শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ১৯ মে, ২০২৩ আপডেট:

সা’দত হাসান মান্টোর গল্প

শহীদ

ভাষান্তর : আবু তাহের
প্রিন্ট ভার্সন
শহীদ

গুজরাটের কাটিয়াদারে ছিল আমার বাড়ি। জাতে আমরা বণিক। দেশ ভাগাভাগির কারণে সর্বত্র যখন আকাল পড়ে গেল, আমি বেকার হয়ে পড়লাম। মাফ করবেন, আমি ‘আকাল’ কথাটা ব্যবহার করেছি। কিন্তু এতে ক্ষতি নেই। ভাষার মধ্যে এ ধরনের শব্দ আসা দরকার।

জি হাঁ, যা বলছিলাম, একেবারে বেকার হয়ে পড়েছিলাম। তবে ছোটখাটো একটা দোকান ছিল। ওই দোকানদারিতে কোনোমতে দিনটা চলে যেত। যখন দেশ ভাগ হলো, হাজার হাজার লোক পাকিস্তান যেতে শুরু করল। আমিও পাকিস্তান যাওয়ার মনস্থির করলাম। দোকানের কারবার না চলে চলুক, অন্য কোনো কারবার করা যাবে। তাই পাকিস্তানে রওনা হয়ে পথিমধ্যেই কিছু ডান হাত-বাঁ হাতের কারবার করতে করতে পাকিস্তানের মাটিতে এসে পা রাখলাম। উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তানে পৌঁছে জমকালো একটা কারবার ফেঁদে বসব। সে জন্য পাকিস্তানে এসে সোজা অ্যালটমেন্টের ধান্দায় নেমে পড়লাম। তোষামোদ করা, তেল দেওয়া ইত্যাদিতে আমি আগে থেকেই অভ্যস্ত ছিলাম। মধু-চিনি মেশানো বুলি কপচিয়ে দু-চারজন ইয়ার-বন্ধু জুটিয়ে ফেললাম। অল্প দিনের মধ্যেই আমার নামে একটা বাড়ি অ্যালট হয়ে গেল। বাড়িটা থেকে পয়সা-কড়ি বেশ আসতে থাকে। এ কারবারটা নেহাত মন্দ না দেখে মনোযোগ দিয়ে লেগে থাকলাম। আরও বাড়ি অ্যালটমেন্টের ধান্দা করতে লাগলাম।

অল্পবিস্তর মেহনত সব কাজেই করতে হয়। অ্যালটমেন্টের কাজেও আমার বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। মোট কথা, এটা একটা বিরাট ঝকমারি। ভালো বাড়ি অ্যালটমেন্ট করবার জন্য আমায় সারা শহর চষে বেড়াতে হয়েছে। কারণ, আজেবাজে বাড়ি অ্যালটমেন্ট করিয়ে তেমন সুবিধে করা যায় না।

মানুষের পরিশ্রম কখনো বৃথা যায় না। এক বছরের মধ্যেই লাখ টাকার মালিক হয়ে যাই। খোদার দেওয়া সবই ছিল। চমৎকার বাংলো, চাকর-বাকর, পেকার্ড গাড়ি আর ব্যাংকে যথেষ্ট মালপানি। মাফ করবেন, ভাষার মধ্যে এসব শব্দ আসা দরকার।

জি হাঁ, যা বলছিলাম, খোদার দেওয়া সবকিছুই ছিল আমার। ব্যাংকে আড়াই লাখ টাকা, কারখানা আর দোকানপাটও ছিল। এত কিছু থাকা সত্ত্বেও মনের মধ্যে কেন জানি শান্তি ছিল না। যখন কোকেনের ব্যবসা করতাম তখনো মাঝেমধ্যে এমন লাগত। আজকাল মন বলতে কিছু আছে বলেই মনে হয় না। কিংবা বলা যায়, মনের ওপর ভারী বোঝা জমা হতে হতে মনটা তলিয়ে গেছে। কিন্তু অশান্তিটা কীসের?

মানুষটা ছিলাম বড়ই ঘাগু। সব রকম প্রশ্নেরই একটা না একটা কিনারা করে ফেলতে পারতাম। কী জন্য আমার অশান্তি লাগছে, স্থিরচিত্তে (চিত্ত বলতে সত্যিই আমার কিছু আছে কিনা কে জানে!) তার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করলাম।

নারী? হয়তো বা। আমার আপন বলতে অবশ্য কেউ ছিল না। যে ছিল সে আমি গুজরাটে থাকতেই মারা গেছে। তবে অপরের বউ-ঝি ছিল। উদাহরণ হিসেবে আমাদের মালীর বউর কথাই ধরা যাক। মাফ করবেন, যার যেমন পছন্দ। তবে মেয়েদের চেহারার জৌলুস থাকা চাই। লেখাপড়া না থাকলেও চলে। কিন্তু একটু নাচ-গান আর ঠমক থাকতে হবে। ‘ঠমক’ কথাটাও আমাদের ওদিককার ভাষা।

মাথাটা ছিল অনেক সাফ। যে কোনো সমস্যার তলানিটুকু পর্যন্ত দেখে নিতে পারতাম। কারখানা আর দোকানপাট দিব্যি চলছিল। আপনিতেই টাকা পয়দা হচ্ছিল। একান্তে বসে অনেক ভেবেচিন্তে মনের অশান্তির যে কারণটি শেষাবধি নির্ণয় করলাম, তা হলো : পাকিস্তানে এসে অবধি আমি কোনো পুণ্যকাজ করিনি।

দেশে থাকতে তবু কিছু পুণ্যকাজ করেছিলাম। বন্ধু পান্ডরিং যেবার মারা গেল তার বিপন্ন বউকে বাড়িতে নিয়ে এলাম এবং পুরো দুই বছর বসিয়ে বসিয়ে খাওয়ালাম।

বিনায়কের কাঠের পা ভেঙে গিয়েছিল, ওকে নতুন একটা পা কিনে দিয়েছি। এজন্য গাঁটের চল্লিশটি টাকা খরচ হয়েছে আমার। যমুনা বাঈ, শালীর (মাফ করবেন) শরীরের তাপমাত্রা খুব বেড়ে গিয়েছিল, আমি তাকে ডাক্তার দেখালাম। ছ’মাস ধরে তার চিকিৎসার পেছনে মালপানি জোগালাম। কিন্তু পাকিস্তানে এসে এ ধরনের কোনো পুণ্যকাজ করিনি। মনের অশান্তির এ-ই একমাত্র কারণ।

এখন কী করা যায়? ভাবলাম, দান-সদকা করি। কিন্তু একদিন শহরে চক্কর দিয়ে এসে যে অভিজ্ঞতা হলো, তাতে দেখলাম, প্রায় সব লোকই অভাবী। কারও পেটে ভাত নেই, কারও কাপড় নেই। কাকে রেখে কাকে দিই! ভাবলাম, একটা লঙ্গরখানা খুলে দিতে পারি। কিন্তু একটা লঙ্গরখানায় কী হবে? তাছাড়া, তরি-তরকারি, এটা ওটা কালোবাজার ছাড়া জোগাড় করাও মুশকিল। তাহলে পাপের সাহায্যে পুণ্য অর্জনের মধ্যে সার্থকতা কোথায়?

ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে বসে আমি মানুষের দুঃখ-সুখের কাহিনি শুনেছি। সত্যি বলতে কী, এ জগতের কোনো লোকই সুখে নেই। ছোট বড় সবাই অসুখী। যারা পায়ে চলে তাদের দুঃখ, তাদের জুতা নেই। গাড়িতে চেপে যারা ঘুরে বেড়ান, তাদের দুঃখ, তাদের নতুন মডেলের গাড়ি নেই। ছোট বড় সবারই একটা না একটা অভিযোগ রয়েছে এবং প্রত্যেকেরই ন্যায্য অভিযোগ।

মির্জা গালিবের একটা গজল শুনেছিলাম আমি। গেয়েছিলেন আল্লাবখশ শোলাপুরের আমিনাবাঈ চিতলকর। গজলের একটা চরণ এখনো মনে আছে, ‘কিসকি হাজত রাওয়া করে কোই’।

মাফ করবেন, এটা গজলের দ্বিতীয় চরণ। কি জানি, প্রথম চরণও হতে পারে।

জি-হ্যাঁ, কে কাকে সাহায্য করবে বলুন! শতকরা একশ জনেরই তো ঠেকা। কাকে রেখে কাকে সাহায্য করব?

এরপর আমি দেখলাম, দান-খয়রাত করাটা তেমন ভালো কাজও নয়। এ ব্যাপারে আপনি হয়তো আমার সঙ্গে একমত হবেন না। কিন্তু আমি শরণার্থী শিবিরে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করে যেটুকু বুঝলাম তাতে দেখলাম, দান-খয়রাতের বদৌলতে শক্তসামর্থ্য বহু লোক অকর্মণ্য হয়ে বসেছে। ওরা সারা দিন তাস পেটায়, গালিগালাজ করে, জুয়া খেলে। এমনি আরও কত অনাসৃষ্টি করে। এসব করে অথচ দিনের শেষে খাবার ঠিকই পেয়ে যাচ্ছে। এই অকর্মণ্যদের দিয়ে পাকিস্তানের কি উন্নতি হবে? সুতরাং দান-খয়রাতের মাধ্যমে পুণ্য অর্জনের চিন্তাটা আমি পুরোপুরি বাদ দিলাম।

 

মানুষের পরিশ্রম কখনো বৃথা যায় না। এক বছরের মধ্যেই লাখ টাকার মালিক হয়ে যাই। খোদার দেওয়া সবই ছিল। চমৎকার বাংলো, চাকর-বাকর, পেকার্ড গাড়ি আর ব্যাংকে যথেষ্ট মালপানি। মাফ করবেন, ভাষার মধ্যে এসব শব্দ আসা দরকার।

জি হ্যাঁ, যা বলছিলাম, খোদার দেওয়া সবকিছুই ছিল আমার। ব্যাংকে আড়াই লাখ টাকা, কারখানা আর দোকানপাটও ছিল। এত কিছু থাকা সত্ত্বেও মনের মধ্যে কেন জানি শান্তি ছিল না। যখন কোকেনের ব্যবসা করতাম তখনো মাঝেমধ্যে এমন লাগত। আজকাল মন বলতে কিছু আছে বলেই মনে হয় না। কিংবা বলা যায়, মনের ওপর ভারী বোঝা জমা হতে হতে মনটা তলিয়ে গেছে। কিন্তু অশান্তিটা কীসের?

মানুষটা ছিলাম বড়ই ঘাগু। সব রকম প্রশ্নেরই একটা না একটা কিনারা করে ফেলতে পারতাম। কী জন্য আমার অশান্তি লাগছে, স্থিরচিত্তে (চিত্ত বলতে সত্যিই আমার কিছু আছে কিনা কে জানে!) তার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করলাম।

 

এরপর ফের চিন্তা শুরু- কীভাবে পুণ্য অর্জন করা যায়। ইতোমধ্যে শরণার্থী শিবিরে মহামারি দেখা দিল। কলেরা-বসন্ত এটা ওটায় ভুগে গন্ডায় গন্ডায় মানুষ মরে যেতে লাগল। হাসপাতালে নেই তিল ধারণের ঠাঁই। এসব দেখে আমার প্রাণ গলে গেল। ঠিক করলাম, একটা হাসপাতাল বানিয়ে দেব। প্ল্যান-প্রোগ্রাম সবকিছু প্রায় সেরে নিয়েছি। দরখাস্তের ফি-ও জমা হয়ে যেত। টেন্ডার কল করিয়ে তা নিজেই এক কোম্পানির নাম দিয়ে ধরে নিতাম। তারপর যেখানে এক লাখ টাকার টেন্ডার, সেই কাজটা সত্তর হাজার টাকায় সম্পন্ন করে ত্রিশ হাজার টাকা নিজের পকেটে পুরে নিতাম। সব রেডি। শুধু নির্মাণ শুরুর অপেক্ষা। হঠাৎ একটা কথা ভাবতেই ল-ভ- হয়ে গেল পুরো পরিকল্পনা। হাসপাতাল বানিয়ে দিয়ে লোকদের মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করার পেছনে আমি কোনো যুক্তি খুঁজে পেলাম না। সমাজে আজকাল যে হারে লোক বাড়ছে তা বরং কমানো দরকার। তা না করে লোক বাঁচাতে যাই কোন দুঃখে।

সমাজে আজকাল জনসংখ্যা উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে। লোক বাড়ছে বলেই যত ঝগড়া-ফ্যাসাদ, অরাজকতা দেখা দিয়েছে। এমন তো নয় যে, মানুষ বাড়ছে বলে জমিজমাও বাড়ছে। মানুষ বাড়ছে অথচ বর্ষণ বেশি হচ্ছে না, ফলনও বেশি হচ্ছে না। সুতরাং মানুষ বাঁচিয়ে রাখার মধ্যে কোনো উপকারিতা নেই।

তারপর ভাবলাম, একটা মসজিদ বানিয়ে দিই। কিন্তু আল্লাবখশ শোলাপুরের আমিনাবাঈ চিতলকরের গাওয়া একটা গান মনে পড়ে গেল; ‘নাম মনজুর হায়তো ফায়েজকে আসবাব বনা/পুল বনা চাহ বনা, মসজিদ অ তালাব বনা।’

কার সাধ্য এ জগতে নাম-কাম করে! নামের জন্য একটা সেতু বানিয়ে দিলে তাতে পুণ্য হবে সামান্যই। নাহ্, মসজিদ বানানোর এই খেয়ালটাও বিলকুল বেকার। তাছাড়া আলাদা আলাদা মসজিদ তৈরি করাও কওমের জন্য ক্ষতিকর। এতে কওমের মধ্যে ভাগাভাগির প্রবণতা এসে যায়। শেষতক সবকিছু বাদ দিয়ে আমি হজে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। অবশেষে আল্লাহতায়ালা নিজেই একটা পথ বাতলে দিলেন দেখছি। এমন সময় শহরে কীসের একটা সভা হলো।

সভাশেষে শ্রোতাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ল বদহজমি এবং তা নিয়ে বেধে গেল দাঙ্গাহাঙ্গামা; এতে প্রায় ত্রিশ ব্যক্তির প্রাণ যায়। এ দুর্ঘটনার খবর পত্রিকায় পড়ে জানতে পাই, লোকগুলো নিহত হয়নি, শহীদ হয়েছে। শহীদ? এটা আবার কী ধরনের মৃত্যু? বিষয়টা খোলাসা জানবার জন্য ক’জন মৌলভির কাছে গেলাম। পরে বুঝলাম, যারা স্বাভাবিকভাবে মরে না, হঠাৎ কোনো দুর্ঘটনাকবলিত হয়ে মারা যায়, তারা পরকালে শহীদী দরজা পায়। মরে শহীদ হওয়ার মতো বড় সাফল্য আর হয় না। সত্যিই তো! লোকেরা এমনি না মরে যদি শহীদ হয়ে মরে সেটাই সবচেয়ে ভালো।

আমি ব্যাপারটা নিয়ে বেশ ভাবিত হয়ে পড়লাম। যেদিকে তাকাই না কেন, মানুষের বড়ই জর্জর অবস্থা। কোটরাগত চোখ, হাড্ডিসার দেহ, বেওয়ারিশ কুত্তার মতো পথেঘাটে, অলিগলিতে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘোরাফেরা করছে। কীভাবে কীসের তরে এরা বেঁচে আছে তার কোনো ঠিক-ঠিকানা নেই।

কলেরা-বসন্ত দেখা দিলে এরা দলে দলে মারা পড়ে। তাছাড়া শীতে-গরমে, ক্ষুধা-অনাহারেও ধুঁকতে ধুঁকতে কত যে মরে তার কোনো ইয়ত্তা নেই। জীবনটা কী, ঠিক বুঝে উঠতে পারি না।

‘উসনে খত না উঠায়া/ইয়ে ভি ঠিক হ্যায়।’

কার যেন কবিতাটা? আল্লাবখশ শোলাপুরের আমিনাবাঈ চিতলকর কত দরদ দিয়েই না গাইত :

‘মরকে ভি চয়ন না পায়া/তো কিধার জায়েঙ্গে।’

মানে বলছিলাম, মরণের পরও যদি ইহকালের মতো ধুঁকতে হয় তাহলে আর বেঁচে থেকে কী লাভ?

আজ এ জগতে যারা দুঃখ-দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছে, তারা যদি পরকালে পরমানন্দে পায়ের ওপর পা রেখে দিন কাটাতে পারে, তাহলে বেশ মজা হবে। এবং সে জন্য এরা শহীদ হয়ে মরতে পারে ততই ভালো।

এখন প্রশ্ন হলো, এরা শহীদ হওয়ার জন্য রাজি হবে কিনা। কেন, রাজি হবে না কেন? মুসলমান হয়ে শাহাদাতবরণের ইচ্ছে যদি না থাকে, সে আবার কীসের মুসলমান? মুসলমানদের দেখা দেখি আজকাল হিন্দু ও শিখরাও শহীদ হওয়ার জন্য উদ্বেলিত হয়ে ওঠে। তবে মরণাপন্ন এক ব্যক্তিকে যখন জিজ্ঞেস করলাম, ‘তুমি শহীদ হতে চাও?’ সে সরাসরি জানায় ‘না’।

বুঝতে পারি না বেঁচে থেকে লোকটা কী লাভ করবে। তাকে অনেক করে বুঝাই, ‘দেখ বাপু তুমি যদি বাঁচ বড়জোর মাস দেড়েক বাঁচবে। এর বেশি এক দিনও না। তুমি হাঁটতে গেলে মাথা ঘুরে পড়ে যাও, কাশতে কাশতে একেক সময় প্রাণ বেরিয়ে যাচ্ছে মনে হয়, তোমার কাছে পয়সা কড়িও নেই, জীবনে সুখের মুখও দেখনি। মোটকথা তোমার জীবনে সব আশা-ভরসা স্তিমিত হয়ে এসেছে। তাই সময় থাকতে তুমি নিজেই শহীদ হওয়ার বন্দোবস্তটা করে নাও।’

‘তা কেমন করে হয়?’ বলে লোকটা।

‘কেন হবে না! মনে কর রাস্তায় কলার খোসা ফেলে রেখেছি আর তুমি চলতে গিয়ে ধড়াস করে পড়ে গিয়ে চিৎপাত। পড়েই শাহাদাতবরণ। সাধারণভাবে মরার চেয়ে শাহাদাতবরণ করার কত উপকার তা জান?’

কিন্তু লোকটাকে ঠিক বুঝানো গেল না। সে সোজা বলল, ‘চোখে দেখে কলার ছিলকায় কেন আমি পা দিতে যাব বাবা? আমার কি জীবনের মায়া নেই?’

হতভাগার কথা শুনে আমার খুব আফসোস হলো। আরও আফসোস হয়েছে যখন শুনলাম পরদিনই দাতব্য হাসপাতালের লোহার খাটের ওপর কাশতে কাশতে তার প্রাণবায়ু বেরিয়ে গেছে। অথচ লোকটা কত স্বচ্ছন্দে শাহাদাতবরণ করতে পারত।

এখন মরে তখন মরে দশায় ছিল এক বুড়ি। আমার খুব দয়া হলো। তাকে তুলে এনে রেললাইনের ওপর শুইয়ে দিলাম। ও মা! ট্রেনের আওয়াজ শুনতেই বুড়িটা ধড়মড় করে উঠে বসল আর প্রাণভয়ে দৌড়ে পালাল। আমি একেবারে হতাশ হয়ে পড়লাম। তবুও দমলাম না। জাতে বণিক আমি। জানেন তো, বণিকদের বুদ্ধি বড় পাকা। পুণ্য অর্জনের ওমন একটা মাধ্যমকে আমি সহজে হাতছাড়া করতে চাইলাম না।

মোগল আমলের পুরনো একটা দুর্গের মতো বাড়ি ছিল। তাতে ছিল একশ একান্নটি কামরা। অবস্থা একেবারে জড়সড়ো। অনেক অভিজ্ঞতা থেকে অনুমান করি, ভালোমতো একটা বর্ষা হলেই এর ছাদ ধসে পড়বে। অতএব, দশ হাজার টাকায় দুর্গটা কিনে নিয়ে আমি কায়ক্লেশে খেটে খাওয়া এক হাজার লোককে সেখানে থাকতে দিলাম। তারপর তৃতীয় মাসেই আমি যা অনুমান করেছিলাম, প্রবল বৃষ্টিতে ছাদ ধসে পড়ল। ছাদ চাপা পড়ে প্রায় সাতশ লোক মারা গেল।

আমার মনের ভারটা একটু হালকা হলো। একসঙ্গে সাতশ লোক শাহাদাতবরণ করায় সমাজের বিরাট সংখ্যক লোক কমে গেল।

পরে আমি এ কাজই করতে থাকি। বেশি না পারলেও রোজ দু-চারজনকে শাহাদাতবরণের সুযোগ করে দিতাম। আগেই বলেছি, সব কাজে পরিশ্রম লাগে ভাই। আল্লাবখশ শোলাপুরের আমিনাবাঈ চিতলকরের মুখে একটা গান প্রায়শ শোনা যেত।

মাফ করবেন, গানটি আসলে এ জায়গায় প্রযোজ্য নয়। না, আমি বলতে চাইছি, ব্যাপার যা-ই হোক, আমায় কিন্তু পরিশ্রম করতে হয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ একটা ঘটনা বলা যায়। হাবাগোবা একটা লোক শহীদ করার জন্য আমি দশ দিন ধরে চেষ্টা করেছি। ওর পথের ওপর কলার খোসা ছড়িয়ে রাখতাম প্রতিদিন। লোকটা কোনো দিনই খোসায় পা দেয় না। অবশেষে দশম দিনে পা দিল। আসলে এই দশম দিনই তার শহীদ হওয়ার নির্দিষ্ট দিন ছিল।

আজকাল আমি বিরাট একটা ভবন নির্মাণের কাজে হাত দিয়েছি। একটা কোম্পানি খুলে নিজেই নির্মাণ কাজের ঠিকাদারি নিয়েছি। দুই লাখ টাকার চুক্তিতে কাজ চলছে। পঁচাত্তর হাজার টাকা মুনাফা হবে। ভবনের বীমাও করে নিয়েছি। খুব সম্ভব তৃতীয় তলার কাজ শুরু হলেই সবকিছু ভেঙে চুরমার হয়ে পড়বে। নির্মাণের মালসামানা আমি সেভাবেই করেছি। নির্মাণ কাজে এখন একশ জন মজুর খাটছে। আল্লাহর ইচ্ছায় আমার যতটুকু ধারণা, এরা সবাই শহীদ হয়ে যাবে। যদি কেউ কোনোমতে বেঁচে যায়, বুঝতে হবে সে অতিশয় গুনাহগার, শহীদ হওয়া তার নসিবে নেই।

                > লেখকের উর্দু গল্পের ইংরেজি অনুবাদ ‘মার্টার্স’-এর ভাষান্তর।

টপিক

এই বিভাগের আরও খবর
ইকারাস
ইকারাস
নতজানু
নতজানু
আয়ুপথ
আয়ুপথ
হৃদয় ভাঙার গান
হৃদয় ভাঙার গান
থাকবেন মুকুট হয়ে
থাকবেন মুকুট হয়ে
যাঁর নৈরাশ্যই মুক্তির দরজা খুলে দেয়
যাঁর নৈরাশ্যই মুক্তির দরজা খুলে দেয়
জার্নাল
জার্নাল
পাহাড়
পাহাড়
বুকের ভিতর ময়ূর নাচে
বুকের ভিতর ময়ূর নাচে
শাড়ির আঁচলে বাঁধা জীবন
শাড়ির আঁচলে বাঁধা জীবন
পাশে থাকা
পাশে থাকা
আমাদের কিছুই হলো না
আমাদের কিছুই হলো না
সর্বশেষ খবর
গাজীপুরে মাদ্রাসাছাত্রী ধর্ষণ মামলা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত হচ্ছে : পুলিশ সুপার
গাজীপুরে মাদ্রাসাছাত্রী ধর্ষণ মামলা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত হচ্ছে : পুলিশ সুপার

২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দ্রুতই হারানো ভূমির নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে মিয়ানমারের জান্তা, সাহায্য করছে কারা?
দ্রুতই হারানো ভূমির নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে মিয়ানমারের জান্তা, সাহায্য করছে কারা?

২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এইচএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন শেষ হচ্ছে আজ
এইচএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন শেষ হচ্ছে আজ

৪ মিনিট আগে | জাতীয়

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩২.১১ বিলিয়ন ডলার
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩২.১১ বিলিয়ন ডলার

৮ মিনিট আগে | অর্থনীতি

টর্চ লাইট জ্বালিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৩০
টর্চ লাইট জ্বালিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৩০

১০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শিবচরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তিনজনকে কুপিয়ে জখম
শিবচরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তিনজনকে কুপিয়ে জখম

১৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রাশিয়ার ওপর নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা, যা বললেন ট্রাম্প
রাশিয়ার ওপর নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা, যা বললেন ট্রাম্প

২১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বানিয়াচংয়ে দুই পরিবারের বিরোধের জেরে কুপিয়ে হত্যা
বানিয়াচংয়ে দুই পরিবারের বিরোধের জেরে কুপিয়ে হত্যা

৩০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি করদাতাদের জন্য সহজ হলো অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল
বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি করদাতাদের জন্য সহজ হলো অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল

৩২ মিনিট আগে | অর্থনীতি

মগবাজারে নিজ বাসা থেকে কলেজ শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
মগবাজারে নিজ বাসা থেকে কলেজ শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

৩৪ মিনিট আগে | নগর জীবন

প্রশান্ত মহাসাগরে নৌযানে মার্কিন হামলায় নিহত ৩
প্রশান্ত মহাসাগরে নৌযানে মার্কিন হামলায় নিহত ৩

৩৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে চূড়ান্ত আপিল শুনানি আজ
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে চূড়ান্ত আপিল শুনানি আজ

৪১ মিনিট আগে | জাতীয়

আজ কেমন থাকবে আবহাওয়া?
আজ কেমন থাকবে আবহাওয়া?

৫০ মিনিট আগে | জাতীয়

কমেছে স্বর্ণের দাম, আজ থেকে নতুন দামে বিক্রি
কমেছে স্বর্ণের দাম, আজ থেকে নতুন দামে বিক্রি

৫৪ মিনিট আগে | অর্থনীতি

জ্ঞাননির্ভর সমাজ গঠনে শিক্ষকদের পেশাদারিত্ব অপরিহার্য : ডুয়েট উপাচার্য
জ্ঞাননির্ভর সমাজ গঠনে শিক্ষকদের পেশাদারিত্ব অপরিহার্য : ডুয়েট উপাচার্য

৫৬ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

শেখ হাসিনার মামলার রায়ের দিন ধার্য হবে আজ
শেখ হাসিনার মামলার রায়ের দিন ধার্য হবে আজ

৫৭ মিনিট আগে | জাতীয়

জেনেভা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবক নিহত
জেনেভা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবক নিহত

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আওয়ামী লীগের কার্যালয় দখল বিষয়ে এনসিপির বক্তব্য
আওয়ামী লীগের কার্যালয় দখল বিষয়ে এনসিপির বক্তব্য

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সিরিজ জয়ের মিশনে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ
সিরিজ জয়ের মিশনে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শীত আসার আগেই গোড়ালি ফেটে চৌচির? জানুন সমধান
শীত আসার আগেই গোড়ালি ফেটে চৌচির? জানুন সমধান

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

পশ্চিম তীর দখলের বিল পাসকে ‘বিরোধী দলের উস্কানি’ বলল নেতানিয়াহুর দল
পশ্চিম তীর দখলের বিল পাসকে ‘বিরোধী দলের উস্কানি’ বলল নেতানিয়াহুর দল

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের সংসদে পশ্চিম তীর দখলের বিল পাস
ইসরায়েলের সংসদে পশ্চিম তীর দখলের বিল পাস

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মান্দায় তিন মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুই যুবকের মৃত্যু
মান্দায় তিন মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুই যুবকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রুশ বোমারু বিমানের টহল, প্রথম পারমাণবিক মহড়ার প্রস্তুতি
রুশ বোমারু বিমানের টহল, প্রথম পারমাণবিক মহড়ার প্রস্তুতি

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজ সিইসির সঙ্গে বৈঠক করবে বিএনপি
আজ সিইসির সঙ্গে বৈঠক করবে বিএনপি

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ফ্রাঙ্কফুর্টকে উড়িয়ে স্বরূপে ফিরল লিভারপুল
ফ্রাঙ্কফুর্টকে উড়িয়ে স্বরূপে ফিরল লিভারপুল

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ যেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া
আজ যেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ
বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আজ ঢাকার বাতাসের মান কেমন?
আজ ঢাকার বাতাসের মান কেমন?

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আজকের নামাজের সময়সূচি, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
আজকের নামাজের সময়সূচি, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

সর্বাধিক পঠিত
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সভাপতি নিয়োগ বিষয়ক প্রজ্ঞাপন স্থগিত
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সভাপতি নিয়োগ বিষয়ক প্রজ্ঞাপন স্থগিত

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতীয় পণ্যে শুল্ক কমিয়ে ১৫-১৬ শতাংশ করছে যুক্তরাষ্ট্র: রিপোর্ট
ভারতীয় পণ্যে শুল্ক কমিয়ে ১৫-১৬ শতাংশ করছে যুক্তরাষ্ট্র: রিপোর্ট

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে ৬০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে’
‘ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে ৬০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে’

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পরমাণু ইস্যুতে খামেনির বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
পরমাণু ইস্যুতে খামেনির বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শাপলা না দেওয়ার আইনি ব্যাখ্যা দিলে অন্য প্রতীক বিবেচনা করা হবে: নাহিদ
শাপলা না দেওয়ার আইনি ব্যাখ্যা দিলে অন্য প্রতীক বিবেচনা করা হবে: নাহিদ

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হামাস নির্মূলে গাজায় সেনা পাঠাতে প্রস্তুত মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ, দাবি ট্রাম্পের
হামাস নির্মূলে গাজায় সেনা পাঠাতে প্রস্তুত মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ, দাবি ট্রাম্পের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিচার প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর সহযোগিতা অত্যন্ত প্রশংসনীয় : আইন উপদেষ্টা
বিচার প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর সহযোগিতা অত্যন্ত প্রশংসনীয় : আইন উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জোবায়েদ হত্যাকাণ্ড নিয়ে ‘ত্রিভুজ প্রেমের গল্প’ সাজানোর অভিযোগ
জোবায়েদ হত্যাকাণ্ড নিয়ে ‘ত্রিভুজ প্রেমের গল্প’ সাজানোর অভিযোগ

১৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সিঙ্গাপুরে ফিলিস্তিনপন্থী মিছিল করা তিন তরুণী খালাস পেলেন
সিঙ্গাপুরে ফিলিস্তিনপন্থী মিছিল করা তিন তরুণী খালাস পেলেন

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

১৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বাংলাদেশি টাকায় আজকের বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার

২৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

পাকিস্তান ইস্যুতে মোদিকে স্পষ্ট নির্দেশনা ট্রাম্পের
পাকিস্তান ইস্যুতে মোদিকে স্পষ্ট নির্দেশনা ট্রাম্পের

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাব-জেলের বন্দিরা কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে থাকবেন : আইজি প্রিজন
সাব-জেলের বন্দিরা কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে থাকবেন : আইজি প্রিজন

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিয়ে ও সন্তানকে প্রকাশ্যে আনলেন জেমস
বিয়ে ও সন্তানকে প্রকাশ্যে আনলেন জেমস

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রথমবার প্রকাশ্যে দীপিকা-রণবীরের কন্যা
প্রথমবার প্রকাশ্যে দীপিকা-রণবীরের কন্যা

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আচমকা শাহরুখের গালে চড়, হকচকিয়ে যান কিং খান
আচমকা শাহরুখের গালে চড়, হকচকিয়ে যান কিং খান

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা
সাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুবাই ও মিয়ানমার থেকে এক লাখ টন চাল কিনছে সরকার
দুবাই ও মিয়ানমার থেকে এক লাখ টন চাল কিনছে সরকার

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একটি মার্কায় বেহেশতের গ্যারান্টি, প্রতারণা ছাড়া কিছু নয় : আমান উল্লাহ
একটি মার্কায় বেহেশতের গ্যারান্টি, প্রতারণা ছাড়া কিছু নয় : আমান উল্লাহ

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নির্বাচন কমিশনের আচরণ নিরপেক্ষ মনে হচ্ছে না : নাহিদ
নির্বাচন কমিশনের আচরণ নিরপেক্ষ মনে হচ্ছে না : নাহিদ

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেফতার সেলিম প্রধান
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেফতার সেলিম প্রধান

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রুশ বোমারু বিমানের টহল, প্রথম পারমাণবিক মহড়ার প্রস্তুতি
রুশ বোমারু বিমানের টহল, প্রথম পারমাণবিক মহড়ার প্রস্তুতি

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৩৮ বছর বয়সে অভিষেকেই বিশ্বরেকর্ড আসিফ আফ্রিদির
৩৮ বছর বয়সে অভিষেকেই বিশ্বরেকর্ড আসিফ আফ্রিদির

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুবদলকে জড়িয়ে এ কে আজাদের বক্তব্যের প্রতিবাদে ফরিদপুরে বিক্ষোভ
যুবদলকে জড়িয়ে এ কে আজাদের বক্তব্যের প্রতিবাদে ফরিদপুরে বিক্ষোভ

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতের রাষ্ট্রপতির হেলিকপ্টার নামতেই দেবে গেল হেলিপ্যাড (ভিডিও)
ভারতের রাষ্ট্রপতির হেলিকপ্টার নামতেই দেবে গেল হেলিপ্যাড (ভিডিও)

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার মামলায় যুক্তিতর্ক শেষ, রায়ের দিন ধার্য হবে কাল
শেখ হাসিনার মামলায় যুক্তিতর্ক শেষ, রায়ের দিন ধার্য হবে কাল

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব হলেন হুমায়ুন কবির
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব হলেন হুমায়ুন কবির

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ক্ষমতা থাকলে বিক্ষোভ বন্ধ করে দেখান, ট্রাম্পকে খোঁচা খামেনির
ক্ষমতা থাকলে বিক্ষোভ বন্ধ করে দেখান, ট্রাম্পকে খোঁচা খামেনির

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ল্যুভর মিউজিয়ামে চুরি হওয়া গয়নার দাম জানাল ফ্রান্স
ল্যুভর মিউজিয়ামে চুরি হওয়া গয়নার দাম জানাল ফ্রান্স

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ অক্টোবর)

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
জোট বাড়ছে বিএনপির
জোট বাড়ছে বিএনপির

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচন বাংলাদেশের, ইঞ্জিনিয়ারিং ভারতের
নির্বাচন বাংলাদেশের, ইঞ্জিনিয়ারিং ভারতের

সম্পাদকীয়

প্রশ্নবিদ্ধ মিরাজের নেতৃত্ব
প্রশ্নবিদ্ধ মিরাজের নেতৃত্ব

মাঠে ময়দানে

মিঠামইনের অঘোষিত রাজা
মিঠামইনের অঘোষিত রাজা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভাগবাঁটোয়ারায় উপদেষ্টারা গণভোটের পর তত্ত্বাবধায়ক
ভাগবাঁটোয়ারায় উপদেষ্টারা গণভোটের পর তত্ত্বাবধায়ক

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে আশাবাদী পাঁচ নেতাই
বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে আশাবাদী পাঁচ নেতাই

নগর জীবন

ধানের শীষের জোয়ার কেউ আটকাতে পারবে না
ধানের শীষের জোয়ার কেউ আটকাতে পারবে না

নগর জীবন

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

এক বছরে বন্ধ ১৮৫ কারখানা বেকার লাখো শ্রমিক
এক বছরে বন্ধ ১৮৫ কারখানা বেকার লাখো শ্রমিক

পেছনের পৃষ্ঠা

আজাদের গ্রেপ্তার চায় ফরিদপুরের ছাত্র-জনতা
আজাদের গ্রেপ্তার চায় ফরিদপুরের ছাত্র-জনতা

প্রথম পৃষ্ঠা

এই চুরি রুধিবে কে?
এই চুরি রুধিবে কে?

নগর জীবন

ক্ষতিগ্রস্ত দেশের ভাবমূর্তি
ক্ষতিগ্রস্ত দেশের ভাবমূর্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

সেনাবাহিনীকে সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে হবে
সেনাবাহিনীকে সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

চাপে নতি স্বীকার করা যাবে না
চাপে নতি স্বীকার করা যাবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

জীবন বাজি রেখে রাস্তা পার
জীবন বাজি রেখে রাস্তা পার

রকমারি নগর পরিক্রমা

কারাগারে ১৫ সেনা কর্মকর্তা
কারাগারে ১৫ সেনা কর্মকর্তা

প্রথম পৃষ্ঠা

কয়েক উপদেষ্টায় আপত্তি নির্বাচনের আগে গণভোট
কয়েক উপদেষ্টায় আপত্তি নির্বাচনের আগে গণভোট

প্রথম পৃষ্ঠা

অভুক্ত প্রাণীর পাশে অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন
অভুক্ত প্রাণীর পাশে অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন

নগর জীবন

রাতযাপন নিষিদ্ধ সেন্ট মার্টিনে
রাতযাপন নিষিদ্ধ সেন্ট মার্টিনে

প্রথম পৃষ্ঠা

দুর্ঘটনায় ভারতের রাষ্ট্রপতির হেলিকপ্টার
দুর্ঘটনায় ভারতের রাষ্ট্রপতির হেলিকপ্টার

প্রথম পৃষ্ঠা

দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীতে তীব্র গ্যাস সংকট
দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীতে তীব্র গ্যাস সংকট

রকমারি নগর পরিক্রমা

মাঠে বিএনপি জামায়াত ইসলামি দলের প্রার্থীরা
মাঠে বিএনপি জামায়াত ইসলামি দলের প্রার্থীরা

নগর জীবন

অপকর্মে জড়িতদের প্রশাসনে নয় : রিজভী
অপকর্মে জড়িতদের প্রশাসনে নয় : রিজভী

নগর জীবন

আগামী নির্বাচন করতে হবে অন্তর্বর্তী সরকারকেই
আগামী নির্বাচন করতে হবে অন্তর্বর্তী সরকারকেই

প্রথম পৃষ্ঠা

সরকার থেকে বিতর্কিত ব্যক্তিদের চলে যেতে হবে
সরকার থেকে বিতর্কিত ব্যক্তিদের চলে যেতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

বাদ পড়লেন শাকিব খান
বাদ পড়লেন শাকিব খান

শোবিজ

মহাসড়ক সংস্কারের দাবি
মহাসড়ক সংস্কারের দাবি

দেশগ্রাম

হাজী কালাচাঁন মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী
হাজী কালাচাঁন মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী

খবর

সিলেটে রেললাইনে শিক্ষার্থীর লাশ
সিলেটে রেললাইনে শিক্ষার্থীর লাশ

খবর

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

খবর