রাশিয়ার ফুটবল সমর্থক এসোসিয়েশনের প্রধান শিপ্রিজিন ও তার ১৯ সঙ্গীকে ফান্স থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত সপ্তাহে ইউরো-২০১৬ টুর্নামেন্টে ইংল্যান্ড ও রাশিয়ার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় তাদেরকে বহিষ্কার করলো ফরাসি সরকার। ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলীয় মারসেই শহরে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়।
ওই গোলযোগে জড়িত থাকার অভিযোগে শিপ্রিজিন ও তার ১৯ সঙ্গীকে ফ্রান্সের নাইস সিটি থেকে শনিবার মস্কোর ফ্লাইটে তুলে দেয়া হয়। গত মঙ্গলবার তাদেরকে আটক করা হয়েছিল। ইংল্যান্ড ও রাশিয়ার মধ্যকার ম্যাচের আগে ও পরে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ৩৫ জনের মতো আহত হয়েছে। রাশিয়ার তিনজন সমর্থককে দু বছর করে এবং ইংল্যান্ডের ছয় সমর্থককে তিন মাস করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ফুটবল এসোসিয়েশন্স বলেছে, রুশ সমর্থকরা যদি আবার এ ধরনের সংঘর্ষ বা গোলযোগ সৃষ্টি করে তাহলে রাশিয়াকে ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের টুর্নামন্ট থেকে বাদ দেয়া হবে।
শুক্রবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ সংঘর্ষের নিন্দা জানিয়েছেন তবে তিনি প্রশ্ন তুলেন, হাজার হাজার ব্রিটিশ সমর্থকের ওপর রাশিয়ার মাত্র দুশ সমর্থক কীভাবে চড়াও হয়? তিনি বলেন, 'সত্যিই আমি বুঝতে পারছি না আমাদের ২০০ সমর্থক কীভাবে ব্রিটেনের কয়েক হাজার সমর্থককে মারপিট করল। যাহোক, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সবার সঙ্গে সমান আচরণ করতে হবে।'
এছাড়া, বুধবার রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মস্কোয় নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে। রুশ নাগরিকদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণের জন্য ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে সতর্ক করা হয়। এ ধরনের আচরণের পুনরাবৃত্তি হলে রাশিয়া ও ফ্রান্সের সম্পর্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে রাষ্ট্রদূতকে সতর্ক করে মস্কো।
বিডি-প্রতিদিন/১৯ জুন ২০১৬/শরীফ