বুধবার, ৩১ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

ভাসানচরের পথে আরও ২৪৯৫ রোহিঙ্গা

কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ ক্যাম্প থেকে ষষ্ঠ দফায় ৫ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তর করা হচ্ছে। গতকাল আরও ২ হাজার ৪৯৫ জন রোহিঙ্গাকে চট্টগ্রামে  পাঠানো হয়েছে। মিয়ানমারের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত দুই হাজার ৪৯৫ জন রোহিঙ্গা নাগরিক ৪৭টি বাসে করে উখিয়া থেকে চট্টগ্রামে পৌঁছেছেন বলে কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত জানিয়েছেন। গতকাল দুপুর থেকে বিকালের মধ্যে উখিয়া কলেজ মাঠ থেকে এসব বাস চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

 স্থানীয় প্রশাসন ভাসানচরে যাওয়ার উদ্দেশে উখিয়া কলেজ ট্রানজিট পয়েন্ট ক্যাম্পে তাদের খাবার, পানি, ওষুধ দেন। ভোর থেকে ২০টি মিনিবাসে করে উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের উখিয়া কলেজ ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। তাদের মালামাল বহনকারী ১১ কার্গো সঙ্গে ছিল। এছাড়াও রোহিঙ্গা বহরের সামনে-পেছনে ছিল অ্যাম্বুলেন্স ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি। কক্সবাজারের অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শামসুদ্দৌজা নয়ন বলেন, স্বেচ্ছায় যেতে আগ্রহী দুই হাজার ৪৯৫ জন রোহিঙ্গাকে ষষ্ঠ দফায় ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এসব রোহিঙ্গাকে বুধবার চট্টগ্রাম থেকে নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পতেঙ্গা থেকে ট্রলারে করে নোয়াখালীর ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে। রোহিঙ্গা মাঝিরা জানান, ভাসানচরের পরিবেশ, থাকা- খাওয়াসহ বিভিন্ন সুবিধা উখিয়া-টেকনাফের ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জানালে যারা যেতে রাজি হয়েছে, তাদের নিবন্ধনের মাধ্যমে স্থানান্তর করা হচ্ছে। কুতুপালং রোহিঙ্গারা শরণার্থী শিবির ঘুরে দেখা যায়, স্বেচ্ছায় ভাসানচর স্থানান্তরে রাজি হওয়া রোহিঙ্গারা তাদের আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছেন। এ রোহিঙ্গাদের মাঝে আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। উল্লেখ্য, এর আগে পাঁচ দফায় কক্সবাজারের বিভিন্ন শরণার্থী শিবির থেকে ১৪ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে। এছাড়া অবৈধভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়া যেতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসা ৩০৬ রোহিঙ্গাকে গত মে মাসে ভাসানচরে নিয়ে যায় সরকার। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হত্যা ও নির্যাতন থেকে বাঁচতে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন সাড়ে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। এছাড়া নতুন-পুরনো মিলে বর্তমানে ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের শিবিরগুলোতে বসবাস করছে।

সর্বশেষ খবর