রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) পর এবার পিছিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। নতুন তারিখ অনুযায়ী তিন দিন পিছিয়ে ভোট হবে আগামী ১৫ অক্টোবর। এ উপলক্ষে ১২ থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত থাকবে এবং ১৪, ১৫ ও ১৬ অক্টোবর ক্লাস বন্ধ থাকবে। কমিশনের ভাষ্যমতে, প্রার্থীদের প্রচারণার সুবিধার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গতকাল বিকাল ৪টায় চাকসু ভবনের দ্বিতীয় তলায় সংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. এ কে এম আরিফুল হক সিদ্দিকী। তিনি বলেন, দুপুর ২টায় কমিশনের বৈঠকে নতুন প্রক্টর হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী ও সহকারী প্রক্টর ইসমত আরা হক শপথ নেন। সেই বৈঠকেই নির্বাচন তিন দিন পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, আমরা এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশারের সঙ্গে কথা বলেছি, নির্বাচন পেছানোর কারণ জানতে চেয়েছি। তারা আলোচনা করে জানাবেন। আমরা এর পরে সিদ্ধান্ত জানাব। তবে বিষয়টি ইতিবাচকভাবেই দেখছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। সংগঠনটির সভাপতি আলাউদ্দিন মহসিন বলেন, কাদের কনসার্নে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা আমরা জানতে চেয়েছি। তবে পেছানোর বিষয়টি ইতিবাচকভাবে আমরা দেখছি। এর আগে সোমবার প্রার্থীদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের মতবিনিময় সভায় তারিখ পিছিয়ে দেওয়ার দাবি ওঠে। প্রার্থীরা জানান, প্রচারণার সময় বাড়ানো প্রয়োজন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই তারিখ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।
গত ২৮ আগস্ট ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল ১২ অক্টোবর। এবার নির্বাচনে অংশ নিতে ৯৩১ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে চাকসুর ২৬ পদের বিপরীতে ৪২৯ জন এবং হল সংসদের ১৯৬টি পদের বিপরীতে ৪৮১ জন প্রার্থী আছেন। কমিশনের ঘোষিত সূচি অনুযায়ী, প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা ইতোমধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। আজ (বুধবার) পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে। এরপর কাল (বৃহস্পতিবার) প্রকাশ করা হবে চূড়ান্ত তালিকা। নির্বাচনের দিন ১৫ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ শেষে গণনা শুরু হবে।