ব্যাংকক এসেছি। আগেও অনেকবার এসেছি নানা কারণে। এবারের আসা ব্যতিক্রম। এসেছি চিকিৎসকের কাছ থেকে আশার বাণী শুনতে, যে বাণী আমাকে আরও কিছু দিন বাঁচিয়ে রাখবে।
অনেক দিন ধরেই চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে চাচ্ছিলাম। টাকা-পয়সা, ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট জমা করার পরও ভারতীয় মেডিকেল ভিসা পাইনি। বায়োমেট্রিক করার জন্য রোগীকে ভিসা সেন্টারে যেতে হবে এমন নিয়মের কারণে। অথচ এ নিয়ম আগে ছিল না। বেশ কয়েকবার গিয়েছি মেডিকেল ভিসায় বায়োমেট্রিক ছাড়াই। প্যাসেন্টের বায়োমেট্রিক লাগত না, লাগত অ্যাটেনডেন্টের। কিন্তু এবার ভিসা সেন্টারের একজন রূঢ়ভাবে বলল, দরকার হলে স্ট্রেচারে করে প্যাসেন্টকে আনতে হবে। কী অমানবিক কথা! বুঝি না কেন বারবার বায়োমেট্রিক করতে হবে! ইমিগ্রেশনের সময় তো করতেই হয়। নিয়ম বদলালে ব্যাপকভাবে প্রচার করা দরকার এ কথা ছেলে বলায় ভিসা সেন্টারের একজনের খুবই ইগোতে লাগে। ভাবখানা এমন, ‘আরে ভাই তোমার দেশে ডাক্তার নেই, চিকিৎসা নেই, চিকিৎসার জন্য তো আমার দেশেই যাও। অত কথা কী’! একবারও ভাবে না, আমরা ওদের দেশে চিকিৎসার জন্য গিয়ে বছরে কত টাকা খরচ করি! এই নাকি ‘নেইবার ফার্স্টের’ নমুনা। আমার দেশের চিকিৎসা পদ্ধতি যদি ভালো হতো তাহলে আমাদের এই দুর্ভোগ পোহাতে হতো না। মন্ত্রী-উপদেষ্টারা যদি দেশেই চিকিৎসা করাতেন তাহলে চিকিৎসা পদ্ধতি ভালো হয়ে যেত। আমাদের অন্যের দ্বারস্থ হতে হতো না। এত অপদস্থও হতে হতো না। কিন্তু দুঃখজনক বাস্তবতা এটাই, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত দু-একজন ব্যতিক্রম বাদে কোনো সরকারের লোকজন দেশে চিকিৎসা করায়নি। বড় বড় হাসপাতাল আর ক্লিনিক বানালেই চিকিৎসা ব্যবস্থা ভালো হয় না। প্রয়োজন সেবার মান বাড়ানো। কারণ চিকিৎসা কোনো ব্যবসা নয়, এটা সেবা। ডাক্তার এবং নার্সদের পেশাদারিত্ব এবং মানবিক হওয়া খুব দরকার। দরকার ধৈর্য, সহনশীলতা, মমতা। এ জায়গাগুলোতে আমাদের দারুণ ঘাটতি। আমি বিশ্বাস করি, প্রথম থেকে যদি দেশের শীর্ষ ব্যক্তিরা দেশেই চিকিৎসা করাতেন, তাহলে এ দেশের মানুষকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ অভিমুখী হতে হতো না। ভারতে যেতে কেন বারবার বায়োমেট্রিক লাগে সেটাও প্রশ্ন। এই যে ব্যাংকক এলাম কোনো বায়োমেট্রিক তো করতে হয়নি। তবে হ্যাঁ, ভিসা পেতে এবার দেরি হয়েছে। সম্ভবত দেশের পরিস্থিতির কারণে সবই স্লো হয়ে গেছে বা অবিশ্বাস বেড়েছে। ভিসা চাইলেই সবাই একটু অ্যালার্ট হয়ে যায়, কেউ বুঝি দেশ থেকে পালিয়ে যাচ্ছে। আমরা চুনোপুঁটি, অতি সাধারণ মানুষ, আমজনতা, আমাদের নিয়ে অ্যালার্ট হওয়ার কিছু নেই। বিশেষ করে মেডিকেল ভিসার ব্যাপারে সবারই মানবিক হওয়া দরকার। যেন ডাক্তার আসিবার পূর্বেই রোগী মারা গেল এমন ঘটনা না ঘটে।
প্রথম যেবার থাইল্যান্ড এলাম হাঁ করে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখতাম ব্যাংককের জোড়া ফ্লাইওভার। তখন একবারও স্বপ্নে ভাবিনি, আমার দেশও একদিন ফ্লাইওভারে ভরে যাবে। এআইটিতে দেড়মাসের ট্রেনিংয়ে এসেছিলাম। ‘সিয়াম প্যারাগনে’ শপিং করতে গিয়ে ভুলক্রমে রাস্তার প্রায় মাঝামাঝি চলে এসেছিলাম। সে দিন শ্রীলঙ্কার ট্রেইনি অনিল জয়সিংহে আমাকে এক হ্যাঁচকা টানে টেনে রাস্তার একপাশে নিয়ে না এলে ছিন্নভিন্ন হয়ে যেতাম। পৃথিবীর কত প্রান্তের কত মানুষের কাছে এমন কত ঋণ আমার! যা কোনো দিন হয়তো বলাও হবে না। ব্যাংককে ঐতিহাসিক স্থান আইয়ুব থাতে নৌভ্রমণে গিয়ে এক অস্ট্রেলিয়ানের রবীন্দ্রপ্রীতি দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম। জীবনের পরতে পরতে জমা কত স্মৃতিকণা!
থাইল্যান্ড মানে মুক্তদেশ। দেশটি কখনো কারও উপনিবেশ ছিল না। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। আগে নাম ছিল সিয়াম, পরে নাম পরিবর্তন করে থাইল্যান্ড রাখা হয়। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক। চাও ফ্রায়া নদীর তীরে অবস্থিত শহরটি যেন সদা জীবন্ত, মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। গোটা থাইল্যান্ডের ল্যান্ডস্কেপ মনোরম। বিবিধ কারণে দেশটি পর্যটকদের স্বর্গরাজ্য। থাইল্যান্ডকে বলা হতো সাদা হাতির দেশ। মিয়ানমার, লাওস, কম্বোডিয়ার রাজারা ‘সাদা হাতি’ লালন-পালন করতেন। সাদা হাতিকে রাজ্যের শক্তিমত্তা, সুখসমৃদ্ধি ও ন্যায়বিচারের প্রতীক বলে গণ্য করা হতো। ফলে এটিকে পবিত্র প্রাণী হিসেবেও মনে করা হতো। কিন্তু সাদা হাতি লালন-পালনের খরচ এত বেশি যে, এক সময় রাজারাও ব্যয় বহন করতে অপারগ হয়ে উঠছিলেন। তাড়িয়ে দিতেও পারতেন না। বিড়ম্বনায় পড়েন রাজারা। শোনা যায়, থাইল্যান্ডে একজন রাজা ছিলেন, যিনি তার প্রতিদ্বন্দ্বী রাজাদের সাদা হাতি উপহার দিতেন। যাতে সাদা হাতির ব্যয় বহন করতে গিয়ে সেই রাজারা ধ্বংস হয়ে যায়। ১৭৮২ সাল থেকে ১৯৩২ সাল পর্যন্ত দেশটিতে পরম রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত ছিল। ১৯৩২ সালে বিদ্রোহীরা একটি অভ্যুত্থান ঘটিয়ে দেশে সাংবিধানিক রাজতন্ত্র কায়েম করে। সেই থেকে আজ পর্যন্ত থাইল্যান্ড বহু সামরিক ও বেসামরিক সরকারের অধীনে শাসিত হয়েছে। ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত দেশটি ‘শ্যামদেশ’ নামে পরিচিত ছিল।
২০০৭ সালের ডিসেম্বরে একটি বহুদলীয়, মুক্ত নির্বাচনের মাধ্যমে দেশটিতে গণতন্ত্র পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হয়। সংবিধান অনুযায়ী থাইল্যান্ডের রাজার ক্ষমতা খুবই কম। কিন্তু তিনি জাতীয় পরিচয় ও ঐক্যের প্রতীক। রাজা ভূমিবল অতুল্য তেজ ১৯৪৬ সাল থেকে অক্টোবর-২০১৬ সালে তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত রাজপদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। দেশের জনগণের ওপর তাঁর বিরাট প্রভাব রয়েছে। তাঁর পুত্র ভাজিরালংকর্ন বর্তমান রাজা। থাইল্যান্ডে থাই এবং পশ্চিমা আইনের সম্মিলন ঘটেছে। সংবিধান অনুসারে সাংবিধানিক আদালত আপিল বিভাগের সর্বোচ্চ আদালত। বিচারক, সংসদীয় নেতা এবং ঊর্ধ্বতন নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের একটি কমিটি সাংবিধানিক আদালতের সদস্যদের মনোনয়ন দেন। সিনেট তাদের মনোনয়ন নিশ্চিত করে এবং রাজা তাদের কাজে নিয়োগ দেন। বিচার বিভাগের আদালতগুলো ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলা পরিচালনা করে। এগুলো কোর্ট অব ফার্স্ট ইনস্ট্যান্স, কোর্ট অব আপিলস এবং সুপ্রিম কোর্ট এই তিন স্তরে বিভক্ত। থাইল্যান্ডের দক্ষিণ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে মুসলমানেরা সংখ্যাগুরু, সেখানে প্রাদেশিক ইসলামী কমিটিসমূহ সীমিত পরিসরে পারিবারিক, বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদ সংক্রান্ত সালিশ পরিচালনা করতে পারে।
থাইল্যান্ড অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে একটি আঞ্চলিক শক্তি। দেশটির জনসংখ্যা প্রায় ৭০ মিলিয়ন। এরা ৭০টি ভাষায় কথা বলে। সরকারি ভাষা থাই। বৌদ্ধধর্ম প্রধান ধর্ম। দেশটিতে ৪০ হাজারটিরও বেশি বৌদ্ধ মন্দির রয়েছে। এই মন্দিরগুলো গোটা বিশ্বের দর্শনার্থীদের আকর্ষণ। থাইল্যান্ডে মুসলিম জনসংখ্যাও বিশাল। দেশটিতে অনেক মসজিদ এবং ইসলামিক স্থাপনা রয়েছে। যা এ দেশের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির পরিচায়ক।
থাইল্যান্ডের পর্যটন মূলত প্রাচীন ঐতিহ্য, উপকূলীয় অঞ্চল এবং দ্বীপ ক্লাস্টারগুলোর জন্য। গ্রান্ড প্যালেস, পাতাইয়ার সমুদ্র, কোরাল আইল্যান্ড, ফুকেটের অপরূপ প্রকৃতিসহ অনেকগুলো স্পট পর্যটকদের প্রবলভাবে টানে। থাইল্যান্ডের স্ট্রিট ফুড বিশেষ করে চায়না টাউনের স্ট্রিট ফুড বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। এ খাবারগুলো জিহ্বায় পানি আনে। অতিথিপরায়ণ থাইদের রন্ধনপ্রণালি বৈচিত্র্যের জন্য বিখ্যাত। এদের মুখে লেগে থাকা অবিরাম হাসি পর্যটক টানার একটি বড় কারণ। তাই ব্যাংককের বাজারগুলো প্রায়শ জমজমাট থাকে।
এক সময় থাইল্যান্ড আমাদের মতো কৃষিপ্রধান দেশ ছিল। যৌন পর্যটন স্থান হিসেবে ব্যাংকক ও পাতাইয়ার কুখ্যাতি ছিল। ওয়াকিং স্ট্রিটে লাইভ ড্যান্স শো এবং মিউজিক পারফরম্যান্স এক বিচিত্র অভিজ্ঞতা। বড় বড় শপিং মল, জমজমাট মার্কেট-প্লে এবং স্কাই ট্রেনও শহরটির আকর্ষণ। আছে অগুনতি মনোলোভা ম্যাসাজ পার্লার। ব্যাংককের মধ্য দিয়ে বয়ে চলা চাও ফ্রায়া নদী ব্যবসায়িক ক্রিয়াকলাপের প্রাণশক্তি। নাইট রিভারক্রুজে হোটেল, রেস্তোরাঁ এবং পর্যটন কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে সারিবদ্ধ নদী তীরগুলোর দৃশ্য স্বপ্নের মতো। এসবের সমন্বয়ে ব্যাংকককে অনেকেই ‘প্রাচ্যের ভেনিস’ বলে থাকেন। থাইল্যান্ড তেল গ্যাস নেই, কিন্তু আছে ব্যতিক্রমীভাবে পরিশ্রমী মানুষ। পর্যটন ও কৃষির মেলবন্ধন আর মানুষের পরিশ্রমে তাদের অর্থনীতি তাই চাঙা। সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে এই সম্পদগুলোকে কাজে লাগিয়ে থাইল্যান্ড হয়ে উঠেছে এ অঞ্চলে একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক পাওয়ার হাউস। বাংলাদেশিরা ব্যাংককে গেলে বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় থাকতে পছন্দ করেন। থাকার জন্য বাঙালির প্রথম পছন্দ সুকুম্ভিত এলাকা। এ এলাকায় বাঙালি রেস্তোরাঁ আছে। এসব রেস্তোরাঁ ও অন্য দোকান মোবাইল সিম কার্ড থেকে শুরু করে মানি এক্সচেঞ্জ, প্লেনের টিকিট ও ট্যুর প্যাকেজের কাজও করে। সুকুম্ভিত এলাকাতেই বিখ্যাত বামরুনগ্রাড হাসপাতাল। কাছাকাছি রয়েছে আরও অনেক হাসপাতাল।
থাইরা মাতৃভাষার প্রতি খুবই শ্রদ্ধাশীল। শহরের প্রতিটি সাইনবোর্ড, ব্যানার থাই ভাষায় লেখা। অবশ্য পর্যটন এলাকায়, থাই এর পাশাপাশি ইংরেজির ব্যবহার হয়। থাইরা খুব ভালো ইংরেজি বলতে না পারলেও কাজ চালিয়ে নেওয়ার মতো বলতে পারে। তারা নিজেদের ব্যাপারে খুবই সচেতন ও আত্মমর্যাদাশীল। উদ্ভাবক এবং পরিশ্রমী। কর্মক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে দেখা যায় থাই মেয়েদের। দোকান, হোটেল, রেস্টুরেন্ট, হাসপাতাল অফিস থেকে শুরু করে সর্বত্র থাই মেয়েরা ক্রিয়াশীল। কর্মক্ষেত্রে এরা ৪৭%। ২৭% পরিবারের কর্তা এরা। উদয়াস্ত পরিশ্রম করে। থাই পুরুষের উপস্থিতি পথেঘাটে, কাজের জায়গায় কম চোখে পড়ে। থাই মেয়েরাই দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম ভোটাধিকার পেয়েছিল। তারপরও তারা উচ্চশিক্ষায় এগোতে পারেনি। নারীবঞ্চনার ইতিহাস পৃথিবীর সর্বত্র।
ব্যাংককের চিকিৎসা ব্যবস্থা পৃথিবীব্যাপী পরিচিতি লাভ করেছে। ধনী বাংলাদেশিদের প্রথম পছন্দ লন্ডন, তারপর সিঙ্গাপুর। ব্যাংককের বামরুনগ্রাড হাসপাতালও পছন্দের তালিকায় রয়েছে। এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি ভিড় জমান।
বাংলাদেশিরা চিকিৎসার জন্য এ দেশে বিস্তর টাকা খরচ করে। বাংলাদেশ থেকে অধিকাংশ মানুষ চিকিৎসার জন্য প্রথমত ভারতে যায়। এরপরই ব্যাংকক। মনে আছে, একবার চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলাম। দিল্লি বিমানবন্দরে ট্যাক্সি থেকে নেমে হোটেলে যাওয়ার পথে ট্যাক্সিচালক জানতে চেয়েছিল, কেন এসেছি দিল্লিতে। ডাক্তার দেখাতে বলামাত্র অবাক হয়ে বলেছিল, ‘তোমাদের দেশে কি হাসপাতাল, ডাক্তার নেই? সকাল থেকে যাদের বহন করলাম সবাই চিকিৎসার জন্য এসেছে।’ খুব লজ্জা পেয়েছিলাম। তারপরও কিন্তু ব্যাংকক এসেছি। এসেছি এর মানে এই নয়, বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবা অপ্রতুল।
বাংলাদেশের ঢাকা শহরের মোড়ে মোড়ে গলিতে গলিতে হাসপাতাল ক্লিনিক, বড় বড় ডিগ্রিধারী ডাক্তার। তারপরও ধনী-দরিদ্র কারও আস্থা নেই সে সব ডাক্তারের ওপর। মানুষ মনে করে, ওদের কাছে গেলেই জবাই হয়ে যাবে। গাদা গাদা ওষুধ আর টেস্ট দেবে কারণে অকারণে। ব্যতিক্রম আছে সামান্য। অস্বীকার করার উপায় নেই, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাংকক বা ভারতের সমতুল্য নয়। কিন্তু দুঃখের কথা এটাই, ব্যাংকক বা ভারতে যাওয়ার সামর্থ্য সবার নেই। বারবার যাওয়ার তো নেই-ই। তা ছাড়া একটা স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়ে আমরা আর কত দিন বিদেশিদের দ্বারস্থ হব! সামর্থ্য থাকলেই বা যাব কেন! প্রয়োজন দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার আমূল সংস্কার। চিকিৎসা যে ব্যবসা নয়, সেবা চিকিৎসক এবং সংশ্লিষ্টদের মনে এই চিন্তা জাগিয়ে তোলা।
লেখক : কথাশিল্পী, গবেষক