ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে পুলিশ-আইনজীবীর বিরোধ অব্যাহত। গত মঙ্গলবার পুলিশের বিক্ষোভ প্রতিবাদে গ্রেফতারের দাবি জানান দেশটির আইনজীবীরা। তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় পাটিয়ালা হাউজ, সাকেত জেলা কোর্টের সদর দরজায়।
জানা গেছে, গতকাল বুধবার রোহিনি জেলা আদালতের এক আইনজীবী কেরোসিন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। আরও এক আইনজীবী আদালত ভবন থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার হুঁশিয়ারি দেন। দিনভর এভাবেই উত্তপ্ত ছিল নয়াদিল্লি।
গত মঙ্গলবার পুলিশের ম্যারাথন প্রতিবাদের জন্য দিল্লি পুলিশ প্রধানকে আইনি নোটিস পাঠান এক আইনজীবী। ওই নোটিসে বলা হয়, এক সপ্তাহের মধ্যে বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করতে হবে। দিল্লি পুলিসের অবস্থান নিয়ে কড়া সমালোচনা করা হয় বার কাউন্সিলের তরফ থেকে।
বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান জানান, আইনজীবীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। বিচারপতিদের নিরাপত্তা তুলে নেওয়ার হুঁশিয়ারি জানিয়েছে পুলিশ। আদালতকে এভাবে অবমাননা উচিত নয় বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত শনিবার গাড়ি পার্কিং নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে পুলিশের তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয় তিস হাজারি আদালত চত্বরে। পুলিশের তরফে গুলি চালনা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। আহত হন বেশ কয়েক জন পুলিশ কর্মী ও আইনজীবী। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন কনস্টেবলের উপর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।
এরপরই দিল্লির পুলিশেরর প্রধান কার্যালয়ে সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন কর্মরত এবং অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মীরা। খোদ দিল্লির পুলিশ কমিশনার অমূল্য পট্টনায়েক এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও, ‘গো ব্যাক’ স্লোগান ওঠে। শেষমেশ কর্তৃপক্ষ দাবি মেনে নিলে সেদিনের মতো বিক্ষোভ উঠে যায়।
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ