শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ১৯ মে, ২০২৩ আপডেট:

সা’দত হাসান মান্টোর গল্প

শহীদ

ভাষান্তর : আবু তাহের
প্রিন্ট ভার্সন
শহীদ

গুজরাটের কাটিয়াদারে ছিল আমার বাড়ি। জাতে আমরা বণিক। দেশ ভাগাভাগির কারণে সর্বত্র যখন আকাল পড়ে গেল, আমি বেকার হয়ে পড়লাম। মাফ করবেন, আমি ‘আকাল’ কথাটা ব্যবহার করেছি। কিন্তু এতে ক্ষতি নেই। ভাষার মধ্যে এ ধরনের শব্দ আসা দরকার।

জি হাঁ, যা বলছিলাম, একেবারে বেকার হয়ে পড়েছিলাম। তবে ছোটখাটো একটা দোকান ছিল। ওই দোকানদারিতে কোনোমতে দিনটা চলে যেত। যখন দেশ ভাগ হলো, হাজার হাজার লোক পাকিস্তান যেতে শুরু করল। আমিও পাকিস্তান যাওয়ার মনস্থির করলাম। দোকানের কারবার না চলে চলুক, অন্য কোনো কারবার করা যাবে। তাই পাকিস্তানে রওনা হয়ে পথিমধ্যেই কিছু ডান হাত-বাঁ হাতের কারবার করতে করতে পাকিস্তানের মাটিতে এসে পা রাখলাম। উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তানে পৌঁছে জমকালো একটা কারবার ফেঁদে বসব। সে জন্য পাকিস্তানে এসে সোজা অ্যালটমেন্টের ধান্দায় নেমে পড়লাম। তোষামোদ করা, তেল দেওয়া ইত্যাদিতে আমি আগে থেকেই অভ্যস্ত ছিলাম। মধু-চিনি মেশানো বুলি কপচিয়ে দু-চারজন ইয়ার-বন্ধু জুটিয়ে ফেললাম। অল্প দিনের মধ্যেই আমার নামে একটা বাড়ি অ্যালট হয়ে গেল। বাড়িটা থেকে পয়সা-কড়ি বেশ আসতে থাকে। এ কারবারটা নেহাত মন্দ না দেখে মনোযোগ দিয়ে লেগে থাকলাম। আরও বাড়ি অ্যালটমেন্টের ধান্দা করতে লাগলাম।

অল্পবিস্তর মেহনত সব কাজেই করতে হয়। অ্যালটমেন্টের কাজেও আমার বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। মোট কথা, এটা একটা বিরাট ঝকমারি। ভালো বাড়ি অ্যালটমেন্ট করবার জন্য আমায় সারা শহর চষে বেড়াতে হয়েছে। কারণ, আজেবাজে বাড়ি অ্যালটমেন্ট করিয়ে তেমন সুবিধে করা যায় না।

মানুষের পরিশ্রম কখনো বৃথা যায় না। এক বছরের মধ্যেই লাখ টাকার মালিক হয়ে যাই। খোদার দেওয়া সবই ছিল। চমৎকার বাংলো, চাকর-বাকর, পেকার্ড গাড়ি আর ব্যাংকে যথেষ্ট মালপানি। মাফ করবেন, ভাষার মধ্যে এসব শব্দ আসা দরকার।

জি হাঁ, যা বলছিলাম, খোদার দেওয়া সবকিছুই ছিল আমার। ব্যাংকে আড়াই লাখ টাকা, কারখানা আর দোকানপাটও ছিল। এত কিছু থাকা সত্ত্বেও মনের মধ্যে কেন জানি শান্তি ছিল না। যখন কোকেনের ব্যবসা করতাম তখনো মাঝেমধ্যে এমন লাগত। আজকাল মন বলতে কিছু আছে বলেই মনে হয় না। কিংবা বলা যায়, মনের ওপর ভারী বোঝা জমা হতে হতে মনটা তলিয়ে গেছে। কিন্তু অশান্তিটা কীসের?

মানুষটা ছিলাম বড়ই ঘাগু। সব রকম প্রশ্নেরই একটা না একটা কিনারা করে ফেলতে পারতাম। কী জন্য আমার অশান্তি লাগছে, স্থিরচিত্তে (চিত্ত বলতে সত্যিই আমার কিছু আছে কিনা কে জানে!) তার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করলাম।

নারী? হয়তো বা। আমার আপন বলতে অবশ্য কেউ ছিল না। যে ছিল সে আমি গুজরাটে থাকতেই মারা গেছে। তবে অপরের বউ-ঝি ছিল। উদাহরণ হিসেবে আমাদের মালীর বউর কথাই ধরা যাক। মাফ করবেন, যার যেমন পছন্দ। তবে মেয়েদের চেহারার জৌলুস থাকা চাই। লেখাপড়া না থাকলেও চলে। কিন্তু একটু নাচ-গান আর ঠমক থাকতে হবে। ‘ঠমক’ কথাটাও আমাদের ওদিককার ভাষা।

মাথাটা ছিল অনেক সাফ। যে কোনো সমস্যার তলানিটুকু পর্যন্ত দেখে নিতে পারতাম। কারখানা আর দোকানপাট দিব্যি চলছিল। আপনিতেই টাকা পয়দা হচ্ছিল। একান্তে বসে অনেক ভেবেচিন্তে মনের অশান্তির যে কারণটি শেষাবধি নির্ণয় করলাম, তা হলো : পাকিস্তানে এসে অবধি আমি কোনো পুণ্যকাজ করিনি।

দেশে থাকতে তবু কিছু পুণ্যকাজ করেছিলাম। বন্ধু পান্ডরিং যেবার মারা গেল তার বিপন্ন বউকে বাড়িতে নিয়ে এলাম এবং পুরো দুই বছর বসিয়ে বসিয়ে খাওয়ালাম।

বিনায়কের কাঠের পা ভেঙে গিয়েছিল, ওকে নতুন একটা পা কিনে দিয়েছি। এজন্য গাঁটের চল্লিশটি টাকা খরচ হয়েছে আমার। যমুনা বাঈ, শালীর (মাফ করবেন) শরীরের তাপমাত্রা খুব বেড়ে গিয়েছিল, আমি তাকে ডাক্তার দেখালাম। ছ’মাস ধরে তার চিকিৎসার পেছনে মালপানি জোগালাম। কিন্তু পাকিস্তানে এসে এ ধরনের কোনো পুণ্যকাজ করিনি। মনের অশান্তির এ-ই একমাত্র কারণ।

এখন কী করা যায়? ভাবলাম, দান-সদকা করি। কিন্তু একদিন শহরে চক্কর দিয়ে এসে যে অভিজ্ঞতা হলো, তাতে দেখলাম, প্রায় সব লোকই অভাবী। কারও পেটে ভাত নেই, কারও কাপড় নেই। কাকে রেখে কাকে দিই! ভাবলাম, একটা লঙ্গরখানা খুলে দিতে পারি। কিন্তু একটা লঙ্গরখানায় কী হবে? তাছাড়া, তরি-তরকারি, এটা ওটা কালোবাজার ছাড়া জোগাড় করাও মুশকিল। তাহলে পাপের সাহায্যে পুণ্য অর্জনের মধ্যে সার্থকতা কোথায়?

ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে বসে আমি মানুষের দুঃখ-সুখের কাহিনি শুনেছি। সত্যি বলতে কী, এ জগতের কোনো লোকই সুখে নেই। ছোট বড় সবাই অসুখী। যারা পায়ে চলে তাদের দুঃখ, তাদের জুতা নেই। গাড়িতে চেপে যারা ঘুরে বেড়ান, তাদের দুঃখ, তাদের নতুন মডেলের গাড়ি নেই। ছোট বড় সবারই একটা না একটা অভিযোগ রয়েছে এবং প্রত্যেকেরই ন্যায্য অভিযোগ।

মির্জা গালিবের একটা গজল শুনেছিলাম আমি। গেয়েছিলেন আল্লাবখশ শোলাপুরের আমিনাবাঈ চিতলকর। গজলের একটা চরণ এখনো মনে আছে, ‘কিসকি হাজত রাওয়া করে কোই’।

মাফ করবেন, এটা গজলের দ্বিতীয় চরণ। কি জানি, প্রথম চরণও হতে পারে।

জি-হ্যাঁ, কে কাকে সাহায্য করবে বলুন! শতকরা একশ জনেরই তো ঠেকা। কাকে রেখে কাকে সাহায্য করব?

এরপর আমি দেখলাম, দান-খয়রাত করাটা তেমন ভালো কাজও নয়। এ ব্যাপারে আপনি হয়তো আমার সঙ্গে একমত হবেন না। কিন্তু আমি শরণার্থী শিবিরে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করে যেটুকু বুঝলাম তাতে দেখলাম, দান-খয়রাতের বদৌলতে শক্তসামর্থ্য বহু লোক অকর্মণ্য হয়ে বসেছে। ওরা সারা দিন তাস পেটায়, গালিগালাজ করে, জুয়া খেলে। এমনি আরও কত অনাসৃষ্টি করে। এসব করে অথচ দিনের শেষে খাবার ঠিকই পেয়ে যাচ্ছে। এই অকর্মণ্যদের দিয়ে পাকিস্তানের কি উন্নতি হবে? সুতরাং দান-খয়রাতের মাধ্যমে পুণ্য অর্জনের চিন্তাটা আমি পুরোপুরি বাদ দিলাম।

 

মানুষের পরিশ্রম কখনো বৃথা যায় না। এক বছরের মধ্যেই লাখ টাকার মালিক হয়ে যাই। খোদার দেওয়া সবই ছিল। চমৎকার বাংলো, চাকর-বাকর, পেকার্ড গাড়ি আর ব্যাংকে যথেষ্ট মালপানি। মাফ করবেন, ভাষার মধ্যে এসব শব্দ আসা দরকার।

জি হ্যাঁ, যা বলছিলাম, খোদার দেওয়া সবকিছুই ছিল আমার। ব্যাংকে আড়াই লাখ টাকা, কারখানা আর দোকানপাটও ছিল। এত কিছু থাকা সত্ত্বেও মনের মধ্যে কেন জানি শান্তি ছিল না। যখন কোকেনের ব্যবসা করতাম তখনো মাঝেমধ্যে এমন লাগত। আজকাল মন বলতে কিছু আছে বলেই মনে হয় না। কিংবা বলা যায়, মনের ওপর ভারী বোঝা জমা হতে হতে মনটা তলিয়ে গেছে। কিন্তু অশান্তিটা কীসের?

মানুষটা ছিলাম বড়ই ঘাগু। সব রকম প্রশ্নেরই একটা না একটা কিনারা করে ফেলতে পারতাম। কী জন্য আমার অশান্তি লাগছে, স্থিরচিত্তে (চিত্ত বলতে সত্যিই আমার কিছু আছে কিনা কে জানে!) তার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করলাম।

 

এরপর ফের চিন্তা শুরু- কীভাবে পুণ্য অর্জন করা যায়। ইতোমধ্যে শরণার্থী শিবিরে মহামারি দেখা দিল। কলেরা-বসন্ত এটা ওটায় ভুগে গন্ডায় গন্ডায় মানুষ মরে যেতে লাগল। হাসপাতালে নেই তিল ধারণের ঠাঁই। এসব দেখে আমার প্রাণ গলে গেল। ঠিক করলাম, একটা হাসপাতাল বানিয়ে দেব। প্ল্যান-প্রোগ্রাম সবকিছু প্রায় সেরে নিয়েছি। দরখাস্তের ফি-ও জমা হয়ে যেত। টেন্ডার কল করিয়ে তা নিজেই এক কোম্পানির নাম দিয়ে ধরে নিতাম। তারপর যেখানে এক লাখ টাকার টেন্ডার, সেই কাজটা সত্তর হাজার টাকায় সম্পন্ন করে ত্রিশ হাজার টাকা নিজের পকেটে পুরে নিতাম। সব রেডি। শুধু নির্মাণ শুরুর অপেক্ষা। হঠাৎ একটা কথা ভাবতেই ল-ভ- হয়ে গেল পুরো পরিকল্পনা। হাসপাতাল বানিয়ে দিয়ে লোকদের মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করার পেছনে আমি কোনো যুক্তি খুঁজে পেলাম না। সমাজে আজকাল যে হারে লোক বাড়ছে তা বরং কমানো দরকার। তা না করে লোক বাঁচাতে যাই কোন দুঃখে।

সমাজে আজকাল জনসংখ্যা উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে। লোক বাড়ছে বলেই যত ঝগড়া-ফ্যাসাদ, অরাজকতা দেখা দিয়েছে। এমন তো নয় যে, মানুষ বাড়ছে বলে জমিজমাও বাড়ছে। মানুষ বাড়ছে অথচ বর্ষণ বেশি হচ্ছে না, ফলনও বেশি হচ্ছে না। সুতরাং মানুষ বাঁচিয়ে রাখার মধ্যে কোনো উপকারিতা নেই।

তারপর ভাবলাম, একটা মসজিদ বানিয়ে দিই। কিন্তু আল্লাবখশ শোলাপুরের আমিনাবাঈ চিতলকরের গাওয়া একটা গান মনে পড়ে গেল; ‘নাম মনজুর হায়তো ফায়েজকে আসবাব বনা/পুল বনা চাহ বনা, মসজিদ অ তালাব বনা।’

কার সাধ্য এ জগতে নাম-কাম করে! নামের জন্য একটা সেতু বানিয়ে দিলে তাতে পুণ্য হবে সামান্যই। নাহ্, মসজিদ বানানোর এই খেয়ালটাও বিলকুল বেকার। তাছাড়া আলাদা আলাদা মসজিদ তৈরি করাও কওমের জন্য ক্ষতিকর। এতে কওমের মধ্যে ভাগাভাগির প্রবণতা এসে যায়। শেষতক সবকিছু বাদ দিয়ে আমি হজে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। অবশেষে আল্লাহতায়ালা নিজেই একটা পথ বাতলে দিলেন দেখছি। এমন সময় শহরে কীসের একটা সভা হলো।

সভাশেষে শ্রোতাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ল বদহজমি এবং তা নিয়ে বেধে গেল দাঙ্গাহাঙ্গামা; এতে প্রায় ত্রিশ ব্যক্তির প্রাণ যায়। এ দুর্ঘটনার খবর পত্রিকায় পড়ে জানতে পাই, লোকগুলো নিহত হয়নি, শহীদ হয়েছে। শহীদ? এটা আবার কী ধরনের মৃত্যু? বিষয়টা খোলাসা জানবার জন্য ক’জন মৌলভির কাছে গেলাম। পরে বুঝলাম, যারা স্বাভাবিকভাবে মরে না, হঠাৎ কোনো দুর্ঘটনাকবলিত হয়ে মারা যায়, তারা পরকালে শহীদী দরজা পায়। মরে শহীদ হওয়ার মতো বড় সাফল্য আর হয় না। সত্যিই তো! লোকেরা এমনি না মরে যদি শহীদ হয়ে মরে সেটাই সবচেয়ে ভালো।

আমি ব্যাপারটা নিয়ে বেশ ভাবিত হয়ে পড়লাম। যেদিকে তাকাই না কেন, মানুষের বড়ই জর্জর অবস্থা। কোটরাগত চোখ, হাড্ডিসার দেহ, বেওয়ারিশ কুত্তার মতো পথেঘাটে, অলিগলিতে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘোরাফেরা করছে। কীভাবে কীসের তরে এরা বেঁচে আছে তার কোনো ঠিক-ঠিকানা নেই।

কলেরা-বসন্ত দেখা দিলে এরা দলে দলে মারা পড়ে। তাছাড়া শীতে-গরমে, ক্ষুধা-অনাহারেও ধুঁকতে ধুঁকতে কত যে মরে তার কোনো ইয়ত্তা নেই। জীবনটা কী, ঠিক বুঝে উঠতে পারি না।

‘উসনে খত না উঠায়া/ইয়ে ভি ঠিক হ্যায়।’

কার যেন কবিতাটা? আল্লাবখশ শোলাপুরের আমিনাবাঈ চিতলকর কত দরদ দিয়েই না গাইত :

‘মরকে ভি চয়ন না পায়া/তো কিধার জায়েঙ্গে।’

মানে বলছিলাম, মরণের পরও যদি ইহকালের মতো ধুঁকতে হয় তাহলে আর বেঁচে থেকে কী লাভ?

আজ এ জগতে যারা দুঃখ-দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছে, তারা যদি পরকালে পরমানন্দে পায়ের ওপর পা রেখে দিন কাটাতে পারে, তাহলে বেশ মজা হবে। এবং সে জন্য এরা শহীদ হয়ে মরতে পারে ততই ভালো।

এখন প্রশ্ন হলো, এরা শহীদ হওয়ার জন্য রাজি হবে কিনা। কেন, রাজি হবে না কেন? মুসলমান হয়ে শাহাদাতবরণের ইচ্ছে যদি না থাকে, সে আবার কীসের মুসলমান? মুসলমানদের দেখা দেখি আজকাল হিন্দু ও শিখরাও শহীদ হওয়ার জন্য উদ্বেলিত হয়ে ওঠে। তবে মরণাপন্ন এক ব্যক্তিকে যখন জিজ্ঞেস করলাম, ‘তুমি শহীদ হতে চাও?’ সে সরাসরি জানায় ‘না’।

বুঝতে পারি না বেঁচে থেকে লোকটা কী লাভ করবে। তাকে অনেক করে বুঝাই, ‘দেখ বাপু তুমি যদি বাঁচ বড়জোর মাস দেড়েক বাঁচবে। এর বেশি এক দিনও না। তুমি হাঁটতে গেলে মাথা ঘুরে পড়ে যাও, কাশতে কাশতে একেক সময় প্রাণ বেরিয়ে যাচ্ছে মনে হয়, তোমার কাছে পয়সা কড়িও নেই, জীবনে সুখের মুখও দেখনি। মোটকথা তোমার জীবনে সব আশা-ভরসা স্তিমিত হয়ে এসেছে। তাই সময় থাকতে তুমি নিজেই শহীদ হওয়ার বন্দোবস্তটা করে নাও।’

‘তা কেমন করে হয়?’ বলে লোকটা।

‘কেন হবে না! মনে কর রাস্তায় কলার খোসা ফেলে রেখেছি আর তুমি চলতে গিয়ে ধড়াস করে পড়ে গিয়ে চিৎপাত। পড়েই শাহাদাতবরণ। সাধারণভাবে মরার চেয়ে শাহাদাতবরণ করার কত উপকার তা জান?’

কিন্তু লোকটাকে ঠিক বুঝানো গেল না। সে সোজা বলল, ‘চোখে দেখে কলার ছিলকায় কেন আমি পা দিতে যাব বাবা? আমার কি জীবনের মায়া নেই?’

হতভাগার কথা শুনে আমার খুব আফসোস হলো। আরও আফসোস হয়েছে যখন শুনলাম পরদিনই দাতব্য হাসপাতালের লোহার খাটের ওপর কাশতে কাশতে তার প্রাণবায়ু বেরিয়ে গেছে। অথচ লোকটা কত স্বচ্ছন্দে শাহাদাতবরণ করতে পারত।

এখন মরে তখন মরে দশায় ছিল এক বুড়ি। আমার খুব দয়া হলো। তাকে তুলে এনে রেললাইনের ওপর শুইয়ে দিলাম। ও মা! ট্রেনের আওয়াজ শুনতেই বুড়িটা ধড়মড় করে উঠে বসল আর প্রাণভয়ে দৌড়ে পালাল। আমি একেবারে হতাশ হয়ে পড়লাম। তবুও দমলাম না। জাতে বণিক আমি। জানেন তো, বণিকদের বুদ্ধি বড় পাকা। পুণ্য অর্জনের ওমন একটা মাধ্যমকে আমি সহজে হাতছাড়া করতে চাইলাম না।

মোগল আমলের পুরনো একটা দুর্গের মতো বাড়ি ছিল। তাতে ছিল একশ একান্নটি কামরা। অবস্থা একেবারে জড়সড়ো। অনেক অভিজ্ঞতা থেকে অনুমান করি, ভালোমতো একটা বর্ষা হলেই এর ছাদ ধসে পড়বে। অতএব, দশ হাজার টাকায় দুর্গটা কিনে নিয়ে আমি কায়ক্লেশে খেটে খাওয়া এক হাজার লোককে সেখানে থাকতে দিলাম। তারপর তৃতীয় মাসেই আমি যা অনুমান করেছিলাম, প্রবল বৃষ্টিতে ছাদ ধসে পড়ল। ছাদ চাপা পড়ে প্রায় সাতশ লোক মারা গেল।

আমার মনের ভারটা একটু হালকা হলো। একসঙ্গে সাতশ লোক শাহাদাতবরণ করায় সমাজের বিরাট সংখ্যক লোক কমে গেল।

পরে আমি এ কাজই করতে থাকি। বেশি না পারলেও রোজ দু-চারজনকে শাহাদাতবরণের সুযোগ করে দিতাম। আগেই বলেছি, সব কাজে পরিশ্রম লাগে ভাই। আল্লাবখশ শোলাপুরের আমিনাবাঈ চিতলকরের মুখে একটা গান প্রায়শ শোনা যেত।

মাফ করবেন, গানটি আসলে এ জায়গায় প্রযোজ্য নয়। না, আমি বলতে চাইছি, ব্যাপার যা-ই হোক, আমায় কিন্তু পরিশ্রম করতে হয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ একটা ঘটনা বলা যায়। হাবাগোবা একটা লোক শহীদ করার জন্য আমি দশ দিন ধরে চেষ্টা করেছি। ওর পথের ওপর কলার খোসা ছড়িয়ে রাখতাম প্রতিদিন। লোকটা কোনো দিনই খোসায় পা দেয় না। অবশেষে দশম দিনে পা দিল। আসলে এই দশম দিনই তার শহীদ হওয়ার নির্দিষ্ট দিন ছিল।

আজকাল আমি বিরাট একটা ভবন নির্মাণের কাজে হাত দিয়েছি। একটা কোম্পানি খুলে নিজেই নির্মাণ কাজের ঠিকাদারি নিয়েছি। দুই লাখ টাকার চুক্তিতে কাজ চলছে। পঁচাত্তর হাজার টাকা মুনাফা হবে। ভবনের বীমাও করে নিয়েছি। খুব সম্ভব তৃতীয় তলার কাজ শুরু হলেই সবকিছু ভেঙে চুরমার হয়ে পড়বে। নির্মাণের মালসামানা আমি সেভাবেই করেছি। নির্মাণ কাজে এখন একশ জন মজুর খাটছে। আল্লাহর ইচ্ছায় আমার যতটুকু ধারণা, এরা সবাই শহীদ হয়ে যাবে। যদি কেউ কোনোমতে বেঁচে যায়, বুঝতে হবে সে অতিশয় গুনাহগার, শহীদ হওয়া তার নসিবে নেই।

                > লেখকের উর্দু গল্পের ইংরেজি অনুবাদ ‘মার্টার্স’-এর ভাষান্তর।

টপিক

এই বিভাগের আরও খবর
আমার গোপন নিষিদ্ধ প্রেমিকারা
আমার গোপন নিষিদ্ধ প্রেমিকারা
মা
মা
রবীন্দ্রনাথ ও বাঙালি সমাজ
রবীন্দ্রনাথ ও বাঙালি সমাজ
সাহিত্য পাতায় লেখা পাঠানোর ঠিকানা
সাহিত্য পাতায় লেখা পাঠানোর ঠিকানা
নতজানু পায়রা
নতজানু পায়রা
যদি আবার
যদি আবার
পাঁজরের আধখানা হাড়
পাঁজরের আধখানা হাড়
মেঘমালা
মেঘমালা
দুঃখের সন্ধ্যা, নীরব রাত
দুঃখের সন্ধ্যা, নীরব রাত
হেঁটে চলি আগুনের দিকে
হেঁটে চলি আগুনের দিকে
কবিতার মতো তিনটি লাল গোলাপ
কবিতার মতো তিনটি লাল গোলাপ
বাংলা উপন্যাস, প্রবন্ধ ও সমালোচনার পথিকৃৎ
বাংলা উপন্যাস, প্রবন্ধ ও সমালোচনার পথিকৃৎ
সর্বশেষ খবর
দক্ষিণ আফ্রিকায় বিষক্রিয়ায় ১২০টিরও বেশি বিপন্ন শকুনের মৃত্যু
দক্ষিণ আফ্রিকায় বিষক্রিয়ায় ১২০টিরও বেশি বিপন্ন শকুনের মৃত্যু

১০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইংলিশ দলে ডাক পেলেন রিউ
ইংলিশ দলে ডাক পেলেন রিউ

১৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

চুয়াঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৫ জন হতাহত
চুয়াঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৫ জন হতাহত

২৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ‘আমাদের কোনও বিষয় নয়’ : যুক্তরাষ্ট্র
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ‘আমাদের কোনও বিষয় নয়’ : যুক্তরাষ্ট্র

৪৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লক্ষ্মীপুরে ট্রাকের ধাক্কায় কৃষি কর্মকর্তা নিহত
লক্ষ্মীপুরে ট্রাকের ধাক্কায় কৃষি কর্মকর্তা নিহত

৪৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

এল-ক্লাসিকোর রেফারি চূড়ান্ত
এল-ক্লাসিকোর রেফারি চূড়ান্ত

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পাকিস্তান থেকে সরিয়ে যেখানে হবে পিএসএল
পাকিস্তান থেকে সরিয়ে যেখানে হবে পিএসএল

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কাশ্মীরে ইসলাম প্রচারের ইতিহাস
কাশ্মীরে ইসলাম প্রচারের ইতিহাস

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ভারত ও পাকিস্তানের উচিত কূটনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করা: যুক্তরাষ্ট্র
ভারত ও পাকিস্তানের উচিত কূটনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করা: যুক্তরাষ্ট্র

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অন্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার পরিণাম
অন্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার পরিণাম

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

রাতভর অবস্থানের পর সকালেও চলছে যমুনার সামনে বিক্ষোভ
রাতভর অবস্থানের পর সকালেও চলছে যমুনার সামনে বিক্ষোভ

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৯ মে)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৯ মে)

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেফতার
সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেফতার

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা : নাহিদ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা : নাহিদ

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পাকিস্তানি পাইলটকে আটকের দাবি ভারতের, প্রমাণ চাইল ইসলামাবাদ
পাকিস্তানি পাইলটকে আটকের দাবি ভারতের, প্রমাণ চাইল ইসলামাবাদ

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ জাবি শিক্ষার্থীদের
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ জাবি শিক্ষার্থীদের

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাবিতে বিক্ষোভ
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাবিতে বিক্ষোভ

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

প্রথম আমেরিকান পোপ রবার্ট প্রেভোস্ট
প্রথম আমেরিকান পোপ রবার্ট প্রেভোস্ট

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি খাত হুমকিতে
বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি খাত হুমকিতে

৭ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

'পাকিস্তান আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিলে সারা পৃথিবী জানবে'
'পাকিস্তান আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিলে সারা পৃথিবী জানবে'

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের সেনা-স্থাপনায় হামলা, অস্বীকার পাকিস্তানের
ভারতের সেনা-স্থাপনায় হামলা, অস্বীকার পাকিস্তানের

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবিতে যমুনার সামনে অবস্থান
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবিতে যমুনার সামনে অবস্থান

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হঠাৎ 'ব্ল্যাকআউট', মাঝপথে পরিত্যক্ত আইপিএল ম্যাচ
হঠাৎ 'ব্ল্যাকআউট', মাঝপথে পরিত্যক্ত আইপিএল ম্যাচ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চিমনিতে সাদা ধোঁয়া, ভ্যাটিকান পেল নতুন পোপ
চিমনিতে সাদা ধোঁয়া, ভ্যাটিকান পেল নতুন পোপ

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ: আসিফ মাহমুদ
নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ: আসিফ মাহমুদ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত
ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় সম্পূর্ণ ‘ব্ল্যাকআউট’ জম্মুতে পরপর বিস্ফোরণ, দাবি ভারতের
পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় সম্পূর্ণ ‘ব্ল্যাকআউট’ জম্মুতে পরপর বিস্ফোরণ, দাবি ভারতের

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরাজগঞ্জে স্কুলশিক্ষার্থীকে ধর্ষণ, গ্রেফতার ২
সিরাজগঞ্জে স্কুলশিক্ষার্থীকে ধর্ষণ, গ্রেফতার ২

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীকে চেয়ারম্যান করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গঠন
বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীকে চেয়ারম্যান করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গঠন

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সিইও’র দায়িত্ব ছাড়লেন মীর স্নিগ্ধ
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সিইও’র দায়িত্ব ছাড়লেন মীর স্নিগ্ধ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
ভারতের বিরুদ্ধে এফ-১৬ কি ব্যবহারই করতে পারবে না পাকিস্তান?
ভারতের বিরুদ্ধে এফ-১৬ কি ব্যবহারই করতে পারবে না পাকিস্তান?

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১২৫ যুদ্ধবিমান দিয়ে ভারতে পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তান
১২৫ যুদ্ধবিমান দিয়ে ভারতে পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তান

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশ ছাড়লেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ
দেশ ছাড়লেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় লাভে চীন, লোকসানে রাফাল নির্মাতা
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় লাভে চীন, লোকসানে রাফাল নির্মাতা

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীনের তৈরি বিমান দিয়ে ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান
চীনের তৈরি বিমান দিয়ে ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আবদুল হামিদের সঙ্গে আরও দেশ ছাড়লেন যারা
আবদুল হামিদের সঙ্গে আরও দেশ ছাড়লেন যারা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হঠাৎ একই দিনে ভারতে হাজির ইরান ও সৌদির দুই মন্ত্রী
হঠাৎ একই দিনে ভারতে হাজির ইরান ও সৌদির দুই মন্ত্রী

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় সম্পূর্ণ ‘ব্ল্যাকআউট’ জম্মুতে পরপর বিস্ফোরণ, দাবি ভারতের
পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় সম্পূর্ণ ‘ব্ল্যাকআউট’ জম্মুতে পরপর বিস্ফোরণ, দাবি ভারতের

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় করার দাবি ভারতের
পাকিস্তানের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় করার দাবি ভারতের

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

'পাকিস্তান আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিলে সারা পৃথিবী জানবে'
'পাকিস্তান আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিলে সারা পৃথিবী জানবে'

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের রাফাল ধ্বংস করে নজির গড়ল পাকিস্তান!
ভারতের রাফাল ধ্বংস করে নজির গড়ল পাকিস্তান!

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের ৪০-৫০ সেনাকে হত্যার দাবি পাকিস্তানি মন্ত্রীর
ভারতের ৪০-৫০ সেনাকে হত্যার দাবি পাকিস্তানি মন্ত্রীর

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের হামলায় ভারতের সেনাসহ নিহত ১৩
পাকিস্তানের হামলায় ভারতের সেনাসহ নিহত ১৩

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আবদুল হামিদের দেশত্যাগ: একজন প্রত্যাহার, দু’জন বরখাস্ত
আবদুল হামিদের দেশত্যাগ: একজন প্রত্যাহার, দু’জন বরখাস্ত

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারত এই মুহূর্তে পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে চায় না: রাজনাথ সিং
ভারত এই মুহূর্তে পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে চায় না: রাজনাথ সিং

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেফতার
সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেফতার

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইসরায়েলের তৈরি ২৫ ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি পাকিস্তানের
ইসরায়েলের তৈরি ২৫ ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি পাকিস্তানের

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিজের দোষ ঢাকতেই অপবাদ দিচ্ছে শামীম? প্রশ্ন অহনার
নিজের দোষ ঢাকতেই অপবাদ দিচ্ছে শামীম? প্রশ্ন অহনার

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

লাহোরে হঠাৎ বিস্ফোরণ, যা জানা গেলো?
লাহোরে হঠাৎ বিস্ফোরণ, যা জানা গেলো?

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইভীকে আটকে অভিযান, রাস্তা অবরোধে সমর্থকরা
আইভীকে আটকে অভিযান, রাস্তা অবরোধে সমর্থকরা

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সংবাদ সম্মেলনে যেসব বিষয় এড়িয়ে গেলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব
সংবাদ সম্মেলনে যেসব বিষয় এড়িয়ে গেলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের সম্ভাব্য হামলার জন্য ভারতের রাজ্যগুলোকে সতর্ক থাকার নির্দেশ
পাকিস্তানের সম্ভাব্য হামলার জন্য ভারতের রাজ্যগুলোকে সতর্ক থাকার নির্দেশ

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জামায়াত নেতা এটিএম আজহারের মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে করা আপিলের রায় ২৭ মে
জামায়াত নেতা এটিএম আজহারের মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে করা আপিলের রায় ২৭ মে

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আজ বিশ্ব গাধা দিবস: যে কারণে দিনটি মনে রাখবেন
আজ বিশ্ব গাধা দিবস: যে কারণে দিনটি মনে রাখবেন

২১ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

সত্যিই কি পরমাণু যুদ্ধে জড়াবে ভারত-পাকিস্তান? যা ছিল পুরনো মার্কিন গবেষণায়!
সত্যিই কি পরমাণু যুদ্ধে জড়াবে ভারত-পাকিস্তান? যা ছিল পুরনো মার্কিন গবেষণায়!

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তিরস্কারের পর চয়নিকা চৌধুরীকে জামিন দিলেন আদালত
তিরস্কারের পর চয়নিকা চৌধুরীকে জামিন দিলেন আদালত

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পাকিস্তানি পাইলটকে আটকের দাবি ভারতের, প্রমাণ চাইল ইসলামাবাদ
পাকিস্তানি পাইলটকে আটকের দাবি ভারতের, প্রমাণ চাইল ইসলামাবাদ

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের সেনা-স্থাপনায় হামলা, অস্বীকার পাকিস্তানের
ভারতের সেনা-স্থাপনায় হামলা, অস্বীকার পাকিস্তানের

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের আরও একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান
ভারতের আরও একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত : সাতক্ষীরার ১৩৮ কিমি সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত : সাতক্ষীরার ১৩৮ কিমি সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে বিজিবি

১৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বাবাকে হত্যা করে পুলিশে ফোন মেয়ের
বাবাকে হত্যা করে পুলিশে ফোন মেয়ের

প্রথম পৃষ্ঠা

হামিদের দেশত্যাগে তোলপাড়
হামিদের দেশত্যাগে তোলপাড়

প্রথম পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগের ক্লিন ইমেজধারীরা আসতে পারবেন বিএনপিতে
আওয়ামী লীগের ক্লিন ইমেজধারীরা আসতে পারবেন বিএনপিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রস্তাবে চার জাতির পিতা
প্রস্তাবে চার জাতির পিতা

প্রথম পৃষ্ঠা

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তছনছ জীবন
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তছনছ জীবন

পেছনের পৃষ্ঠা

সচিবালয়ে সমাবেশ, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
সচিবালয়ে সমাবেশ, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

পেছনের পৃষ্ঠা

দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ জিম বসুন্ধরায়
দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ জিম বসুন্ধরায়

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আলোর মুখ দেখছে না তদন্ত প্রতিবেদন
আলোর মুখ দেখছে না তদন্ত প্রতিবেদন

নগর জীবন

ফের হামলায় যুদ্ধবিমান ড্রোন
ফের হামলায় যুদ্ধবিমান ড্রোন

প্রথম পৃষ্ঠা

চ্যালেঞ্জ দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলায় গুরুত্ব সেনাপ্রধানের
চ্যালেঞ্জ দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলায় গুরুত্ব সেনাপ্রধানের

প্রথম পৃষ্ঠা

ঐকমত্য গঠনে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরুর তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার
ঐকমত্য গঠনে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরুর তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রথম আলোর প্রতিবাদ এবং আমাদের বক্তব্য
প্রথম আলোর প্রতিবাদ এবং আমাদের বক্তব্য

প্রথম পৃষ্ঠা

ন্যায়বিচার হলে কোনো জালিম এ দেশে আসবে না
ন্যায়বিচার হলে কোনো জালিম এ দেশে আসবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

মূল্যস্ফীতি কমাতে নীতির ধারাবাহিকতা চান গভর্নর
মূল্যস্ফীতি কমাতে নীতির ধারাবাহিকতা চান গভর্নর

প্রথম পৃষ্ঠা

মামলার রায় ঘোষণা শুরু
মামলার রায় ঘোষণা শুরু

প্রথম পৃষ্ঠা

আইসিসিবিতে শুরু হলো চিকিৎসা খাদ্য ও কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদর্শনী
আইসিসিবিতে শুরু হলো চিকিৎসা খাদ্য ও কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদর্শনী

নগর জীবন

পলাশের বাড়িতে মাতম
পলাশের বাড়িতে মাতম

পেছনের পৃষ্ঠা

বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে বিনামূল্যে ২১ রোগীর অপারেশন
বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে বিনামূল্যে ২১ রোগীর অপারেশন

নগর জীবন

এ অচলায়তন ভাঙতে হবে
এ অচলায়তন ভাঙতে হবে

সম্পাদকীয়

সুন্দরবনে হরিণের মাংস জব্দ
সুন্দরবনে হরিণের মাংস জব্দ

দেশগ্রাম

বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি খাত হুমকিতে
বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি খাত হুমকিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

চাঁদা না পেয়ে হামলা লুট
চাঁদা না পেয়ে হামলা লুট

খবর

আইভীকে আটকে অভিযান, অবরুদ্ধ দেওভোগ
আইভীকে আটকে অভিযান, অবরুদ্ধ দেওভোগ

পেছনের পৃষ্ঠা

বড় ধরনের কোনো যুদ্ধের আশঙ্কা নেই
বড় ধরনের কোনো যুদ্ধের আশঙ্কা নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

মানবিক করিডর প্রক্রিয়ায় চীন যুক্ত নয়
মানবিক করিডর প্রক্রিয়ায় চীন যুক্ত নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

সংবাদে হাসিনাকে ‘প্রধানমন্ত্রী’ উল্লেখ, পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর আগুন
সংবাদে হাসিনাকে ‘প্রধানমন্ত্রী’ উল্লেখ, পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর আগুন

নগর জীবন

ফিরিয়ে আনা হচ্ছে রিশাদ-নাহিদকে
ফিরিয়ে আনা হচ্ছে রিশাদ-নাহিদকে

মাঠে ময়দানে

‘কেউ প্রমাণ দিতে পারবে না’
‘কেউ প্রমাণ দিতে পারবে না’

মাঠে ময়দানে

আড়াই কোটি টাকার জমি উদ্ধার
আড়াই কোটি টাকার জমি উদ্ধার

দেশগ্রাম