বাজারের চেয়ে কম দাম উল্লেখ করে অনলাইনে দেওয়া হয় মোবাইল ফোন বিক্রির বিজ্ঞাপন। অনলাইনে পণ্য কেনা-বেচার মাধ্যম বিক্রয় ডটকমসহ বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটিং পেজে এসব বিজ্ঞাপন দেখে অনেকেই আগ্রহী হয়ে যোগাযোগ করে সেই নম্বরে। পরবর্তীতে নির্দিষ্ট কোনো স্থানে দেখা করতে বলা হয় ওই ক্রেতাকে। সবশেষ ক্রেতা তার সঙ্গে থাকা সব কিছুই দিয়ে আসেন বিজ্ঞাপনদাতা বিক্রেতাকে। এমন অনেক অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তপূর্বক রহস্য উন্মোচন করে র্যাব-১। শুক্রবার দিবাগত রাতে গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিনব পন্থায় ছিনতাইকারী চক্রের ছয় সদস্যকে আটক করেন র্যাব-১ এর একটি টিম। গ্রেফতাররা হলো, শাহিন (২০), শাকিল হাসান (১৯), ফারুক (২০), সালাউদ্দিন আকবর (২০), রহমত উল্লাহ (১৯) ও রাসেল (১৯)। এ সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি সুইচ গিয়ার চাকু, ছয়টি মোবাইল ফোন ও ৮৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম বলেন, এরা একটি সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা পরস্পরের যোগসাজশে বিভিন্ন অনলাইন পেজে স্বল্পমূল্যে মোবাইল ফোন বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়ে অভিনব পন্থায় ছিনতাই করে আসছিলেন।
প্রাথমিক পর্যায়ে পণ্য কেনা-বেচার বিভিন্ন অনলাইন পেজে বাজারের চেয়ে কম দামে মোবাইল ফোন বিক্রির বিজ্ঞাপন দিতেন। বিজ্ঞাপন দেখে সাধারণ মানুষ এই চক্রের সদস্যদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করতেন। আর এ সুযোগে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী নির্ধারিত সুবিধাজনক এলাকায় আগ্রহী ব্যক্তিকে ডেকে নিয়ে মোবাইল, টাকা-পয়সা ছিনতাই করে পালিয়ে যেতেন।
জানা গেছে, চক্রটির মূলহোতা শাহিন ও শাকিল। শাহিন ছিনতাই কাজের কৌশল হিসেবে প্রাথমিকভাবে অনলাইনে বিক্রয় ডটকমসহ অনেক পেজে বাজারের চেয়ে অনেক কম দামে মোবাইল ফোন বিক্রির বিজ্ঞাপন দিতেন। পরবর্তীতে শাকিল পূর্ব নির্ধারিত সুবিধাজনক এলাকায় ভিকটিমদের আসতে বলতেন। ভিকটিম নির্ধারিত স্থানে গেলে মারধর করে মোবাইল ফোন, নগদ অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নিতেন। চক্রটি টঙ্গী, আবদুল্লাহপুর, চৌরাস্তা, বেড়িবাঁধ, আশুলিয়া ও আশপাশের এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের কর্মকা চালিয়ে আসছিলেন। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানিয়েছেন সহকারী পুলিশ সুপার সালাউদ্দিন।
