সৃষ্টি জগতে মানুষ সর্বশ্রেষ্ঠ। আর তখনই মানুষ সর্বশ্রেষ্ঠ যখন মানুষকে রক্ষায় নিজেকে নিয়োজিত করে। বর্তমানে মানুষ আগের চেয়ে বেশি সচেতন। অনেক মহৎপ্রাণ মানুষ নিজেকে উৎসর্গ করেছেন মানবতার জয়গানে। তেমনি একজন টিয়া চৌধুরী। এখন পর্যন্ত নানা সময়ে প্রায় ২ হাজার পথ-কুকুরকে চিকিৎসাসেবা দিয়ে অনন্য নজির স্থাপন করেছেন। অনেকটা নীরবেই কাজটি করে যাচ্ছেন তিনি। বর্তমানে প্রায় ১০০টি অসুস্থ কুকুর রয়েছে টিয়া চৌধুরীর নিরাপদ আশ্রয়ে। কোনো কুকুরের চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছে, কোনোটা আবার গাড়ির নিচে চাপা পড়েছে, আবার কোনোটা ক্যান্সারে আক্রান্ত। এমন সব কুকুরকেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা ও আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছেন এই পশুপ্রেমী। নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করাই টিয়ার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। গড়ে তুলেছেন অ্যানিমেল রেসকুয়্যার বাংলাদেশ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। গোটা দেশের নানা স্থানে অসুস্থ এবং বীভৎসতার শিকার কুকুর উদ্ধার করে নিয়ে আসেন নিজের কাছে। ব্যবস্থা করেন প্রয়োজনীয় চিকিৎসার। টিয়া চৌধুরী বলেন, ছয়-সাত বছর আগে ডগ লাভার্স গ্রুপে দেখতে পাই একটি কুকুরের বাচ্চা মায়ের দুধ পাচ্ছে না। অসহায় অবস্থায় রয়েছে। তাকে নিয়ে আসি বাসায়। সেখান থেকেই শুরু। কুকুরের যে ভালোবাসা মানুষের প্রতি তা নিঃসন্দেহে অসাধারণ। কিছু দিন আপনি তাদের সঙ্গে থাকলেই বুঝতে পারবেন এরা সব কিছু বোঝে। দারুণ রেসপন্স করে। আমার ছোট বোন পশুপ্রেমী ছিল। আমি এতটা ছিলাম না। কিন্তু ভালোবাসতাম। এক সময় নিজেই এখন আছি এই অবলা প্রাণীদের নিয়ে। তাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। নিজের অর্থ খরচ করেই এই কাজটা চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে আরও বড় করে ওদের জন্য কাজ করে যেতে চাই। টিয়া চৌধুরীর বাসায় গেলে দেখা যায় এটি এখন অসুস্থ, অসহায় কুকুরের আশ্রয়স্থল। শুধু তাই নয়, প্রতিদিনই নানা জায়গা থেকে আসে অসুস্থ বেওয়ারিশ কুকর। সকাল থেকে রাতে ঘুমানো পর্যন্ত টিয়া চৌধুরী সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। সপ্তাহে একদিন আসেন পশু ডাক্তার। জলাতঙ্কের টিকাসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয় তাদের। পশুপ্রেমী টিয়া চৌধুরী আরও বলেন, আমি যদি কুকুরকে রাখতে পারি চিকিৎসা দিতে পারি তাতে অসুবিধা কী। একটি কুকুর পড়ে আছে, কেউ তো তার ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করছে না যে, এটি প্রেগন্যান্ট হলে এর বাচ্চাগুলোর কী হবে। একটার দেখা যাচ্ছে হাত-পা নেই, চোখ বের হয়ে যাচ্ছে। এই সমস্যাগুলো নিয়ে আমাদের দীর্ঘমেয়াদি চিন্তা করা উচিত। বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই টিয়া চৌধুরী শুরু করেছিলেন মহৎ এই কাজ। তিনি বলেন, একবার পথে একটি কুকরের দুটি চোখ তুলে ফেলে বখাটেরা। কুকুরটির কষ্ট দেখে মামলা করতে গিয়েছিলাম আমরা। যদিও পুলিশ মামলা নেয়নি, পরবর্তীতে হাই কোর্টে রিট করি আমরা। টিয়ার বাবা সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, অবলা প্রাণীরা তাদের প্রয়োজনের কথা বলতে পারে না। তাই মানুষ হিসেবে আমাদের বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে তাদের প্রতি খেয়াল রাখা। করোনাকালে আমরা প্রচুর লোক দেখেছি যারা রাস্তায় থাকা এই অবলা প্রাণীদের দেখভাল করেছেন। সব ধর্মগ্রন্থেই বলা আছে জীবে প্রেম করার কথা।
শিরোনাম
- যুক্তরাজ্যে ভিন্ন নামে অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছেন নেতানিয়াহুর ছেলে
- আইজিপির সঙ্গে ইউনেস্কো প্রতিনিধির সাক্ষাৎ
- জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি: কিশোরগঞ্জে ড্যাবের রক্তদান ও আলোচনা সভা
- ঢাবিতে সানসেট ধসে শ্রমিক নিহত
- ইরান আরও বিধ্বংসী হয়ে উঠতে পারে, আশঙ্কা মার্কিন বিশেষজ্ঞদের
- ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের জন্য সুখবর
- নির্বাচনের মাধ্যমেই গণতন্ত্রের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হবে: খোকন
- সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় ৪ দিনের রিমান্ডে
- গুপ্তচরবৃত্তির সন্দেহ, বিপুলসংখ্যক আফগানকে ফেরত পাঠাচ্ছে ইরান
- ২ এপ্রিল ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’ ঘোষণার প্রস্তাব অনুমোদন
- কঙ্গনার দাবি: ‘অশ্লীল ছবি চাইতেন হৃতিক, পাঠাতেন নিজেরটাও’
- জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ড্যাবের রক্তদান কর্মসূচি
- এআই–এর অপব্যবহার, অভিনেত্রীর অশ্লীল ছবি ভাইরাল করল ছাত্রনেতা!
- যাত্রাবাড়ীর হত্যা মামলায় শরীয়তপুরের সাবেক মেয়র গ্রেফতার
- স্টার সিনেপ্লেক্সে স্কারলেট বনাম জম্বিদের ভয়াল লড়াই
- মেলবোর্নে বিশেষ সম্মাননা পাচ্ছেন আমির খান
- ইসরায়েলি হামলায় গাজার হাসপাতালের পরিচালক নিহত
- ইরান-সিরিয়া ইস্যুতে রাশিয়ার সঙ্গে গোপন আলোচনা ইসরায়েলের
- কব্জিকাটা গ্রুপের অন্যতম প্রধান টুন্ডা বাবু গ্রেফতার
- বৈদেশিক মুদ্রা জামানত রেখে টাকায় ঋণ নেওয়ার সুযোগ
টিয়া চৌধুরী : অসহায় কুকুরের সেবায় অনন্য
সাইফ ইমন
প্রিন্ট ভার্সন

গত পাঁচ-ছয় বছরে ২ হাজারের বেশি বেওয়ারিশ কুকুরকে পথ থেকে তুলে চিকিৎসাসেবা ও আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছেন টিয়া চৌধুরী
এই বিভাগের আরও খবর