শনিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা
সংক্ষিপ্ত । বাইডেন প্রশাসনের প্রতিবেদন

আফগানিস্তানে সেনা প্রত্যাহারের সময় বিশৃঙ্খলার দায় ট্রাম্পের

আফগানিস্তানে সেনা প্রত্যাহারের সময় বিশৃঙ্খলার দায় ট্রাম্পের

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন গত বৃহস্পতিবার একটি গোপনীয় প্রতিবেদনের সারাংশ প্রকাশ করেছে। সেখানে ২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তান থেকে তড়িঘড়ি মার্কিন সেনাদের প্রত্যাহারের সময় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির জন্য সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দায়ী করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সেনা প্রত্যাহার নিয়ে তালেবানের সঙ্গে ট্রাম্পের যে সমঝোতা হয়েছিল, সে অনুযায়ী পরিকল্পনা করতে তিনি ব্যর্থ হয়েছিলেন। কংগ্রেসে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর ও পেন্টাগনের পাঠানো গোপনীয় এক পর্যালোচনা প্রতিবেদন থেকে সারাংশটি তৈরি করা হয়েছে। এক মাস আগে প্রতিবেদনটি দাখিল করা হয়।

সারাংশে বলা হয়েছে, বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যেভাবে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চেয়েছিলেন, তা তিনি পারেননি। কারণ, তাঁর পূর্বসূরি ট্রাম্প যে পরিস্থিতি তৈরি করে রেখে গিয়েছিলেন, তাতে বাইডেন তাঁর ইচ্ছামতো কাজ করতে পারেননি। কীভাবে চূড়ান্ত ধাপে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে, তা নিয়ে বিদায়ী প্রশাসন কোনো পরিকল্পনা তৈরি করে রেখে যায়নি।

২০২১ সালের ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতা দখল করে নেয়। আফগান নাগরিকদের অনেকে তালেবান শাসন থেকে বাঁচতে বিভিন্ন দেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তারা কাবুলের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জড়ো হয়। ওই একই সময়ে মার্কিন সেনাদের আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহার করা হচ্ছিল। মরিয়া আফগানদের কেউ কেউ তখন নিজেদের শিশুসন্তানদের মার্কিন সেনাদের হাতে তুলে দিতে থাকেন। অনেকে আবার মার্কিন সেনাদের বহনকারী বিমানে ঝুলে পড়ে। সব মিলিয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

১২ পৃষ্ঠার সারকথায় সেনা প্রত্যাহারের সময় কিছু বিশৃঙ্খলার জন্য মার্কিন গোয়েন্দা ও সামরিক কর্তৃপক্ষের মূল্যায়ন প্রতিবেদনের ত্রুটিকে দায়ী করা হয়েছে। বলা হয়েছে, তালেবান যে এত দ্রুত ক্ষমতা দখল করবে, তা নিয়ে গোয়েন্দা ও সামরিক কর্তৃপক্ষ আভাস দিতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং তারা আভাস দিয়েছিল, আফগান নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ কাবুলের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখবে। ২০২১ সালের মে মাসের শেষের দিকে দেওয়া ওই মূল্যায়ন প্রতিবেদনে আভাস দেওয়া হয়েছিল, মার্কিন সেনাদের সরিয়ে নেওয়ার পর ওই বছরের শেষ পর্যন্ত কাবুলের ওপর গুরুতর কোনো চাপ আসবে না।

সর্বশেষ খবর