শিরোনাম
প্রকাশ: ১০:২৭, শনিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২২ আপডেট:

১৬০ বস্তা চাল হয়ে গেল ১৬টি লাশ!

সৈয়দ বোরহান কবীর
অনলাইন ভার্সন
১৬০ বস্তা চাল হয়ে গেল ১৬টি লাশ!

বুধবার বিকাল। অফিসে বসে বাংলাদেশ-ভারত ওয়ানডে দেখছি। মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটিং দেখে মুগ্ধ আমি। উল্লসিত তো বটেই। এর মধ্যে মোবাইলে ফোনের পর ফোন আসছে। খেলার উত্তেজনায় খেয়াল করিনি। বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হওয়ার পর ফোন ধরলাম। একজন উত্তেজনায় হাঁপাচ্ছেন। ভাই খবর শুনছেন। নয়াপল্টনে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে নাকি বহু লোক মারা গেছেন।  বেশ কজন নেতাও গ্রেফতার। আমি বিরক্ত হয়েই একটা নিউজ চ্যানেলে রিমোট কন্ট্রোল চেপে চোখ রাখলাম। পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে একজন মারা গেছেন। তিনি একজন নিরীহ নাগরিক। কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মী নন। বাংলাদেশের রাজনীতির অতীত নিয়ে যারা ন্যূনতম জ্ঞান রাখেন তারা জানেন, এ ধরনের সহিংসতা অনেক পুরনো সংস্কৃতি। স্বাধীনতার আগে ও পরে বিভিন্ন সময়ে আন্দোলনে পুলিশ-বনাম রাজনৈতিক দলের সংঘর্ষ হয়েছে। শুধু বাংলাদেশ কেন, বিশ্বের নানা আন্দোলনে পুলিশ আন্দোলনকারীদের প্রধান প্রতিপক্ষ। যুক্তরাষ্ট্রে ‘ব্ল্যাক লাইভ ম্যাটারস’ কিংবা গর্ভপাতবিরোধী আইন নিয়ে আন্দোলনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে। সম্প্রতি চীনে করোনার বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে আন্দোলন হলো। কয়েক দিন ধরে জার্মানিতে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান চলছে। এখন পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে ২৫ জন। সেসব আন্দোলনের সঙ্গে বর্তমানে বাংলাদেশে যা হচ্ছে তা নিতান্তই নস্যি। বিএনপি ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ ডেকেছে। দুই মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে দলটি সমাবেশ করেছিল। কিন্তু ঢাকায় সমাবেশের আগে বিএনপি নিজেরাই পরিস্থিতি উসকে দেয়। একজন বিএনপি নেতা ঘোষণা করেন, ১০ ডিসেম্বর থেকে দেশ বেগম খালেদা জিয়ার কথায় চলবে। আরেক নেতা বলেন, বেগম জিয়াকে নয়াপল্টনের সমাবেশে নিয়ে আসা হবে। কেউ বললেন, ওই দিন থেকে সরকারের পতন ছাড়া রাজপথ ছাড়া হবে না। একজন তো সরকারকে লালকার্ড দেখিয়েই দিলেন। পুলিশ জানাল, নয়াপল্টনে নয়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বা কোনো মাঠে সমাবেশ করুন। বিএনপি বলল সম্ভব না। এর মধ্যে ৭ ডিসেম্বর বিকাল থেকে বিএনপি কর্মীরা নয়াপল্টনে অবস্থান নিতে শুরু করেন। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এক নিরীহ মানুষের প্রাণ যায়। এটাই কি বিএনপি চেয়েছিল। রাজনীতিতে কি জীবনের চেয়ে মৃত্যু আনন্দের। পুলিশ বিএনপি অফিসে অভিযান চালায়। ১৬০ বস্তা চাল উদ্ধার করে। সম্প্রতি বিএনপি কোনো ত্রাণ তৎপরতা চালিয়েছে বলে আমার জানা নেই। তাহলে এত চাল কেন? তার মানে বিএনপি ঢাকার এক ব্যস্ত সড়ক অবরুদ্ধ করে ‘খিচুড়ি উৎসব’ করতে চেয়েছিল। বোমা উদ্ধারের কথা বাদই দিলাম। কিন্তু রাতেই দেখলাম, গুজবে বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। ১৬০ বস্তা চাল হয়ে গেল ১৬টি লাশ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখলাম বহু মানুষের মৃত্যুর গুজব। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ বিবৃতি দিল! শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ওপর কড়াকড়ি আরোপে উদ্বেগ জানাল। মনে হলো বাংলাদেশে যেন এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটল। কী আশ্চর্য! কী বিস্ময়কর! অপপ্রচারের কোনো সীমারেখা নেই। কোনো বিচারেই এই আন্দোলনকে সরকার পতনের তীব্র গণআন্দোলন বলা যাবে না। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং কয়েকটি মূলধারার গণমাধ্যমে এটিকে এমনভাবে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে উপস্থাপন করা হচ্ছে যেন মনে হচ্ছে দেশে একটা তুলকালাম কা- ঘটছে। এই কথিত আন্দোলনের প্রধান অনুষঙ্গ হলো ‘গুজব’। প্রতিনিয়ত নানা রকম গুজব ছড়ানো হচ্ছে। গত কয়েক মাসে আন্দোলন না সরকারের পতনের প্রধান অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে ‘গুজব’। রাজনীতি, অর্থনীতি, মানবাধিকার, পররাষ্ট্রনীতি এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক সব খানে পরিকল্পিত গুজবে সরকারকে বিপর্যস্ত করার এক বহুমাত্রিক চেষ্টা। সরকার হটানোর চেষ্টায় ‘গুজব’ এখন প্রধান অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। গুজব ছড়িয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে প্রায় দেউলিয়া। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নেই। ব্যাংকে টাকা নেই। ইত্যাদি। মজার ব্যাপার হলো- আগে গুজব ছড়ানো হতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, ফেসবুকে, ইউটিউবে। বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে বসে কিছু দন্ডিত এবং পলাতক ব্যক্তি একটি বিষয়ের ওপর নানাভাবে ও ভঙ্গিতে কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করত। এখন এই গুজব ছড়ানোর বিষয়টি শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সীমাবদ্ধ নয়। বরং গুজব সৃষ্টি এবং গুজব ছড়ানোর ক্ষেত্রে কয়েকটি মূলধারার গণমাধ্যম ও কয়েকজন বিশিষ্ট সুশীল মহান দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন। একটি উদাহরণ দিতে চাই। গত মঙ্গলবার একটি খ্যাতনামা ইংরেজি দৈনিকে একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের ঋণসংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হলো। ওই খবরে প্রধানমন্ত্রীর সদ্য বিদায়ী মুখ্য সচিব এবং চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসককেও জড়ানো হলো। খবরটি এমনভাবে পরিবেশিত হলো যে একজন পাঠক সহজেই মনে করবেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তাঁর মুখ্য সচিব চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসককে ঋণসংক্রান্ত বিষয়ে তদন্তের জন্য বলেছেন। কিন্তু ওই দিনই মুখ্য সচিব গণমাধ্যমে এ অসত্য সংবাদে বিস্ময় প্রকাশ করলেন। তিনি বললেন, ‘আমি সারপ্রাইজ’। অন্য সময় হলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে কেবল একটি প্রতিবাদপত্র ওই পত্রিকায় পাঠানো হতো। কিন্তু এবার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব গণমাধ্যমে এই পত্রিকার অসত্যতা অকপটে বললেন। দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় এবং প্রভাবশালী দৈনিক যদি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং একজন জেলা প্রশাসককে নিয়ে কল্পিত কাহিনি ছাপাতে পারে, তাহলে ‘গুজব’ কী ভয়াবহ রূপ নিয়েছে তা সহজেই অনুমান করা যায়। পাঠক একটু ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করুন। ঋণসংক্রান্ত বিষয় তদন্তের দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের। অথচ রিপোর্টে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে জড়িয়ে ফেলা হলো।

এই গুজব সন্ত্রাস শুরু হয় আরও আগে থেকেই। শ্রীলঙ্কায় যখন অর্থনৈতিক সংকট তীব্র হলো। ঠিক সেই সময় আমাদের পরিচিত সুশীলরা প্রথম গুজবের ঢোল বাজাতে শুরু করলেন। বললেন বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হওয়ার পথে। এটি বাংলাদেশের মূলধারার গণমাধ্যম লুফে নিল। সুশীল নিয়ন্ত্রিত কয়েকটি পত্রিকায় বাংলাদেশ কীভাবে শ্রীলঙ্কা হচ্ছে তার বিস্তারিত তুলে ধরা হলো। একটি প্রভাবশালী দৈনিকে লেখা হলো ‘অক্টোবর-নভেম্বরে বাংলাদেশের পরিস্থিতি শ্রীলঙ্কার মতো হয়ে যাবে।’ নভেম্বর শেষ হয়েছে। ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ চলছে। বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়নি। বরং বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি হতে যাচ্ছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে সমীক্ষা পরিচালনা করেছে বৈশ্বিক ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ‘বোস্টন কনসালটিং গ্রুপ’ (বিসিজি)। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি নানাভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ভিয়েতনাম, ভারত, ইন্দোনেশিয়া এবং থাইল্যান্ডের মতো দেশকে  পেছনে ফেলে বাংলাদেশ ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।’ অথচ এ দেশের পন্ডিতরা বাংলাদেশকে প্রায় দেউলিয়া বানিয়ে ফেলেছেন। পন্ডিত এবং মূলধারার গণমাধ্যমের এই পরিকল্পিত ‘গুজব’ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে চলছে চিৎকার-চেঁচামেচি। ‘শ্রীলঙ্কা’ গুজব চাপা পড়ল মানবাধিকার ইস্যুতে। ৭৬ জনের গুম নিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী নিয়ন্ত্রিত একটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন বেশ কিছুদিন ধরেই সরব ছিল। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ নামের এ সংগঠনটি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গুজব শুরু করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরুর সময় থেকে। এ সংগঠনটিকে সে সময় বিত্তে টইটম্বুর যুদ্ধাপরাধী পরিবারগুলো লবিস্ট ফার্ম হিসেবে নিয়োগ করে। লবিস্ট ফার্ম হিসেবে এ সংস্থাটি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’ হিসেবে উপস্থাপন শুরু করে। তাদের দাবিকে যৌক্তিক এবং জোরালো করতে ছদ্মবেশী ‘দ্বিতীয় প্রজন্মের রাজাকার’ ভাড়া করা হয়। ভাড়া করা হয় বাংলাদেশে যোগাযোগ আছে এরকম বিদেশিদের। ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য তারা কাছে টেনে নেয় ড. কামাল হোসেনের জামাতা ডেভিড বার্গম্যানকে। বিভিন্ন পেশায় আলোচিত স্বাধীনতাবিরোধী পরিবারের সদস্যদের যুক্ত করে। যেমন ‘অধিকার’-এর আদিলুর রহমান খান, বেলার সৈয়দ রেজওয়ানা হাসান, দৃকের শহীদুল আলম। ডেভিড বার্গম্যান যুদ্ধাপরাধীর পক্ষে প্রকাশ্যে অবস্থান নেন। অন্য তিনজন মুখোশধারী। বাইরে সুশীল ভিতরে রাজাকার। মানবাধিকার ইস্যুকে তারা কৌশলে সামনে নিয়ে আসেন। এদেরও প্রধান অস্ত্র ‘গুজব’। আদিলুর রহমান খান প্রথম ‘গুজব’র বটিকা প্রয়োগ শুরু করেন। ২০১৩ সালের মে মাসে হেফাজতের তা-বের সময় তার প্রতিষ্ঠান ‘অধিকার’ ৬১ জনের মৃত্যুর খবর প্রচার করে। এসব খবর পশ্চিমাদের জন্য উপাদেয়। তারা এটি লুফে নেয়। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা গেল, যাদের আদিলুর রহমান মেরে ফেলেছেন তারা সবাই জীবিত। দিব্যি মাদরাসায় পড়াশোনা করছেন। সৈয়দ রেজওয়ানা হাসান বাংলাদেশে গুম অধ্যায়ের সূচনা করেন। নিজের স্বামীকে গুম করে তিনি এক অসাধারণ এক্সপেরিমেন্ট করেন। ভাগ্যিস আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুত তাকে উদ্ধারে সক্ষম হয়। মূলত এই পরিবেশ আইনজীবীর গুমবিষয়ক নিরীক্ষার পর বাংলাদেশে গুম পর্বের সূচনা হয়। যুদ্ধাপরাধীদের ভাড়া করা লবিস্ট ফার্ম বাংলাদেশে গুমের তালিকা প্রকাশ করে। এ তালিকা যাচাই-বাছাই না করেই জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন গ্রহণ করে। পরে দেখা গেল গুম হওয়াদের কেউ ভারতের জেলে। কেউ বাড়িতে বহাল তবিয়তে। কেউ ফিরে এসে গুমের রূপকথা বলছেন। বাংলাদেশই সম্ভবত বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে গুম হওয়া ব্যক্তি আবার ফিরে আসে। কী জাদু। এখন গুম নিয়ে প্রচারণা বন্ধ। কিন্তু বাংলাদেশের যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে যায়। গত বছর ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে র‌্যাবের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা জারি করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা তাদের নিজস্ব একটি প্রক্রিয়া। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সহস্রাধিক ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপরও যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। আবার সেই মোদিই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তাকে নজিরবিহীন সংবর্ধনা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বরণ করে। যুক্তরাষ্ট্র তার নিজস্ব স্বার্থে এবং আন্তর্জাতিক কৌশলে বিভিন্ন দেশের ওপর নানা ধরনের চাপ দেয়। এর সঙ্গে মানবাধিকার বা গণতন্ত্রের সম্পর্ক নেই। বাংলাদেশের ‘কোয়াডে’ যোগদান না করা, চীনের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সম্পর্ক, রাশিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্ক, ড. ইউনূসসহ নানা কারণে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে চাপে রাখতে চায়। এ জন্য হিউম্যান রাইটস ওয়াচের তথ্য এবং প্রতিবেদন তাদের বাংলাদেশের ওপর চাপ প্রয়োগের একটি সুযোগ করে দেয়। এ কারণেই র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত বছর এই নিষেধাজ্ঞার খবর আসে মানবাধিকার দিবসের দিনে। সঙ্গে সঙ্গে সুশীল সমাজ, কয়েকটি গণমাধ্যম যেন উল্লাসে ফেটে পড়ে। এ যেন তাদের বিজয়। শুরু হয় গুম নিয়ে গুজবের বন্যা। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় নানা প্রচারণা। ‘আয়না ঘরের’ গল্প যেন থ্রিলারকেও হার মানায়। এবার ১০ ডিসেম্বরের অনেক আগেই নিষেধাজ্ঞার নানা গুজব নানা মাধ্যমে ছড়ানো শুরু হয়েছে। কার কবে নিষেধাজ্ঞা হবে জ্যোতিষীর মতো কেউ কেউ বলতে শুরু করেছেন। এমনকি বিএনপি নির্বাচনে না এলে বাংলাদেশের ওপর কী কী নিষেধাজ্ঞা আসবে তার তালিকাও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরছে। যখন সরকার ‘গুম হওয়া’ একাধিক ব্যক্তির অবস্থান জানাল, তখন গুম নিয়ে গুজব বন্ধ হলো বটে, কিন্তু মানবাধিকার নিয়ে গুজব বন্ধ হয়নি। মানবাধিকার দিবসের ঠিক আগে ৬ ডিসেম্বর ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ ১৫টি দেশ বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে এক দীর্ঘ বিবৃতি দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, অস্ট্রেলিয়াসহ ১৫ দেশ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। খুব ভালো কথা। কিন্তু আমার প্রশ্ন- ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট কি কোয়াডভুক্ত এ দেশগুলো এই বীভৎস এবং জঘন্য হত্যাকান্ডের নিন্দা করেছিল? না। এ দেশগুলো কি ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মতো কালো আইন বাতিলের জন্য তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ করেছিল? না করেনি। এ দেশগুলো কি ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার নিন্দা করেছিল? এ বর্বর হামলার জন্য কারও ওপর কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল? তাহলে এখন শান্তিপূর্ণ সমাবেশ, আইনের শাসন, সুশাসন ন্যায়বিচার নিয়ে এত কথা কেন? কেন এত মানবাধিকার নিয়ে মায়াকান্না। এর কারণ দুটি- প্রথমত, বাংলাদেশ যেন তার স্বাধীন, স্বতন্ত্র এবং স্বকীয় অবস্থান থেকে সরে এসে তাদের একান্ত অনুগত হয়। দ্বিতীয়ত, স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠীর দ্বিতীয় প্রজন্মের গুজব মিশন তাদের বিভ্রান্ত করেছে। ’৭১-এ যারা সবচেয়ে বেশি এবং ইতিহাসের জঘন্যতম মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটিয়েছে, তারাই এখন মানবাধিকারের ঠিকাদার। রাজাকারদের উত্তরাধিকাররাই এখন যেন বাংলাদেশে মানবাধিকারের পাহারাদার। এরা যে গুজব ছড়িয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চায়, তার তৃতীয় উদাহরণ হলো দৃকের শহীদুল আলম। এ রাজাকার সন্তান নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে যে মিথ্যাচারের গুজব ছড়াল তা গোয়েবলসকেও হার মানায়। আবার আধা রাজাকার সুশীল নিয়ন্ত্রিত পত্রিকাগুলো তাকে এক বিরল ব্যক্তিত্ব বানানোর কসরত করে সারাক্ষণ। মানবাধিকার ইস্যুকে পশ্চিমাদের খাদ্য বানিয়ে আমাদের সুশীল এবং মূলধারার গণমাধ্যম এবার ব্যাংকিং সেক্টরের মেরুদ- ভাঙার মিশনে নেমেছে। বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টরে এখন চারদিক থেকে গুজবগুলো ছোড়া হচ্ছে। মূলধারার গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং কিছু গুজববিলাসী জনগণ প্রতিদিন ব্যাংকিং সেক্টর ধ্বংসের গল্প শোনাচ্ছে। সকালে উঠে শুনি ১০টি ব্যাংক নাকি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। দুপুরে শুনি, ব্যাংক নাকি টাকা দিতে পারছে না। রাতে বাসায় এলে সহধর্মিণী কার কাছ থেকে শুনে এসে আতঙ্কিত হয়ে বলেন, সব ইসলামী ব্যাংক নাকি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কত গুজব আপনি শুনবেন। কিন্তু একটু গভীরে গিয়ে খোঁজ নেবেন ব্যাংক আগে যেভাবে চলছিল এখনো সেভাবেই চলছে। হলমার্ক কেলেঙ্কারির পরও সোনালী ব্যাংকের আমানতকারীদের টাকা খোয়া যায়নি। বেসিক ব্যাংকের ভয়াবহ ঋণ জালিয়াতির পরও ব্যাংকটি টিকে আছে। ফারমার্স ব্যাংক নানা সংকটের পরও একজন গ্রাহকের একটি টাকাও মার যায়নি। তাহলে ইসলামী ব্যাংকের মতো একটি শক্তিশালী ব্যাংক ঋণ দিয়ে দেউলিয়া হয়ে যাবে? এসব গুজব কতটা অযৌক্তিক। গুজব গুজবই। গুজব কখনো সত্য হবে না। তাই গুজব টেকসই হয় না। কিন্তু গুজবে যে কী ভয়ংকর ক্ষতি হয় তার একটা উদাহরণ দিতে চাই। ২০১৩ সালের ২৩ এপ্রিল। বেলা ১টা ৭ মিনিট। পৃথিবীর অন্যতম প্রভাবশালী বার্তা সংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) এক টুইট বার্তা প্রচার করে। এতে বলা হয়, ‘হোয়াইট হাউসে বিস্ফোরণ ঘটেছে। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আহত হয়েছেন।’ বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল। মুহূর্তেই এই সংবাদ ভাইরাল হয় এবং সরাসরি প্রভাব পড়ে পুঁজিবাজারে। তিন মিনিটে শেয়ারবাজার থেকে ১৩৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার উধাও হয়ে যায়। গুজবের মুখে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জে কারনি সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, এরকম কিছুই হয়নি। বারাক ওবামা সুস্থ আছেন। এরপর এপি জানায়, তাদের টুইট আইডি হ্যাক করে গুজবটি ছড়ানো হয়েছে। গুজবে কী ভয়ংকর ক্ষতি হতে পারে এটি তার একটি উদাহরণ মাত্র। বাংলাদেশে এখন গুজবের প্লাবন। ফেসবুক, ইউটিউব থেকে শুরু করে মূলধারার গণমাধ্যম। সুশীল সমাজ থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদ এখন গুজব গুজব খেলছেন।

গুজবে উপদ্রুত হচ্ছেন এ দেশের সাধারণ জনগণ। আন্দোলন বা সমাবেশ নয়, গুজব দিয়েই সরকারকে হটানোর সম্মিলিত চেষ্টা এখন দৃশ্যমান। প্রশ্ন হলো, আপনি গুজব রুখবেন কীভাবে। বিশ্বাসযোগ্যভাবে সত্য উপস্থাপনের মাধ্যমে। যেমনটি করেছিলেন হোয়াইট হাউসের প্রতিনিধি জে কারনি। তার কথা জনগণ বিশ্বাস করেছিল। তিনি প্রথমেই গুজবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশে গুজবের ব্যাপারে সরকার প্রথম নিস্পৃহ এবং উদাসীন থাকে। এসবকে পাত্তাই দেয় না। গুজব পল্লবিত হওয়ার পর সরকারের লোকজন নড়েচড়ে বসেন। গুজবকে অসত্য বলেন। আবার নানা কারণে সরকারের অধিকাংশ লোকের কথায় সাধারণ মানুষের আস্থা নেই।  সরকারি বক্তব্য অবিশ্বাসের সংস্কৃতি এ দেশে দীর্ঘদিনের পুরনো। এরকম পরিস্থিতিতে গুজবের বন্যায় ভাসছে দেশ। দ্রুত জনগণকে উদ্ধারের পথ খুঁজে বের করতে হবে সরকারকেই। না হলে গুজবের প্লাবনে সবকিছু ভেসে যাবে।
লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।
[email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
গণঅভ্যুত্থান : জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
গণঅভ্যুত্থান : জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
বিদেশি পর্যটকদের চাহিদা বুঝতে হবে
বিদেশি পর্যটকদের চাহিদা বুঝতে হবে
শান্তিদূতের জামানায় শান্তি কেন ফেরারি?
শান্তিদূতের জামানায় শান্তি কেন ফেরারি?
ফলের রাজ্য পার্বত্য চট্টগ্রাম
ফলের রাজ্য পার্বত্য চট্টগ্রাম
ট্রাম্পের ভাঁওতাবাজি এখন ঘাটে ঘাটে আটকে যাচ্ছে
ট্রাম্পের ভাঁওতাবাজি এখন ঘাটে ঘাটে আটকে যাচ্ছে
মাদকেও সেনাবাহিনীর যুগান্তকারী অ্যাকশনের অপেক্ষা
মাদকেও সেনাবাহিনীর যুগান্তকারী অ্যাকশনের অপেক্ষা
'আমেরিকায় এক আওয়ামী চোর পরিবার রোলস রয়েসে মসজিদে যায়'
'আমেরিকায় এক আওয়ামী চোর পরিবার রোলস রয়েসে মসজিদে যায়'
দেশজুড়ে অশান্তি সান্ত্বনা শুধু ‘বিবৃতি’
দেশজুড়ে অশান্তি সান্ত্বনা শুধু ‘বিবৃতি’
তারেক রহমান এক অনন্য উচ্চতায়
তারেক রহমান এক অনন্য উচ্চতায়
বিনিয়োগ কমছে আর বাড়ছে বেকারত্ব
বিনিয়োগ কমছে আর বাড়ছে বেকারত্ব
ইরান আক্রমণ নিয়ে ফাঁদে পড়েছেন ট্রাম্প
ইরান আক্রমণ নিয়ে ফাঁদে পড়েছেন ট্রাম্প
ব্যবসায়ীরা বহুমুখী সংকটে, উৎকণ্ঠায় প্রবাসীরা
ব্যবসায়ীরা বহুমুখী সংকটে, উৎকণ্ঠায় প্রবাসীরা
সর্বশেষ খবর
পানিতে গলে যাওয়া স্মার্ট মেমোরি চিপ বানালেন কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা
পানিতে গলে যাওয়া স্মার্ট মেমোরি চিপ বানালেন কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা

২ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

‘নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে বিএনপির প্রার্থীকে নির্বাচিত করাতে হবে’
‘নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে বিএনপির প্রার্থীকে নির্বাচিত করাতে হবে’

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাই শহীদদের স্মৃতি স্মরণে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন
জুলাই শহীদদের স্মৃতি স্মরণে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শারজায় প্রবাসী ফেনীবাসীদের মিলনমেলা
শারজায় প্রবাসী ফেনীবাসীদের মিলনমেলা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় কপক্ষে ৮৫ জন নিহত
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় কপক্ষে ৮৫ জন নিহত

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জেলা প্রশাসক ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন ‘নীলফামারী ক্যাপিটালস’
জেলা প্রশাসক ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন ‘নীলফামারী ক্যাপিটালস’

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানের ইউরেনিয়াম কোথায়, জানে না জাতিসংঘ
ইরানের ইউরেনিয়াম কোথায়, জানে না জাতিসংঘ

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৪ তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পিএসসি
৪৪ তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পিএসসি

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন
৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০৩১ সালে চাঁদে আঘাত হানতে পারে বিরল গ্রহাণু
২০৩১ সালে চাঁদে আঘাত হানতে পারে বিরল গ্রহাণু

৪ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

ছেলের সঙ্গে দেখা করে ফেরার পথে প্রাণ গেল দম্পতির
ছেলের সঙ্গে দেখা করে ফেরার পথে প্রাণ গেল দম্পতির

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাবেক সংসদ সদস্য ফয়সাল বিপ্লব কারাগারে
সাবেক সংসদ সদস্য ফয়সাল বিপ্লব কারাগারে

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলের হামলায় ইরানে নিহত বেড়ে ৯৩৫
ইসরায়েলের হামলায় ইরানে নিহত বেড়ে ৯৩৫

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ছেলের সাথে দেখা করে বাড়ি ফেরা হলো না, ট্রেনের ধাক্কায় গেলো দম্পতির প্রাণ
ছেলের সাথে দেখা করে বাড়ি ফেরা হলো না, ট্রেনের ধাক্কায় গেলো দম্পতির প্রাণ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি
সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাবির ১০৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী মঙ্গলবার
ঢাবির ১০৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী মঙ্গলবার

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইলিশের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো যাবে না : মৎস্য উপদেষ্টা
ইলিশের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো যাবে না : মৎস্য উপদেষ্টা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই দিন আগেই একাদশ ঘোষণা করলো ইংল্যান্ড
দুই দিন আগেই একাদশ ঘোষণা করলো ইংল্যান্ড

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারে শুরু জুলাইয়ে
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারে শুরু জুলাইয়ে

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ভারতের অন্যায় আবদারের কাছে আমরা মাথানত করবো না’
‘ভারতের অন্যায় আবদারের কাছে আমরা মাথানত করবো না’

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে : নায়াব ইউসুফ
নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে : নায়াব ইউসুফ

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এআইইউবি ইন্টার কলেজ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু
এআইইউবি ইন্টার কলেজ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

৮৮০ ইসরায়েলি সেনা নিহত
৮৮০ ইসরায়েলি সেনা নিহত

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা
গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গ্রাম্য ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগ
গ্রাম্য ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চাঁদা আদায় বন্ধের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
চাঁদা আদায় বন্ধের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রায় মেনে ভারতকে সিন্ধু পানি চুক্তি বাস্তবায়নের আহ্বান জানাল পাকিস্তান
রায় মেনে ভারতকে সিন্ধু পানি চুক্তি বাস্তবায়নের আহ্বান জানাল পাকিস্তান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ
ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মির্জাপুরে বন বিভাগের সাড়ে ৭ একর জমি দখলমুক্ত
মির্জাপুরে বন বিভাগের সাড়ে ৭ একর জমি দখলমুক্ত

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজা যুদ্ধে সেনা হতাহতের সংখ্যা জানাল ইসরায়েল
গাজা যুদ্ধে সেনা হতাহতের সংখ্যা জানাল ইসরায়েল

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
ইসরায়েলি আগ্রাসন : পাকিস্তানের ‘সাহসী অবস্থানের’ প্রশংসায় ইরানের সেনাপ্রধান
ইসরায়েলি আগ্রাসন : পাকিস্তানের ‘সাহসী অবস্থানের’ প্রশংসায় ইরানের সেনাপ্রধান

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মগবাজারে আবাসিক হোটেলে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু
মগবাজারে আবাসিক হোটেলে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নেতানিয়াহুকে ‘অবশ্যই চলে যেতে হবে’: সাবেক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী
নেতানিয়াহুকে ‘অবশ্যই চলে যেতে হবে’: সাবেক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আসিফের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আসিফের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার ফলাফল অতিরঞ্জিত করেছেন ট্রাম্প: খামেনি
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার ফলাফল অতিরঞ্জিত করেছেন ট্রাম্প: খামেনি

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে যে শর্ত দিলেন ট্রাম্প
ইরানের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে যে শর্ত দিলেন ট্রাম্প

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নায়কের মুখে দুর্গন্ধ, অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বিপাশা!
নায়কের মুখে দুর্গন্ধ, অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বিপাশা!

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ভালোবেসে বিয়ে, স্ত্রী তালাক দেওয়ায় দুধ দিয়ে গোসল
ভালোবেসে বিয়ে, স্ত্রী তালাক দেওয়ায় দুধ দিয়ে গোসল

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আদালতের কাঠগড়ায় হাসিমুখে তুহিন, নিশ্চুপ মমতাজ
আদালতের কাঠগড়ায় হাসিমুখে তুহিন, নিশ্চুপ মমতাজ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবির আড়ালে ষড়যন্ত্র রয়েছে : এ্যানি
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবির আড়ালে ষড়যন্ত্র রয়েছে : এ্যানি

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এইচএসসি পরীক্ষা দিতে বেরিয়ে নিখোঁজ মাহিরা উদ্ধার
এইচএসসি পরীক্ষা দিতে বেরিয়ে নিখোঁজ মাহিরা উদ্ধার

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তালগাছ কেটে পাঁচ শতাধিক বাবুই ছানা হত্যায় প্রধান আসামি গ্রেফতার
তালগাছ কেটে পাঁচ শতাধিক বাবুই ছানা হত্যায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সক্ষমতা এখনও আছে, ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সক্ষমতা এখনও আছে, ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভাঙ্গায় এক্সপ্রেসওয়ের ফুটপাত দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান
ভাঙ্গায় এক্সপ্রেসওয়ের ফুটপাত দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পিআর ইস্যুতে যা বললেন মঈন খান
পিআর ইস্যুতে যা বললেন মঈন খান

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রের ক্ষতি আসলে কতোটা?
ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রের ক্ষতি আসলে কতোটা?

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ইরানকে উপড়ে ফেলার ইসরায়েলি চেষ্টা ব্যর্থ’
‘ইরানকে উপড়ে ফেলার ইসরায়েলি চেষ্টা ব্যর্থ’

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অক্টোবরের আগে ভাঙা রাস্তা মেরামত, সরবে পুরনো বাস : পরিবেশ উপদেষ্টা
অক্টোবরের আগে ভাঙা রাস্তা মেরামত, সরবে পুরনো বাস : পরিবেশ উপদেষ্টা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ
ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মঙ্গলবার ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ থাকবে
মঙ্গলবার ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ থাকবে

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ সার্কুলার ২০২৫, মঙ্গলবার থেকে আবেদন শুরু
পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ সার্কুলার ২০২৫, মঙ্গলবার থেকে আবেদন শুরু

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমেরিকায় যেভাবে ভয়ানক আসক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘লাফিং গ্যাস’
আমেরিকায় যেভাবে ভয়ানক আসক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘লাফিং গ্যাস’

৮ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কখনওই বন্ধ হবে না: ইরাভানি
ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কখনওই বন্ধ হবে না: ইরাভানি

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আলোচনায় ফিরতে হলে হামলা না করার নিশ্চয়তা দিতে হবে, যুক্তরাষ্ট্রকে ইরান
আলোচনায় ফিরতে হলে হামলা না করার নিশ্চয়তা দিতে হবে, যুক্তরাষ্ট্রকে ইরান

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল আজ
৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল আজ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৩০ জুন)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৩০ জুন)

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে চীন : মির্জা ফখরুল
নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে চীন : মির্জা ফখরুল

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাজস্ব আদায় গতবারের চেয়ে বেশি হবে এটা নিশ্চিত: এনবিআর চেয়ারম্যান
রাজস্ব আদায় গতবারের চেয়ে বেশি হবে এটা নিশ্চিত: এনবিআর চেয়ারম্যান

১৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গৃহবধূর লাশ হাসপাতালে ফেলে পালালেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন
গৃহবধূর লাশ হাসপাতালে ফেলে পালালেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
থমথমে নির্বাচন কমিশন
থমথমে নির্বাচন কমিশন

প্রথম পৃষ্ঠা

গাজীপুরে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা
গাজীপুরে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

সেই জুলাই শুরু আজ
সেই জুলাই শুরু আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারের পদক্ষেপ
সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারের পদক্ষেপ

শিল্প বাণিজ্য

কেমন আছে সেন্ট মার্টিন
কেমন আছে সেন্ট মার্টিন

পেছনের পৃষ্ঠা

সংখ্যানুপাতিক ভোট প্রশ্নে বিভাজন
সংখ্যানুপাতিক ভোট প্রশ্নে বিভাজন

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোট কেন্দ্র নীতিমালায় বড় পরিবর্তন
ভোট কেন্দ্র নীতিমালায় বড় পরিবর্তন

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বেরিয়ে আসছে মুরাদনগরের মূল ঘটনা
বেরিয়ে আসছে মুরাদনগরের মূল ঘটনা

প্রথম পৃষ্ঠা

শেয়ারবাজার থেকে লুট ২০ হাজার কোটি টাকা
শেয়ারবাজার থেকে লুট ২০ হাজার কোটি টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারত থেকে ভিড়ছেন ব্রিটেনে
ভারত থেকে ভিড়ছেন ব্রিটেনে

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজশাহীতে চালের দামে দিশাহারা সাধারণ মানুষ
রাজশাহীতে চালের দামে দিশাহারা সাধারণ মানুষ

নগর জীবন

পিআর ইস্যু নিয়ে তারা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে চায়
পিআর ইস্যু নিয়ে তারা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে চায়

প্রথম পৃষ্ঠা

এবার মিরাজদের ওয়ানডে চ্যালেঞ্জ
এবার মিরাজদের ওয়ানডে চ্যালেঞ্জ

মাঠে ময়দানে

সংকট জুলাই সনদ নিয়ে
সংকট জুলাই সনদ নিয়ে

প্রথম পৃষ্ঠা

বন্দরে অপেক্ষমাণ জাহাজের সারি
বন্দরে অপেক্ষমাণ জাহাজের সারি

নগর জীবন

মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশিরা জড়িত আইএসের সঙ্গে!
মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশিরা জড়িত আইএসের সঙ্গে!

প্রথম পৃষ্ঠা

তিন লাশে মিলছে না অনেক প্রশ্নের উত্তর
তিন লাশে মিলছে না অনেক প্রশ্নের উত্তর

প্রথম পৃষ্ঠা

আসিফ মাহমুদের ব্যাগে ম্যাগাজিন নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আসিফ মাহমুদের ব্যাগে ম্যাগাজিন নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশে প্রকল্প বাতিলে উদ্বেগ চীনা বিনিয়োগকারীদের
বাংলাদেশে প্রকল্প বাতিলে উদ্বেগ চীনা বিনিয়োগকারীদের

পেছনের পৃষ্ঠা

এনসিপির ‘জনতার দুয়ারে জুলাই পদযাত্রা’ শুরু আজ রংপুর থেকে
এনসিপির ‘জনতার দুয়ারে জুলাই পদযাত্রা’ শুরু আজ রংপুর থেকে

নগর জীবন

পিআর পদ্ধতির উদ্দেশ্য নির্বাচন বানচাল
পিআর পদ্ধতির উদ্দেশ্য নির্বাচন বানচাল

নগর জীবন

ইরানের শোকবইয়ে স্বাক্ষর জামায়াতের
ইরানের শোকবইয়ে স্বাক্ষর জামায়াতের

পেছনের পৃষ্ঠা

আট দিন আটকে রাখার পর উদ্ধার করল যৌথ বাহিনী
আট দিন আটকে রাখার পর উদ্ধার করল যৌথ বাহিনী

পেছনের পৃষ্ঠা

মিসাইল সঙ্গে রাখলেও আমি আপনি নিরাপদ নই
মিসাইল সঙ্গে রাখলেও আমি আপনি নিরাপদ নই

নগর জীবন

অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বার্তা থাকবে
অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বার্তা থাকবে

নগর জীবন

জাগপার জুলাইব্যাপী গণসংযোগ
জাগপার জুলাইব্যাপী গণসংযোগ

নগর জীবন

পোশাক খাতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতা চায় বিজিএমইএ
পোশাক খাতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতা চায় বিজিএমইএ

পেছনের পৃষ্ঠা

সরকার জনগণের ভাষা বুঝতে পেরেছে
সরকার জনগণের ভাষা বুঝতে পেরেছে

নগর জীবন

নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে : নায়াব ইউসুফ
নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে : নায়াব ইউসুফ

নগর জীবন