শিরোনাম
প্রকাশ: ০৯:৩০, বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০২৪

ওলটপালট করে দে মা লুটেপুটে খাই

সৈয়দ বোরহান কবীর
অনলাইন ভার্সন
ওলটপালট করে দে মা লুটেপুটে খাই

ঘটনাটি ২০১২ সালের। বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সেই সময় দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার (তদন্ত)। এক সকালে তাকে ফোন করলেন সিরাজগঞ্জ থেকে নির্বাচিত তরুণ এমপি। বললেন, ‘চাচা, একজনকে নিয়ে আপনার কাছে আসতে চাই।’ মো. সাহাবুদ্দিন সময় দিলেন। পরদিন ওই তরুণ সংসদ সদস্য আরেকজন সংসদ সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে এলেন দুদক অফিসে। তার নাম জুনাইদ আহমেদ পলক। পরিচয় পর্বের পর পলক আর সময় নিলেন না।  দ্রুত উঠে গিয়ে মো. সাহাবুদ্দিনের পা ধরে বসলেন। সঙ্গে শুরু হলো কান্নাকাটি। দুদক কমিশনার ঘটনার আকস্মিকতায় কী করবেন, বুঝে উঠতে পারছিলেন না। তাকে টেনে উঠালেন। জানতে চাইলেন, কী সমস্যা। পলক এলাকায় একটি দুর্নীতির ঘটনায় জড়িয়ে গেছেন। তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়ে গেছে। এই তদন্ত অব্যাহত থাকলে তিনি দোষী প্রমাণিত হবেন। শেষ হয়ে যাবে পলকের রাজনীতি। হাত জোড় করে সাহায্য চাইলেন। মো. সাহাবুদ্দিন এমনিতেই পরোপকারী মানুষ। দয়াবানও বটে। ছেলেটির প্রতি তার মায়া হলো। তদন্ত কর্মকর্তাকে ফোন করলেন। খুব দ্রুতই ফাইনাল রিপোর্ট দিয়ে পলককে বাঁচিয়ে দিলেন। তখন যদি পলকের দুর্নীতির দায়ে বিচার হতো তাহলে আজ সে দুর্নীতির ‘ডন’ হতে পারত না। কচু কাটতে কাটতে যেমন মানুষ ডাকাত হয়, তেমনি ছোট চুরি করে ধরা খাওয়া পলক হয়ে উঠেছিল মহাদুর্নীতিবাজ। কদিন আগে বঙ্গভবনে হতাশা, ক্ষোভ এবং অনুতাপ নিয়ে আমাকে এই কথাগুলো বলছিলেন রাষ্ট্রপতি। হতাশার কালো মেঘে ঢাকা ছিল তার মুখ। শেষে খানিকটা উত্তেজিত হয়ে বললেন, পলককে এই কথাটা বলবেন। এদের জন্যই আওয়ামী লীগের এই সর্বনাশ। পলককে রাষ্ট্রপতির সেদিনের কথাটা বলা হয়নি। ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। বিদেশে পালিয়ে যেতে গিয়ে ধরা পড়েন পলক। অপমানজনকভাবে দেশ থেকে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এটি যেন অনিবার্য ছিল। সবাই জানত মুষ্টিমেয় কিছু ব্যক্তি সরকারের বারোটা বাজাচ্ছে। দেশের সর্বনাশ করছে। এরা পরিণত হয়েছিল গণশত্রুতে। এদের প্রতি সাধারণ মানুষের ক্ষোভ-ঘৃণা আক্রোশে রূপ নিয়েছিল। আওয়ামী লীগের নেতারাও নিজেদের মধ্যে আলাপ-চারিতার মহাবিপর্যয়ের শঙ্কায় উদ্বিগ্ন থাকতেন। মুষ্টিমেয় কিছু দুর্বৃত্ত, লুটেরা, চাটুকারের জন্য যে আওয়ামী লীগ সর্বনাশের পথে এটা কারোরই অজানা ছিল না। ১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ছিল ২২ পরিবারের লুণ্ঠনের বিরুদ্ধে। ২০২৪ সালের আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা সংগ্রাম ছিল ২২০০ পরিবারের লুণ্ঠনের বিরুদ্ধে। গত ১৫ বছর দেশটা জনগণের ছিল না। আওয়ামী লীগেরও ছিল না। দেশটা দখল করেছিল কিছু লুটেরা দৈত্য। এদের লুটেরা দৈত্যদের কথা সবাই জানত। কিন্তু কেউ মুখ খুলতে সাহস পেত না। দেশে চলছিল লুটতন্ত্র। এ যেন লুটের উৎসব। ওলটপালট করে দে মা লুটেপুটে খাই- এই নীতিতে চলছিল বাংলাদেশ।

আওয়ামী লীগের সভাপতির কার্যালয় ধানমন্ডি তিন নম্বরে। যেখানে বেকার, পদহীন নেতারা দিনভর আড্ডা দিতেন। রাজা-উজির মারতেন। কোন মন্ত্রী, এমপি, নেতা কত টাকা বানিয়েছে তার আদ্যোপান্ত শোনা যেত এখানেই। একদিন টেলিভিশনে খবর হচ্ছিল। খবরে সালমান এফ রহমানকে দেখে তরুণ এক নেতা চিৎকার করে বললেন, ‘দরবেশেরে দেখলেই আওয়ামী লীগের এক লাখ ভোট কমে।’ মুহূর্তেই এই কথা চলে গেল সরকারের কর্তাদের কাছে। গণভবনে নিষিদ্ধ হলেন ওই তরুণ নেতা। মনোনয়ন তো দূরের কথা, কোনো কমিটিতেও রাখা হলো না তাকে। তাকে দেখলেই আওয়ামী লীগের নেতারা এমনভাবে তাকাতেন যেন তিনি খুনি কিংবা ডাকাত। একদিন চা পান করতে করতে তার দুঃখের গল্প বলছিলেন আমাকে। সালমান হয়ে উঠেছিলেন সরকারের সবচেয়ে ক্ষমতাবান ব্যক্তি। অনেকেই তাকে ‘উপ-প্রধানমন্ত্রী’ বলতেন। কে মন্ত্রী হবে, কে সচিব হিসেবে কোন মন্ত্রণালয় পাবে তা সিদ্ধান্ত নিতেন সালমান। একজন সাবেক মন্ত্রীর গল্প বলি। তিনি ভালো আইনজীবী। ২০১৮ সালে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পান। সেবার তো আর দেশে ভোট হয়নি। আওয়ামী লীগের টিকিট পাওয়া মানেই এমপি। আইনজীবীর ভাগ্য সুপ্রসন্ন প্রথমবার এমপি হয়েই মন্ত্রী হলেন। পেলেন এক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়। কদিন বাদেই সেই মন্ত্রণালয়ে সালমানের হানা। একটি ব্যবসায়ী গ্রুপের জন্য তদ্বির করতে এলেন। কিন্তু আইনবহির্ভূত, এ কারণে সালমানের তদ্বির শুনলেন না ওই মন্ত্রী। মন্ত্রী নিজে বিষয়টি নিয়ে গণভবনে গিয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বললেন। কদিন পরই বেচারা বুঝতে পারলেন কোন দানবের সঙ্গে যুদ্ধে নেমেছেন। সরকারি সফরে দুবাই গেছেন ওই মন্ত্রী। সেখানেই জানলেন, তাকে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সালমান প্রকাশ্যে জানিয়ে দিলেন, তার কথা না শুনলে কী হয়। এ যেন ‘জাওয়ান’ সিনেমার ব্যবসায়ী ‘কালির’ বাংলাদেশ সংস্করণ। যেখানে সরকার পুতুল মাত্র। রাষ্ট্র চালায় ‘কালি’। বাংলাদেশ যেন চালাতেন সালমান। ব্যবসা-বাণিজ্য ব্যাংক-বিমা, প্রশাসন-মন্ত্রী সবকিছু প্রকাশ্যে নিয়ন্ত্রণ করতেন এই ঋণ খেলাপি মাফিয়া। সরকারের কাজ ছিল শুধু লুটেপুটে খাওয়ার ব্যবস্থা করা।

সালমান একা নন, ছোট-বড় নানা লুটেরা সিন্ডিকেট চেটেপুটে খেয়েছে বাংলাদেশ। বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি সেক্টরের কথাই ধরা যাক। সেখানে একজন প্রতিমন্ত্রী যেন অনন্তকালের জন্য লুটপাটের লাইসেন্স পান। তিনি গর্ব করে ব্যবসায়ীদের বলতেন ‘সিআরআই (আওয়ামী লীগের গবেষণা উইং) চালাই। অনেক খরচ।’ এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এক ডাক সাইটে সচিবকে। পরে তিনি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ নীতিনির্ধারক আমলা হয়েছিলেন। বিদ্যুতের দায়িত্ব দেওয়ার পর শেখ হাসিনা ওই সচিবকে ডেকে পাঠান। বলেন, ‘প্রতিমন্ত্রী চোর। কাজেই সাবধান। সব ফাইল আমাকে দেখাবে।’ ওই সচিব না হলেও এক শ জনকে কথাটি বলেছিলেন। তাতে ওই প্রতিমন্ত্রীর দুর্নীতি এতটুকু কমেনি, বরং বেড়েছে। ২০১৬ সালের ঘটনা। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে হঠাৎ দৌড়ঝাঁপ বেড়ে গেল। একজন প্রতিমন্ত্রী পদত্যাগ করছেন। প্রধানমন্ত্রী তাকে পদত্যাগ করতে বলেছেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি নিশ্চিত করলেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে। কারণ সীমাহীন দুর্নীতি। কিন্তু বিকাল নাগাদ উত্তেজনা থিতিয়ে পড়ল। পদত্যাগ নাটকের সমাপ্তি ঘটল। পরদিন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে দেখা গেল সিআরআইয়ের একটি অনুষ্ঠানে। মুচকি হেসে ঘনিষ্ঠদের বলেছিলেন ‘আমাকে সরানো এত সহজ?’ এই প্রতিমন্ত্রী ময়মনসিংহ এলাকায় আস্ত একটি গ্রাম কিনেছেন। কেরানীগঞ্জে তার অনুমতি ছাড়া কোনো জমির রেজিস্ট্রি হতো না। এগুলো ওপেন সিক্রেট। সবাই জানে। দুবাইয়ে আপনি যদি কোনো বাঙালি চালকের ক্যাবে ওঠেন, তাহলে দর্শনীয় স্থান দেখানোর মতো করে তিনি আপনাকে ওই সাবেক প্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ আমলে ফুলেফেঁপে ওঠা বিত্তবানদের সম্পদ দেখাবে।

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের দুর্নীতির ফিরিস্তি দিয়েছিলেন স্বয়ং আওয়ামী লীগ সভাপতি। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় তিনি বলেন, ‘তুমি কী ছিলে এখন কী হয়েছ জানি না। কত টাকার মালিক হয়েছ তুমি? কত টাকা দুর্নীতি করেছ সব জানি।’ বৈঠকে উপস্থিত আওয়ামী লীগের সব নেতা ধরেই নিয়েছিলেন ড. হাছান মাহমুদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ। কিন্তু কীসের কী, দুর্নীতিবাজের স্বীকৃতি পাওয়ার পর তার ক্যারিয়ারের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। ড. হাছান ২০১৮ সালে তথ্যমন্ত্রী হলেন, ২০২৪ সালে হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আওয়ামী লীগের এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এ যেন অর্ধেক রাজ্য আর রাজকন্যা পাওয়ার মতো। দুর্নীতিবাজ হওয়ার রাষ্ট্রীয় পুরস্কার।

শাহরিয়ার আলম বিএনপিতে যোগ দিতে চেয়েছিলেন। এজন্য রাজশাহীতে বিএনপির জনপ্রিয় নেতা মিজানুর রহমান মিনুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। মিনু একজন আপাদমস্তক রাজনীতিবিদ। তিনি শাহরিয়ারকে বোঝালেন। বললেন, ব্যবসা করছ সেটাই ভালো। ব্যবসা করেও দেশের জন্য অবদান রাখা যায়। তাকে ফিরিয়ে দিলেন। ওমা! কদিন পর শাহরিয়ার আওয়ামী লীগে যোগ দিলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হয়ে যেন পেলেন আলাদিনের চেরাগ। কথায় কথায় সজীব ওয়াজেদ জয় আর ববির নাম ভাঙাতেন। একইভাবে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও তাঁর পরিবারের নাম ভাঙিয়ে স্বাস্থ্য খাতে হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছেন জাহিদ মালেক। জাহিদ মালেকের বাবা ছিলেন স্বৈরাচার এরশাদের দোসর। ২০১৪ সালে তাকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী করা হয়। ২০১৮ সালে তিনি হন পূর্ণমন্ত্রী। পূর্ণমন্ত্রী হওয়ার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পরিণত হয় দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে। সব ফাইল তিনি বাড়িতে নিয়ে যেতেন। তার ছেলে রাহাত মালিক কেনাকাটার টেন্ডারে সিদ্ধান্ত দিতেন। সাবেক মন্ত্রীর বারিধারার বাসা ছিল স্বাস্থ্যের ঠিকাদারদের সান্ধকালীন ঠিকানা। তার অবাধ লুণ্ঠনে কেউ বাধা দিলে তাকে তাৎক্ষণিক বদলি করে দেওয়া হতো। বৈঠকে তিনি ফোনে দেখাতেন, গত রাতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কতক্ষণ কথা হয়েছে। জাহিদ মালেক যেমন শেখ হাসিনার নাম বিক্রি করে লুণ্ঠন করতেন, তেমনি সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী শেখ রেহানার নাম ভাঙাতেন কথায় কথায়। যে কোনো টেন্ডার বিল আটকে দিতেন। সরাসরি বলতেন, ‘টাকা দিয়ে মন্ত্রী হয়েছি ভাই।’

২০২৩ সালের ডিসেম্বরের কথা। আটকে যাওয়া বিল উদ্ধারে একজন ব্যবসায়ী গেলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর দপ্তরে। মন্ত্রী হাসিখুশিভাবে তাকে চা পানে আপ্যায়িত করলেন। টাকা পয়সার বিষয়টিও ফয়সালা হয়ে গেল। কিন্তু বিলের ফাইলে মন্ত্রী স্বাক্ষর করলেন না। বললেন, নির্বাচনের পর এই চেয়ারে বসে প্রথম আপনার ফাইল স্বাক্ষর করব। ব্যবসায়ী খুশি হতে পারলেন না। তর্ক জুড়ে দিলেন। বললেন, মানছি আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আবার জয়ী হবে। কিন্তু আপনি তো আর এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী থাকবেন না। মন্ত্রী তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে বললেন, নিশ্চিত থাকুন, আমিই এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হচ্ছি। ব্যবসায়ী মন খারাপ করে ফিরে এলেন। এক রাশ অনিশ্চয়তা নিয়ে তিনি আমাকে তার হতাশার কথা বলছিলেন। কিন্তু কী আশ্চর্য ১১ জানুয়ারি গঠিত মন্ত্রিসভায় তাজুল ইসলামই হলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। মন্ত্রিসভায় চালু হয়েছিল কোটা পদ্ধতি। কে কার কোটায় মন্ত্রী সবাই জানতেন। কোটার বদৌলতে ‘ডিমেনশিয়ার রোগী’ লোটাস কামাল কোনো কাজ না করেই পাঁচ বছর অর্থমন্ত্রী হিসেবে থেকে গেলেন। এই সময় দেশের অর্থনীতির বারোটা বাজলেও লোটাস কামাল ও তার স্ত্রী কন্যার সম্পদের স্ফীতি ঘটেছে বিপুলভাবে। এরকম বহু মন্ত্রীর উদাহরণ দেওয়া যায়। যারা দেশকে ওলটপালট করে লুটেপুটে খেয়েছে।

গত ১০ বছর ধরে এসব নিয়ে লিখছি। ২০২৩ সালের ১৮ মার্চ বাংলাদেশ প্রতিদিনে ‘এই চোর কোথা থেকে পয়দা হয়েছে জানি না’ শিরোনামে কলাম লিখেছিলাম। ২৭ মে লিখেছিলাম ‘সরকারের ঘরেই সর্বনাশের বসবাস’। ওই বছরের ১০ জুন লিখেছিলাম ‘নৌকা ডোবাতে মরিয়া কতিপয় মন্ত্রী এবং আমলা।’ ওই কলামের পর ক্ষমতাধরদের চাপে বাংলাদেশ প্রতিদিনে আমার কলাম বন্ধ হয়ে যায়। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে দুর্নীতিবাজদের দেওয়া হয় আশকারা। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কথা বললেই তাকে ষড়যন্ত্রকারী তকমা লাগিয়ে দেওয়ার সংস্কৃতি চালু হয়।

মন্ত্রী-এমপিরা যখন দুর্নীতির উৎসবে মত্ত তখন আমলারা দূরে থাকবেন কেন? কদিন আগে দেখলাম সাবেক সিনিয়র সচিব শাহ কামালের মোহাম্মদপুরের বাসা যেন রীতিমতো টাকার গুদাম। এই সচিব যে ভয়াবহ দুর্নীতিবাজ সবাই জানতেন। এমনকি শেখ হাসিনাও জানতেন শাহ কামাল দুর্নীতিবাজ। ২০১৪ সালের ভোটারবিহীন নির্বাচনের পর শেখ হাসিনা বিভিন্ন মন্ত্রণালয় পরিদর্শন শুরু করেন। শাহ কামাল তখন দুর্যোগের সচিব। মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে গিয়ে শেখ হাসিনা ভরা বৈঠকে সচিবের দুর্নীতি নিয়ে নাখোশ হলেন। বললেন ‘কোথায় কী করেন সব জানি। আমি কিন্তু হুটহাট করে এই মন্ত্রণালয়ে আসব। হাতে নাতে ধরব।’ সবাই ধরে নিল শাহ কামাল সম্ভবত আর এই মন্ত্রণালয়ে থাকছে না। কিন্তু কোথায় কী? বহাল তবিয়তে থেকে গেলেন। শাহ কামালের মতো যারা দুর্বৃত্ত, দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত তারাই পদোন্নতি পেয়েছেন। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন। তারাই ছিলেন পতিত সরকারের আস্থাভাজন। এমনকি শেখ হাসিনার পিয়নও ৪০০ কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পালিয়ে গেছে নিরাপদে। কত বেনজীর-মতিউরের জন্ম হয়েছে গত ১৫ বছরে কে জানে?

আমার বিবেচনায় এই অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম বড় কাজ হলো রাষ্ট্রের ভিতর থাকা এই দুর্বৃত্ত চক্র এবং দুর্নীতিবাজদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা। এদের যদি চিহ্নিত না করা যায়, নির্মোহভাবে যদি এদের বিচার না হয় তাহলে এই বিপ্লব ব্যর্থ হতে বাধ্য। অতীতে সব সরকারই দুর্নীতিকে রাজনৈতিক ফায়দা আদায়ের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। দুর্নীতির নিরপেক্ষ তদন্ত হয়নি। বিরোধী দলকে চাপে ফেলার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে ব্যবহার করেছে। এবারও কি তাই হবে? আমি লক্ষ্য করেছি, জুলাই বিপ্লবের পর নতুন সরকার হত্যার বিচারে যত মনোযোগী, দুর্নীতির ব্যাপারে ততটাই উদাসীন। এখন পর্যন্ত গত ১৫ বছরে লুণ্ঠনের জন্য কোনো কমিশন হয়নি। পুনর্গঠন করা হয়নি দুর্নীতি দমন কমিশন। বরং দুর্নীতি দমন কমিশন সেই পুরনো পথেই হাঁটছে। বিভিন্ন স্বীকৃত দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে তদন্ত করার নতুন নাটক মঞ্চস্থ করছে। এতে অতীতের মতো দুর্নীতিবাজরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাবে। বছরের পর বছর চলবে বিচারের নামে কালক্ষেপণ। দুর্নীতিবাজরা আবার সংগঠিত হবে। তাই বিপ্লবের ফসল ঘরে তুলতে হলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধের বিকল্প নেই। সেই যুদ্ধ করতে হবে সততার সঙ্গে।

আমি মনে করি, জুলাই হত্যাকান্ড এবং ১০ বছরের দুর্নীতি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। একটি আরেকটির সঙ্গে সম্পর্কিত। কেন শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে এভাবে পৈশাচিক কায়দায় দমনের চেষ্টা করেছিল পতিত সরকার? কারণ সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। জনগণের ক্ষোভ-দুঃখ-বেদনাগুলো সরকারের কাছে পৌঁছানোর সব দরজা ছিল বন্ধ। সরকার কেন জনবিচ্ছিন্ন হলো? কারণ গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সরকার দেশ শাসন করেছিল কোনো বৈধ ম্যান্ডেট ছাড়া, ভোট ছাড়া। নানা কূটকৌশলে তারা ‘ক্ষমতা’-কে চিরস্থায়ী করতে চেয়েছিল। ক্ষমতায় আজীবন থাকার এই সর্বগ্রাসী মানসিকতাকে কেন আচ্ছন্ন হয়েছিল সাবেক সরকার? কারণ দুর্নীতি। দুর্নীতির জন্যই সরকার ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল। দুর্নীতি ঢাকার জন্যই সরকার মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করেছিল। অবাধে লুণ্ঠনের জন্যই সরকার একটি সিন্ডিকেট তৈরি করেছিল। দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্যই সরকার সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছিল। দুর্নীতিই আসলে সরকারকে স্বৈরাচার করেছিল, করে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য। দুর্নীতির কারণেই তারা রীতিমতো দানবে পরিণত হয়েছিল। আমরা যদি বিগত সরকার কাঠামোয় সবক্ষেত্রে ক্ষমতাবানদের পর্যালোচনা করি তাহলে দেখব সবক্ষেত্রে দুর্নীতিবাজদের রাজত্ব ও কর্তৃত্ব। দুর্নীতিবাজদের পুরস্কৃত করার এক রীতি চালু হয়েছিল দেশে। উদহারণ দিই, নদী কমিশনের চেয়ারম্যান ডা. দীপু মনির বিরুদ্ধে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ করলেন। বেচারা চেয়ারম্যানও পদচ্যুত হলেন, দীপু মনি আবার মন্ত্রী হলেন। বিগত সরকারের কিচেন ক্যাবিনেট ছিল সেরা দুর্নীতিবাজদের সমন্বয়ে গড়া। সালমান ছিলেন দুর্নীতিবাজদের শিরোমণি। তিনি ছিলেন সবচেয়ে ক্ষমতাবান। ওবায়দুল কাদের রেকর্ড তিনবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন কীভাবে? দুর্নীতিতে পারদর্শী হওয়ার কারণে। ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই কাদের মির্জা একবার বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে সরব হলেন। ওবায়দুল কাদের এবং তার স্ত্রীর দুর্নীতির ফিরিস্তি দিতে থাকলেন ফেসবুকে। বিপদ দেখে কাদের ছোট ভাইকে বাড়িতে ডেকেছিলেন। কত টাকায় শেষ পর্যন্ত ছোট ভাইয়ের মুখ বন্ধ করেছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক তা অবশ্য জানা যায়নি। হ্যাটট্রিক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন আসাদুজ্জামান খান কামাল। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত একজন বিশেষ সহকারী, যিনি শেখ হাসিনার নিকটাত্মীয়ও বটে। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দুর্নীতির তথ্য-প্রমাণ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনাকে। পরে শেখ হাসিনার কাছে অনাহূত হন ওই বিশেষ সহকারী। আইনমন্ত্রীর দুর্নীতি এবং প্রেম প্রণয়ের গল্প নিয়ে হাসি ঠাট্টা হতো সর্বত্র। তারপরও শেখ হাসিনার কাছে আনিসুল হক ছিলেন একান্ত প্রিয়জন। শুধু মন্ত্রী নয় প্রশাসনেও শীর্ষ এবং গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলো ছিল চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের দখলে। ব্যাংকপাড়ায় সাবেক বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে বলা হতো এস আলমের ‘ক্রীতদাস’। পুলিশ, বিচার বিভাগ কোথায় ছিল না দুর্নীতিবাজদের দাপট। দুর্নীতিবাজদের হাতেই যেন সমর্পিত হয়েছিল বাংলাদেশ। শেখ সাদী লিখেছিলেন-‘এমন একদিন আসবে যেদিন মূর্খরা উদ্ভট আদেশ জারি করবে। নির্বোধরা তাদের নির্বুদ্ধিতার জন্য গর্ব অনুভব করবে, পন্ডিতরা তাদের পান্ডিত্যের জন্য অনুশোচনা বোধ করবেন। দুর্নীতিপরায়ণরা তাদের দুর্নীতির জন্য উল্লাসে নৃত্য করবে।’ বাংলাদেশে সেই সময় এসেছিল। যার বিরুদ্ধে আসলে এই বিদ্রোহ এবং বিপ্লব। তাই বিপ্লবের ফসল সব মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হলে দুর্নীতির শেকড় উপড়ে ফেলতে হবে। লুটেরা দৈত্যদের বোতলে বন্দি করতে হবে। না হলে এই দুর্বৃত্তরা প্রতি বিপ্লব ঘটাবে। দুর্নীতির নিরপেক্ষ এবং দ্রুত বিচার না হলে আবার জন্ম নেবে নতুন দুর্নীতির রাক্ষস।

 
লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত

এই বিভাগের আরও খবর
পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত
পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত
খেলাধুলার মানোন্নয়নে ক্রীড়া সাংবাদিকতার ভূমিকা
খেলাধুলার মানোন্নয়নে ক্রীড়া সাংবাদিকতার ভূমিকা
গণঅভ্যুত্থান : জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
গণঅভ্যুত্থান : জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
বিদেশি পর্যটকদের চাহিদা বুঝতে হবে
বিদেশি পর্যটকদের চাহিদা বুঝতে হবে
শান্তিদূতের জামানায় শান্তি কেন ফেরারি?
শান্তিদূতের জামানায় শান্তি কেন ফেরারি?
ফলের রাজ্য পার্বত্য চট্টগ্রাম
ফলের রাজ্য পার্বত্য চট্টগ্রাম
ট্রাম্পের ভাঁওতাবাজি এখন ঘাটে ঘাটে আটকে যাচ্ছে
ট্রাম্পের ভাঁওতাবাজি এখন ঘাটে ঘাটে আটকে যাচ্ছে
মাদকেও সেনাবাহিনীর যুগান্তকারী অ্যাকশনের অপেক্ষা
মাদকেও সেনাবাহিনীর যুগান্তকারী অ্যাকশনের অপেক্ষা
'আমেরিকায় এক আওয়ামী চোর পরিবার রোলস রয়েসে মসজিদে যায়'
'আমেরিকায় এক আওয়ামী চোর পরিবার রোলস রয়েসে মসজিদে যায়'
দেশজুড়ে অশান্তি সান্ত্বনা শুধু ‘বিবৃতি’
দেশজুড়ে অশান্তি সান্ত্বনা শুধু ‘বিবৃতি’
তারেক রহমান এক অনন্য উচ্চতায়
তারেক রহমান এক অনন্য উচ্চতায়
বিনিয়োগ কমছে আর বাড়ছে বেকারত্ব
বিনিয়োগ কমছে আর বাড়ছে বেকারত্ব
সর্বশেষ খবর
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নিহত ২
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নিহত ২

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আবুধাবিতে সাড়ে ৮৩ কোটি টাকার লটারি জিতলেন প্রবাসী বাংলাদেশি
আবুধাবিতে সাড়ে ৮৩ কোটি টাকার লটারি জিতলেন প্রবাসী বাংলাদেশি

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দৈনিক কোটি টাকার চাঁদাবাজি
দৈনিক কোটি টাকার চাঁদাবাজি

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি বেড়েছে ২১০০ কোটি টাকা
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি বেড়েছে ২১০০ কোটি টাকা

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

এবার নির্বাচনে সেনাবাহিনীই ভরসা
এবার নির্বাচনে সেনাবাহিনীই ভরসা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত
পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত

৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

বাবার হাত ছেড়ে রাস্তা পার হতে গিয়ে গাড়িচাপায় সন্তানের মৃত্যু
বাবার হাত ছেড়ে রাস্তা পার হতে গিয়ে গাড়িচাপায় সন্তানের মৃত্যু

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এসিড নিক্ষেপ, দুই নারী ও শিশু দগ্ধ
বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এসিড নিক্ষেপ, দুই নারী ও শিশু দগ্ধ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এনএসডিএ'র নির্বাহী চেয়ারম্যান হলেন রেহানা পারভীন
এনএসডিএ'র নির্বাহী চেয়ারম্যান হলেন রেহানা পারভীন

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারী পাচারে টোপ ‘ভালো চাকরি’
নারী পাচারে টোপ ‘ভালো চাকরি’

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুগদায় ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনি, হাসপাতালে তরুণের মৃত্যু
মুগদায় ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনি, হাসপাতালে তরুণের মৃত্যু

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মাতুয়াইলে ১০ তলার ছাদ থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু
মাতুয়াইলে ১০ তলার ছাদ থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

৪ জুলাই পৃথিবীর কাছ দিয়ে যাবে বিশাল আকৃতির গ্রহাণু
৪ জুলাই পৃথিবীর কাছ দিয়ে যাবে বিশাল আকৃতির গ্রহাণু

৭ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

জুলাইয়ের বিপ্লবী ছাত্র-জনতা মব নয় : মাহফুজ আলম
জুলাইয়ের বিপ্লবী ছাত্র-জনতা মব নয় : মাহফুজ আলম

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঝালকাঠিতে জামায়াতের খাবার বিতরণ
ঝালকাঠিতে জামায়াতের খাবার বিতরণ

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলি হামলায় ইন্দোনেশীয় চিকিৎসকের মৃত্যুতে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আহ্বান
ইসরায়েলি হামলায় ইন্দোনেশীয় চিকিৎসকের মৃত্যুতে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আহ্বান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পরকীয়ায় বাধা, ভাসুরকে হত্যা লাশ মাটি চাপা
পরকীয়ায় বাধা, ভাসুরকে হত্যা লাশ মাটি চাপা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ছিনতাইয়ের সালিশ নিয়ে বিরোধের জেরে তিনজনকে গণপিটুনিতে হত্যা
ছিনতাইয়ের সালিশ নিয়ে বিরোধের জেরে তিনজনকে গণপিটুনিতে হত্যা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিরাজগঞ্জের দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ২
সিরাজগঞ্জের দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ২

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জাপানে ভূমিকম্পের মধ্যে সমুদ্রে ‌‘অদ্ভুত গর্জন’ শোনার দাবি
জাপানে ভূমিকম্পের মধ্যে সমুদ্রে ‌‘অদ্ভুত গর্জন’ শোনার দাবি

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফ‍্যাসিস্টদের পুশইন করুন, বিচার করতে প্রস্তুত আমরা : নাহিদ
ফ‍্যাসিস্টদের পুশইন করুন, বিচার করতে প্রস্তুত আমরা : নাহিদ

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কুষ্টিয়ায় চালের মোকামে অভিযান, তিন চালকল মিলকে জরিমানা
কুষ্টিয়ায় চালের মোকামে অভিযান, তিন চালকল মিলকে জরিমানা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রূপগঞ্জে ধর্ষণের পর স্কুল শিক্ষার্থীকে হত্যা : খুনিদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন
রূপগঞ্জে ধর্ষণের পর স্কুল শিক্ষার্থীকে হত্যা : খুনিদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাবেক পুলিশ সুপার আসাদ ২ দিনের রিমান্ডে
সাবেক পুলিশ সুপার আসাদ ২ দিনের রিমান্ডে

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাউবির এইচএসসি পরীক্ষা শুরু শুক্রবার
বাউবির এইচএসসি পরীক্ষা শুরু শুক্রবার

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কুমারখালীতে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান, জরিমানা
কুমারখালীতে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান, জরিমানা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাই সনদ ঘোষণার দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ মিছিল
জুলাই সনদ ঘোষণার দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ মিছিল

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শাকিবের আগামী ঈদের সিনেমা চূড়ান্ত
শাকিবের আগামী ঈদের সিনেমা চূড়ান্ত

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

কক্সবাজার কারাগারে মৌসুমি ফল উৎসব
কক্সবাজার কারাগারে মৌসুমি ফল উৎসব

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন দ্বীপ বালিতে ফেরি ডুবে ৫ জনের মৃত্যু, বহু নিখোঁজ
ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন দ্বীপ বালিতে ফেরি ডুবে ৫ জনের মৃত্যু, বহু নিখোঁজ

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন নির্দেশনা মাউশির
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন নির্দেশনা মাউশির

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্ত্রীর কিডনিতে জীবন ফিরে পেয়ে পরকীয়ায় জড়ালেন স্বামী!
স্ত্রীর কিডনিতে জীবন ফিরে পেয়ে পরকীয়ায় জড়ালেন স্বামী!

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘কফি খাচ্ছিলাম চিল করছিলাম, হঠাৎ দেখি ৫ উইকেট নেই’
‘কফি খাচ্ছিলাম চিল করছিলাম, হঠাৎ দেখি ৫ উইকেট নেই’

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পিআর চালু হলে দেশে আর কোনো স্থানীয় নেতার জন্ম হবে না: রিজভী
পিআর চালু হলে দেশে আর কোনো স্থানীয় নেতার জন্ম হবে না: রিজভী

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আকুর বিল ২০২ কোটি ডলার, কমবে রিজার্ভ
আকুর বিল ২০২ কোটি ডলার, কমবে রিজার্ভ

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

নূরুলের মুখে রাতের ভোটের ভয়ংকর কাহিনি
নূরুলের মুখে রাতের ভোটের ভয়ংকর কাহিনি

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের জন্য সুখবর
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের জন্য সুখবর

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেফতার
সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেফতার

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাশিয়ার নৌবাহিনীর উপ-প্রধান নিহত
রাশিয়ার নৌবাহিনীর উপ-প্রধান নিহত

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে পরাজিত করেছে ইরান’
‘ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে পরাজিত করেছে ইরান’

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুবলীগ নেতাকে ধরতে বাড়ি ঘেরাও, ফোনে বললেন-‘লাভ হবে না’
যুবলীগ নেতাকে ধরতে বাড়ি ঘেরাও, ফোনে বললেন-‘লাভ হবে না’

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রথমবারের মতো মার্কিন থাড প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালু করল সৌদি
প্রথমবারের মতো মার্কিন থাড প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালু করল সৌদি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবার ‘বাঙ্কার বাস্টার’ বানাচ্ছে ভারত!
এবার ‘বাঙ্কার বাস্টার’ বানাচ্ছে ভারত!

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

থাইল্যান্ডের ‘বরখাস্ত’ প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন এখন সংস্কৃতিমন্ত্রী!
থাইল্যান্ডের ‘বরখাস্ত’ প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন এখন সংস্কৃতিমন্ত্রী!

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অবশেষে পটিয়া থানার ওসিকে প্রত্যাহার
অবশেষে পটিয়া থানার ওসিকে প্রত্যাহার

২১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কঠোর নির্দেশনা
মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কঠোর নির্দেশনা

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পেন্টাগনের মূল্যায়ন: কতোটা ক্ষতি হলো ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির?
পেন্টাগনের মূল্যায়ন: কতোটা ক্ষতি হলো ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির?

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্রিটিশ রাজমুকুটের আসল মূল্য কতো?
ব্রিটিশ রাজমুকুটের আসল মূল্য কতো?

১৬ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

জাপানে ভূমিকম্পের মধ্যে সমুদ্রে ‌‘অদ্ভুত গর্জন’ শোনার দাবি
জাপানে ভূমিকম্পের মধ্যে সমুদ্রে ‌‘অদ্ভুত গর্জন’ শোনার দাবি

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলি হামলায় ইন্দোনেশীয় চিকিৎসকের মৃত্যুতে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আহ্বান
ইসরায়েলি হামলায় ইন্দোনেশীয় চিকিৎসকের মৃত্যুতে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আহ্বান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি
জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এটাই কি মেসিদের ২০২৬ বিশ্বকাপের জার্সি?
এটাই কি মেসিদের ২০২৬ বিশ্বকাপের জার্সি?

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইরান আরও বিধ্বংসী হয়ে উঠতে পারে, আশঙ্কা মার্কিন বিশেষজ্ঞদের
ইরান আরও বিধ্বংসী হয়ে উঠতে পারে, আশঙ্কা মার্কিন বিশেষজ্ঞদের

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের প্রস্তাবে একমত বিএনপি: সালাহউদ্দিন আহমেদ
আইনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের প্রস্তাবে একমত বিএনপি: সালাহউদ্দিন আহমেদ

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইরান-সিরিয়া ইস্যুতে রাশিয়ার সঙ্গে গোপন আলোচনা ইসরায়েলের
ইরান-সিরিয়া ইস্যুতে রাশিয়ার সঙ্গে গোপন আলোচনা ইসরায়েলের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুপ্তচরবৃত্তির সন্দেহ, বিপুলসংখ্যক আফগানকে ফেরত পাঠাচ্ছে ইরান
গুপ্তচরবৃত্তির সন্দেহ, বিপুলসংখ্যক আফগানকে ফেরত পাঠাচ্ছে ইরান

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতে হিজবুল্লাহর ৪ হাজার যোদ্ধা নিহত
ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতে হিজবুল্লাহর ৪ হাজার যোদ্ধা নিহত

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে কাসাম-কুদসের রকেট হামলা
ইসরায়েলে কাসাম-কুদসের রকেট হামলা

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাষ্ট্র গঠনের এমন সুযোগ হেলায় হারানো যাবে না: আলী রীয়াজ
রাষ্ট্র গঠনের এমন সুযোগ হেলায় হারানো যাবে না: আলী রীয়াজ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হিমাচলে ১১ জনের মৃত্যু, এখনও নিখোঁজ ৩৪
বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হিমাচলে ১১ জনের মৃত্যু, এখনও নিখোঁজ ৩৪

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
গুমে জড়িত প্রমাণ হলে কঠোর ব্যবস্থা সেনাসদস্যদের বিরুদ্ধে
গুমে জড়িত প্রমাণ হলে কঠোর ব্যবস্থা সেনাসদস্যদের বিরুদ্ধে

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেব্রুয়ারি ঘিরেই বিএনপির প্রস্তুতি
ফেব্রুয়ারি ঘিরেই বিএনপির প্রস্তুতি

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই সনদ ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না এনসিপি
জুলাই সনদ ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

জব্দের আগেই ব্যাংক খালি স্থাবর সম্পদ অক্ষত
জব্দের আগেই ব্যাংক খালি স্থাবর সম্পদ অক্ষত

প্রথম পৃষ্ঠা

চলচ্চিত্র অনুদান - নিজেদের মধ্যেই ভাগবাঁটোয়ারা
চলচ্চিত্র অনুদান - নিজেদের মধ্যেই ভাগবাঁটোয়ারা

শোবিজ

প্রাণ ফিরেছে সুন্দরবনে
প্রাণ ফিরেছে সুন্দরবনে

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

এবার বিশ্বকাপের হাতছানি
এবার বিশ্বকাপের হাতছানি

মাঠে ময়দানে

আন্দোলনে স্বাস্থ্য সহকারীরা ঝুঁকিতে শিশু স্বাস্থ্যসেবা
আন্দোলনে স্বাস্থ্য সহকারীরা ঝুঁকিতে শিশু স্বাস্থ্যসেবা

নগর জীবন

বিএমইটির ৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
বিএমইটির ৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

নগর জীবন

থানায় হামলা ভাঙচুর
থানায় হামলা ভাঙচুর

প্রথম পৃষ্ঠা

পিআর পদ্ধতি স্বৈরশাসনের দিকে ঠেলে দেবে
পিআর পদ্ধতি স্বৈরশাসনের দিকে ঠেলে দেবে

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশে ডেলিভারি বিদেশে লেনদেন
দেশে ডেলিভারি বিদেশে লেনদেন

পেছনের পৃষ্ঠা

পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত
পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত

সম্পাদকীয়

কবরের মতো বন্দিশালা
কবরের মতো বন্দিশালা

প্রথম পৃষ্ঠা

সতর্কতার সঙ্গে পথ হাঁটছে বিএনপি
সতর্কতার সঙ্গে পথ হাঁটছে বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

ছবিতে শহীদ সন্তানের স্মৃতি হাতড়ান মা-বাবা
ছবিতে শহীদ সন্তানের স্মৃতি হাতড়ান মা-বাবা

দেশগ্রাম

ব্যয়বহুল তৌসিফ
ব্যয়বহুল তৌসিফ

শোবিজ

‘কালা জাহাঙ্গীর’ শাকিব খান
‘কালা জাহাঙ্গীর’ শাকিব খান

শোবিজ

বঁটি ঘাড়ের ওপর পড়ে শিশুর মৃত্যু
বঁটি ঘাড়ের ওপর পড়ে শিশুর মৃত্যু

দেশগ্রাম

স্কুলের বন্ধু
স্কুলের বন্ধু

সাহিত্য

মাদকসেবন করে মাকে নির্যাতনে দণ্ড
মাদকসেবন করে মাকে নির্যাতনে দণ্ড

দেশগ্রাম

মায়াবী নিঃসঙ্গ ওম
মায়াবী নিঃসঙ্গ ওম

সাহিত্য

জঙ্গি নাটক সাজিয়ে হত্যা সাবেক এসপি রিমান্ডে
জঙ্গি নাটক সাজিয়ে হত্যা সাবেক এসপি রিমান্ডে

দেশগ্রাম

নিষিদ্ধ জালে মাছ নিধন
নিষিদ্ধ জালে মাছ নিধন

দেশগ্রাম

কবিধাম-কবির শহর টাঙ্গাইল
কবিধাম-কবির শহর টাঙ্গাইল

সাহিত্য

নূরুল হুদার জবানবন্দি
নূরুল হুদার জবানবন্দি

সম্পাদকীয়

গৃহবধূ হত্যা, পাঁচজন গ্রেপ্তার
গৃহবধূ হত্যা, পাঁচজন গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

আমি ও জীবনানন্দ
আমি ও জীবনানন্দ

সাহিত্য

শেখ হাসিনার কারাদণ্ড
শেখ হাসিনার কারাদণ্ড

সম্পাদকীয়