শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

ঈদ মোবারক

Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
ঈদ মোবারক

একেক দেশে একেকভাবে পালিত হয় কোরবানির ঈদ। তবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে এ ধারা একই রকম পরিলক্ষিত হয়। ঈদের নামাজের পরপরই মুসলমানরা তাদের পশু নিয়ে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে যান। হোক সেটা রাস্তা অথবা কোনো খেলার মাঠ। ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও মালদ্বীপে একই চিত্র লক্ষ্য করা যায়। অনেকটা বাংলাদেশের আদলে উদযাপিত হয় ঈদুল আজহা। এ ছাড়া ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও পালিত হয় ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। সেখানকার মুসলমানরা কোরবানি দেন গরু কিংবা ভেড়া। তবে সেটা আমাদের দেশের মতো রাস্তা বা মাঠে প্রকাশ্যে নয়। নির্ধারিত একটি জায়গায় একত্রিত হয়ে কোরবানি দেন তারা। যুক্তরাজ্যের মুসলমানরাও এই ঈদ পালন করে থাকেন। তবে সেখানকার ঈদ বাংলাদেশ বা উপমহাদেশের অন্যান্য দেশের মতো তেমন আড়ম্বরপূর্ণ হয় নয়। অনেকটাই আনুষ্ঠানিকতা পালন মাত্র।

 

কুরব থেকে কোরবানি

কোরবানি মানে উৎসর্গ। এ উৎসর্গের মূল্যায়ন আর্থিক ভিত্তিতে নির্ধারিত হয় না, বরং হয় একমাত্র আল্লাহভীরুতার ওপর। কোরবানি কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই হতে হবে। কোরবানি শব্দটি এসেছে ‘কুরব’ থেকে, যার অর্থ নৈকট্য, সান্নিধ্য ও নিকটবর্তী হওয়া। কোরবানির মাধ্যমে কোনো কিছু আল্লাহর নামে উৎসর্গ করে তার নিকটবর্তী হওয়া। কোরবানি করার জন্য নির্দেশ রয়েছে সূরা কাওসারে।

আমাদের দেশে কোরবানির ঈদের পরিচিতি ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ নামে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এর আরও অনেক নাম আছে। মরক্কো, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, মিসর এবং লিবিয়ায় কোরবানির ঈদকে বলা হয় ঈদুল কিবির। আফ্রিকার অনেক এলাকায় এটির পরিচয় তাবাসকি বা তোবাসকি নামে। নাইজেরিয়া এবং পূর্ব আফ্রিকায় পরিচিত বাব্বার সালাহ নামে। সোমালিয়া, কেনিয়া এবং ইথিওপিয়ায় বলা হয় সিডওয়েনি। ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং পাকিস্তানে ঈদুল আজহাকে বলা হয় বকরি ঈদ। এসব দেশে বেশির ভাগই ছাগল কোরবানি করা হয়।

একমাত্র ইন্দোনেশিয়াতেই বলা হয় ঈদুল আজহা। তুরস্কে বলা হয় কোরবান বেরামি বা ত্যাগের উৎসব। অন্যদিকে বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনা, আলবেনিয়া এবং বুলগেরিয়ায় বলা হয় কোরবান বাজরাম। কাজাখস্তানে বলা হয় কোরবান এইত। কুর্দিশরা বলে সেজনা কোরবানে। আফগানিস্তানে আছে কয়েকটি নাম। দারি ভাষার লোকেরা বলে ঈদ-ই-কোরবান। পোশতু ভাষার লোকেরা বলে লয় আখতার বা কোরবানি আখতার। আফ্রিকারই আরেকটি দেশ দক্ষিণ আফ্রিকায় একে বলা হয় ‘বকরি ঈদ’। অনেকটা ভারত আর পাকিস্তানের মতোই। ইন্দোনেশিয়ায় এর নাম ‘ঈদুল আদহা’ হলেও মালয়েশিয়ায় বলা হয় ‘আইদিল আদহা’। আবার মালয়েশিয়ায় একে ‘হারি রায়া কোরবান’ নামেও ডাকা হয়ে থাকে। এর অর্থ হচ্ছে ত্যাগ স্বীকারের উৎসব।  এদিকে কুর্দিরা বলে ‘সেজনা কুরবান’। আর আফগানিস্তানের লোকেরা বলে ‘ঈদ-ই- কোরবান’। কোরবানির ঈদ একেক দেশে একেকভাবে পালিত হয়। তবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে এ ধারা একই রকম। ঈদের নামাজের পরপরই মুসলমানরা তাদের পশু নিয়ে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে যান। হোক সেটা রাস্তা অথবা কোনো খেলার মাঠ। ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও মালদ্বীপে এই চিত্র লক্ষ্য করা যায়। অনেকটা বাংলাদেশের আদলে উদযাপিত হয় ঈদুল আজহা।

 

ছুটি ছাড়াই অস্ট্রেলিয়ার ঈদ

ঈদুল আজহার দিন অস্ট্রেলিয়ায় সরকারি ছুটি থাকে না। তবে ইসলামিক স্কুল, সামাজিক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো এ দিনটিতে বন্ধ থাকে। অস্ট্রেলিয়ার মুসলিম সম্প্রদায়ের বসবাস প্রধানত সাবারবান শহরকে কেন্দ্র করে। এখানে আলাদা কোরবানির পশু কিনে লালন-পালন করার সুযোগ না থাকায় কয়েকটি পরিবার মিলে একজনকে পশু কেনার এবং যত্ন করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

ঈদের দিন সকালে মুসলমানরা মসজিদে নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে বাড়ি ফিরে তারা কোরবানি করেন। মুসলমানরা কোরবানির গোশত এবং চামড়ার টাকা গরিবদের দান করেন। মুসলমান ছাড়াও অন্য ধর্মাবলম্বীদেরও কোরবানির গোশত উপহার হিসেবে দান করা হয়। অস্ট্রেলিয়ার মুসলমানরা এ দিন ‘বাকলাঙা’ এবং ‘লোকুম’ নামের দুটি তার্কিশ ডিম রান্না করে।

এখানে কোরবানির অর্ডার নেওয়া হয়

যুক্তরাজ্যে মুসলমান আছেন প্রায় ৩০ লাখ। যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৫ ভাগ। অধিকাংশ মুসলমানই ইংল্যান্ড ও ওয়ালেসে বসবাস করেন। যুক্তরাজ্যের মুসলমানরা ততটা ধর্মভীরু নন। যারা কেবল মসজিদ ও তাবলিগ জামাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত তারাই দৃঢ়ভাবে ইসলাম পালন করে থাকেন। দুই ঈদে মুসলমানরা ট্রাফালগার স্কয়ারে মিলিত হন এবং ঈদ উদযাপন করেন। তবে সেখানকার ঈদ বাংলাদেশ বা উপমহাদেশের অন্যান্য দেশের মতো তেমন আড়ম্বরপূর্ণ হয় না। যুক্তরাজ্যে প্রকাশ্য পশু জবাই করা নিষিদ্ধ হলেও নির্ধারিত এলাকায় সরকার নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠান থেকে কোরবানি দেওয়া যায়। স্থানীয়ভাবে অনেক এশিয়ান বা বাংলাদেশি গ্রোসারি ঈদের সময় কোরবানির জন্য আগ্রহীদের নাম সংগ্রহ করে থাকে। ঈদের প্রায় এক মাস আগে থেকে দোকানে দোকানে সাইনবোর্ড ঝোলানো থাকে : ‘এখানে কোরবানির অর্ডার নেওয়া হচ্ছে’। এর অর্থ হচ্ছে এখানে নাম লিখিয়ে প্রতি নামের বিপরীতে অর্থ দিয়ে যেতে হবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোরবানির পর গরু বা ভেড়ার গোশত ঈদের পরের দিন প্রাহকদের কাছে সরবরাহ করে তারা।

যুক্তরাষ্ট্রে কোরবানি

বর্তমানে নিউইয়র্কে প্রায় ৮০ হাজার বাংলাদেশি বসবাস করেন; যাদের বেশিরভাগই মুসলিম। ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করে থাকেন তারা। সবচেয়ে বৃহত্তম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় সেখানকার অন্যতম বাংলাদেশিপ্রধান এলাকা জ্যামাইকায়।

শহরের ম্যানহাটন, জ্যাকসন হাইটস, উডসাইড ও ব্রুকলিন এলাকায় বাংলাদেশিদের পরিচালিত জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার (জেএমসি) হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হয় এ জামাতটি। প্রতি বছরই এতে প্রায় ১৫ হাজার নারী-পুরুষ অংশ নেন। এ ছাড়াও মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড়ে কোনো কোনো মসজিদে পাঁচটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। অন্যান্য দেশ, বিশেষত পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ার মুসলমানরা যেসব মসজিদ পরিচালনা করেন সেসব মসজিদেও একাধিক ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

ইন্দোনেশিয়া

আয়তনের দিক দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলিম দেশ। মেয়েদের  কাপড়চোপড় চলাফেরা ইউরোপিয়ানদের মতো হলেও এখানকার বেশির ভাগ মানুষই নামাজ পড়ে। এরা ধর্মভীরু কিন্তু এদের মধ্যে কোনো রকম ধর্মীয় গোঁড়ামি কাজ করে না। রোজার ঈদ খুব আনন্দের সঙ্গে পালন করলেও কোরবানিটা এরা কোনোরকম করে কাটিয়ে দেয়। ইন্দোনেশিয়ায় সাধারণত যারা হজ করেছে কেবল তারাই কোরবানি দেয় এবং শুধু তাদের ওপরই নাকি কোরবানি ফরজ।

গরু বা ছাগল কিনে হাজীরা এলাকার মসজিদে দিয়ে দেয়। এ রকম করে দেখা যায় একটা মসজিদে ১/২টা গরু এবং ৮/১০টা ছাগল জমা হয়। প্রত্যেক এলাকায় একটা করে মসজিদ থাকে। মসজিদের যে ইমাম তার কাছে হিসাব থাকে ওই এলাকায় কতগুলো ঘর আছে। পুরো মাংসকে যতগুলো ঘর ঠিক ততগুলো ভাগে ভাগ করা হয় সমানভাবে। এরপর সবার বাসায় ছোট ছোট প্যাকেটে করে দিয়ে আসা হয়। যাদের অবস্থা ভালো তারা ফিরিয়ে দিয়ে বলে আমি মাংস কিনতে পারি, আমারটা গরিব কাউকে দিয়ে দাও। এর বাইরেও কেউ কেউ কোরবানি দিলে সেটাতেও কোনো মানা নেই।

চীনে অন্যরকম ঈদ

চীনের জনসংখ্যার শতকরা ১২ জন মুসলমান। এ হিসাবে ১৩৬ কোটি মানুষের চীনে আছেন সাড়ে ১৬ কোটি মুসলমান। হুই, উইঘুর, কাজাক, উজবেক, তাজিক তাতার, খালখাস, সালার, ডংঝিয়াং ও বাওয়ান ইত্যাদি সংখ্যালঘু গোষ্ঠীতে বিভক্ত তারা বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করছেন। হুই, উইঘুর, কাজাক ও সালার জনগোষ্ঠী চান্দ্র বছরের পঞ্জিকা দেখে ঈদ উদযাপন করেন। নিংঝিয়া প্রদেশের হুই মুসলমানরা ঈদুল ফিতরকে বড় ঈদ মনে করে থাকেন এবং গানসু ও চিংহাইয়ের হুই মুসলিমরা এটিকে মনে করেন বছরের শুরু। আবার ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহাকে বিভিন্ন প্রদেশে বিভিন্ন নামে আখ্যায়িত করা হয়। চীনের মুসলমানরা যেখানেই কাজ করুন না কেন দুটি ঈদেই তারা বাড়িতে আসেন এবং সবাই একত্রে মিলে ঈদ উদযাপন করেন। ঈদুল আজহার মতো ঈদুল ফিতরও তারা তিন দিনব্যাপী উদযাপন করেন। নারী-পুরুষ সবাই নতুন জামা-কাপড় পরিধান করেন। রঙিন কাগজ, বাণীসংবলিত ব্যানার ও পোস্টার ব্যবহার করে মসজিদ সাজানো হয়। কোথাও কোথাও আলোকসজ্জাও করা হয়। ঈদের নামাজের আগে মসজিদে সাইরেন বা ঘণ্টা বাজানো হয়। ঈদুল আজহায় তারা সাধারণত কয়েকজন মিলে একটি পশু কোরবানি করেন।

ত্যাগের মহিমা ফিনল্যান্ডে

ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে ফিনল্যান্ডজুড়ে মুসলমানরা উদযাপন করেন বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। নতুন পোশাক পরে কনকনে শীতের মাঝেও ফিনল্যান্ডে প্রবাসী বাংলাদেশিরা সমবেত হন ঈদের জামাতে। রাজধানী হেলসিঙ্কিতে অনুষ্ঠিত হয় ঈদের জামাত। সালাতুল ঈদ শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি এবং সমৃদ্ধি কামনায় করা হয় দীর্ঘ মোনাজাত। বরাবরের মতো এবারও বাঙালিদের ঈদ উৎসবে সেখানে দেশি-বিদেশি রকমারি খাবার, বাংলাদেশিদের মতো একে অপরের বাড়িতে দাওয়াত খাওয়া, মাতৃভূমি বাংলাদেশে টেলিফোন করে পরিবারের ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় এবং খোঁজখবর নেওয়াসহ নানা আয়োজনে মশগুল থাকবেন তারা।

জার্মানি

৬০ ও ৭০ দশকের পর থেকে জার্মানিতে ইসলাম ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। ২০১০ সালের হিসাব অনুযায়ী জার্মানিতে মুসলমান আছেন ৪৩ লাখ (মোট জনসংখ্যার ৫.৪ ভাগ) এবং তাদের মধ্যে জার্মান নাগরিক হলেন ১৯ লাখ (মোট জনসংখ্যার ২.৪ ভাগ)। জার্মানির মুসলমানদের শতকরা ৬৩ ভাগ তুর্কি বংশোদ্ভূত। জার্মান মুসলমানদের জন্য দুঃখজনক ব্যাপার হলো তারা দুই ঈদসহ কোনো ধর্মীয় উৎসবেই সরকারি ছুটি পান না। যেসব মুসলমান সরকারি চাকরিজীবী তাদের খ্রিস্টান সহকর্মীদের ধর্মীয় উৎসবে ছুটি দেওয়া হলেও মুসলমানরা তা পান না। ওখানে কেবল খ্রিস্টানদেরই ধর্মীয় উৎসবে জাতীয় ছুটির দিন ঘোষণা করা হয়। জার্মানিস সেন্টার কাউন্সিল অব মুসলিমের সভাপতি আইমান মাজইয়াক বিভিন্ন গণমাধ্যমে সরকারের কাছে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসবেও ছুটি ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন।

জার্মানিতে তাই মুসলমানদের ঈদে ততটা সমারোহ হয় না। অধিকাংশ মুসলমান বার্লিনে বা শহরাঞ্চলে থাকেন বলে ওখানেই ঈদের নামাজ আদায় করেন।

 

দক্ষিণ আফ্রিকা

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করেন দক্ষিণ আফ্রিকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। প্রতি বছরই দেশটির রাজধানীতে ঈদের জামাতগুলোতে চোখে পড়ে লাখো মুসল্লির ঢল। নামাজ শেষে তারা নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি করেন। ধনী-গরিব, মালিক-শ্রমিক ভেদাভেদ ভুলে সবাই মশগুল হন একে অপরকে দাওয়াত দিতে ও দাওয়াত নিতে। দিন শেষে বাঙালিসহ অধিকাংশ প্রবাসীই দেশে পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে ঈদের কুশল এবং শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ফোন, ফেসবুক ও টুইটারসহ সামাজিক বিভিন্ন সাইটের মাধ্যমে।

সুইডেন

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সুইডেনে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় মসজিদের উদ্যোগে ওসা জিমনেশিয়ামে বৃহত্তম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামাতে প্রবাসী অনেক বাঙালি অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের রেওয়াজ অনুযায়ী সেখানেও নামাজের আগে কোরবানির তাত্পর্যের ওপর সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয়। নামাজ শেষে বাংলাদেশ ও মুসলিম উম্মাহর সুখ-সমৃদ্ধি কামনায় করা হয় বিশেষ মোনাজাত।

এর বাইরেও বিভিন্ন দেশে নানা আয়োজনে ঈদুল আজহা পালিত হয়। মালয়েশিয়ায় কোরবানিতে ভেড়াই প্রধান পশু। তবে গরু, ছাগলেরও বিপুল উপস্থিতি দেখা যায়। মালয়েশিয়ানরা সাধারণত সমাজবদ্ধভাবে কোরবানি করতে পছন্দ করেন। স্থানীয় মসজিদে সেখানকার সব পশু একসঙ্গে করে সব গোশত একসঙ্গেই বণ্টন করা হয়। মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার ঐতিহ্যে বেশ সামঞ্জস্য রয়েছে।

ইউরোপ, আমেরিকার দেশগুলোতে স্বীকৃত কসাইখানায় কোরবানি দিতে হয়। এসব দেশে মুসলমানদের মধ্যে মসজিদভিত্তিক কর্মসূচির প্রতি বিশেষ আগ্রহ দেখা যায়। সাধারণত মসজিদের মাধ্যমেই কোরবানি এবং গোশত বিতরণের কাজ সম্পন্ন হয়।

আরব দেশগুলোতে দুম্বা, উট ও ভেড়া কোরবানি দিতে দেখা যায় বেশি। হজের কারণে সৌদি আরবে বিপুলসংখ্যক পশু কোরবানি দেওয়া হয়। তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, কিরগিজস্তানের মতো মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে প্রধানত ভেড়া কোরবানি দেওয়া হয়। কিরগিজস্তানে কোরবানির ঈদকে ‘কোরবান বৈরাম’ও বলা হয়।

তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুসলমান জনগোষ্ঠী যেভাবেই ঈদুল আজহাকে উদযাপন করুক না কেন, যে রীতিতেই কোরবানি দেওয়া হোক না কেন, তাদের একটাই উদ্দেশ্য আর তা হলো মহান আল্লাহর প্রতি যথার্থ আনুগত্য প্রদর্শন। আল্লাহর সন্তুষ্টি ও মানবকল্যাণে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করার জন্য এই ধর্মীয় আদেশ পালন। এ ধর্মীয় উৎসব আত্মবিশ্লেষণ ও আত্মশুদ্ধিসহ পশুত্ব কোরবানির উৎসব। ঈদুল আজহা চিত্তবৈভব প্রদর্শনের উৎসব নয়। ঈদুল আজহা ত্যাগের, আত্মসমর্পণের এবং আত্মোপলব্ধির মহান স্মারক।

 

নানা দেশে নানা নাম

 

আমাদের দেশে পবিত্র কোরবানির ঈদের পরিচিতি ‘ঈদুল আজহা’ বা কোরবানির ঈদ নামে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এর আরও অনেক নাম আছে।

মরক্কো, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, মিসর এবং লিবিয়ায় কোরবানির ঈদকে বলা হয় ‘ঈদুল কিবির’।

আফ্রিকার অনেক এলাকায় এটির পরিচয় ‘তাবাসকি’ বা ‘তোবাসকি’ নামে। নাইজেরিয়া এবং পূর্ব আফ্রিকায় পরিচিত ‘বাব্বার সালাহ’ নামে। সোমালিয়া, কেনিয়া এবং ইথিওপিয়ায় বলা হয় ‘সিডওয়েনি’। ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং পাকিস্তানে ঈদুল আজহাকে বলা হয় ‘বকরি ঈদ’। এসব দেশে বেশিরভাগই ছাগল কোরবানি করা হয়। আমাদের দেশে পবিত্র কোরবানির ঈদের পরিচিতি ‘ঈদুল আজহা’ বা কোরবানির ঈদ নামে।

\

 

 

কোরবানির পশু নির্বাচন

কোরবানির পশু নির্বাচনের কিছু রীতি ও নিয়ম আছে। প্রচলিত নীতি এবং আলেম ওলামাদের মতে সেই নিয়মের হরেফের হলে কোরবানি কবুল হয় না। চলুন চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক কোরবানির পশু নির্বাচনের কিছু দিক। গরু, ছাগল, উট ও দুম্বা এই কয় প্রকার গৃহপালিত পশু দ্বারা কোরবানি করা জায়েজ। এগুলো ব্যতীত অন্য পশু যত মূল্যবানই হোক, তা দিয়ে কোরবানি জায়েজ হবে না। ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা কমপক্ষে পূর্ণ এক বছর বয়সের হতে হবে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক প্রাণী দিয়ে কোরবানি হবে না। বয়স যদি কিছু কমও হয় কিন্তু এমন মোটাতাজা যে, এক বছর বয়সীদের মধ্যে ছেড়ে দিলেও তাদের চেয়ে ছোট মনে হয় না, তাহলে তার দ্বারা কোরবানি জায়েজ আছে। বকরি কোনো অবস্থায় এক বছরের কম হলে চলবে না। গরু ও মহিষের বয়স কমপক্ষে দুই বছর হতে হবে। উটের বয়স কমপক্ষে পাঁচ বছর হতে হবে। কোরবানির পশু ভালো এবং হৃষ্টপুষ্ট হওয়াই উত্তম। যে প্রাণী লেংড়া অর্থাৎ যা তিন পায়ে চলতে পারে— এক পা মাটিতে রাখতে পারে না বা রাখতে পারলেও ভর করতে পারে না এমন পশু দ্বারা কোরবানি হবে না। যে পশুর একটিও দাঁত নেই তার দ্বারা কোরবানি হবে না। যে পশুর কান জন্ম থেকে নেই সে পশু দ্বারা কোরবানি জায়েজ নয়। যে পশুর শিং মূল থেকে ভেঙে যায় তা দ্বারা কোরবানি বৈধ নয়। তবে শিং উঠেইনি বা কিছু পরিমাণ ভেঙে গেছে এমন পশু দ্বারা কোরবানি জায়েজ আছে। যে পশুর উভয় চোখ অন্ধ বা একটি চোখের দৃষ্টিশক্তি এক-তৃতীয়াংশ বা তার বেশি নষ্ট তা দ্বারা কোরবানি জায়েজ নেই। যে পশুর একটি কান বা লেজের এক-তৃতীয়াংশ কিংবা তারচেয়ে বেশি কেটে গেছে তা দ্বারা কোরবানি সঙ্গত নয়। অতিশয় কৃশকায় ও দুর্বল পশু দ্বারা কোরবানি বৈধ নয়। ভালো পশু ক্রয় করার পর এমন দোষ-ত্রুটি দেখা দিয়েছে যার কারণে কোরবানি দুরস্ত হয় না— এরূপ হলে সেটিই কোরবানি দেওয়া দুরস্ত হবে। গর্ভবতী পশু কোরবানি করা জায়েজ। যদি পেটের বাচ্চা জীবিত পাওয়া যায় তাহলে সে বাচ্চাও জবাই করে দিতে হবে। তবে প্রসবের নিকটবর্তী হলে সেরূপ পশু কোরবানি দেওয়া মাকরুহ। বন্ধ্যা পশু কোরবানি করা জায়েজ আছে।

টপিক

এই বিভাগের আরও খবর
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
চমকপ্রদ উপাখ্যান জড়ানো সাগরদিঘি
চমকপ্রদ উপাখ্যান জড়ানো সাগরদিঘি
নয়নাভিরাম ছয় সাগরের কথা
নয়নাভিরাম ছয় সাগরের কথা
সর্বশেষ খবর
শেষ ভালো যার সব ভালো তার
শেষ ভালো যার সব ভালো তার

১ সেকেন্ড আগে | মুক্তমঞ্চ

শেয়ারহোল্ডারদের ক্ষতি ৪৫০০ কোটি টাকা
শেয়ারহোল্ডারদের ক্ষতি ৪৫০০ কোটি টাকা

৯ মিনিট আগে | অর্থনীতি

হবিগঞ্জে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
হবিগঞ্জে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

১২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীর বনানীতে গৃহবধূর আত্মহত্যা
রাজধানীর বনানীতে গৃহবধূর আত্মহত্যা

২১ মিনিট আগে | নগর জীবন

বিশ্বকাপে দল বাড়াচ্ছে আইসিসি, সুবিধা পাবে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপে দল বাড়াচ্ছে আইসিসি, সুবিধা পাবে বাংলাদেশ

২৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

পারিবারিক কলহের জেরে চকবাজারে গৃহবধূর আত্মহত্যা
পারিবারিক কলহের জেরে চকবাজারে গৃহবধূর আত্মহত্যা

৫২ মিনিট আগে | নগর জীবন

মাছ চুরির অপরাধে দুই যুবককে মারধর, গ্রাম্য বিচারক গ্রেপ্তার
মাছ চুরির অপরাধে দুই যুবককে মারধর, গ্রাম্য বিচারক গ্রেপ্তার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঘি খেতে চাইলে চামচ দিয়ে ভদ্রভাবে খান : ডা. সায়ন্থ
ঘি খেতে চাইলে চামচ দিয়ে ভদ্রভাবে খান : ডা. সায়ন্থ

১ ঘণ্টা আগে | টক শো

জবির ১৫ শিক্ষার্থীকে নিয়ে বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি
জবির ১৫ শিক্ষার্থীকে নিয়ে বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মা হারালেন অভিনেতা জায়েদ খান
মা হারালেন অভিনেতা জায়েদ খান

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মনোনয়ন না পেয়ে আম্পায়ারের ভঙ্গিতে রিভিউ আবেদন বিএনপি নেতার
মনোনয়ন না পেয়ে আম্পায়ারের ভঙ্গিতে রিভিউ আবেদন বিএনপি নেতার

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ফিফা দ্য বেস্ট ২০২৫: বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের মনোনয়ন ঘোষণা
ফিফা দ্য বেস্ট ২০২৫: বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের মনোনয়ন ঘোষণা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরে দেশ ও জাতির মুক্তি হয়েছিল : সেলিমুজ্জামান
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরে দেশ ও জাতির মুক্তি হয়েছিল : সেলিমুজ্জামান

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

জাপানের শ্রম ঘাটতি পূরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বাংলাদেশ
জাপানের শ্রম ঘাটতি পূরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বাংলাদেশ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান বুঝে জোটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হবে: নুর
রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান বুঝে জোটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হবে: নুর

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‌‌‌‌‘স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষে ভোট দিতে হবে’
‌‌‌‌‘স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষে ভোট দিতে হবে’

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মেহেরপুরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
মেহেরপুরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে গাজীপুরে বিএনপির শোভাযাত্রা
বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে গাজীপুরে বিএনপির শোভাযাত্রা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আরবি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা উন্নয়নের উদ্যোগ নিচ্ছে উপসাগরীয় দেশগুলো
আরবি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা উন্নয়নের উদ্যোগ নিচ্ছে উপসাগরীয় দেশগুলো

২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

আগামীর বাংলাদেশে বাংলাদেশপন্থী রাজনীতি করতে চাই : মাহদী আমিন
আগামীর বাংলাদেশে বাংলাদেশপন্থী রাজনীতি করতে চাই : মাহদী আমিন

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

চট্টগ্রামে পৃথক ঘটনায় গ্রেফতার ৪
চট্টগ্রামে পৃথক ঘটনায় গ্রেফতার ৪

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পাকিস্তানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলার পরিকল্পনা করছিল ভারত-ইসরায়েল
পাকিস্তানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলার পরিকল্পনা করছিল ভারত-ইসরায়েল

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নোয়াখালীতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
নোয়াখালীতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শ্রীমঙ্গলে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
শ্রীমঙ্গলে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন বিরোধীদের ৭ নভেম্বরের চেতনায় পরাজিত করতে হবে : আমীর খসরু
নির্বাচন বিরোধীদের ৭ নভেম্বরের চেতনায় পরাজিত করতে হবে : আমীর খসরু

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পরবর্তী আইপিএলও খেলবেন ধোনি
পরবর্তী আইপিএলও খেলবেন ধোনি

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুর মৃত্যু
শেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুর মৃত্যু

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নওগাঁয় কর্মীসভা অনুষ্ঠিত
নওগাঁয় কর্মীসভা অনুষ্ঠিত

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সোনারগাঁয়ে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
সোনারগাঁয়ে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ধানের শীষের পক্ষে জনমত বাড়াতে মোংলায় বিএনপির উঠান বৈঠক
ধানের শীষের পক্ষে জনমত বাড়াতে মোংলায় বিএনপির উঠান বৈঠক

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সর্বাধিক পঠিত
জামায়াতের আলোচনার প্রস্তাব, যা বললেন বিএনপির মহাসচিব
জামায়াতের আলোচনার প্রস্তাব, যা বললেন বিএনপির মহাসচিব

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইরানে ইসরায়েলি হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলেন ট্রাম্প
ইরানে ইসরায়েলি হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলেন ট্রাম্প

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এক ওভারে আব্বাস আফ্রিদির ৬ ছক্কা
এক ওভারে আব্বাস আফ্রিদির ৬ ছক্কা

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জাহানারার মতো ভুক্তভোগীদের মুখ খোলার অনুরোধ তামিমের
জাহানারার মতো ভুক্তভোগীদের মুখ খোলার অনুরোধ তামিমের

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচন : প্রেস সচিব
ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচন : প্রেস সচিব

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই ভাইয়ের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ
দুই ভাইয়ের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাড়িতে ঢুকে পড়ছে ভালুক, সেনা মোতায়েন
বাড়িতে ঢুকে পড়ছে ভালুক, সেনা মোতায়েন

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুলাই সনদের ঐকমত্যের আইনানুগ বাস্তবায়নের আহ্বান বিএনপির
জুলাই সনদের ঐকমত্যের আইনানুগ বাস্তবায়নের আহ্বান বিএনপির

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল চুরি, বরখাস্ত আনসার সদস্য
পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল চুরি, বরখাস্ত আনসার সদস্য

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গুলিবিদ্ধ বিএনপি প্রার্থী এরশাদকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় স্থানান্তর
গুলিবিদ্ধ বিএনপি প্রার্থী এরশাদকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় স্থানান্তর

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ছোট ভাইয়ের সঙ্গে মারামারি করতে মাইকে ঘোষণা দিলেন বড় ভাই
ছোট ভাইয়ের সঙ্গে মারামারি করতে মাইকে ঘোষণা দিলেন বড় ভাই

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অবসরের ঘোষণার পর ন্যান্সি পেলোসিকে ‘শয়তান মহিলা’ বললেন ট্রাম্প
অবসরের ঘোষণার পর ন্যান্সি পেলোসিকে ‘শয়তান মহিলা’ বললেন ট্রাম্প

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আলোচিত সেই বিড়াল হত্যাকারী নারী আটক
আলোচিত সেই বিড়াল হত্যাকারী নারী আটক

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শাহজালাল বিমানবন্দরে জুতা-প্যান্ট-শার্টে লুকানো ১৫ মোবাইল
শাহজালাল বিমানবন্দরে জুতা-প্যান্ট-শার্টে লুকানো ১৫ মোবাইল

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বর্তমান বাস্তবতায় ১০-২০ কোটি টাকা ছাড়া নির্বাচন করা যায় না:  আসিফ মাহমুদ
বর্তমান বাস্তবতায় ১০-২০ কোটি টাকা ছাড়া নির্বাচন করা যায় না:  আসিফ মাহমুদ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘নো হাংকি পাংকি’ কোনো আদর্শের রাজনৈতিক ভাষা হতে পারে না : এ্যানি
‘নো হাংকি পাংকি’ কোনো আদর্শের রাজনৈতিক ভাষা হতে পারে না : এ্যানি

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাজধানীতে সবজি স্থিতিশীল, অস্থির পেঁয়াজের বাজার
রাজধানীতে সবজি স্থিতিশীল, অস্থির পেঁয়াজের বাজার

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ডি ককের সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানকে হেসেখেলে হারাল প্রোটিয়ারা
ডি ককের সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানকে হেসেখেলে হারাল প্রোটিয়ারা

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ৭ ভেন্যু চূড়ান্ত
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ৭ ভেন্যু চূড়ান্ত

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আত্মশুদ্ধি অবহেলিত ফরজ
আত্মশুদ্ধি অবহেলিত ফরজ

২৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

পাকিস্তানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলার পরিকল্পনা করছিল ভারত-ইসরায়েল
পাকিস্তানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলার পরিকল্পনা করছিল ভারত-ইসরায়েল

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীনের তৃতীয় বিমানবাহী রণতরী নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর
চীনের তৃতীয় বিমানবাহী রণতরী নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ
সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘আয়নাঘর’ থেকে বেঁচে ফিরে বিএনপির প্রার্থী হয়ে মাঠে মাজেদ বাবু
‘আয়নাঘর’ থেকে বেঁচে ফিরে বিএনপির প্রার্থী হয়ে মাঠে মাজেদ বাবু

৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে যাচ্ছে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাজাখস্তান
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে যাচ্ছে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাজাখস্তান

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিধানসভায় হারলে রাজ্যে বিজেপির অস্তিত্ব থাকবে না: মিঠুন
বিধানসভায় হারলে রাজ্যে বিজেপির অস্তিত্ব থাকবে না: মিঠুন

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বন্যায় ডুবতে পারে এশিয়ার যে দেশ, জারি সতর্কতা
বন্যায় ডুবতে পারে এশিয়ার যে দেশ, জারি সতর্কতা

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কিছুই জানেন না তিনি, অথচ তাকে নিয়ে ভারতে তুলকালাম!
কিছুই জানেন না তিনি, অথচ তাকে নিয়ে ভারতে তুলকালাম!

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষিকাকে ৬ বছরের শিক্ষার্থীর গুলি, কোটি ডলার ক্ষতিপূরণের নির্দেশ
যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষিকাকে ৬ বছরের শিক্ষার্থীর গুলি, কোটি ডলার ক্ষতিপূরণের নির্দেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শনিবার থেকে আন্দোলনে নামছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা
শনিবার থেকে আন্দোলনে নামছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা রুখতে হবে
সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা রুখতে হবে

নগর জীবন

হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

উন্নয়নের সব প্রকল্পই আটকা
উন্নয়নের সব প্রকল্পই আটকা

নগর জীবন

মাছের আড়তে পড়ে ছিল যুবকের রক্তাক্ত লাশ
মাছের আড়তে পড়ে ছিল যুবকের রক্তাক্ত লাশ

দেশগ্রাম

দুজনকে পিটিয়ে হত্যা, আরও একজন গ্রেপ্তার
দুজনকে পিটিয়ে হত্যা, আরও একজন গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

বন্যায় ডুবতে পারে থাইল্যান্ড
বন্যায় ডুবতে পারে থাইল্যান্ড

পূর্ব-পশ্চিম

তুহিনের বাবার মৃত্যুবার্ষিকী
তুহিনের বাবার মৃত্যুবার্ষিকী

খবর

দাম বাড়লেও ঘরে পাট নেই কৃষকের
দাম বাড়লেও ঘরে পাট নেই কৃষকের

দেশগ্রাম

চাঁদা না দেওয়ায় অফিস ভাঙচুর
চাঁদা না দেওয়ায় অফিস ভাঙচুর

দেশগ্রাম

ইকবাল ও নজরুলকে নিয়ে ঢাবিতে আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু আগামীকাল
ইকবাল ও নজরুলকে নিয়ে ঢাবিতে আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু আগামীকাল

নগর জীবন

ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে আজহারুল ইসলাম মান্নানের অনুদান
ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে আজহারুল ইসলাম মান্নানের অনুদান

নগর জীবন

শহীদ জিয়ার আদর্শকে ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে
শহীদ জিয়ার আদর্শকে ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে

নগর জীবন

নির্বাচন ঠেকাতে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে
নির্বাচন ঠেকাতে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে

নগর জীবন

সিলেট-১ ছেড়ে ৪-এ প্রচার শুরু আরিফের
সিলেট-১ ছেড়ে ৪-এ প্রচার শুরু আরিফের

নগর জীবন

বগুড়ায় বিড়াল হত্যার ঘটনায় নারী গ্রেপ্তার
বগুড়ায় বিড়াল হত্যার ঘটনায় নারী গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজনীতি থেকে ন্যান্সি পেলোসির অবসরের ঘোষণা
রাজনীতি থেকে ন্যান্সি পেলোসির অবসরের ঘোষণা

পূর্ব-পশ্চিম

২২০০ শয্যার হাসপাতালে একটি ইকো মেশিন!
২২০০ শয্যার হাসপাতালে একটি ইকো মেশিন!

নগর জীবন

হারলে রাজ্যে বিজেপির অস্তিত্ব থাকবে না : মিঠুন
হারলে রাজ্যে বিজেপির অস্তিত্ব থাকবে না : মিঠুন

পূর্ব-পশ্চিম

নায়করাজের সেই ছবি
নায়করাজের সেই ছবি

শোবিজ

ঐকমত্যের বাইরে কথা বললে বিভেদ বাড়বে
ঐকমত্যের বাইরে কথা বললে বিভেদ বাড়বে

নগর জীবন

তারা ডাকসু নির্বাচনে ভয় পেয়েছে
তারা ডাকসু নির্বাচনে ভয় পেয়েছে

নগর জীবন

মতানৈক্য রাজপথের কর্মসূচিতে মীমাংসা হবে না
মতানৈক্য রাজপথের কর্মসূচিতে মীমাংসা হবে না

নগর জীবন

হাসপাতালে মৃত রোগীকে জীবিত দেখিয়ে আইসিইউতে
হাসপাতালে মৃত রোগীকে জীবিত দেখিয়ে আইসিইউতে

নগর জীবন

জাহানারার অভিযোগে টালমাটাল ক্রিকেটপাড়া
জাহানারার অভিযোগে টালমাটাল ক্রিকেটপাড়া

প্রথম পৃষ্ঠা

আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লংমার্চ আইনজীবীদের
আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লংমার্চ আইনজীবীদের

দেশগ্রাম

১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে শ্রমিক থাকবে ৫ হাজার
১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে শ্রমিক থাকবে ৫ হাজার

নগর জীবন

ফিডশিল্পের বাজার প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকার
ফিডশিল্পের বাজার প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকার

নগর জীবন

ভয়াবহতা না বুঝেই চলছে আগুন নেভানোর অভিযান
ভয়াবহতা না বুঝেই চলছে আগুন নেভানোর অভিযান

নগর জীবন

বীরগঞ্জে বসুন্ধরা শুভসংঘের ডাস্টবিন বিতরণ
বীরগঞ্জে বসুন্ধরা শুভসংঘের ডাস্টবিন বিতরণ

নগর জীবন