রবিবার, ১৭ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

এই তুরস্ক সেই তুরস্ক

রণক ইকরাম

এই তুরস্ক সেই তুরস্ক

শৌর্য-বীর্যের তোপকাপি প্রাসাদ

ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী তোপকাপি প্রাসাদ। উসমানীয় শাসনামলের  নান্দনিক নিদর্শন এটি। এক সময় উসমানীয় সুলতানদের বাসস্থান হিসেবে ব্যবহৃত হলেও এটা ইস্তানবুলের প্রশাসনিক ও শিক্ষা বিস্তারে কেন্দ্রবিন্দু।

তোপকাপি প্রাসাদ সত্যিকার অর্থে উসমানীয় শাসনামলের দৌর্দণ্ড প্রতাপের প্রতিচ্ছবি। উসমানিয়া সুলতানরা এই প্রাসাদ নিজেদের বাসস্থান হিসেবে ব্যবহার করতেন। তাদের শানসকার্য পরিচালনাতেও এই প্রাসাদ গুরুত্বপূণ হয়ে ওঠে। গোটা ইস্তানবুলের প্রশাসনিক ও শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহার করা হয় এই প্রাসাদ। এই রাজকীয় প্রাসাদটি তুরস্কের ইস্তানবুল শহরে অবস্থিত। উসমানীয় সাম্রাজ্যের শাহেনশাহ দ্বিতীয় মুহাম্মাদ পঞ্চদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে এই প্রাসাদের নির্মাণকাজ শুরু করান। প্রায় ৪০০ বছর ধরে এটি উসমানীয় সুলতানদের বাসস্থান হিসেবে বিদ্যমান থাকে।

এই প্রাসাদটি বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে পরিণত হয়েছে। এখানে রয়েছে মুসলমানদের জন্য পবিত্র স্মরণচিহ্ন যেমন, হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর আলখাল্লা এবং তরবারি। তোপকাপি প্রাসাদ ‘ইস্তানবুলের ঐতিহাসিক এলাকা’ হিসেবে ১৯৮৫ এ ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে ঘোষিত হয়। ১৫০৯ সালের ভূমিকম্প এবং ১৬৬৫ সালের অগ্নিকাণ্ডের পরে বিভিন্ন সংস্কারের মাধ্যমে প্রাসাদ চত্বরটির সম্প্রসারণ করা হয়। বামে প্রকাশিত তোপকাপি প্রসাদের বর্তমান চিত্র।

 

অটোমানদের বর্ণিল শাসন

তুরস্কের ইতিহাস নিয়ে যুগ যুগ ধরে মানুষের কৌতূহলই জানান দেয় এ অঞ্চলের গুরুত্ব কতখানি। এখনো দেশে দেশে তুরস্কের ইতিহাস নিয়ে গবেষণা ও চর্চা দেওয়া হয়। তুরস্কের ইতিহাস বেশ ঘটনাবহুল। বহু প্রাচীনকাল থেকেই তুরস্কে মানব সভ্যতার পত্তন হয়েছে। সেটি বিস্তৃত হয়েছে। সভ্যতার বিকাশের পাশাপাশি, শিল্প, সংস্কৃতি ও সাহিত্যেও তুরস্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তুরস্কে একাধিক জাতি ও সংস্কৃতির লোকের পদচারণা ছিল। এর কারণ তুরস্ক দখল। প্রাচীনকাল থেকে বহু বিচিত্র জাতি ও সংস্কৃতির লোক এলাকাটি দখল করেছে।[৩] ১৯০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের দিকে এখানে হিটাইটদের বাস ছিল। প্রথম বড় শহর কবে তুরস্কে তৈরি হলো সেই প্রশ্নের উত্তর হিসেবে অনেকেই তাদের অবদানের কথা স্মরণ করেন। হিটাইটদের পর এখানে ফ্রিজীয়, গ্রিক, পারসিক, রোমান এবং আরবদের আগমন ঘটে। মধ্য এশিয়ার যাযাবর তুর্কি জাতির লোকেরা ১১শ’ শতকে দেশটি দখল করে এবং এখানে সেলজুক রাজবংশের পত্তন করে। তাদের শাসনের মাধ্যমেই এ অঞ্চলের জনগণ তুর্কি ভাষা ও সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে যায়। ১৩শ’ শতকে মোঙ্গলদের আক্রমণে সেলজুক রাজবংশের পতন ঘটে। ১৩ শতকের শেষ দিকে এখানে উসমানীয় সাম্রাজ্যের পত্তন হয়। এরা পরবর্তী ৬০০ বছর তুরস্ক শাসন করে এবং আনাতোলিয়া ছাড়িয়ে মধ্যপ্রাচ্য, পূর্ব ইউরোপ এবং উত্তর আফ্রিকার এক বিশাল এলাকা জুড়ে বিস্তৃতি লাভ করে। এ সময় তারা তুরস্কে পূর্ব ও পশ্চিমা সংস্কৃতির সমন্বয় ঘটলে ১৬ ও ১৭ শতকে তুরস্ক বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশগুলোর একটি ছিল। অটোমান সুলতানরা ছিলেন বৃহৎ এক সাম্রাজ্যের কেন্দ্রে। বিপুল ক্ষমতা ছিল তাদের হাতে। সাম্রাজ্যের অজস্র মানুষের ভাগ্যকে নিয়ন্ত্রণ করতেন তারা। পরবর্তীকালে বিলাসী জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন অটোমান সুলতানরা। দীর্ঘ ৬০০ বছরের বেশির ভাগ সময়ই গুপ্তচর নিয়োগ করে সুলতান সাম্রাজ্যের নানা প্রান্তের ওপর নজরদারি করতেন। গুপ্তচরেরা প্রতিবেদন জমা দিত কেন্দ্রে। কুড়ি শতক অবধি অটোমানদের গুপ্তচর বিভাগই ছিল বিশ্বের সেরা। পরে যে অটোমানদের পতন হয়েছিল তার প্রধান কারণই ছিল সুলতানদের উদাসীনতা। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর সাম্রাজ্যটির পতন ঘটে। মূলত নিজের ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্যই তুরস্ক এ যুদ্ধে অংশ নেয়। এ সময় চারটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্রন্টে তুর্কি বাহিনী নিয়োজিত ছিল। ফ্রন্ট চারটি হলো দার্দানেলিস, সিনাই-প্যালেস্টাইন, মেসোপটেমিয়া ও পূর্ব আনাতোলিয়া। যুদ্ধের শেষের দিকে প্রতিটি ফ্রন্টেই তুর্কি বাহিনী পরাজিত হয়। ১৯২২ সালে কামাল পাশা অটোমানদের উত্খাত করে তুরস্ককে সময়োপযোগী প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করেন। ১৯২৩ সালে উসমানীয় সাম্রাজ্যের তুর্কিভাষী এলাকা আনাতোলিয়া ও পূর্ব থ্রাস নিয়ে মুস্তাফা কামাল (পরবর্তীতে কামাল আতাতুর্ক)-এর নেতৃত্বে আধুনিক তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা হয়। ১৯৩৮ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আতাতুর্ক তুরস্কের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ১৯৪৫ সালে দেশটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যোগ দেয়। যুদ্ধের পর দেশটি জাতিসংঘে ও ন্যাটোতে যোগ দেয়। এ সময় থেকে তুরস্কে বহুদলীয় রাজনীতির প্রবর্তন হয়। ১৯৬০ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করে। ফলে ১৯৬০, ১৯৭১ ও ১৯৮০, ১৯৯৭ সালে তুরস্কে সামরিক অভ্যুত্থান হতে দেখা যায়।

 

এক নজরে তুরস্ক

পূর্ব ইউরোপের দেশ তুরস্কের প্রায় পুরোটাই এশীয় অংশে। তুরস্ক সভ্যতার প্রাচীন নিদর্শনবহুল দেশগুলোর একটি। মানুষের ইতিহাসের বড় অংশই গড়ে উঠেছে তুরস্ক ও এর আশপাশের দেশগুলো নিয়ে। এখানে পাহাড়ের রাজত্ব। তুরস্কের বৃহত্তম শহর ইস্তাম্বুল। তরস্ক ভৌগোলিকভাবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি অঞ্চল। বিশেষ করে সামরিক কৌশলগত কারণে তুরস্কের বিশেষ গুরুত্বের কথা শতাব্দী কালেরও বেশি সময় ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সামরিক কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তিনটি জলপথ এশীয় ও ইউরোপীয় তুরস্ককে পৃথক করেছে— মারমারা সাগর এবং বসফরাস প্রণালি ও দারদানেল প্রণালি। তুরস্কের রয়েছে সমৃদ্ধ সংস্কৃতি।

 

সেনা অভ্যুত্থান চেষ্টায় আলোচনায়

তুরস্ক নতুন করে বিশ্বব্যাপী আলোচনায় উঠে এসেছে সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনায়। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর একাংশ ট্যাংক ও যুদ্ধবিমান নিয়ে অভ্যুত্থানের চেষ্টা চালিয়েছে। আঙ্কারা ও ইস্তান্বুলে গত শুক্রবার রাতভর সংঘর্ষ চলে। এ সময় বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শোনা যায়। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে অভ্যুত্থানকারীদের সংঘর্ষে খবরে বিশ্ব মিডিয়ার চোখ পড়ে এখানে। দেশে দেশে কোটি কোটি মানুষ প্রতি মুহূর্তের খবর জানতে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় হুমড়ি খেয়ে পড়ে। মুহূর্তে ব্রেকিং নিউজ ছাড়ে শীর্ষস্থানীয় মিডিয়াগুলো। মধ্য রাতের পর পরই সেনা অভ্যুত্থানের খবর প্রথম শোনা যায়। তারপর একের পর এক খবর মোড় নেয়। তুরস্ক সেনাদের দখলে খবর প্রচার হয়। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের আহ্বানের পর রাস্তায় নেমে পড়ে তার সমর্থকরা। তাদের সঙ্গে অভ্যুত্থানকারীদের সংঘর্ষ চলে। প্রতিরোধের মুখে কিছু সেনা আত্মসমর্পণ করে। বহু সেনাসদস্যকে গ্রেফতারের খবর জানায় আন্তর্জাতিক মিডিয়া।

 

অভ্যুত্থানের ইতিহাস নতুন নয়

গত ৫০ বছরে তুরস্কে বেশ কয়েকটি সেনা অভ্যুত্থান ঘটেছে। এর মধ্যে তিন বার অভ্যুত্থানে সরাসরি ক্ষমতা দখল করে তুরস্কের সেনাবাহিনী। ১৯৯৭ সালে ‘প্রস্তাবনা’ দিয়ে ক্ষমতার রদবদল ঘটায় এমনটি খবর প্রকাশ পায় গণমাধ্যমে।  ক্ষমতাসীন সরকারের সঙ্গে বিরোধীদের চরম উত্তেজনার মধ্যে ১৯৬০ সালে তুরস্কে  প্রথম সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে। প্রথম এ অভ্যুত্থানের ব্যাপ্তিকাল ছিল ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত। এক দশকের মধ্যেই দ্বিতীয় অভ্যুত্থান হয় তুরস্কে। এরপর ১৯৭৯-র শেষ দিক থেকে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের গুঞ্জন ওঠে। তুরস্কের রাজনীতিতে সামরিক বাহিনীর ‘হস্তক্ষেপ’-এর সর্বশেষ ঘটনা ঘটে ১৯৯৭ সালে।

 

উত্তর কোরীয় দূতাবাসের প্রতিবাদ

গণতান্ত্রিক গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়ার (উত্তর কোরিয়া) ঢাকাস্থ দূতাবাসে ১৩ জুলাই ২০১৬ তারিখে সে দেশের সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন সম্পর্কে এই পৃষ্ঠাজুড়ে প্রকাশিত ফিচারগুলোর তথ্যাবলীর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।

দূতাবাসের প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, ‘উপস্থাপিত নিবন্ধগুলো উত্তর কোরিয়ার পবিত্র জাতীয় স্বার্থ ও সার্বভৌমত্বকে আহত করেছে। বিষয়টি আমাদের দুদেশের (উত্তর কোরিয়া ও বাংলাদেশ) ও জনগণের মধ্যকার ঐতিহাসিক বন্ধুত্বময় সম্পর্কের এবং জনমত গঠনে পবিত্র মিডিয়ার সঠিক দায়িত্ব বহনের ন্যায়সঙ্গত লক্ষ্যেরও পরিপন্থী। যে কোনো দেশেই তাদের সর্বোচ্চ নেতা হচ্ছেন শ্রদ্ধেয় এবং মহান প্রতিনিধি; তিনি সংবিধান ও জনগণের অবিসংবাদিত ইচ্ছার দ্বারা সংরক্ষিত। বাংলাদেশের মতোই। উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা সম্বন্ধে ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’ ভিত্তিহীন কুৎসাচারমূলক নিবন্ধাবলী প্রকাশ করেছে।’

‘দুদশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় আছে এবং থাকবে’— এই দৃঢ় বিশ্বাস প্রকাশ করে দূতাবাস জানায়, উত্তর কোরিয়া সরকার যে পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করে তা পরিবর্তিত হবে না। নেতিবাচক যে ধারণা সৃষ্টি হয়েছে তা দূর করতে এবং উভয় দেশের মধ্যে উন্নততর সম্পর্কের বিকাশে ইতিবাচক কাজ করার জন্য ঢাকাস্থ দূতাবাস ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’কে অনুরোধ জানিয়েছে।

বাংলাদেশ প্রতিদিনকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পাঠানো প্রতিবাদপত্রে বলা হয়, দূতাবাস এ পত্রিকার কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।

আমাদের বক্তব্য : প্রকাশিত নিবন্ধগুলোর কোনোটিতেই বাংলাদেশ প্রতিদিনের নিজস্ব মন্তব্য ছিল না। নিবন্ধ বর্ণিত তথ্যগুলো বিভিন্ন বিদেশি নিউজ পোর্টাল থেকে নেওয়া। যেমন— হাফিংটন পোস্ট, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস, মিরর ইউকে, ডয়েচে ভেলে বাংলা, টেলিগ্রাফ ইউকে, বায়োগ্রাফি ডটকম ইত্যাদি। উত্তর কোরীয় মহান নেতা কিম জং উন সম্পর্কে প্রচারিত তথ্যাবলীর কোনো কোনোটি গালগল্প আর কোনো কোনোটি বাস্তবতা তা নিরূপণে পাঠকদের উৎসাহিত করাই ছিল উদ্দেশ্য, ওই ‘মহান নেতা’কে হেয় করা নয়।

 

সুলতান সুলেমান দ্য ম্যাগনিফিসেন্ট

সুলতান ১৪৯৪ সালে উত্তর-পূর্ব তুরস্কের ত্রেবিজন্দ নামক শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তবে অনেক ঐতিহাসিক মনে করেন তিনি ১৪৯৫ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ছিলেন সুলতান সেলিমের পুত্র, তার মা হাফসা ছিলেন একজন ক্রীতদাসী। বাল্যকালেই তিনি বিজ্ঞান, সাহিত্য, ইতিহাস, দর্শন ও সমর শাস্ত্রে প্রভূত জ্ঞান অর্জন করেছিলেন। সুলতান সুলেমানের রাজত্বকালকে (১৫২০-১৫৬৬) উসমানীয় সালতানাতের স্বর্ণযুগ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সুলায়মান তার ৪৬ বছরের রাজত্বকালের ১০ বছর ৩ মাস যুদ্ধে ব্যস্ত ছিলেন। তিনি নিজে ব্যক্তিগতভাবে ১৩টি সামরিক অভিযানের নেতৃত্ব দেন। তিনি এশিয়া, আফ্রিকা এবং ইউরোপের প্রায় ৮ হাজার মাইল অঞ্চলজুড়ে এক বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন, যার বিস্তৃতি ছিল ভিয়েনা থেকে আরব উপদ্বীপ পর্যন্ত। বিশাল রাজ্য বিস্তারের পাশাপাশি তিনি কলা, সংস্কৃতি এবং বিজ্ঞানের ব্যাপক প্রসার ঘটিয়েছিলেন। সুলায়মান অনেকগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেছিলেন। তার দরবারে কবি, সাহিত্যিক ও চিত্রশিল্পীদের যথেষ্ট কদর ছিল। দক্ষ প্রশাসক ও সমর নেতার পাশাপাশি তিনি একজন কবিও ছিলেন। তার জীবদ্দশায় তিনি প্রায় ২০০টি কবিতা ও গজল লিখেছিলেন। তার কবিতাগুলোর মধ্যে বিখ্যাত ‘আমার সুলতান মুহাম্মদ’, ‘মুহিব্বি বা প্রিয়তমা’। তিনি আরবি, তুর্কি ও পারসি সাহিত্যে বিবিধ জ্ঞান রাখতেন। জীবনের শেষ ২০ বছর তাকে অপ্রতিদ্বন্দ্বী সুলতান হিসেবে বিবেচনা করা হতো।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর