রবিবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

ইউটিউব দেখে কুল চাষে ভাগ্যবদল

নালিতাবাড়ী প্রতিনিধি

ইউটিউব দেখে কুল চাষে ভাগ্যবদল

ইউটিউব দেখে কুল চাষ করে ভাগ্যবদল হয়েছে মামা-ভাগ্নের। ইউটিউবের মাধ্যমে মেহেরপুর জেলার তরুণ উদ্যোক্তা নাসির শাহের বাগান দেখে কুল চাষে আগ্রহী হন জামাল উদ্দিন। কিন্তু বুঝে উঠতে পারছিলেন না কীভাবে শুরু করবেন। কুল চাষের জন্য যে জমি প্রয়োজন সেটা ছিল না তার। বিষয়টি নিয়ে জামাল উদ্দিন তার ভাগ্নে ইলিয়াস হোসেনের সঙ্গে কথা বললে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন।

খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী হালুয়াঘাটের বেতকুড়ি গ্রামে ২০২২ সালে ১৫ বিঘা জমি লিজ নিয়ে মামা-ভাগ্নে শুরু করেন কুল চাষ। পাশাপাশি এতে যুক্ত করেন উন্নত জাতের পেয়ারা ও লেবু। রোপণের নয় মাসের মধ্যেই প্রথমবারের মতো তাদের গাছে ঝাঁকে ঝাঁকে কুল ধরেছে।

তাদের বাগানে রয়েছে বল সুন্দরী, কাশ্মীরি, ভারত সুন্দরী, আপেল কুল, বাউ কুল ও টক মিষ্টি কুল। এ ছাড়া কুলের পাশাপাশি উন্নত জাতের মাল্টা, পেয়ারা ও সিডলেস লেবুর গাছ রয়েছে। বাগানের পাশেই উন্নতমানের কলম চারা গাছ তৈরি করছেন। মামা-ভাগ্নে বাগানের নাম রেখেছেন থ্রি-স্টার নার্সারি। বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ থ্রি-স্টার নার্সারি দেখতে আসছেন। এ বিষয়ে প্রকল্পের প্রধান উদ্যোক্তা জামাল উদ্দিন বলেন, পরিকল্পনা মাফিক চেষ্টায় ও পরিশ্রমে সফল হওয়া যায় ও ভাগ্যবদল হয় সেটার বড় প্রমাণ আমি নিজেই। ইউটিউবে কুল চাষের ভিডিও দেখেই আমি এ কাজে অনুপ্রাণিত হয়েছি। সঠিক পরিচর্যার কারণে চারা রোপণের নয় মাসের মধ্যেই প্রত্যেকটি গাছ এখন কুলে পরিপূর্ণ। প্রায় ১৭ থেকে ১৮ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এ বছরই খরচ উঠে প্রায় ৩ লাখ টাকা লাভ হবে। বাগানে ঘুরতে আসা মাজহারুল হক মিশু বলেন, বাগান দেখে আমার মনে হয়েছে কুলের রাজ্যে চলে এসেছি। নানা জাতের কুলের সমাহার এখানে। পাশাপাশি পেয়ারা ও মাল্টা দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগছে। এমন জায়গাতেও যে এভাবে বিশাল কুল বাগান করা যায়, এখানে না আসলে বুঝতে পারতাম না। বাসার জন্য আমি কয়েকটি গাছ তাদের এখান থেকে ক্রয় করে নিয়ে যাব।

 

সর্বশেষ খবর