দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে প্রায় শতবর্ষী কালুরঘাট সেতুর প্রয়োজনীয় মেরামত কাজ শেষ হয়েছে। জরাজীর্ণ সেতু মেরামতে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে যান চলাচল শুরু হবে। সেতুটি পরিদর্শনে বিশেষজ্ঞ টিম আজ আসার কথা। বিশেষজ্ঞ টিমের সম্মতি পেলেই চলাচল করবে যানবাহন। এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর কালুরঘাট রেল সেতু পরিদর্শনে আসেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল বাকী। এ সময় তিনিও ‘সংস্কার শেষ হলেই যান চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার’ কথা ব্যক্ত করেন। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু না করলেও গত প্রায় এক মাস ধরেই সেতু দিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, টেম্পো, কার ও মোটরসাইকেল চলছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সেতু প্রকৌশলী জিসান দত্ত বলেন, কালুরঘাট সেতুর প্রয়োজনীয় মেরামত শেষ। এখন সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য প্রস্তুত। তবে গাড়ি চলাচল শুরুর আগে বুয়েটের বিশেষজ্ঞ টিম সেতুটি সরেজিমন পরিদর্শন করবে। তারা সবকিছু ঠিক আছে বললে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। বিষয়টা নির্ভর করছে বিশেষজ্ঞ টিমের মতামতের ওপর। দক্ষিণ চট্টগ্রামের সঙ্গে রেল সংযোগে ব্রিটিশ আমলে ১৯৩১ সালে প্রায় ৭০০ মিটার দৈর্ঘ্যরে স্টিলের কাঠামোর এই সেতু নির্মাণ করা হয়।
জানা যায়, জরাজীর্ণ কালুরঘাট সেতু মেরামতের জন্য গত বছরের ১ আগস্ট থেকে তিন মাসের জন্য সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করা হয়। নির্দিষ্ট সময়ে সেতুর সংস্কার কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রায় ১৪ মাস পর সেতুর সংস্কার কাজ শেষ করা হয়। তবে এর আগে গত বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে সেতু দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল চলাচলের জন্য উপযোগী করা হয়। এর পর থেকে কালুরঘাট সেতু দিয়ে রেল চলাচল করছে।