দুই-তিনশ' টাকা রোজগার হয় বলে জানান জয়পুর ইউনিয়ন বিট টোলা গ্রামের মাজলি সরেন।
ঘাস কিনতে আসা আনিসুর রহমান কফিল উদ্দীন বলেন, মাঠে বোরো ধান থাকায় গরু মহিষ চরানো সম্ভব হয় না। তাই ঘাঁস কিনেই গরুর খাদ্যের ব্যবস্থা করতে হয়।
বিডি-প্রতিদিন/০৭ এপ্রিল ২০১৫/ এস আহমেদ