৫ এপ্রিল, ২০২০ ২২:১২

করোনা ক্রান্তিলগ্নেও সচল ডিজিটাল বাংলাদেশ, কৃতজ্ঞতা শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রতি

ড. কাজী এরতেজা হাসান

করোনা ক্রান্তিলগ্নেও সচল ডিজিটাল বাংলাদেশ, কৃতজ্ঞতা শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রতি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়

শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো পৃথিবী জুড়েই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছে।  অদৃশ্য এই ভাইরাস মোকাবিলায় সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে নির্দেশনা দিয়েছেন। এমনকি পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী পর্যন্ত মাঠে নেমেছে।

কিন্তু এ অবস্থাতেও দেশের মানুষের সব ধরণের যোগাযোগ নিরবচ্ছিন্ন রয়েছে। সরাসরি দেখা না করেও মানুষ মানুষের সাথে ডিজিটাল পদ্ধতিতে যোগাযোগ রক্ষা করছেন। এমনকি সরকার প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সকল জেলা থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায়ে যোগাযোগ রক্ষা করছেন। শুধুমাত্র ডিজিটাল বাংলাদেশ স্বপ্ন বাস্তবায়ন হওয়ায় এখন দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসকরাও সরকারের সর্বোচ্চ ব্যক্তির সাথে নিবিড় যোগাযোগ রাখতে পারছেন।

‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ একটি প্রত্যয়, একটি স্বপ্ন, যা বাংলাদেশেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। বিরাট এক পরিবর্তন ও ক্রান্তিকালের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এখন এগিয়ে চলছে দুর্বার গতিতে। একুশ শতকে বাংলাদেশকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে ৬ জানুয়ারি ২০০৯ শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো শপথ নেন। সেই থেকে শুরু। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে তারই সুযোগ্য পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের হাত ধরে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন আজ বাস্তব। এরই সুফল ভোগ করছে সারাদেশের মানুষ। হাতে হাতে স্মার্টফোন, ফোর-জি গতির ইন্টারনেট সেবা থেকে শুরু করে তথ্য প্রযুক্তি খাতে অভূতপূর্ব সাফল্য ধরা দিয়েছে শুধুমাত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের দিক নির্দেশনার কারণে।

২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের বছরে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণই ছিলো ২০০৯ সালে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের প্রধান বিষয়। সেই ইশতেহারে দেয়া কথা রেখেছেন ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা ও রূপকার সজীব ওয়াজেদ জয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেরণায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র জয়।

ডিজিটাল বাংলাদেশ মহাকাশ জয়ের মিশনেও নেমেছে। ইতিমধ্যেই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করা হয়েছে সফল ভাবে। এ দেশীয় টেলিভিশনগুলো এখন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ ব্যবহার করে সম্প্রচার কর্যক্রম পরিচালনা করছে। সারাদেশই ডিজিটাল হওয়ায় সবাই সুবিধাও পাচ্ছেন। অফিস আদালত থেকে শুরু করে ব্যাংক, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠা গুলোতেও ডিজিটাল বাংলাদেশের ছোঁয়া লেগেছে। 

রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীর জন্য এই করোনা সংকট মোকাবেলায় ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা জাতির এই দুর্যোগের সময় এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করে বুঝিয়ে দিলেন, জনগণের প্রয়োজনে তিনি সব সময়ই ছিলেন। 

একজন সজীব ওয়াজেদ জয়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার কারণে করোনাভাইরাস মোকাবেলায়ও ই-কমার্স ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করে যাচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশে। ভোরের পাতা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বাজার২৪.বিজ গ্রাহকদের অর্ডার ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে সারাদেশ যেখানে লকডাউন হয়ে থমকে আছে, সেখানেও ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে। 

শুধুমাত্র ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়ার কারণেই তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষ কাজ করে যেতে পারছে। এ কারণে করোনাভাইরাসের ক্রান্তিলগ্নেও দেশকে সচল রাখতে ভূমিকা রাখায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

লেখক: সম্পাদক ও প্রকাশক, দৈনিক ভোরের পাতা ও ডেইলি পিপলস টাইম। পরিচালক, এফবিসিসিআই

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

সর্বশেষ খবর