রবিবার, ১২ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিচিত্র নকশার ভবন

আবদুল কাদের

বিচিত্র নকশার ভবন

পৃথিবীতে অনেক সুন্দর ভবন রয়েছে। যেসব ভবনের অসাধারণ নকশা আর চাকচিক্য সহজেই জয় করে নিতে পারে যে কারও মন। আবার অসংখ্য স্থাপনা বা স্থাপত্য নির্মিত হয়েছে, যেগুলো দেখতে অদ্ভুত এবং বৈচিত্র্যময়। এগুলো দেখতে অন্য রকম দেখালেও এসব ভবনের রয়েছে নিজস্ব একটি নকশা- যা স্থাপনাগুলোকে করেছে অত্যন্ত নিখুঁত ও অদ্ভুত।  পৃথিবীতে এমন ভবনও রয়েছে যা কেবল বসবাস বা প্রয়োজনীয় কাজের জন্য নির্মাণ করা হয়নি, কিছু নির্মিত হয়েছে মানুষকে মুগ্ধ, অবাক ও বিস্মিত করার উদ্দেশ্যেও।

 

আইসল্যান্ড

দ্য চার্চ অব হলগ্রিমার

হলগ্রিমার (হলগ্রামস্কির্কজা) গির্জাটি আইসল্যান্ডের সবচেয়ে উঁচু আর অদ্ভুত নকশার উপাসনালয়। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম পবিত্রতম স্থানটি আইসল্যান্ডের রাজধানী রেকজাবিকের কেন্দ্রস্থলে একটি পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত। এটি শহরের অন্যতম বিখ্যাত ভবন; যা পুরো শহরজুড়েই দৃশ্যমান। অদ্ভুত ভবনটি আইল্যান্ডিক স্থপতি গুজন স্যামুয়েলসনের সবচেয়ে জনপ্রিয় আর দর্শনীয় নির্মাণ। ১৯৪৫ সালে গির্জাটির নির্মাণ শুরু হলেও এর কাজ শেষ করতে ৩৮ বছরেরও বেশি সময় লেগেছিল। গির্জাটির নামকরণ করা হয় আইল্যান্ডিক কবি হলগ্রিমার পিটারসনের নামানুসারে; যিনি অসংখ্য লুথেরান প্রার্থনার গান রচনা করেছিলেন। ২৪৪ ফুট লম্বা গির্জাটি আইসল্যান্ডের সবচেয়ে উঁচু ভবনের খেতাব পায় এবং গির্জার ভিতরে থাকা বেল টাওয়ারটিও ইউরোপজুড়ে বেশ আকর্ষণীয়।

 

স্পেন

মাইন্ড হাউস

বার্সেলোনার বিখ্যাত স্থপতি গৌডির সবচেয়ে জনপ্রিয় স্থাপনা হলো পার্ক গেল; যা বার্সেলোনার ভ্যালকার্কার শহরতলির গ্র্যাসিয়া পাহাড় থেকে কয়েক ধাপ দূরের এল কার্মেল পাহাড়ে অবস্থিত। ১৯০০ সালের দিকে স্থপতি গৌডি ব্যক্তিগত উদ্যান তৈরির উদ্দেশ্যে পার্ক গেল নির্মাণ করলেও পরবর্তীকালে তা স্পেন সরকার কিনে নিয়েছিল এবং সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়। পার্কের গেটটি দুটি জিঞ্জারব্রেড ঘর দিয়ে তৈরি। একটি টডস্টুল এবং অন্যটির সামনের দেয়ালে টডস্টুল ও ক্রস আকারের উইন্ডো রয়েছে। অদ্ভুত নকশার বাড়িটিকে মাইন্ড হাউস বলা হয়; যা বিশ্বের শীর্ষ ১০টি সৃজনশীল ভবনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। দৃষ্টিনন্দন ভবনটি নির্মাণে ১৪ বছরের বেশি সময় লেগেছে। বিংশ শতাব্দীতে ইউনেসকো পার্ক গেল ও মাউন্ড হাউসকে ঐতিহাসিক স্থানের তালিকায় যুক্ত করে। তিনতলা বিশিষ্ট ভবনটির ছাদটি অদ্ভুত এক নকশায় (চেক সাদা ও ধূসর রঙে আঁকা) নির্মিত; যা দেখতে রূপকথার গল্পের মতোই মনে হবে। এ ভবনটি এখন বার্সেলোনার প্রতীক হিসেবেই বিবেচিত।

 

জার্মানি

ফরেস্ট স্পাইরাল

ভবনটি জার্মানির ডার্মস্ট্যাটের একটি আবাসিক ভবন। এর নকশা করেছিলেন ভেনাসের চিত্রশিল্পী হান্ডার্ট ওয়াসার। তবে একে বাড়ি হিসেবে রূপ দেন স্থপতি হেইঞ্জ স্প্রিংম্যান। ১৯ শতকের গোড়ার দিকে এই বিচিত্র ভবনটি নির্মাণ করা হয়। পরিকল্পনা ও ছাদবাগানের জন্য এর নামকরণও করা হয় ‘ফরেস্ট স্পাইরাল’। ১২ তলার এই ভবনটিতে রয়েছে ১০৫টি অ্যাপার্টমেন্ট এবং একটি বিশাল গ্যারেজ। ভবনের মাঝের জায়গায় উঠান, ছোটখাটো কৃত্রিম লেক এবং বাচ্চাদের জন্য আছে একটি খেলার মাঠ। অতীতে ভবনটির ওপরে রেস্তোরাঁ, ক্যাফে ও একটি বার ছিল; যা এখন নেই। বাইরে থেকে ভবনটির সিল্ডেড গম্বুজ, সোজা লাইন ও তীক্ষè কোণগুলোর অনুপস্থিতি এবং হরেক রঙিন চিত্র ও রঙিন সিরামিকের কলামগুলো স্থানীয়দের তো বটেই, সঙ্গে দর্শনার্থীদেরও আকর্ষণ করে। ২০০০ সালে বিচিত্র এই ভবনটির সংস্কার করা হয়।

 

যুক্তরাষ্ট্র

বিগ বাস্কেট

অবিকল ঝুড়ি আকৃতির বিশাল ভবনটি যুক্তরাষ্ট্রের ওহিওতে একটি ঝুড়ি প্রস্তুতকারক ও পরিবেশক লঙ্গাবার্গার কোম্পানির সদর দফতর। ভবনটি ‘বিগ বাস্কেট’ নামে বেশি পরিচিত। কেবল প্রচারণার জন্য বিচিত্র নকশার এটি নির্মাণ করা হয়েছিল। ভবনটি শপিংয়ের ঝুড়ির হুবহু অনুকরণ এবং লঙ্গাবার্গারের একটি সাধারণ মাঝারি ঝুড়ির চেয়ে ১৬০ গুণ বড়। ২০১৬ সালে কোম্পানিটি অন্যত্র স্থানান্তরিত হয় এবং ভবনটি স্টিভ কুন নামের এক ব্যক্তি কিনে নেন। এখন এর বাজার মূল্য ৬.৫ মিলিয়ন ডলার। আকৃতির কারণে, এটি ওহিওর প্রধান পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি পায়।

 

বার্সেলোনা

লা পেড্ররা

স্পেনের বার্সেলোনায় অবস্থিত বিস্ময়কর এই দালান লা পেড্রেরা। ১৯০৬ সালে ভবনটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল, যা শেষ হতে ছয় বছর সময় লাগে। অদ্ভুত সুন্দর এই ভবনটি ভিন্ন এক সৃজনশীলতার চিত্র তুলে ধরে। এটি বিশ্বের সেরা সুন্দর ও সৃজনশীল স্থাপত্যের মধ্যে অন্যতম। কাতালান স্থপতি আটনি গৌডি ছিলেন এই অদ্ভুত ভবনটির নকশা করেছিলেন। তবে এটিকে ভবন বলার চেয়ে বেশি মানাবে ভাস্কর্য বললেই। এই ভবনে ছড়িয়ে আছে পাথর, বারান্দাজুড়ে কৃত্রিম জাল ও চারপাশ জুড়ে প্রকৃতির অদ্ভুত এক ছোঁয়া। জাতিসংঘের শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন (ইউনেস্কো) ১৯৪৮ সালে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে এই ভবনটিকে স্বীকৃতি দিয়েছিল।

 

জাপান

নিমি ভবন

বিনোদন কেন্দ্র এবং স্থানীয় পার্কই একমাত্র জায়গা নয় যেখানে ঘুরে বেড়াবেন। এর বাইরেও অসংখ্য স্থান রয়েছে। টোকিওর কাপাবাশিতে রয়েছে একটি জনপ্রিয় ভবন- নাম নিমি। এটি আসাকুসার পাশে অবস্থিত প্রতিবেশী শহর। মূলত রান্নাবান্নার সরঞ্জাম কেনাবেচার জন্য শহরটি ব্যাপক জনপ্রিয়। এখানে এক জাপানি রান্নাঘরের সরঞ্জামাদি বিক্রেতা তার ভবনের বারান্দায় বিশাল চা-কাপ ব্যবহার করেছেন। এখানে দাঁড়ালে মনে হতে পারে, চায়ের কাপে দাঁড়িয়ে আছেন। ভবনের রুফটপ বা ওপরে শেফের একটি বিশাল মূর্তি রয়েছে। পাঁচটি কফির কাপসহ বারান্দা সমগ্র জাপানে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে; যা নিমি ইয়োশোক্কির অ্যানেক্স নামে পরিচিত। ১৯০৭ সালে মি. নিমি ইয়োশোক্কি টেবিলওয়্যারের দোকান খুঁজে পেয়েছিলেন। শহরটির পার্শ¦বর্তী প্রতিবেশী শহর আসাকুসাতে বিখ্যাত একটি বৌদ্ধমন্দির সেনসো-জি অবস্থিত।

 

পোল্যান্ড

দ্য ক্রোক্ড হাউস

দেখে মনে হতে পারে ভবনটি গলে যাচ্ছে বা গুঁড়িয়ে যাচ্ছে। আঁকাবাঁকা ভবনটি পোল্যান্ডের সোপোটের একটি শপিং কমপ্লেক্স। ২০০ সালে বেঁকে যাওয়া বা মুচড়ে যাওয়া আকৃতির চারতলা ভবনটি নির্মাণ করা হয়। রূপকথার গল্প এবং শিশুদের চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে স্থপতি জোটিনজি ও জালেস্কি ভবনটির এমন নকশা করেন। ভবনটি ৪০০ বর্গমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। এখানে আছে শপিং সেন্টার, অফিস ও বিনোদনের ব্যবস্থাও। এটি পোল্যান্ডের ফটোগ্রাফ জোন হিসেবেও জনপ্রিয়। ভবনটির গ্লাসের দরজা, নীল ও সবুজ রঙের দৃষ্টিনন্দন ছাদটি রাতে আলোকিত হয়।

 

আজারবাইজান

কার্পেট মিউজিয়াম

যদি ভাবেন, বাকু ভবনটি কার্পেটের আদলে নির্মিত তাহলে একদম ঠিক। বিচিত্র নকশার  ন্যাশনাল কার্পেট মিউজিয়াম- যা ইউরোপ-এশীয় আজারবাইজানের বাকু নগরীতে অবস্থিত। ১৯৬৭ সালে মিউজিয়ামটি নির্মাণ করা হয়। এটিই একমাত্র জাদুঘর, যা কার্পেট বুনন শিল্পের জন্য নির্মাণ করা হয়। মিউজিয়ামটি আজারবাইজানীয় কার্পেটের বৃহত্তম সংগ্রহশালা হিসেবে পরিচিত। মূলত এখানে আজারবাইজানের ঐতিহ্যবাহী নকশার কার্পেট প্রদর্শন করা হয়; যা ঐতিহাসিক এবং আধুনিক বুনন-কৌশলে তৈরি করা হয়। মিউজিয়ামটি নির্মাণের মূল উদ্দেশ্য- কার্পেট বুনন, এই শিল্পের নানা কার্পেট সংরক্ষণ, গবেষণা ও প্রদর্শন ইত্যাদি। কার্পেট ভবনটি আজারবাইজানের জাতীয় ঐতিহ্য। এখানে কেবল কার্পেট শিল্পের পণ্যসামগ্রীই সংগ্রহ করা হয় না, অঞ্চলটিতে তৈরি করা অসংখ্য কারুশিল্পও সংরক্ষণ করা হয়। এখানে সাত ধরনের ঐতিহ্যবাহী সংগ্রহ সংরক্ষিত রয়েছে। যেগুলো যথাক্রমে- পাইল কার্পেট, ফ্ল্যাট কার্পেট, শৈল্পিক মেটাল ওয়ার্ক, সিরামিক, কাগজ, কাচ, কাঠ, টেক্সটাইল ও গয়না। এখানে ব্রোঞ্জ, প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় অসংখ্য পণ্যসামগ্রী সংরক্ষিত আছে।

 

ফ্রান্স

বাবল প্যালেস

ফ্রান্সের কানের কাছে থ্যোল-সুর-মেরের একটি বিশাল ভবন বাবল প্যালেস। অদ্ভুত নকশার ভবনটি স্থানীয়দের কাছে প্যালেস বুলেস নামে সবচেয়ে বেশি পরিচিত। হাঙ্গেরির স্থপতি আন্টি লোভাগ দৃষ্টিনন্দন ভবনটির নকশা করেছিলেন। ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত অদ্ভুত নকশার দৃষ্টিনন্দন ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছিল। ভবনটি ফরাসি শিল্পপতি পিয়েরে বার্নার্ডের জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল এবং পরবর্তীতে ফ্যাশন ডিজাইনার পিয়েরে কার্ডিন অবকাশযাপনের জন্য বাড়িটি কিনেছিলেন। ১৩ হাজার বর্গমিটার বাড়িটির সামনের অংশে রয়েছে একটি অভ্যর্থনা হল, প্যানোরামিক লাউঞ্জ, ৫ শতাধিক আসনের ওপেন-এয়ার এম্পিথিয়েটার, ২৯টি সুবিশাল কক্ষ, ১০টি শয়নকক্ষ, ১১টি বাথরুম, অসংখ্য সুইমিং পুল এবং জলপ্রপাত। প্রতিটি জিনিসই খুব সুন্দরভাবে সাজানো গোছানো।

 

কলম্বিয়া

ক্যাসা টেরাকোটা

কলোম্বিয়ার অনন্য স্থাপত্য ক্যাসা টেরাকোটা বিশ্বের সৃজনশীল ভবনের তালিকায় অন্যতম। স্থানীয়দের কাছে এটি সিরামিক হাউস হিসেবেও বেশি পরিচিত। অদ্ভুত নকশার স্থাপত্যটি সম্পূর্ণ মাটি দিয়ে নির্মিত হলেও এমন একটি নির্মাণ প্রকল্প যা পৃথিবীতে স্থাপত্যশিল্পে রূপান্তরের জন্য মাটি, বায়ু, জল ও আগুন- এই চারটি উপাদানই ব্যবহার করা হয়েছে। এই ভবনটি কলোম্বিয়ার রেগল গ্রামের একটি পর্বতমালায় অবস্থিত; যেখানে বছরের সব সময় সূর্যের আলো বিদ্যমান। অদ্ভুত কাঠামোর জন্য স্থানীয়দের কাছে এটি ‘ক্যাসা ডি ফ্লিনস্টোন’ বা ‘ফ্লিনস্টোন হাউস’ নামেও পরিচিত। এটি কটেজের মতো দেখতে; যা কাদামাটির টিলার মতো মনে হবে। অদ্ভুত ভবনটির চারপাশ সবুজ কৃষিজমি এবং পাহাড়ে ঘেরা।

 

মিসৌরি

ক্যানসাস সিটি লাইব্রেরি

আমেরিকার মিসৌরির ক্যানসাস সিটির রাস্তার দানবাকৃতির সব বই সারিবেঁধে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলে চমকে উঠবেন। বিশাল আকৃতির বইগুলোর গায়ে আবার বিখ্যাত সব বইয়ের নাম লেখা। আসলে এটি একটি লাইব্রেরি। আমেরিকার ক্যানসাস সিটির লাইব্রেরিটি বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন এবং বৃহত্তম বইয়ের সংগ্রহশালা। ১৮৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত লাইব্রেরি ভবনটির দুর্দান্ত সাজসজ্জা এটির মূল আকর্ষণ। মার্বেল ও মেহগনি দিয়ে সজ্জিত ভবনটি বিংশ শতাব্দীতে নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছিল। ২০০৬ সালে তৈরি করা হয় ২৫ ফুট লম্বা কাঠামোগুলো। একেকটা চওড়ায়ও কম নয়; ৯ ফুট করে। লাইব্রেরির অভ্যন্তর কংক্রিটে নির্মিত এবং ৩৫টি দরজা রয়েছে। লাইব্রেরিটির বিভিন্ন ধরনের জন্য প্রতিটি বিভাগে বইয়ের বিশেষ সংগ্রহ আছে।

 

বিলবাও

গুগেনহাইম মিউজিয়াম

আধুনিক ও সমসাময়িক শিল্পের অন্যতম বিশাল সংগ্রহশালা বিলবাওয়ের গুগেনহাইম মিউজিয়াম। স্পেনের বিলবাও শহরের বিখ্যাত মিউজিয়ামটি তার অদ্ভুত ও বিচিত্র নকশার জন্য বেশি বিখ্যাত। কানাডিয়ান-আমেরিকান স্থপতি ফ্র্যাঙ্ক গহরি আধুনিক এই অদ্ভুত মিউজিয়াম ভবনটির নকশা করেছিলেন। ১৯৯৭ সালে আজব নকশার এই ভবনটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করেছিল স্পেন সরকার। ভবনটির আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হওয়ার পেছনে রয়েছে এর অদ্ভুুত নকশা। আসলে গুগেনহাইম মিউজিয়াম বেশ কয়েকটি আন্তঃসংযোগ ভবনের নকশাকে জটিল করেছে। পুরো ভবনটি টাইটানিয়াম, চুনাপাথর এবং কাচে আবৃত। এই মিউজিয়ামটি নেভারিয়ন নদীর পাশে অবস্থিত; যা ভবনটিকে আরও দৃষ্টিনন্দন করে তুলেছে। এই মিউজিয়ামে বর্তমান বিশ্বের জনপ্রিয় সব শিল্পীর অসংখ্য শিল্পকর্ম রয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর