শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১

যেভাবেই তুমি সকাল দেখ সূর্য কিন্তু একটাই

ওয়াহিদা আক্তার
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
যেভাবেই তুমি সকাল দেখ সূর্য কিন্তু একটাই

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সরাসরি কাজ করেছি মাত্র সাড়ে তিন বছর, এর মধ্যে করোনার জন্য বেশ অনেকটা সময় তাঁর কাছে যেতে পারিনি। প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে যোগ দিতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে দেশ ত্যাগ করেন এবং ফিরে আসেন সেপ্টেম্বর মাসের শেষে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে প্রতি বছর ২৮ সেপ্টেম্বর তাঁর জন্মদিন অনাড়ম্বরভাবে পালিত হয়। গণভবনে বাদ আসর একটা মিলাদের আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং গণভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয়স্বজন, স্কুল-কলেজের বান্ধবী, দলীয় কার্যালয়ের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও কর্মীরা উপস্থিত থাকেন। আমি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কাজ করার সুবাদে ১০ বছর এ সুযোগ পেয়েছি। ব্যক্তিগত অনুবিভাগের কর্মকর্তা হিসেবে আমি প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে প্রায় ১৭ বার বিদেশ ভ্রমণ করেছি। খুব কাছ থেকে দেখেছি অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধানগণ আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রাচারের বাইরে শ্রদ্ধাপূর্ণ সমীহ করতেন। বয়স, ব্যক্তিত্ব, সৌন্দর্য ও রুচিতে মানবিক চিন্তাচেতনায় মৌলিক দর্শনে শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে অনন্য অসাধারণ। প্রতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে শেখ হাসিনার মুকুটে একটি করে পালক যোগ হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। শেখ হাসিনা দেশের জন্য সবসময় বয়ে আনেন মর্যাদার স্বীকৃতি। আবারও ফিরে এসেছে তাঁর জন্মদিন। ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রোগ্রাম অনুসরণ করে প্রতিদিন সকালে গণভবনে চলে আসতাম। দোতলায় রিসিভ করে বেশির ভাগ সময় আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রোগ্রামে যেতাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খুব দ্রুত হাঁটেন, শুনেছি মানুষের বয়স শুরু হয় পা থেকে। সে  হিসেবে শেখ হাসিনার হাঁটা এখনো অনেক তরুণ-তরুণীকে পেছনে ফেলে দেবে। তাঁর হাঁটার স্টাইল আমাকে খুব টানে। প্রতিদিন সকালে আমরা যার যার এজেন্ডা নিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে সারি হয়ে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতাম। আমি কখনই কোনো প্রোগ্রামে তাঁকে বিলম্ব হতে দেখিনি।

যেদিন মন ভালো থাকত আমাদের বাড়তি পাওনা থাকত তাঁর হাসিমুখ ও স্বভাবসুলভ রসিকতা, আদরমাখা কথা। সাধারণত বের হওয়ার সময় খুব জরুরি না হলে আমরা কোনো কথা বলতাম না। কথা বলে দেরি করে দেওয়া তিনি পছন্দ করতেন না। খুব জরুরি কথা অনেক সময় সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে সেরে নিতাম। সেটা তাঁর সাক্ষাৎ প্রার্থীদের বিষয়ে প্রতিদিনের নির্দেশনা বা তিনি যে সব বিষয়ে জানতে চাইতেন। নিচে অনেক সময় নেতা-কর্মীরা থাকতেন তিনি সেভাবেই বের হতেন। নিচে নেমে তিনি একটু ধীরেসুস্থে গাড়িতে উঠতেন যেন তাঁর ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা ঠিকমতো গাড়িতে অবস্থান নিতে পারে। আমরা দৌড়ে যার যার গাড়িতে উঠতাম। আমি যেহেতু প্রতিদিন সকালে গণভবনে যেতাম এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালীন জন্মদিন উপলক্ষে ২৮ সেপ্টেম্বর গণভবনের পরিবেশ আমার চোখে পড়ত। অন্যান্য দিন গণভবনের গেট থেকেই ভিতরের ব্যস্ততা, মালিদের বাগান পরিচর্যা, শিফট পরিবর্তনে কর্মচারীদের আসা-যাওয়ায় গণভবন চত্বর টান টান উত্তেজনায় ভরপুর থাকত। জেলার নেতা-কর্মীরা যাদের পাস লাগে না নিরুৎসাহিত করার পরও আসা-যাওয়ার পথে সেসব নেতা-কর্মী, সাক্ষাৎ প্রার্থীদের ভিড় লেগে থাকত। এ ছাড়া এসএসএফ, পিজিআরের সদস্যদের তৎপরতা, কার্যালয়ের সচিব কর্মকর্তাদের গাড়ি আসা-যাওয়ায় গণভবন সরব থাকত। কিন্তু ২৮ সেপ্টেম্বর গণভবনে যাওয়ার সময় মনে হতো চারদিকে সুনসান নীরবতা, গাছের পাতারাও যেন থেমে আছে। কিচিরমিচির করা পাখিরাও যেন থেমে আছে। গণভবনের ভিতরে ঢোকার পর মিলাদে আসা কাউকে দেখলে তখন ভালো লাগত।

মিলাদের আগে কার্যালয়ের কর্মকর্তাসহ অন্য সবার উপস্থিতিতে কিছুটা সরগরম হয়ে আবার সুনসান নীরবতা বিরাজ করত। গণভবনে অনেক প্রাণীর মধ্যে কিছু বানর আছে যারা শেখ হাসিনার প্রশ্রয়ে অহেতুক ঝাঁপাঝাঁপি করে এ গাছ থেকে সে গাছে, ছাদে কার্নিশে দৌড়াদৌড়ি করে তাদের দেখতে চেষ্টা করেও দেখা যেত না। গণভবনের এই শাখামৃগের দল প্রধানমন্ত্রীর সামনেই দোতলার টবে লাগানো আম, পেয়ারা ছিঁড়ে খেত। তিনি কিছুই বলতেন না। আমরা মিলাদ শেষে শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুস্থ জীবনের জন্য দোয়া করে পালন করতাম শেখ হাসিনার জন্মদিন। বঙ্গবন্ধু পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্মদিন বেশির ভাগই আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে। বিভিন্ন এতিমখানায় খাবার পাঠিয়ে জন্মদিন পালন করতেন শেখ হাসিনার পরিবার। পরিবারের সদস্যদের ছেলেমেয়েদের জন্মদিন নীরবে একান্তভাবে নিজেরা পালন করেন যা আমরা কর্মকর্তারা জানতে পারতাম না। একবার শেখ রেহানা আমাকে বললেন- উত্তরখান এলাকায় আপন নিবাস নামে একটি প্রতিষ্ঠান আছে যারা রাস্তায় পড়ে থাকা ভিক্ষুক, অসুস্থ, পঙ্গু নারীদের তুলে নিয়ে এসে সেবা দেয়, চিকিৎসা দিয়ে জীবনের শেষ দিনগুলোতে আপনজনের মতো সেবাযত্ন পায়, তাদের কোনো অসুবিধা আছে কি না খোঁজ নিতে। আমি তৎকালীন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব জুয়েনা আজিজ ম্যাডামসহ একবার সেখানে যাই। প্রায় ৬০-৭০ জনের মতো অতিবৃদ্ধ, দুস্থ, অসুস্থ নারীকে দেখলাম, সবকিছু খোঁজ নিতে গিয়ে জানলাম এদের বড় বড় হাঁড়ি-পাতিল, প্লেট, বাসন, রান্নার সরঞ্জাম সব শেখ রেহানার কিনে দেওয়া। তিনি তাদের শীতের কম্বল, পোশাক পাঠান, মাঝে মাঝে পারিবারিক সব সদস্যের জন্মদিনের খাবার পাঠান। সচিব ম্যাডাম ও আমি শেখ রেহানার নীরবে-নিভৃতে এমন সমাজ সেবায় অভিভূত হই।

একান্ত সচিব-২ হিসেবে আমাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তৃণমূলের রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, দুস্থ অসহায় সাহায্যপ্রার্থী/সাক্ষাৎ প্রার্থীদের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপনের কাজ করতে হতো। তাঁকে দেখতাম বিরোধী দলে থাকাকালীন জুলুম নির্যাতনের শিকার, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার আহত স্পি­ন্টার বহনকারী নেতা-কর্মীরা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে কাজ করেছেন এমন বয়স্ক অসুস্থ নেতা-কর্মীদের তিনি খোঁজ করতেন। কোনো সূত্রে তাদের খবর পেলে আমাদের বলা হতো ব্যবস্থা নিতে। নিজ হাতে লিখে সাহায্য করে আমাদের যোগাযোগ করতে বলতেন।

দলমত নির্বিশেষে কোনো সাহায্য প্রার্থী তাঁর কাছে থেকে নিরাশ হতেন না। লেখাপড়া খরচ, বাসস্থান তৈরি, চিকিৎসা, সাহায্যপ্রার্থীদের বৃদ্ধ বাবা-মা, বিধবা স্ত্রীলোকদের তিনি পৃথকভাবে নির্দেশনা দিতেন। আমি এক দিন প্রশংসা করতে গিয়ে বললাম, ‘স্যার’ আমি হিসাব করে দেখেছি প্রতিদিন আপনি এত পরিমাণ টাকা দান করেন। তিনি বললেন এগুলো তো ওদেরই টাকা আমার কাছে আছে। তবে আমার নিজের কিছু টাকা আছে কয়েকবার প্রধানমন্ত্রী হওয়াতে বেশ কিছু টাকা জমেছে। ওটা থেকে আমি আমার ব্যক্তিগত দান করি। এই শেখ হাসিনা যখন বলেন যে, ক্ষমতায় যাওয়া মানে আমার কাছে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাওয়াকে বুঝি এ কথাটা যেন তাঁর মুখেই মানায়। বিচার বুদ্ধি প্রয়োগ করে জনগণের আমানত রক্ষার দায়িত্ব পালন করার ক্ষমতা সবার থাকে না, এটা ঐশ্বরিক। আরও বলতেন এই দেশটার জন্য আমার আব্বা, মা, ভাই-বোনদের অনেক ত্যাগ আছে। আমার আব্বা যাদের জন্য রাজনীতি করেছেন সেই বাংলার দুঃখী মানুষের জন্য কিছু করাতেই শান্তি পাই। শেখ হাসিনার বেঁধে দেওয়া সীমার মধ্যে তাঁর পরিবারের সদস্য যারা তাঁরা ব্যক্তিগত লোভ লালসা, ভোগ বিলাস দুর্নীতির ঊর্ধ্বে। পরিবারের অন্যতম সদস্য সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার ও প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক অবৈতনিক উপদেষ্টা। সরকারের কোনো খাত থেকে তিনি একটি পয়সাও ভাতা পান না এ নিয়ে মিথ্যাচারের শেষ নেই দুমুখদের। যেখানে এই যুগে প্রফেশনালিজমের নামে টাকা ছাড়া কোনো সেবাদাতা মুখটা পর্যন্ত হাঁ করেন না, যেখানে মেধাস্বত্বের দাবিতে কথায় কথায় মামলা হয় সেখানে অবৈতনিক উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দিয়ে সজীব ওয়াজেদ জয়কে বঞ্চিত করা হচ্ছে তাঁর ন্যায্য প্রাপ্য থেকে। এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত।

শেখ হাসিনা অনেক খবর পান সরাসরি জনগণের কাজ থেকে। অবসর পেলে মেসেজগুলো দেখেন, প্রয়োজন মনে করলে ব্যবস্থা নেন। আমরা যারা তাঁর ব্যক্তিগত অনুবিভাগের কর্মকর্তা ছিলাম। আমাদের কাছে ফরোয়ার্ড করে তিনি ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিতেন। এ ছাড়া গণভবনে আমার কিছু রিকুইজিশন আসত পাস দিতে হবে এরা আপার লোক। নিয়ম ছিল যে যাদের পাস দেবে তারা সাক্ষাতের সময় উপস্থিত থাকবে। আমি দেখতাম তৃণমূলের রাজনৈতিক কর্মী, গরিব দুঃখী, সাধারণ লোক, নেতা-কর্মী, অসুস্থ সাহায্যপ্রার্থী হিসেবে যারা আসত তাদের পরিচয় হলো আপার লোক। একবার একজন রাজনৈতিক নারীকর্মী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর খুবই কাছে গিয়ে উচ্চস্বরে কথা বলছে দেখে এসএসএফ সদস্যরা আমাকে ডেকে নিয়ে আসে। আমি কিছু বুঝে না বুঝে ওকে পেছন দিকে টেনে ধরে একটু জোরেই দূরে নিয়ে আসি। শেখ হাসিনা আমাকে ধমক দিয়ে বললেন, ‘এই তুমি ওকে এত জোরে ধরেছো কেন’। পরে রাতে বিদায় দিতে দোতলায় উঠলে আমাকে বললেন, ‘তোমরা ওদের সঙ্গে এমন করবে না ওরা আমাকে মারবে না বরং ওরা আমাকে বাঁচায়।’ আপার লোক হিসেবে যারা আসত তারা তাঁকে মাঝে মাঝে

জড়িয়েও ধরত তখন এসএসএফ সদস্যরা আমার দিকে অগ্নিদৃষ্টিতে তাকাত। এমনই একটা মজার কথা তিনি এক দিন বলেন যে, ১৯৮১ সালে ১৭ মে দেশে ফিরে তিনি সারা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বলতে গেলে চষে বেড়ান।

‘শেখের বেটি’ হিসেবে অনেকে কুঁড়েঘরে নিয়ে বসাত। এমন একজন দরিদ্র নারী পাটি পেতে বসতে দিয়ে বলেন, তোমার বাবাও এভাবে রাস্তায় হেঁটেছে তুমিও শুরু করেছ। তাঁর খসখসে হাতে গলায় হাত দিয়ে বলে গলা কেন খালি, কানে হাত দিয়ে বলে কান কেন খালি, এরপর নাকে হাত দিয়ে দেখে নাকফুল নেই। এসব অনুযোগ করার পর দুই হাতে মুখটি ধরে পান খাওয়া মুখে দুই গালে চকাস চকাস করে ভিজিয়ে দিল। আমি শুনে হেসে বলি ভালোবাসার অত্যাচার! তাঁর পিতার জীবনের অনেক ঘটনা নিজের জীবনে ঘটেছে বলে তিনি জানান। ৯ এপ্রিল ১৯৪৬ সালে বঙ্গবন্ধু দিল্লি নিজামউদ্দিন আউলিয়ার মাজারে গিয়েছিলেন-১৯৮১ সালের ঠিক সেই দিনেই তিনি এবং শেখ রেহানা ওই মাজারে গেলে খাদেমরা তাঁকে খাতাটি এনে দেখায়। সেদিন তিনি অনুমান করেছিলেন মহান আল্লাহপাক তাঁকে দিয়ে কিছু করাবেন হয়তো। এরপর দীর্ঘ সংগ্রাম ধৈর্য মিলে আরেক ইতিহাস।

আমি প্রায়ই একা সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় আশপাশে তাকিয়ে কাউকে না দেখলে দোতলায় লিফটে উঠে পড়তাম। প্রধানমন্ত্রী কখনো এ লিফট ব্যবহার করতেন না। আমি ভাবতাম কেউ মনে হয় দেখছে না। এক দিন বললেন- তুমি তো দোতলায়ও লিফটে যাও, হাঁট না, সিঁড়ি ভাঙতে চাও না; আমি তো থ। তিনি দেখলেন কীভাবে, পরে শুনেছি সিসি ক্যামেরায় দেখেছেন। এখনো নিজের বয়সের দিকে তাকিয়ে নিজেই মজার কথা বলে কটাক্ষ করেন। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, শেখ হাসিনা মহান আল্লাহপাকের ইচ্ছায় এখনো চলাফেরাতে চিন্তাচেতনায় অনেক পরিশ্রমী, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী, বয়সের চেয়ে অনেক সবল একজন রাষ্ট্রনায়ক। মাঝে মাঝে তাঁর সঙ্গে পেছনে চেয়ারে বসে নামাজ তাড়াতাড়ি শেষ করতাম। চেয়ারে বসে নামাজ পড়ছি-তিনি যেন না দেখেন। তাঁকে রুকু, সেজদা, যথারীতি নিয়মমাফিক আদায় করার সৌভাগ্য আল্লাহ দিয়েছেন। এও ভাবতাম আল্লাহ তো দেখছেন, আমি আল্লাহকে ভয় না পেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ভয় পাচ্ছি, এটা ভেবে নিজের মনে হাসতাম।

কোনো গরিব মানুষকে কখনো শেখ হাসিনাকে ভয় পেতে দেখিনি, তাদের জড়িয়ে ধরে, হাত ধরে ঝগড়া করতেও দেখেছি। ঈদের সময় শুভেচ্ছা বিনিময়ে সাধারণ মানুষের জন্য বাঁশ দিয়ে সারিতে দাঁড়ানোর ব্যবস্থা হয়। সবাই ঈদ মোবারক বলে, কথা বলে কাগজ ধরিয়ে দিলে কাগজগুলো তিনি আমাদের হাতে দিতেন। একবার মিরপুরের দিকের একজন মিছিলের অগ্রভাগের যুবলীগের নারীকর্মী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রীতিমতো ঝগড়া শুরু করেছে, আমরা বিব্রত। সে চিৎকার করে গলা উঁচিয়ে বলছে শেখ হাসিনাও জবাব দিচ্ছেন। এক পর্যায়ে শেখ হাসিনার অপরাধ হলো যে তিনি বলেছেন অনেক রাজনীতি করেছ আর করতে হবে না, বাড়ি বসে সংসার কর। আর যায় কোথায় কেন এ কথা বললেন নেত্রী, সে ঝগড়া শুরু করেছে তো থামতে চায় না। এসএসএফ মেয়েরা পথ থেকে তাকে সরাতে পারেনি। গেট হয়ে পথ আটকে দাঁড়িয়ে আছে, আমি কাছে গেলে এক ঝটকায় পারলে আমাকে ফেলে দেয়। শেখ হাসিনা বললেন ‘ও থাক দাঁড়ানো, তুমি ওর পেছন দিয়ে অন্যদের আসতে দাও। তাঁর নেতা-কর্মীরা যে আচরণ করত, নালিশ করত, অভিমান করত উনি প্রত্যেকের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ধৈর্য ধরে কথা শুনতেন। খুশি করার জন্য বঙ্গবন্ধুর ছবির সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে বলতেন, ‘হইছে, এবার বাড়ি যা’। আমাদের ওপর নির্দেশনা ছিল গণভবনে কেউ এলে চা, বিস্কুট মিষ্টি কিছু যেন খেতে দেওয়া হয়। তারা গণভবনে এসে ছবি তুলে হাসিমুখে চলে যেত। একবার একজন এসে সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে অনেক কিছু নালিশ জানালেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বললেন যে, দেখবেন, দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে। ছবি তুলে বিদায় দিয়ে ওপরে উঠলেন। সিঁড়িতে উঠতে উঠতে আমি বললাম যিনি সংসদ সদস্য হয়েছেন তিনি তো আপনার আশীর্বাদপ্রাপ্ত। নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এমন করা উচিত না। তিনি ওপরে উঠে ঘুরে দাঁড়িয়ে বললেন, তুমি চেন তাকে? আমি বললাম- জি না, চিনি না। বললেন তাহলে তো কিছুই জান না। এর অত্যাচারে ওর জীবন অতিষ্ঠের জন্য সে কিছুই করতে পারছে না এলাকায়। আমি দেখতাম গণভবনে কে কী কাজে কার মাধ্যমে আসছে তিনি জানতেন। আমি অনেকবারই প্রমাণ পেয়েছি।।

আমি এক দিন কথায় কথায় বললাম, স্যার অনেক লেখা পড়েছি আপনার, কিন্তু নিজের কথা, পথ চলতে সবার সহযোগিতা-অসহযোগিতার কথা কোথাও লেখেন না, বললেন-পাগল! এসব লিখলে সব ভেঙে খান খান হয়ে যাবে। নীলকণ্ঠ যদি দেখতে চাও, আমাকে দেখ। এক দিন অনুষ্ঠানের বিদেশি অতিথিদের অনুবাদ ডিভাইস হেডফোন দেওয়া হয়নি। তিনি লক্ষ্য করেছেন যে, তাদের বুঝতে কষ্ট হচ্ছে। পড়বি পড় মালির ঘাড়ের মতো আমার দায়িত্ব না হওয়া সত্ত্বেও বকা খেলাম। বললেন- ‘এই তোমরা যে সাজুগুজু করে বসে থাক, এসব দেখ না?’ আর এক দিন ঈশ্বরদী রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ঢালাই অনুষ্ঠানে রাশিয়ান কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি কল অনে দেখা গেল রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত মহোদয়কেই ঢুকতে দেওয়া হয়নি। নালিশ হতেই আমার দিকে চেয়ে বললেন, ‘সব দোষ আমার অফিসের, এই তোমরা ঝাঁকের কই-এর মতো আমার সঙ্গে ঘুরে বেড়াও এগুলো দেখ না?’ নীরবে বকা খেতে সবাই ইশারা করলেও মনে মনে বলি প্রধানমন্ত্রীরা বাংলার ছাত্রী হলে বকা খেয়েও মজা! নারীর ক্ষমতায়ন ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদানের জন্য ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ‘গ্লোবাল সামিট অন উইমেন’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্লোবাল লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে। আমরা সমাজের বিভিন্ন স্তরের প্রায় সব সফরসঙ্গী মহিলা ছিলাম। অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানটি উদযাপনের জন্য ব্যবসায়ী নারী প্রতিনিধিগণ ওয়াটার মেলন কেক কেটে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেন। কেক কাটার সময় দেখা গেল স্তরে স্তরে বরফ জমে ফুটস কেকে কেউ ছুরিটি বসাতেই পারছেন না। সবাই একবার চেষ্টা করে ফিরে আসছেন। অবশেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্যান্ট্রিতে কর্মরত একজন অস্ট্রেলিয়ান পুরুষ লোক এসে কেকটি কেটে দেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দূরে বসে আমাদের এ অবস্থা দেখে মজা করে বললেন ‘দেখ আমার নারীর ক্ষমতায়নের অবস্থা’! অনেক মজার স্মৃতি যা লিখে বা বলে শেষ হবে না।

প্রত্যেক মানুষের মনে কোনো না কোনো কাজের প্রতি প্রবণতা আছে। সেই কাজটি করে তিনি আনন্দ পান। সেই কাজটি তিনি ভালোবেসে করতে পারেন। এই প্রবণতা বা আগ্রহ ছাড়া উন্নতি করা যায় না। মহান আল্লাহপাক কাউকে দিয়ে কিছু করাতে চাইলে তাঁর ভিতরে সেই কাজের জন্য আগ্রহ বা ভালোবাসা দিয়ে দেন। যুগে যুগে দার্শনিকরা বলেছেন তাই নিজেকে ভালোভাবে জানতে নিজেকে নিজে আবিষ্কার করতে। কেউ যদি নিজেকে আবিষ্কার করতে পারে বা তার প্রবণতা খুঁজে পায় তাকে আমরা আত্মবিশ্বাসী মানুষ বলে অভিহিত করি। এই ভালোবাসা তাকে কিছু একটা করতে বাধ্য করে। আমাদের জীবনের শ্রেষ্ঠতম উদ্দেশ্যই হলো এই প্রবণতা বা সহজাত ক্ষমতাকে ঠিক পথে কাজ করতে চালনা করা। ভালো কাজে সন্তানকে প্রভাবিত করা মানুষের কাজ। শেখ হাসিনা তাঁর সন্তানদের আত্মবিশ্বাসী হিসেবে গড়ে তুলেছেন এবং সেভাবে শিক্ষা দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর সীমাবদ্ধতা ছিল বাংলাদেশের মানুষকে তিনি খুব বেশি ভালো বাসতেন আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সীমাবদ্ধতা হলো তিনি কখনই অমানবিক কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। শেখ হাসিনার সমালোচনাকারীদের কাছে একটাই বিনীত প্রশ্ন যে, শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারকে নিয়ে আপনারা যেসব কথা প্রচার করেন তা আপনারা নিজেরা বিশ্বাস করেন কি-না?

বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা তাদের সন্তানদের জনহিতৈষীমূলক ভালো কাজের প্রবণতাকে উৎসাহিত করেছেন সব সময় যেমন করেছেন বঙ্গবন্ধুর পিতা শেখ লুৎফর রহমান তাঁর ছেলে শেখ মুজিবকে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখেছি বহুমাত্রিক কাজের ভিড়েও কোনো সাহায্য প্রার্থী মানুষের আবেদন ধরলেও বিরক্ত হতেন না বরং বিস্তারিত জেনে তিনি আর্থিক সহায়তা দিতেন। আজ শেখ হাসিনার জন্মদিন। শেখ হাসিনার দেহে বইছে বঙ্গবন্ধুর শোণিত ধারা। বাংলার দুঃখী মানুষের প্রতি বাবার অনুভূতি ধারণ করা শেখ হাসিনা নিখাদ দেশপ্রেম, দূরদর্শিতা, প্রজ্ঞা, দৃঢ়তা ও মানবিকতার এক অপূর্ব সমন্বয়ে দায়িত্ব পালনের ধারাবাহিকতায় বিশ্বময় বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় আসীন করেছেন। হাজার বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে বঙ্গবন্ধুর মতো একজন মহান নেতাকে পাওয়ার জন্য আর জানি না কত শত বছর অপেক্ষা করতে হবে শেখ হাসিনার মতো আর একজন মানবতাবাদী রাষ্ট্রনায়কের জন্য। পরিশেষে কবি আসাদ মান্নানের ‘এক মহা শান্তিমাতা’ কবিতার চরণ দিয়ে শেষ করছি :

কে বলে রোহিঙ্গা ওরা! ওরা ভাই আমার সন্তান।

দানবের কণ্ঠ ছিঁড়ে আনতে হবে মানবের গান।

বাঙালির গর্ব যিনি দেশরত্ন মানবী হাসিনা

মানব মুক্তির যুদ্ধে তিনি ছাড়া আমরা বাঁচি না।

লেখক : অতিরিক্ত সচিব।

এই বিভাগের আরও খবর
গণমাধ্যমে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হত্যার পরের বাংলাদেশ
গণমাধ্যমে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হত্যার পরের বাংলাদেশ
যে বাড়িতে জন্ম কমলের
যে বাড়িতে জন্ম কমলের
দূরদৃষ্টির রাষ্ট্রনায়ক
দূরদৃষ্টির রাষ্ট্রনায়ক
ফ্রিজ কেনার আগে
ফ্রিজ কেনার আগে
পার্শ্ববর্তী দেশে দ্রুত ফ্রিজ রপ্তানির জন্য প্রস্তুত
পার্শ্ববর্তী দেশে দ্রুত ফ্রিজ রপ্তানির জন্য প্রস্তুত
আধুনিক প্রযুক্তির সংযোজনে দেওয়া হচ্ছে গুরুত্ব
আধুনিক প্রযুক্তির সংযোজনে দেওয়া হচ্ছে গুরুত্ব
ফ্রিজ বিক্রি করলেই হবে না ক্রেতার আস্থা অর্জন বড় সাফল্য
ফ্রিজ বিক্রি করলেই হবে না ক্রেতার আস্থা অর্জন বড় সাফল্য
এআই, আইওটিসহ অত্যাধুনিক স্মার্ট ফ্রিজ উৎপাদন করছে ওয়ালটন
এআই, আইওটিসহ অত্যাধুনিক স্মার্ট ফ্রিজ উৎপাদন করছে ওয়ালটন
ঈদ জমবে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ফ্রিজে
ঈদ জমবে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ফ্রিজে
এসির রক্ষণাবেক্ষণেই মিলবে ঠান্ডা বাতাস
এসির রক্ষণাবেক্ষণেই মিলবে ঠান্ডা বাতাস
শীতক ইন্ডাস্ট্রিজ এসির জগতে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে
শীতক ইন্ডাস্ট্রিজ এসির জগতে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে
গ্রাহকদের প্রয়োজন বিবেচনায় গ্রী এসিতে ব্যবহৃত হয় সর্বাধুনিক উদ্ভাবনী প্রযুক্তি
গ্রাহকদের প্রয়োজন বিবেচনায় গ্রী এসিতে ব্যবহৃত হয় সর্বাধুনিক উদ্ভাবনী প্রযুক্তি
সর্বশেষ খবর
শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে রিয়াল
শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে রিয়াল

এই মাত্র | মাঠে ময়দানে

পাকিস্তানে ভবন ধসে নিহত বেড়ে ২১
পাকিস্তানে ভবন ধসে নিহত বেড়ে ২১

৪৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শহীদ আব্দুল্লাহর ক্যান্সার আক্রান্ত ভাইয়ের চিকিৎসার খোঁজ নিলেন তারেক রহমান
শহীদ আব্দুল্লাহর ক্যান্সার আক্রান্ত ভাইয়ের চিকিৎসার খোঁজ নিলেন তারেক রহমান

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অনিশ্চয়তায় বিনিয়োগ তলানিতে
অনিশ্চয়তায় বিনিয়োগ তলানিতে

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

মবে ব্যর্থ রাষ্ট্রের আশঙ্কা
মবে ব্যর্থ রাষ্ট্রের আশঙ্কা

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

টেক্সাসে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭
টেক্সাসে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পায়ের গোড়ালি ভেঙে ছিটকে গেলেন বায়ার্ন তারকা জামাল মুসিয়ালা
পায়ের গোড়ালি ভেঙে ছিটকে গেলেন বায়ার্ন তারকা জামাল মুসিয়ালা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নয়জনের দল নিয়েই বায়ার্নকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পিএসজি
নয়জনের দল নিয়েই বায়ার্নকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পিএসজি

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মিশরে দুই মিনিবাসের সংঘর্ষে ৯ জন নিহত, আহত ১১
মিশরে দুই মিনিবাসের সংঘর্ষে ৯ জন নিহত, আহত ১১

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তানভীরের জবাব: ক্যাপ্টেনের ভরসাই আত্মবিশ্বাসের চাবিকাঠি
তানভীরের জবাব: ক্যাপ্টেনের ভরসাই আত্মবিশ্বাসের চাবিকাঠি

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নতুন বাংলাদেশে নাটোরকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান
নতুন বাংলাদেশে নাটোরকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শেখ হাসিনা ক্রীড়াঙ্গনকেও কলুষিত করেছে: হাফিজ
শেখ হাসিনা ক্রীড়াঙ্গনকেও কলুষিত করেছে: হাফিজ

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!

৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন জনপ্রিয় অভিনেতা কেনেথ কলি
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন জনপ্রিয় অভিনেতা কেনেথ কলি

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

দিয়োগো জোতার বাকি দুই বছরের বেতন পরিবারকে দেবে লিভারপুল
দিয়োগো জোতার বাকি দুই বছরের বেতন পরিবারকে দেবে লিভারপুল

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সকালের মধ্যে সাত জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা
সকালের মধ্যে সাত জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে: আমিনুল
ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে: আমিনুল

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইমন-হৃদয়-তানভীরের ত্রয়ী দাপট কলম্বোতে
ইমন-হৃদয়-তানভীরের ত্রয়ী দাপট কলম্বোতে

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মান্না ছিলেন বাংলাদেশের জেমস বন্ড: জাহিদ হাসান
মান্না ছিলেন বাংলাদেশের জেমস বন্ড: জাহিদ হাসান

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

জ্ঞানীরা পিআর সিস্টেমে নির্বাচন চায় : ফয়জুল করিম
জ্ঞানীরা পিআর সিস্টেমে নির্বাচন চায় : ফয়জুল করিম

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পাহাড়ি ফল ঐতিহ্যের অংশ : উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা
পাহাড়ি ফল ঐতিহ্যের অংশ : উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পল্লী বিদ্যুতের সাব-যোনাল অফিস স্থানান্তরের প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ
পল্লী বিদ্যুতের সাব-যোনাল অফিস স্থানান্তরের প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রবাসী ভাইয়ের লাশ আনতে গিয়ে প্রাণ গেল দুই ভাইয়ের
প্রবাসী ভাইয়ের লাশ আনতে গিয়ে প্রাণ গেল দুই ভাইয়ের

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে : নার্গিস বেগম
নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে : নার্গিস বেগম

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

লঙ্কানদের চেপে ধরেছে টাইগাররা
লঙ্কানদের চেপে ধরেছে টাইগাররা

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিচার ও সংস্কারের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে হবে : নাহিদ
বিচার ও সংস্কারের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে হবে : নাহিদ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্লেনে বাজল ভুয়া ফায়ার অ্যালার্ম, আতঙ্কে ঝাপ দিয়ে আহত ১৮
প্লেনে বাজল ভুয়া ফায়ার অ্যালার্ম, আতঙ্কে ঝাপ দিয়ে আহত ১৮

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কলাপাড়ায় উল্টো রথযাত্রা
কলাপাড়ায় উল্টো রথযাত্রা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের আনন্দ মিছিল
চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের আনন্দ মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সর্বাধিক পঠিত
ছদ্মবেশ ধারণ করেও বাঁচতে পারেননি ইরানি যে জেনারেল!
ছদ্মবেশ ধারণ করেও বাঁচতে পারেননি ইরানি যে জেনারেল!

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমন বৃষ্টি কত দিন, জানাল আবহাওয়া অফিস
এমন বৃষ্টি কত দিন, জানাল আবহাওয়া অফিস

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উড্ডয়নের ঠিক আগমুহূর্তে লুটিয়ে পড়লেন পাইলট
উড্ডয়নের ঠিক আগমুহূর্তে লুটিয়ে পড়লেন পাইলট

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অপারেশন সিঁদুরে তিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত’
‘অপারেশন সিঁদুরে তিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত’

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল
কারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি হারাচ্ছেন সাইফ আলি খান
১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি হারাচ্ছেন সাইফ আলি খান

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে হারতে দেব না, ঘোষণা চীনের
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে হারতে দেব না, ঘোষণা চীনের

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন
সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাহোরের রাস্তায় নারী ও শিশুর ওপর সিংহের হামলা
লাহোরের রাস্তায় নারী ও শিশুর ওপর সিংহের হামলা

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের ‘হিট লিস্ট’: কাতারসহ বিদেশে থাকা হামাস নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা
ইসরায়েলের ‘হিট লিস্ট’: কাতারসহ বিদেশে থাকা হামাস নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইহুদি খলনায়ক ‘শাইলক’ মন্তব্যে বিতর্কে ট্রাম্প, কিন্তু কেন?
ইহুদি খলনায়ক ‘শাইলক’ মন্তব্যে বিতর্কে ট্রাম্প, কিন্তু কেন?

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কুমিল্লায় গণপিটুনিতে ৩ জন নিহতের ঘটনায় ৩৮ জনের নামে মামলা
কুমিল্লায় গণপিটুনিতে ৩ জন নিহতের ঘটনায় ৩৮ জনের নামে মামলা

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৫ আগস্টের পর পালিয়ে থাকা আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বরখাস্ত
৫ আগস্টের পর পালিয়ে থাকা আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বরখাস্ত

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার লুটপাটের থিমে চারটি নতুন পোস্টার প্রকাশ
হাসিনার লুটপাটের থিমে চারটি নতুন পোস্টার প্রকাশ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শুটিংয়ে আসতে দেরি, গোবিন্দোকে কষে চড় মারেন অমরিশ পুরি!
শুটিংয়ে আসতে দেরি, গোবিন্দোকে কষে চড় মারেন অমরিশ পুরি!

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নতুন স্থানে পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে পারে ইরান: ট্রাম্প
নতুন স্থানে পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে পারে ইরান: ট্রাম্প

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সঞ্চয়পত্রের মুনাফা বাড়ালে কেউ ব্যাংকে টাকা রাখবে না : অর্থ উপদেষ্টা
সঞ্চয়পত্রের মুনাফা বাড়ালে কেউ ব্যাংকে টাকা রাখবে না : অর্থ উপদেষ্টা

১২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আল আকসা নিয়ে ইসরায়েলকে হামাসের নতুন হুঁশিয়ারি!
আল আকসা নিয়ে ইসরায়েলকে হামাসের নতুন হুঁশিয়ারি!

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে লেবাননে ফের ইসরায়েলি হামলা
যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে লেবাননে ফের ইসরায়েলি হামলা

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চিঠিতে সই ট্রাম্পের, ১২ দেশের ওপর আসছে নতুন শুল্ক
চিঠিতে সই ট্রাম্পের, ১২ দেশের ওপর আসছে নতুন শুল্ক

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৭ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করল বাংলাদেশ
৭ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করল বাংলাদেশ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজায় নিজেদের ছোড়া গুলিতে নিহত ৩১ ইসরায়েলি সেনা
গাজায় নিজেদের ছোড়া গুলিতে নিহত ৩১ ইসরায়েলি সেনা

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাবাকে চিনতেনই না তরুণী, অতঃপর ২৩ বছর পর যেভাবে পুনর্মিলন!
বাবাকে চিনতেনই না তরুণী, অতঃপর ২৩ বছর পর যেভাবে পুনর্মিলন!

১৮ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

আইনে পরিণত হলো ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’
আইনে পরিণত হলো ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কার্নিশে ঝুলে থাকা তরুণকে গুলি: সাবেক এডিসি রাশেদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ
কার্নিশে ঝুলে থাকা তরুণকে গুলি: সাবেক এডিসি রাশেদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেটে যাচ্ছেন কাল
মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেটে যাচ্ছেন কাল

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিই সৌদি আরবের প্রধান অগ্রাধিকার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল
গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিই সৌদি আরবের প্রধান অগ্রাধিকার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আর অপেক্ষা নয়, এবার ইসরায়েলি আগ্রাসনের তাৎক্ষণিক জবাব দেবে ইরান
আর অপেক্ষা নয়, এবার ইসরায়েলি আগ্রাসনের তাৎক্ষণিক জবাব দেবে ইরান

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে’
‘ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে’

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এখনও এফ-৩৫ পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী এরদোয়ান
এখনও এফ-৩৫ পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী এরদোয়ান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
ঢাকা সফরে আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা সফরে আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

নিয়ন্ত্রণহীন মব ভায়োলেন্স
নিয়ন্ত্রণহীন মব ভায়োলেন্স

প্রথম পৃষ্ঠা

অপরাজিত বাংলাদেশ
অপরাজিত বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

লাকসামের এরশাদ শিকদার
লাকসামের এরশাদ শিকদার

প্রথম পৃষ্ঠা

নওগাঁয় মালয়েশীয় তরুণী বসলেন বিয়ের পিঁড়িতে
নওগাঁয় মালয়েশীয় তরুণী বসলেন বিয়ের পিঁড়িতে

পেছনের পৃষ্ঠা

৩ আগস্ট নতুন বাংলাদেশের শপথ হবে
৩ আগস্ট নতুন বাংলাদেশের শপথ হবে

পেছনের পৃষ্ঠা

অর্থে স্বাস্থ্যে চড়া মূল্য দিচ্ছে ক্রেতা
অর্থে স্বাস্থ্যে চড়া মূল্য দিচ্ছে ক্রেতা

পেছনের পৃষ্ঠা

আতঙ্কে এনবিআর কর্মকর্তারা
আতঙ্কে এনবিআর কর্মকর্তারা

নগর জীবন

নাটকে ইংরেজি ও উদ্ভট নামের প্রাধান্য
নাটকে ইংরেজি ও উদ্ভট নামের প্রাধান্য

শোবিজ

মধুবালা-মীনা কুমারী - বন্ধু থেকে কেন শত্রু
মধুবালা-মীনা কুমারী - বন্ধু থেকে কেন শত্রু

শোবিজ

ইনকিউবেটরের অজগর যাচ্ছে বনে
ইনকিউবেটরের অজগর যাচ্ছে বনে

নগর জীবন

দেখা হবে এশিয়ান কাপে
দেখা হবে এশিয়ান কাপে

মাঠে ময়দানে

রোমাঞ্চকর চন্দ্রগিরি পাহাড়
রোমাঞ্চকর চন্দ্রগিরি পাহাড়

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপির বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে তীব্র উত্তেজনা
বিএনপির বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে তীব্র উত্তেজনা

পেছনের পৃষ্ঠা

যে প্রক্রিয়ায় ক্ষমা করতে পারবেন রাষ্ট্রপতি
যে প্রক্রিয়ায় ক্ষমা করতে পারবেন রাষ্ট্রপতি

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন সংবিধান ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি নাগরিক মঞ্চের
নতুন সংবিধান ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি নাগরিক মঞ্চের

নগর জীবন

তানভির জাদুতে সিরিজে সমতা
তানভির জাদুতে সিরিজে সমতা

মাঠে ময়দানে

ক্লাব বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা উৎসব
ক্লাব বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা উৎসব

মাঠে ময়দানে

আন্তবিশ্ববিদ্যালয় স্কোয়াশ
আন্তবিশ্ববিদ্যালয় স্কোয়াশ

মাঠে ময়দানে

বিবস্ত্র করে দেওয়া হতো ইলেকট্রিক শক
বিবস্ত্র করে দেওয়া হতো ইলেকট্রিক শক

প্রথম পৃষ্ঠা

ইরানের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা চাই
ইরানের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা চাই

প্রথম পৃষ্ঠা

ছুটির ঘোষণা
ছুটির ঘোষণা

প্রথম পৃষ্ঠা

বরদাশত নয় ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ
বরদাশত নয় ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ

প্রথম পৃষ্ঠা

ভরা মৌসুমেও ধরা পড়ছে না ইলিশ
ভরা মৌসুমেও ধরা পড়ছে না ইলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

আজ পবিত্র আশুরা
আজ পবিত্র আশুরা

প্রথম পৃষ্ঠা

যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!

সম্পাদকীয়

বাংলা ব্লকেডের ঘোষণা
বাংলা ব্লকেডের ঘোষণা

প্রথম পৃষ্ঠা

এখনো মর্গে নামপরিচয়হীন ছয় শহীদ
এখনো মর্গে নামপরিচয়হীন ছয় শহীদ

প্রথম পৃষ্ঠা

১৬৭ স্থানে সমাবেশ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে
১৬৭ স্থানে সমাবেশ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে

প্রথম পৃষ্ঠা